নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পৃথিবী

এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..

রোদেলা

আমার আকাশ মেঘে ঢাকা \nজমতে থাকা আগুন ;\nহঠাত আলোর পরশ পেলেই \nঝরবে রোদের ফাগুণ।

রোদেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমিক যখন ম্যাচমেকার //

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯


চৈত্রের মধ্য প্রহর , যায় যায় দিন অফিস থেকে পত্রিকা হাতে বের হচ্ছি ,ফোন এলো ।ছিন্তাইকারীর বদৌলতে আমার কাছে কারও নম্বর আর সেইভ করা নেই।হ্যালো বলে বেশ অনেকটা সময় নিয়ে কন্ঠ বোঝার চেষ্টা করি।এবারো তার ব্যতিক্রম হলো না।ও পাশ থেকে হতাশার সুর-হুম,ফেইসবুক থেকে ডিলিট করসো ভালো,তাই বলে ফোন নম্বরটাও ডিলিট করে দিবা।
আমি প্রশ্ন করলাম-কে বলছেন,একটু নাম বলুন প্লিজ।
-আমি সানি।
হুম,সানি ।আমার চেয়ে কম করেও পাঁচ বছরের ছোট ।বান্ধবীর ছোট ভাইয়ের সাথে ঠিক যেমন সম্পর্ক থাকা উচিত ,এখানে তার কিছু ব্যতিক্রম বলা চলে ।
ওপাশের কন্ঠ-তুমি কোথায় ?
-ফার্মগেট যাচ্ছি ।
-আচ্ছা,একটু ডেইলি স্টার অফিসের সামনে আসো।আমি তোমাকে আমার নতুন অফিস দেখাবো।
নতুন অফিস শুনে খানিক্টা পুলকিত হলাম,এই অস্থির ছেলেটার আবার অফিস ।
-কি অফিস তোমার ?
-স্টুডেন্ট কন্সাল্টেন্সি ফার্ম।প্লিজ একটু আসো আপু।দেখো , অনেক দিন তোমাকে বলসি ।খুব সময় লাগবে না।
আমি কিছুক্ষন সময় নিলাম,তারপর বললাম –আসছি।
এবার একটু সানি সম্পর্কে বলি।বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে আমি দেখিনি,তবে তার পাগলামীর অনেক ইতিহাস আমার কানে আসতো।এখন থেকে প্রায় দু’বছর আগে।আমি শিল্পকলা একাডেমী যাচ্ছি,নাটক দেখবো বলে।নাটক বা ছবি দেখতে সাধারনত আমি কাউকে সঙ্গে নেই না।এবারো নিলাম না।পথের মধ্যেই মোবাইল বেজে উঠলো ।
-আপু তুমি কই ?
-তেজগাঁও ,শিল্পকলা যাচ্ছি।
-ঠিক আছে ,থানার সামনে দাঁড়াও।আমিও যাবো।
-তুই কি বলিস,আমি দেখতে যাচ্ছি মঞ্চ নাটক।তুই এই্গুলার কি বুঝবি ?
-না বুঝলে বুঝবো,তুমি ফোন রাখবানা ।আমি ধরে আছি।
–দেখ ,এখানে প্রায় আধ ঘন্টার সিগ্ন্যাল ,তুই কি আজাইরা পয়সা খরচ করবি নাকি ?
সানি ফোন ছাড়ার মানুষ না,আমি ফোন কাটলাম না ।হাতের মধ্যে রেখে দিলাম।আধ ঘন্টার বেশি সময় লাগলো তেজগাঁও থানায় পৌঁছতে ।সি এন জির গেইট খুলে তাকিয়ে দেখলাম সে দাঁড়িয়ে আছে ।
পুরো সময়টা চোখ কুচকায় ছিল ছেলেটা ।মেটামরফসিস বোঝার কোন ইচ্ছে তার নাই,তার ইচ্ছে খালি আমার পাশে বসে থাকা।এই হলো সানি।
