নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পৃথিবী

এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..

রোদেলা

আমার আকাশ মেঘে ঢাকা \nজমতে থাকা আগুন ;\nহঠাত আলোর পরশ পেলেই \nঝরবে রোদের ফাগুণ।

রোদেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাপিত সময় -৩

১২ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:১০



কর্ম ক্লান্ত জীবনের কাছে ধরা পড়া আমরা নিজেদেরকে সময় দিতে পারিনা।তাই হয়তো নিজেকে এবং সময়কে একটু খানি সময় দেবার জন্যে অনেক দূর চলে এসেছি ।এবারের বই দুটো বের হবার পর প্রশ্নগুলো আরো তীব্রকর হলো-আপনি কি নিয়ে লেখেন,শুধু প্রেমের কবিতা?মেয়েদের কে নিয়ে লিখতে পারেন না,আপনারাই যদি লিখতে না পারেন তবে কে লিখবে?
আসলেও তো তাই,দেশে নারী লেখকের সংখ্যা খুব কম।আমারতো মনে হয় সব লেখকরাই নারীর চেতনা,অধিকার এই সব নিয়ে লিখেছে।আমি উল্লেখযোগ্য কোন লেখক নই,তবে আবার বেশীর ভাগ কবিতাই নারীর ভেতরের অজানা আকুতি ফুটিয়ে তুলবার চেষ্টা করেছি।কবিতা কি গল্প-প্রায় সব টাতেই নিজের দুঃসহ অতীতকে সামনে আনবার তাগিত ছিলো অনেক বেশী ,কারন ব্লগ এখন আমার কাছে আর ব্যক্তিগত ডায়রী নয়।এই একটা মাধ্যমে আমার চিন্তা চেতনা পৌঁছে যায় ধর্ম হীন গোত্র হীন কোন সমাজে যার বর্ন পরিচয় আমার জানা নেই।জানার প্রয়োজন নেই-কারন আমি মানুষের মগজে ঠাই নিতে চাই।তার উপলব্ধিতে জায়গা নিতে চাই,বিশেষ করে আধুনিক কিছু মেয়েদের যারা লড়াই করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হাঁপিয়ে উঠে,যারা অল্পেই বিক্রী হয়ে যায় পুরুষের শরীরে।
খুব বেশি দিন আগের কথা না।বৈবাহিক জীবনের আট বছর পাড় করে ফেলেছি,ঘরে আছে স্কুল পড়ুয়া ছেলে।বিয়ের প্রথম সময়টা মেজর সাহেবের অনেক ওডী ছিলো,টানা পোড়েনের সংসার ;যৌথ পরিবারে থেকেই মাস্টার্স কমপ্লিট করলাম।প্রথবার মিশন গিয়ে তিনি খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও পরেরবার বেশ ডলার –পাউন্ড কামাই করলেন।ব্যাঙ্কের সমস্ত দেনা পাওনা চুকে গেলো,সেই সাথে চুকে গেলো আমার বাইরে কাজ করার সুযোগ-জামাই ,এতো টাকা আর্ন করছে,বাড়ী্র বউ কর্পোরেট অফিসে ছেলেদের সাথে কাজ করবে তা কি মানায়?
মেনে নিলাম,ছেলেকে সময় দিতে হয়।বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এখানে ওখানে পোস্টিং।কোন জায়গাই ঠিক থিতু হচ্ছিলাম না।সাভার ক্যান্টনমেন্টে কেবল মর্নিং গ্লোরী আরম্ভ হচ্ছে।ইংরেজী মাধ্যম,খুব সহজ ছিলো না , সিনিয়ারদের মিসেসরাও সি ভি ড্রপ করেছেন।একদিন দুপুরে খাবার টেবিলে তরকারী তে লবন কম হয়েছে বলে প্রতিদিন কার মতোই গাল খাচ্ছিলাম-“তোমার মাতো কিছু শিখায় নাই,আমার মার কাছে এতো দিন থেকেও রান্নাটা শিখলা না।”মানাই উচিত,আমার এক্স শাশুড়ি খুব ভাল রান্না করেন।এই সব কথা তখন আমার কাছে একদম রুটিনের মতোন-শুনে শুনে অভ্যাস হয়ে গেছে।আমি বললাম-ডিম ভাজি করে দেই।
-তুমি থাকো,আমিই করতেসি।তোমার ডিম ভাজিতো একটুও ফুলেও না,গন্ধও বের হয় না।
