নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পৃথিবী

এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..

রোদেলা

আমার আকাশ মেঘে ঢাকা \nজমতে থাকা আগুন ;\nহঠাত আলোর পরশ পেলেই \nঝরবে রোদের ফাগুণ।

রোদেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মত প্রকাশের নীতিমালা নিয়ে আর্টিকেল ১৯

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২

খুব বেশী দিন আগের কথা নয়, যখন ব্লগিং আরম্ভ করি তখন আমাদের দেশে তেমন ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার আরম্ভ হয়নি।সেই সময় গুটি কয়েক ব্লগার লেখা লেখি শুরু করি কেবল ব্লগের কিছু নীতিমালা মেনে নিয়ে ।তখন পর্যন্ত আমরা জানতাম না ব্লগ আসলে কি,পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ব্লগারদের সম্পর্কেও কোন ধারনাও ছিল না,এমন কি অনলাইনে লেখার উপর যে কোন নীতিমালা থাকতে পারে তাও ধারনের বাইরে ছিল।

সময়ের প্রয়োজনে ইন্টারনেট এখন সবার হাতের নাগালে,ইচ্ছে করলেই যে কেউ যেখানে খুশী বসে লিখে ফেলছে মনের যতো কথা।কেউ হয়তো ফেসবুক স্ট্যাটাস দিচ্ছে,কেউবা টুইট করতে পছন্দ করছে,আবার কেউবা ব্লগে লিখে দিয়েই মনের ভাব প্রকাশ করছে।এমন মুক্ত মনে লিখতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে অনেক অনলাইন এক্টিভিস্ট ,তারা জানতেও পারছে না নিজের অজান্তেই কতো বড় একটা ফাঁদে তারা পড়তে পারে।শুধুমাত্র ফেসবুক স্ট্যাটাস দেবার কারনে মামলা হয়েছে কম পক্ষে ২৬ জনের বিরুদ্ধে,এটাতো কেবল আমাদের দেশের চিত্র।বাইরের দেশ গুলোতেও এমন চিত্র চোখে পড়বে,বিশেষ করে একনায়ক তন্ত্র যেখানে গণতন্ত্র বা বাক স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করে।

প্রায় দশ বছর হয়ে গেল ব্লগে লিখছি।এর মধ্যে আমাদের দেশে পর পর কয়েকটি অনাকাংখিত ঘটনা ঘটে গেছে আমাদের দেশে যার সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের জানা নেই।তবে একদম চোখে আঙুল দিয়ে বিবেকের কাছে প্রশ্ন বিদ্ধ করেছে লেখক হুমায়ূন আজাদ স্যারকে হত্যা , ব্লগার রাজীব হত্যা, ডঃ অভিজিত রায়কে নৃশংসভাবে খুব , আর সব শেষে ব্লগার ওয়াশিকুরকে কুপিয়ে নিজ বাড়ীর সামনে খুন করা।স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে –তাহলে কোথায় আছি আমরা ? কি করছে প্রশাসন?এমন অনেক প্রশ্ন উঁকি ঝুঁকি মাড়ে নিজের অজান্তেই।

যারা দীর্ঘদিন ব্লগে লিখে আসছি নিজেদেরকে তুলে ধরতে পারছি মাত্র কিছু দিন।কি সরকারী ,কি বেসরকারী কোন সংগঠনই আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি।খুব কাছাকাছি সময় আর্র্টিকেল ১৯ –এর উদ্যোগে ব্লগারদের নিয়ে দুটো অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত হয়েছিলাম।প্রথমটা ছিল ২২ শে ফেব্রুয়ারী ,সেটার লিঙ্ক দিলাম- Click This Link

আর গতকাল ৬ এপ্রিল হয়ে গেল অনলাইন এক্টিভিস্টদের নিয়ে আরো একটি চমৎকার আয়োজন।এখানে নতুন বেশ কয়েকজন ব্লগার এবং ফেসবুকে যারা নিয়মিত মনের ভাব প্রকাশ করেন তারা উপস্থিত ছিলেন।

আর্টিকেল ১৯ একটি মানবাধিকার সংগঠন যা ২০০৮ সাল থেকে মানুষের বাকস্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে আসছে।এর ধারাবাহিকতায় এবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সম্পন্ন হয় উক্ত ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম যেখানে ব্লগ ওনার এবং মডারেটরদের সাথে সরাসরি মত বিনিময় করেন উক্ত অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ,ডঃ শহীদুল আলম -নির্বাহী পরিচালক ; দৃক, প্রফেসর মাহবুবুর রহমান ,মিডিয়াকর্মী নিশাত জাহান রানা। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তাহমিনা রহমান,আর্টিকেল ১৯, বাংলাদেশ ও দক্ষিন এশিয়া।