তবে এখন কার সানি আরো অনেক ম্যাচিউর্ড ।বিরাট একটা অফিস খুলে বসেছে,আধুনিক আসবাব-অনেক গুলো ল্যাপটপ।বেশ গুছিয়ে নিয়েছে ।কথা বলতে বলতে প্রশ্ন ছুড়লাম-বিয়ে করবি কবে ?
-তুমি যে দিন করবা তার পরেই ।
-আমার সাথে তোর কি ?তুই মায়ের এক মাত্র ছেলে ,আন্টিরে আর কতো কষ্ট দিবি।এখনতো কোম্পানীর সিও হয়ে গেছিস।তোর অফিসে দেখলাম সুন্দরীরা ঘোরাঘোরি করছে ।ওইখান থেকে একটারে করলেই হয়।
-তুমি কি আমারে লুইচ্চ্যা ভাবো নাকি ?
-এখানে লুইচ্চামীর কি আছে,বসদের সাথে এমপ্লয়ীর প্রেম হয় না বুঝি ?
-শোন আপু,আমি তোমারে একটা কথা বলি ।আমার যে পার্টনার তার বয়স প্রায় ৪৩ ।খুবি সাধারন মানুষ।উনার বউ হচ্ছে ,কি বলবো ; তারে একদম নিঃস্ব করে দিসে।ভাইয়ার গাড়ি ফ্ল্যাট সব নিজের নামে লিখে ভাইরে দিয়ে দিসে।আমরা বলসি –বউটারে ছাইড়া দিতে।এখন কাগজ-পত্র প্রসেস হচ্ছে।
-কেন বাচ্চা কাচ্চা নাই ?
-আছে,একটাই ছেলে।এ লেভেল দিসে।
-হুম,তো সমস্যা কি ?ছাইড়া দিবে।আমারে এইগুলা বলিস কেন?
-আমি চাই ,তুমি সেলিম ভাইয়ের সাথে কথা বলো।এই হাই হুই আর কি ?
-কেন,আমি কথা বলবো কেন?ঢোকার সময়তো সালাম দিসি।
-আসলে (খুব ইতস্থ করে),আমি চাইচ্ছি...আমার মনে হয় ভাইয়া তোমার জন্যে পার্ফেক্ট হবে।
আমারতো তখন আকাশ থেকে পড়ার অবস্থা।
-তুই কি আমারে এই কথা বলার জনে এইখানে ডাকসিশ?
-শো্ন আপু,রাগ কইরো না।তোমার তো সেটেল্ড হয়া দরকার।আর ভাইয়ার বিশাল জায়গা –জমি আছে,বিরাট বাগান বাড়ী ।কোন সমস্যাই হবে না।
শোন,তুই বিয়া কর।আমার বিয়া নিয়া তোর চিন্তা করতে হবে না।
চলে যাবার জন্য উদ্যত তখন আমি ।হঠাত সানি আমার বাম হাত টান দিয়ে ধরলো-তাইলে তুমি আমারে বিয়া করো।
-তোরে থাপড়ানো দরকার সানি।হুঁশ আছে কথা বার্তার ?
-শোন আপু,তুমি শুধু একবার কথা বলে দেখো।কথা বললেইতো আর সব হয় না।আর উনি বাইরে যাবার ব্যাপারে তোমাকে অনেক হেল্প করতে পারবেন।এই বিষয়ে ঢাকা শহরে তুমি দুইটা লোক বিশ্বাসী পাবা না।
এইটা অবশ্য মন্দ বলে নাই,কন্সাল্টেন্সি নেওয়া যায় একদম ফ্রী ।আমি বললাম-ঠিক আছে ,এই ক্লায়েন্ট চলে গেলেই আমি কথা বলবো,কিন্তু ১০ মিনিটের বেশি না।
সেলিম সাহেব কতটা গোছানো তা তার টেবিল আর পরিধেয় পোষাক দেখেই বুঝতে পারলাম।কিন্তু একদম অপরিচিত মানুষের সাথে কথা শুরু করা খুব ভয়ঙ্কর একটা বিষয়।আমি পরিবেশ হালকা করতে হাতের পত্রিকা বের করলাম-এখানে আমার একটা কবি্তা ছাপা হয়েছে,এটা নিতেই এদিকে আসা।ভাবলাম ভাইটা কেমন করে অফিস সাজিয়েছে দেখে যাই।
-খুব ভালো করেছেন।তা আপনি কি করছেন?
-আমি আসলে তেমন কিছু করিনা,লেখালেখি করেই জীবন চলে যায়।