আমার মাথায় তখন স্কুলে জয়েন করার চিন্তা।তার পিছনে পিছনে রান্না ঘরে গেলাম-মর্নিং গ্লোরিতে সিনিয়ার টিচার নিচ্ছে,আমি সি ভি দেবো।
সে খুবি অবাক হয়ে বললো-তুমি কি ইংলিশে কথা বলতে পারবা?তুমিতো আমাদের সিও(কমান্ডার ইন চিফ) ভাবীর বাঁ পায়ের নখের যোগ্যও না।
এই গল্প গুলো এখন অতীত।ওই স্কুলেই আমি সিনিয়ার শিক্ষক হিসেবে টানা দু’বছর কাজ করেছি।মেয়েকে বুকে নিয়াই IELTS দিয়েছি এবং ৬ পেয়েছি।অনর্গল ইংলিশে কথা বলছি,আজো বলেই চলেছি।এখন ভাবলে অবাক লাগে কি করে আমি বের হলাম ওই জমপুরী থেকে ।ব্যাপারটা এতো সহজ না।
কঙ্গো মিশন থেকে তার ছুটিতে আসবার কথা ,মাত্র দুই মাসের ছুটি।তখন কাজ করি সি এ টিতে ,মঞ্চ নাটকের পাব্লিকেশনের কাজ ।ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়।দূর দেশ থেকেই ক্রমাগত হুমকি ধামকি খাচ্ছি-কার সাথে এতো রাত অব্দি শুইয়া থাকি,হারামজাদী –মাগী ,আরো কতো অজানা শব্দরা আমার চারপাশে খেলা করে প্রতিদিন।২০০৮ সাল,প্রথম আলো ব্লগ আর সামুতেও ততোদিনে আমার লেখার সাথে পরিচিত সবাই।মাঝে মাঝে একা থাকতে থাকতে এমন অসহনীয় লাগতো যে মনে হতো সত্যি সত্যি কারো সাথে বিছানায় যাই,তারপর ইউটিউবে ডাউনলোড করে ব্যাটারে দেখাই।দুনিয়ার তাবত মানুষ দেখুক –-মেজরের বউ কি করে।কারন আমার পরিচয় তখন কেবল ওমুক মেজরের বউ,আমার যে একটা নাম আছে তা আমি নিজেই ভুলতে বসেছিলাম।কিন্তু যখন ছেলের মুখের দিকে তাকাই তখন সব কিছু ঠান্ডা হয়ে যায়। আমি ইথার জীবনটাকেই খুব উপভোগ করতে লাগলাম,কাউকে দেখা যায় না,স্পর্শ করা যায় না।কিন্তু সব বলে দেওয়া যায় অনায়াসে।দূর থেকে দূরান্তর থেকে আমার জন্যে বার্তা আসে,খুব সুন্দর সুন্দর ভার্চুয়াল ফুল আসে।একটা স্নিগ্ধ ভালোবা্সার ছোঁয়ায় সারা দিন আমি ভেসে যেতে থাকতাম।
ও যেটা বলছিলাম,সেই মিশনের ছুটির কথা।হুম ,তিনি আসবেন সকালের ফ্লাইটে ।আমিও গাড়ি নিয়ে চলে গেলাম এয়ারপোর্ট,হাজার হোক স্বামী বলে কথা।একটু দায় ভাড়তো থেকেই যায়,যদিও তিনি তখন আমার আত্বার কাছ থেকে বহু দূরে।
লাউঞ্জে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি-এখনো স্পষ্ট মনে আছে,এশ এবং ব্ল্যাকস্ট্রাইপের একটা ফুল হাতা টি-শার্ট পড়া ছিলো ও সেদিন।আমার দিকেই হেঁটে আসছিল,পেছনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম মেজর শারমিন ; কালো রঙের ফতুয়া আর জিন্স পড়া।আমার এতো দিনের অভিংগ চোখ কানে কানে কি যেন বলতে চাইলো,আমি পাত্তা দিলাম না।শারমিনের সাথে পরিচয় হলো,তার স্বামী এবং ও নিজেও সি এম এইচের ডাক্তার ;দুজনকেই বাড়িতে দাওয়াত দিলাম।এও জেনে গেলাম বিয়ের ৭ বছরেও শারমিন মা হতে পারেনি।আহা ,মেয়েটার জন্যে খুব মায়া হলো।
সেই মায়া গিয়ে পড়লো স্বামীর হাতের উপর।গাড়িতে তার হাত ধরতে চাইলাম,পতী দেবতা হাত সড়িয়ে নিলেন।আমি কি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম,আজ এতো বছর পর নিজেকে আবার প্রশ্ন করি।নাহ ,পাইনি।আমাদের সুর কেটে গেছে।একবার সুর ছেড়ে গেলে তাতে লহরী তোলা যায় না।এখন যা আছে তা কেবল সংসার সংসার খেলা।
চলবে ...।
(লেখাটা অনেক দূর যাবে,কেউ শেয়ার দেবেন না প্লিজ)