ড: শহীদুল আলম নিজেই একজন স্বনামধন্য ব্লগার।তিনি তরুনদেরকে সিটিজেন জার্নালিজম সম্পর্কে অনেক মূল্যবান তথ্য দেন।ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ,প্রফেসর মাহবুবুর রহমান ধারা ৫৭ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।নিশাত জাহান জেন্ডার ডিস্ক্রিমিনেশন নিয়ে চমৎকার মন্তব্য তুলে ধরেন যা তরুন প্রজন্মের জন্যে সত্যিকার অর্থেই পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজে লাগবে।

যারা অনলাইনে লিখেন তাদের অবশ্যই কিছু নীতিমালা মেনে নিয়েই লেখা শুরু করা উচিৎ -এটা আমি সব সময়ই মনে করি।তারপরো দেখা যায় ব্যক্তিগত কারনে একে অপরের শত্রু প্রতিপন্ন হয়।এ ধরনের অবস্থা থেকে উত্তোরনের জন্যে আর্টিকেল ১৯ নিশঙ্কু নামে একটি ফোরাম উদ্বোধন করে যেখানে অনলাইন এক্টিভিস্টরা তাদের মতামত খোলা খোলি আলোচনা করতে পারবে।আর যারা মনে করেন অনলাইন বা অফ লাইনে তাদেরকে কোন রকম হুমকি দেওয়া হচ্ছে তারা নিঃসংকোচে টুলটি ফিল আপ করে পাঠিয়ে দিতে পারেন যা আর্টিকেল ১৯ তাদের নিজস্ব ফোল্ডারে রাখবে।তারা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ যে কোন তথ্যই কোন ভাবে বাইরে প্রকাশ করা হবে না।এখান থেকে অন্তত বোঝা যাবে বাকস্বাধীনতায় আমরা সে অর্থে তেমন ভাবে স্বাধীন কিনা।ফোরাম টির লিংক এখানে – http://www.nishshonko.com/

রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত , যাই হোক না কেন আমরা কখনোই চাই না কারো উপর কোন রকম হুমকি বা সামাজিক চাপ আসুক।ব্লগে লিখতে এসেছি,লিখে যাব।আর আর্টিকেল ১৯ কে শুভেচ্ছা ব্লগারদের পাশে থেকে এমনভাবে উৎসাহ জোগানোর জন্যে ।



আলোক চিত্র ঃ লয়েড তুহিন হালদার।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২৫

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনিঃশেষ শুভকামনা।

প্রত্যেক মানুষ নিরাপদ নিশ্চয়তাপূর্ণ জীবন উপভোগ করুক।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

রোদেলা বলেছেন: শুভেচ্ছা দীপংকর চন্দ।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় রোদেলা আপু, আপনার মাধ্যমে আমি কিছু প্রশ্ন করতে চাই।

১। এই দেশে কি সাধারন ব্লগার এবং সাধারন নাস্তিকরা কি আসলেই রিস্কে আছেন? নাকি যারা ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশনের ভুল ব্যাখ্যা করে হেট স্পীচ দিচ্ছেন, অশ্লীল বাক্যলাপে রাষ্ট্র এবং ধর্মের সমালোচনা করছেন তারা রিস্কে আছেন?

২। এই প্রতিষ্ঠানটি ব্লগারদের রক্ষা করতে চাইছে কেন? ব্লগাররা কি এমন করেছেন যে তাদেরকে রক্ষা করতে হবে? সাধারন ব্লগার হিসেবে আপনি কি কোন হুমকি অনুভব করছেন?

৩। প্রতিষ্ঠানটি কি শুধুই ব্লগার নিয়ে কাজ করবে নাকি অনলাইন এক্টিভিস্টদের নিয়েও কাজ করার সুযোগ হয়েছে?

আপাতত এই সব প্রশ্ন জানতে চাই। পরে আরো কিছু প্রশ্ন আছে, তা নিয়ে ফিরে আসছি।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