চোখে্র সামনে পত্রিকা খোলা,কিন্তু ওই দিকে তার কোন ভ্রুক্ষেপনেই।তার কাজ হচ্ছে –মানুষকে বিদেশে পাঠানো,এই সব মানুষ মনে হয় কবিতা পড়ে না।কিংবা লেখার জগৎ থেকে তারা অনেক দূরে।কিজানি,আমার ধারনা ভুল হতে পারে।
সেলিম সাহেব খুটিয়ে খুটিয়ে প্রশ্ন করছেন,আমিও নিখুঁত ভাবে বর্ননা করে যাচ্ছি।কি ভাবে ইউ এস এমবাসী আমাকে রিজেক্ট করলো।সিঙ্গেল মাথারদের বাইরে যাবার জন্য আইনগত কি পরিমান বাঁধা থাকে।এ দেশে জেনেটিক ফাদারদের আজ পর্যন্ত অভিভাবক হিসেবে ধরা হয় ।তারা বাচ্চার ভরন-পোষন দিচ্ছে কি দিচ্ছে না,তা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের আইনের কোন মাথা ব্যাথা নেই।পিতৃ পরিচয় এখানে মূখ্য।আর সে ক্ষেত্রে বাচ্চার কাস্টডি যদি কোন পুরুষকে দেওয়া হয় তাহলেই রিক্স থাকে ,কারন যদি নিজেদের মধ্যে বিয়ে পরবর্তী কোন ঝামেলা হয় তাহলে মা বাচ্চাকে চিরদিনের জন্যে হারাবে।
এসব আইনের প্যাচের কথা বলতে গিয়ে বিরাট এক প্যাচে পড়লাম।সেলিম সাহেব নিজের কথা বলতে আরম্ভ করলেন, এতোক্ষন আমার কথা উনি মন দিয়ে শুনেছেন।আমি ক্লায়েন্ট নই,সুতরাং তার গল্প শোনাটা আমার ফরয হয়ে গেলো।
বাইশ বছর বয়সে লোকটার বিয়ে হয় ,তার কথা অনুযায়ী তার চাইতে ছয় বছরের বড় তরুনীর সাথে।নিজের যে বিরাট একটা ভুল হয়ে গেছে,সেটা সে স্বীকার করেই বলছে।তারপর ছেলের জন্ম,তাকে ধীরে ধীরে বাবার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা।বাড়ি গাড়ির উপর স্ত্রীর প্রভাব-সব মিলিয়ে তিনি এখন মুক্তির প্রহর গুনছেন।
আমার অস্বস্তিটা লাগছে এখানে,যার সামনে তিনি নিজেকে এভাবে প্রকাশ করলেন সে আদৌ সেসব শোনার জন্যে প্রস্তুত নয়।এটা তার বোঝার কথা না,কারন সানি তাকে আগেভাগেই আমার কথা বলে রেখেছে।এই কাজটা সানি না করলেই পারতো।ও সব সময় নিজের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে খুব সিরিয়াস থাকে।যার ফলস্বরূপ এই দু’বছরে তার সাথে দেখা করিনি।
আমি খুবি ভদ্রতা দেখালাম,তার একটা ভিজিটিং কার্ড নিতেও ভুললাম না।তবে উনি আমার ফোন নম্বর চান নি।ফেরার সময় অদ্রীর ছবি দেখালাম, এই কাজটা আমি করি একদম অন্যমনস্ক ভাবে।হুট করেই মোবাইলে মেয়ের ছবি দেখাই,এটা মনে হয় সব মায়েরি বদ অভ্যাস।সেলিম সাহেব হেসে বললেন-আপনার মেয়েটা অনেক মিষ্টি,আপনাকে কিন্তু বলিনি ,আপনার মেয়েকে বলেছি।
আমিও হাসলাম ।জীবনের এতোটা পথ পাড়ি দেবার পর নিজেকে আমরা কেউই কারো সামনে ধরা দিতে চাই না।আর যদি দিয়ে ফেলি সেটা খুব বেশি রকম গভীরে চলে যায় ।
সানি আমাকে ফার্মগেট এগিয়ে দিল,আর আমার কান ঝালাপালা করে দিল-কেমন লাগলো ভাইয়াকে ,খুব ভালো মানুষ না।