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০১

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: যাপিত জীবনের কথা ভালো লাগলো-- সাবলীল লেখা তবে বেদনাঘন :(

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:০২

রোদেলা বলেছেন: পড়তে থাকুন,বেঁচে থাকলে লিখতে থাকবো।

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:০২

রোদেলা বলেছেন: পড়তে থাকুন,বেঁচে থাকলে লিখতে থাকবো।

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আমার পরিচয় তখন কেবল ওমুক মেজরের বউ,আমার যে একটা নাম আছে তা আমি নিজেই ভুলতে বসেছিলাম।''------------কি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন --এগিয়ে নিয়ে যান, অসাধারণ হয়েছে

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১২

রোদেলা বলেছেন: হুম,আজ থেকে ১৫ বছর আগে এই পরিচয় দিয়েই আরম্ভ হয়েছিলো আমার নতুন জীবন।এখন সব কিছু থেকে অনেক দূরে চলে এসেছি লায়লা।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: যাপিত সময় এর আড়ালে মনে হচ্ছে বায়োগ্রাফি লিখে যাচ্ছেন। অবহেলিত জীবনের দুঃসময়ের কথা উঠে আসছে লেখায়। চোখ রাখার চেষ্টা করবো আপনার এই ধারাবাহিকে। জীবনের এতোটা পথ কীভাবে পারি দিয়ে এলেন জানতে পারবো আশা করছি। শুভ কামনা রইলো রোদেলা।

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৫

রোদেলা বলেছেন: বায়োগ্রাফি লেখার চেষ্টা করছি,নিজের জন্যে সময় দিতে এসে চলে গেছি সুদূর অতীতে।লিখেই ফেলি,কবে আবার দমটা বেরিয়ে যায়।কিছুতো লেখা থাক আমার খেরো খাতায়।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হুম| আপনি সাহসি বলে ওকে জীবন থেকে সরাতে পেরেছেন| বাংলার অনেক নারী লাঠি ঝাটা খেয়েও পড়ে থাকে| আপনার পথ সুগম হোক

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৭

রোদেলা বলেছেন: সবাই এক সাথে বেরিয়ে আসলেতো আর তথাকথিত সমাজ বলে কিছু থাকবে না,কাউকেনা কাউকেতো কম্প্রোমাইজ করতেই হয়।

৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সাথে থাক্লাম আপু..
শুভ কামনা

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৯

রোদেলা বলেছেন: ধন্যবাদ,সাথে থাকুন।

৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মেজর মন্ট্রিল বলেছেন: এটা অনেক বাড়াবাড়ি। আমার জানা মতে সামনে পিছনে কোন মেজরকে এমন পাইনি এবং শুনিওনি। উল্টো ভাবীদের অনেক বাড়াবাড়ি গল্প ও কাহিনী শুনেছি। সবচেয়ে বড় কথা, আমি নিজেও এরকমই পরিস্থিতিরই স্বীকার।

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২৬

রোদেলা বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত জীবনের গল্প নিজের জীবনে নিচ্ছেন কেন ভাই?সবার ঘর কি আপনার খুব চেনা।এইসব নিয়ে কখনো আর্গুমেন্টে যাবেন না,কারন আমারা নিজেরাই জানিনা আমরা কেমন আছি।আর আমি কাউকে দোষী করবার জন্যে লিখছিনা,লিখছি মনের শান্তির জন্য,আর কিছু না।ধন্যবাদ।

৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হাজবেন্ডরা এমন করে খাবার নিয়ে অদভুদ । খাবারের দোষ ধরা নিষেধ । আমাদের ধর্ম মতে । কঠিন গুনাহর কাজ । :)

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৪১

রোদেলা বলেছেন: ধর্মের কথা জানিনা সেলিম ভাই।কিন্তু নিজেকে খুব অসহায় লাগতো তখন-এটা সত্যি ।

৮| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

বটপাকুড় বলেছেন: আপনার আগের দুটো পর্বের থেকে এই পর্বে অনেক বেশি জীবনের গভীরে চলে গেছেন। বুঝতে পারছি, আপনি কি রকম মানসিক যন্ত্রণার মধে্য দিয়ে সময় পার করেছেন। আমাদের সমাজটাই এরকম যত দোষ সব নারীর।
যে দেশে থাকি সেইখানে আজীবন ঘরের বউ রান্না করবে, সেটা কল্পনা করাই বোকামি। আমার তো ধারণা ছিল সামরিক বাহিনিতে কর্মরতরা অনেক চৌকস টাইপের হয়। তবে ব্যতিক্রম তো সব জায়গাতেই আছে।