রোদেলা বলেছেন: আমি বেশি দিন হয়নি আর্টিকেল ১৯ সম্পর্কে জেনেছি।আমার অবস্থান থেকে যদি বলি তাহলে বলবো ব্লগার শব্দটাতো আলাদা ,আস্তিক বা নাস্তিক এখানে জুরে দেবার কিছু নেই।।যারা ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন সম্পর্কে জানেন না এবং ব্লগের নীতি মালা অনুসরণ না করে লিখছেন তারাই রিস্কে আছেন ।কিন্তু লেখার কারনে কারো মৃত্যূ হোক এটা আমাদের কারো কাম্য নয় সেটা অনলাইনে লিখুক আর অফলাইনে ।
না,আমি কখনোই কোন হুমকি অনুভব করি নাই।এই প্রতিষ্ঠান কেবল ব্লগার নয় ,সাংবাদিকদের সুরুক্ষার জন্য কাজ করছে ।কেন করছে ?এটা অদ্ভূত প্রশ্ন।কারন ইন্টারন্যাশনাল এন জি ও রা এভাবেই কাজ করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।আমি লিঙ্ক দিচ্ছি আপনি সরাসরি প্রশ্ন করতে পারেন।
অনলাইনের সমস্ত এক্টিভিস্টদের নিয়ে কাজ করছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

রোদেলা বলেছেন: View this link

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে না পারলে শুধু নীতিমালা দিয়ে কাজ হবে নে। উদ্যোগটিকে স্বাগত জানাই কারণ অনলাইন জগতেও সচেতনতা সৃষ্টি অতি জরুরী হয়ে পড়ছে। ধন্যবাদ, রোদেলা। জ্ঞানের শুদ্ধ চর্চা হোক।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৫

রোদেলা বলেছেন: জ্ঞানের শুদ্ধ চর্চা হোকs
.
সহমত।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার। জেনে ভালো লাগল। কেন কাজ করছে জিজ্ঞেস করলাম আপু কারন - বিগত দুই বছরের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, ব্লগার শব্দটি এখন আর শুধু একটি পরিচয় নয় বরং বিভিন্নভাবে ব্লগারদের বিক্রি করা হচ্ছে। ব্লগাররা এখন আর মানুষ নেই- ক্ষেত্র বিশেষে তারা খবরের পুঁজি, মানবধিকার ব্যবসার মুলধণও। আশা করি এই প্রতিষ্ঠানটি ব্লগার এবং অনলাইনে যারা কাজ করেন, তাদের সকলের ভালোর জন্য কাজ করবে।

শুভ কামনা রইল। লেখালেখির কারনে কারো মৃত্যূ হোক এটা অবশ্যই কাম্য নয়। আমি চাই, যারা ভিন্ন ক্যাটাগরীর ব্লগিং করছেন, তাদের নিয়ে যেন একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কে কত টুকু বলার অধিকার রাখেন, সেটা ঐ ভিন্ন ধারার লেখকদেরই জানা প্রয়োজন আগে।

আপনি আমি তো সাধারন ক্যাটাগরীতেই আছি। বিশেষ কারো জন্য সমগ্র ক্যাটাগরীটি প্রশ্নবিদ্ধ হোক, এটা কাম্য নয়।

শুভেচ্চা রইল।

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৪

রোদেলা বলেছেন: রিসোর্স পার্সন হয়ে যারা এখানে কাজ করছি তার অলরেডি এ বিষয় টা নিয়ে আলোচনা করেছি।ব্লগার শব্দ টাকে পুঁজি করে কেউ ব্যবসা করে যাবে এটা কখনোই মেনে নেওয়া যাবে না।এখন কার সংবাদ মাধ্যম এই শব্দ টাকে হাই লাইটস করে খবরের শিরোনাম বানায়,খেয়াল করবেন নীচে কোন মন্তব্য দিলে তা তারা প্রকাশ করেনা।গতকাল প্রথম আলোতে আমার করা একটি মন্তব্য প্রকাশিত হয় নি।কারন প্রশ্নটা ছিল প্রশাসন কে নিয়ে,কোন আশালীন কথা আমি বলি না তা আপনারা সবাই জানেন।কিন্তু অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করা যায় না।এটা বাক স্বাধীনতার উপর চরম ভাবে হা্ম লা।।আর আমারা তাই মেনে নিচ্ছি,কারন মেনে নিতেই হয়।বহির্বিশ্বে আমাদের নিয়ে বড় বড় সংবাদ হচ্ছে তা অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ছে,সবাই পরছে।আমি চাই ব্লগার রাই ব্লগারদের কথা বলুক-আর কেউ না।কোন প্রতিষ্ঠান যদি এমন সুযোগ করে দেয় তাহলে অবশ্যই আমি তাদের সাথে কাজ করবো।এখন বোঝার বিষয় আসলেই তারা কি করতে চাচ্ছে।ধন্যবাদ কাল্পনিক ভালোবাসা।অবশ্য ভালোবাসা কল্পনাতেই সুন্দর। ;)

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৩৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হ্যাপি ব্লগিং!
আমি অবশ্য ফেবুতে দুইতিন বার হুমকি খাইছি !:#P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.