-সানি,এতো কম সময়ে ভালো মন্দ বোঝা যায় না।
-হ্যা,তাইতো ।তুমি মিশো তাহলেই বুঝবা।
-আচ্ছা,তুমি না আমাকে বিয়ে করতে চাও।তাহলে আমাকে অন্য লোকের সাথে ঘুরতে দেখলে তোমার ভালো লাগবে ?
-ওইটা তুমি বুঝবানা,আমি যাকে ভালোবাসি তার ভালো দেখতে চাই।
-ফালতু ফিলসফী কইরোনা,ওই লোকের সাথে মিশলে তোমার কোন লাভ আছে?
-উফ আপু,তুমি বুঝতে পারতেসোনা তুমি অনেক ভালো থাকবা।
-তুমি আমার ভালো নিয়া ভাবতেসো,কিন্তু উনি আমাকে বিয়ে করলে সে ভালো থাকবে না।
-কেন ,তোমাকে যে পাবে সে অনেক হ্যাপি হবে ।
-উফ ,তুমি বুঝবানা,আমি ইমোশন্যালী ইনভল্ভড।
-মানে কি ?তুমি এখনো ঘোরের মধ্যে আছো।ছোট হয়ে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম তোমাকে ভালো রাখার ,আর তুমি কি এখনো স্বপ্ন দেখেই যাচ্ছো ?
-হ্যা ,আমি স্বপ্ন দেখছি।আমি আমার মনের বিরুদ্ধে গেলে এতো দিন একা থাকতাম না।কিন্তু আমার সমস্যা কি জানো আমি চাইলেও অন্য কাউকে নিজের করতে পারবো না।
সানি থমকে দাঁড়িয়ে যায়,শন্ধ্যার ঘন অন্ধকারে তার চোখ জোরা জ্বলন্ত আগুন হয়ে খেলা করে।আমি অন্য দিকে তাকাই –সানি,প্লিজ ।তুমি এই ব্যাপারটা আমাকে আর বলবানা।অদ্রী একজনকে বাবা ডাকে ,আমি ওই খানে অন্য কাউকে বসাতে পারবোনা।
-তুমি যে একটা আস্ত পাগল ,সেটা বুঝতে পারছো।তিন বছরের মেয়ে এইসব স্বৃতি কোন দিন মনে রাখতে পারবে ?মাঝখান থেকে তুমি মেয়েটার জীবন নষ্ট করতেসো।
-না নষ্ট হবে কেন?ও জানুক ওর বাবা বিদেশে থাকে।কোন একদিন হয়তো আসবে ।এই বিশ্বাস নিয়ে বাকি জীবন আমরা মা বেটি ভালোই কাটিয়ে দেবো।
-এতো ইমোশনাল তোমাকে মানায় না আপু।তুমি বাস্তবতার কথা লেখো।তাহলে কেন মিথ্যা স্বপ্ন দেখছো ?
-স্বপ্ন তো স্বপ্নই ,মিথ্যা হলেই কি আর সত্য হলেই কি ?ওটাই তো আমাদের বাঁচিয়ে রাখে।
রাত ঘন হচ্ছে আর শহর জুরে ট্রাফিক জ্যাম বাড়ছে,তারপরো ভিড় ঠেলে ঠিকি আমি বিহংগতে উঠে পড়লাম।জায়গা হলো ইঞ্জিনের উপর,চৈত্রের গলন্ত আগুন লাগলো আমার পিঠে।সানিকে টেক্স পাঠালাম-sorry dear ,I cannot.
মোবাইলটা বেজে চলছে অবিরত।জানি এটা সানির কল,ধরলেই সে একি কথা বলতে থাকবে ।
আসলে যার যার ভাবনা তার তার কাছে।কেউ কেউ প্রিয় মানুকে সুখি দেখে খুশি হয়।আর কেউবা প্রিয় মানুষ কে পাবার জন্যে ব্যাকুল হয়ে পড়ে।আমি মনে হয় সেকেন্ড লিস্টে পড়ি-যা চাই তা পাবো না জেনেও চাইতে থাকি।এই শ্রেনীর লোকদেরকে বলা হয় বোকা।আমি সেই লিস্টের অন্যতম প্রধান একজন রমনী।এই বোকা বোকা সিদ্ধান্তগুলো আমাকে ভালো থাকতে শেখায়,লিখতে শেখায় ,ভালোবাসতে শেখায় ।