আপনার সিরিজ পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

রোদেলা বলেছেন: হুম ব্যাতিক্র্মতো অবশ্যই আছে।আমার নিজের আত্বীয় আছে সেনাবাহিনীতে,বন্ধুও আছে।সেতা অন্য গল্প আর এটা আর একটা গল্প।পড়তে থাকুন।

৯| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৪:৫৩

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: আপু আপনার যাপিত জীবনের ধারাবাহিকগুলো আমার পড়া হয়েছে
আমি না কেমন জানি মেলাতে পারছিনা কারন এই রোদেলা আপুটাকে সবসময় হাসিখুশি , টিপটপ দেখছি। মাঝে মাঝে ফেবুতে আপনার পরী'র মত মেয়েটার ছবি দেখি, আপনার ব্যস্ততা কাজ সব কিছুই আপডেট পাই ফেবুতে কিন্তু আপনার জীবনে এমন একটি বিষাদময় অধ্যায় আছে জেনে খুব কষ্ট লাগছে।

নারী হিসেবে কিইবা বলতে পারি! শুধু বলতে পারি আপনি খুব সাহসী ও প্রচণ্ড ধৈর্য আছে আপনার। আশা করি সুন্দর আগামী অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। শুভকামনা ও পিচ্চিটার জন্য অনেক আদর।

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০

রোদেলা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাসরিন,সাথে থাকো।

১০| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

মেজর মন্ট্রিল বলেছেন: Exactly...আপানার এই পয়েন্টের সাথে আমি সহমত পোষণ করছি।
এটা যদি আপনার ব্যক্তিগত জীবনের গল্প হয়ে থাকে, তো সেটা ব্যক্তিগতই রাখাই ভাল। আপনার মনের শান্তির জন্য আপনি দেশের একটি ক্লাসকে হয়ত অজান্তেই অসম্মান করছেন। আপনি মেজর উল্লেখ করে লিখছেন কেন? আপনার স্বামী বলে লিখুন। তার নাম দিয়ে লিখুন। কিন্তু যখন মেজর সাহেব বলেন, তখন দেশের সকল মেজর এর মাঝে সামিল হয়ে যায়। আর সেটাই আপনার বাড়াবাড়ি বা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সেটাই মূল কারণ ঘটনাটির মাঝে আমার নিজের জীবনকেও সম্পৃক্ত করা। আসলেই এসব মোটেও কোন আর্গুমেন্টের বিষয় না। এটা হোল দেশের একটি ক্লাসকে সম্মান দেখানো, বা না দেখানো.।
ধন্যবাদ।

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

রোদেলা বলেছেন: ভাই মন্ট্রিল,একবার ওই পেশার খোলস থেকে বের হয়ে ভাবুন।সারাক্ষন মেজর শব্দটা আপনাকে তাড়িত করছে।আমরা রিক্সাওয়ালা বলে গালি দেই অনেকে তাই বলে কি পুরো গোষ্ঠি টাই খারাপ হয়ে যায়।আর আমিতো মাত্র দু’পর্ব লিখলাম।এক পর্বেই যদি এমন কারেন,তাহলে বাকীটা পড়ে কি করবেন আপনি?ধৈর্য্য ধরুন।

১১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: পড়লুম। জীবন থেকে নেওয়া। +

কোন জীবনের গল্পকে মূল্যায়িত করার যোগ্যতা ক'জনার আছে। আমার তো নেই।

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২

রোদেলা বলেছেন: তারপরো মানুষ এই ব্যর্থ চেষ্টাটা কেন যে করে,বুঝি না।ভালো থেকো রাজপুত্র।

১২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:২০

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: পড়লুম। জীবন থেকে নেওয়া। +

কোন জীবনের গল্পকে মূল্যায়িত করার যোগ্যতা ক'জনার আছে। আমার তো নেই।

২০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

রোদেলা বলেছেন: অনেকেই করতে চায়,ভালো থাকুন।

১৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩১

মেজর মন্ট্রিল বলেছেন: রোদেলা ভাবী,
আপনি যা বললেন, আমিও তো আপনাকে তাইই বলেছি, যা হয়ত আপনি বুঝেননি...
পেশার খোলস থেকে বের হয়ে এসে আপনার লেখা লিখুন। লেখার মাঝে পেশা উল্লেখ করে আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন? মেজর শব্দটা আমাকেও তাড়িত করত না, যদি না তা আপনাকে তাড়িত করত, যা আপনার লেখার মাঝে বেশ বুঝতে পারছি। আপনার দেয়া উদাহরণ দিয়েই আপনাকে একটু ভাল করে বুঝাই...