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: প্রথম লাইক আমিই দিলাম, বিস্তারিত মন্তব্য করছি ....

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

রোদেলা বলেছেন: :)

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

তপ্ত সীসা বলেছেন: সেকেন্ড

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

রোদেলা বলেছেন: :D

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫

জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: আপনি যদি মনে করেন ধৈর্য ধরতে পারবেন তাহলে ২য় সিদ্ধান্তটি মনে হয় ভালো আর যদি মনে করেন আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখবেন তাহলে প্রথমটি।

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

রোদেলা বলেছেন: আমি অপেক্ষাই করবো।ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: স্বপ্নটাকে নতুন রূপ দেয়াই ভাল। গতিময় জীবনের একটা নির্ভরযোগ্য অনুসঙ্গের প্রয়োজন হয়, হয়ত সময়ের নিয়মে এটা এখন অপ্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে কিন্তু এই সময়ের ফেরেই তার প্রয়োজনীয়তাটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।


ভাল থাকুন নিরন্ত। আদ্রিও ভাল থাকুক শোনামনিটা ।

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

রোদেলা বলেছেন: তা ঠিক ,আজ যা মনে হচ্ছে ঠিক।কিছু দিন পর তা ভুল মনে হবে।আর তার খেসারত দিতে হবে আজীবন ,তারপরো মনের উপর চাপ নেওয়াটা খুব কঠিন।সময় লাগবে।ভালো থাকুন,অনেক ধন্যবাদ।

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: আসলে যার যার ভাবনা তার তার কাছে।
কেউ কেউ প্রিয় মানুকে সুখি দেখে খুশি হয়।
আর কেউবা প্রিয় মানুষকে পাবার জন্যে ব্যাকুল হয়ে পড়ে।
আমি মনে হয় সেকেন্ড লিস্টে পড়ি-যা চাই তা পাবো না জেনেও
চাইতে থাকি।
এই শ্রেনীর লোকদেরকে বলা হয় বোকা।
আমি সেই লিস্টের অন্যতম প্রধান একজন রমনী।
এই বোকা বোকা সিদ্ধান্তগুলো আমাকে ভালো থাকতে শেখায়,
লিখতে শেখায় ,ভালোবাসতে শেখায় ।


আমিও বোকাই রবো।

অভিনন্দন আপু আপনার নিজের সিদ্ধান্তে অটুল থাকার জন্য।

শুভ কামনা রইলো।

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪২

রোদেলা বলেছেন: কিছু কিছু সিদ্ধান্ত কেবল নিজেকে কষ্ট দেয়,আর কিছু ফায়দা হয়না।তারপরো কিছু করার থাকেনা।খুব ভালো লাগলো আমার ব্লগে আপনাকে পেয়ে ,ধন্যবাদ।

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

রুপম হাছান বলেছেন: প্রথমে গল্পটি পড়ে আমার ভীষণ হাসি পেলো এবং হাসলাম সাথে সাথে পড়তে থাকলাম। গল্পটিতে ভালোলাগার পাশাপাশি একটা ব্যক্তির জীবনের কিছু ট্রাজেডিও জড়িত রয়েছে বুঝতে পারলাম। যেখানে একজন ব্যক্তির প্রয়োজন, স্বপ্ন এবং অপেক্ষার মতো তিক্তকর অভিজ্ঞতাও রয়েছে।

গল্প কখনো মানুষের পুরোপুরি অভিব্যক্তি প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখে না, তবে লেখাটি পড়ে যা বুঝলাম- আপনি এখন যত ভালো আছেন হয়তো সানি’র কথার গুরুত্ব আমার কাছে একটু বেশি ভালো বলেই মনে হয়েছে। আর আপনার এই ভালো থাকার প্রতি বিশেষ নজর দেয়া উচিত বলেও মনে করি। কারণ, মানুষ একাকী বাঁচতে পারে না, যদিও সে সাময়িক ভালো থাকার অভিনয় করে মাত্র।

আপনার মেয়ে আদ্রি’র জন্য দোয়া রইল এবং আপনি আরো ভালো থাকুন এই কামনা করি।

আপনার এতো সুন্দর একটি লেখা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। তার জন্য ছোট্ট একটা লাইকস।

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

রোদেলা বলেছেন: আপনার ছোট একটা লাইক আমার অনেক ভালো লাগা,শুভেচ্ছা জানবেন।

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: প্রতীক্ষা কিছু ভালোও না সবসময়।

লেখা ভাল্লাগছে। সহজ সরল। ++

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪

রোদেলা বলেছেন: প্রতীক্ষা সব সময় সুখের না,তবু কারও জন্যে অপেক্ষা সেটা না চাইলেও আপনা থেকেই হয়ে যায়।ধন্যবাদ।

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: যে যার মত বোকা থাকাতেই সুখ আপু ...
লেখা ভাল লাগলো ...