আপনি রিকশাওয়ালা বলে কাউকে গালি দিলে, তাকে রিকশাওয়ালার পর্যায়ে নিয়ে গেলেন কি না নিলেন, তারচেয়ে বড় ব্যাপার আপনি পুরো রিকশাওয়ালা শ্রেণীকে গালির পর্যায়ে নিয়ে গেলেন।
যা আপনার নীচু মানসিকতার পরিচয় বহন করে।
রিকশাওয়ালারাও মানুষ, তারা মোটেও গালি হিসাবে ব্যবহারের জন্য নয়। অর্থাৎ আপনার দেয়া উদাহরণটি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।

তেমনি, “মেজর” শব্দটি দেশের একটি খুবই সম্মানিত, উপরের শ্রেণীর একটি পদবী। যা উল্লেখ করে আপনি যা ইচ্ছা তাই বলতে পারেন না। পাঠকেরা আপনার ঘটনার সত্য মিথ্যা যাচাই করবে না, কিন্তু আপনার উল্লেখিত পেশার ওপর একটা বাজে ধারণা তাদের মনে জন্ম নেবে। মনে রাখবেন, যখন দেশ সংকটের মধ্য দিয়ে যায়, তখন সারা দেশের সকল কার্যক্রম এই মেজরদের উপর দিয়েই যায়। বাইরের সাধারণ মানুষ কোন কিছু বোঝার আগেই এই মেজররাই দেশকে সেই সংকটের মধ্য থেকে বের করে আনে। দেশের অন্যান্য সকল পদ ও পদবী, এমনকি প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীও এই মেজরদের অধীনেই দিন-রাত পার করে। তো সেই মেজরকে নিয়ে এরকম অসম্মানী লেখা আপত্তিকর...

আপনার স্বামীর ওপর ক্ষোভ আপনি তাঁকে নিয়ে লিখুন, তার পেশা বা পদবী কি দরকার?
আর আপনি যে ধরনের ঘটনা উল্লেখ করছেন, তা এই পেশার বাইরে সারা বাংলাদেশে ভুরি ভুরি রয়েছে, অহরহ ঘটছে। কর্মীকে ঘৃণা করার আগে উচিৎ কর্মকে ঘৃণা করা... কিন্তু আপনার লেখায় আপনি কর্মীকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।

শেষে আপনার জন্য কিছু নসিয়ত...

জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসীই হবে নারী...
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন,আমি জান্নাতের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখলাম, তাদের অধিকাংশই দরিদ্র লোক এবং জাহান্নামের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখলাম, তাদের অধিকাংশই স্ত্রীলোক।
(মিশকাত)

হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা রাসূল করীম (সাঃ) ঈদ কিংবা কোরবানির সালাত আদায়ের জন্য ঈদগাহ পানে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মহিলাদের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের সম্বোধন করে তিনি বললেন, হে নারী সমাজ! তোমরা সদকা করতে থাক। কেননা, আমি জাহান্নামে নারীদের আধিক্য দেখেছি। মহিলারা আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর কারণ কি? তিনি বললেন, তোমরা প্রচুর পরিমাণে অভিশাপ দিয়ে থাক এবং স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করে থাক।
(বুখারী,মুসলিম)

তাই ভাবী, স্বামীকে অভিশাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন, স্বামীর সাথে ভালো ব্যবহার ও ভালোবাসার মধ্যে থাকুন। স্বামীর দোষত্রুটি গোপন রাখুন, ইন শা আল্লাহ, আল্লাহও আপনার দোষত্রুটি গোপন রাখবেন।

২০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

রোদেলা বলেছেন: কোন ব্লগারের সামনে ডাক্তার –ইঞ্জিনিয়ার –উকিল থাকেনা।আপনার সামনে মেজর লেখা থাকে।আরে ভাই এটা লেখার জায়গা।পেশা পিঠে নিয়ে ঘুরলে আমাদের কাতারে জীবনেও আসতে পারবেন না,আর আপনার খেরো খাতা শূন্যই পড়ে থাকবে।আর যদি আমার পিছনে লাগার এতো শখ আপনার তো লেগেই থাকুন।আমারতো এখানে সবে সাত বছর কাটছে,বাকী জীবনটা একটা লেজ নিয়েই না হয় কাটালাম।ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.