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮

রোদেলা বলেছেন: একদম ঠিক,বোকা বলে কতো কথা শুনি।কিন্তু বোকামী করতে একটুও বোকামী করি না।হা হা হা।।

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১৭

জেন রসি বলেছেন: নিজের মত করে যুদ্ধটা চালিয়ে যান ।

শুভ কামনা রইলো।

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

রোদেলা বলেছেন: হুম,তাই করছি।নিজের মতোন করেই করছি।ধন্যবাদ।

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

স্বপ্নপুরির রাজপুত্র বলেছেন: ভালো লাগলো !

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

রোদেলা বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নপুরীর রাজপুত্র।

১১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৬

কলমের কালি শেষ বলেছেন: গল্পে ভাল লাগলো অনেক ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

রোদেলা বলেছেন: শুভেচ্ছা নিবেন।

১২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: নিজের মতো করে নিজেকে ভালো রাখাই সবথেকে সুখকর।
অনেক অনেক ভালো থাকবেন আপু।

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬

রোদেলা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজপুত্র।

১৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৪৫

নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: জীবনে সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হলে সেটা'র ভুক্তভুগী আমরা পদে পদে হই।
যেটাই ভাবুন বা করুন খুব খুব ভেবে এবং চিন্তে ----

অদ্রীর জন্য আদর রইল আপু

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

রোদেলা বলেছেন: আমার ভাবতে ভাবতে যায় বেলা ..ভালো থাকুন নাসরিন।

১৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:১৩

নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: সুখ ব্যাপারটা বড়ই বিচিত্র ! সুন্দর লিখেছেন।

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

রোদেলা বলেছেন: আসলেই তাই,কেযে কিসে সুখী হয় কে জানে...

১৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালোই প্যাঁচ খাইসে কাহিনী।

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

রোদেলা বলেছেন: প্যাঁচ মানে প্যাঁচ ,বিরাট প্যাঁচ ।।

১৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২০

এম এম করিম বলেছেন: ভালো লাগলো। সানি কে একবার তুই, আরেকবার তুমি করে ডাকলেন কেন বুঝলাম না।

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

রোদেলা বলেছেন: শেষ বেলায় পরস্থিতি এমন সিরিয়াস হয়ে যায় যে তুই তুমিতে চলে যায়।সত্যি বলতে কি আমাদের সম্পর্কটা এবার পুরোপুরি ভেঙ্গে গেল এই ঘটনার পর থেকে।

১৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: তার ফিরে আসার অপেক্ষায় এখনো আছেন দেখা যায়। ফিরে আসবে কিনা জানেন না। তারপরও অপেক্ষার প্রহর মনে হয় উপভোগ করছেন। যার জন্য অপেক্ষা করা সে যদি ব্যাপারটা অনুধাবন করতে পারতো, তাহলে হয়তো জীবনটা অন্য রকমই হতো। মানুষের ভালোবাসার কী বিচিত্র রূপ। কেউ চেয়েও ভালোবাসা পায় না, আবার কেউ না চেয়েও অবারিত পেয়ে যাচ্ছে। অদ্রীর বাবা সে হিসাবে ভাগ্যবানই বটে।
সানির সাথে কথোপকথনে মনে হয় একটু ঝট পেকে গেছে। প্রথম দিকে দেখলাম 'তুই' বলে সম্বোধন করছেন, কিন্তু পরে আবার দেখলাম 'তুমি'। তবে তুইটাই আমার পছন্দ। কারণ বান্ধবীর ছোট ভাই। তাই 'তুই' হলে আদরটা অনুভব করা যায়।
অদ্রী মামুনিকে আমার অনেক আদর ও ভালোবাসা দিবেন। ভালো থাকবেন রোদেলা। শুভ কামনা নিরন্তর।

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

রোদেলা বলেছেন: কিজানি ,আমি নিজেও জানিনা কেন অপেক্ষা করছি।হয়তো অজানা একটা বিশ্বাস আমাকে এভাবে ভাবতে সাহায্য করছে।তুই তুমি এখন আর নেই,আগেই বলে দিয়েছি।শুভেচ্ছা জানবেন ।

১৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভালো লাগলো গল্পটা।



শুভেচ্ছা জানবেন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.