নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পৃথিবী

এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..

রোদেলা

আমার আকাশ মেঘে ঢাকা \nজমতে থাকা আগুন ;\nহঠাত আলোর পরশ পেলেই \nঝরবে রোদের ফাগুণ।

রোদেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বসন্ত হেসে ওঠে বালির শহরে //(লাইফ স্টাইল)

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৯

ফাল্গুনের শেষ বিকেলে দূর থেকে উড়ে আসা শুখনো পাতারা যখন পায়ের কাছে এলো মেলো খেলা করতে থাকে তখন মন উদাসীখয়ে গেয়ে ওঠে বসন্তের গান-“আহা আজি এ বসন্তে ...কতো ফুল ফোঁটে ,কতো পাখী গায়।“সেই কোকিলের সুর অথবা ফুলের সমাহার ইট পাথরের এই কঠিন শহরে কদাচিৎ দেখা গেলেও বসন্ত কিন্তু ঠিকি তার আগমনী গান শুনিয়ে যায়।গাছের পাতারা যেন খোলস বদলায় এই ঋতূতেই,গাদা-টগর -লিলি-রক্তজবা ,এমন আরো অনেক বাহারী ফুল ছড়িয়ে দেয় তার সুরভী ।তার সাথে পাল্লা দিয়ে জাকিয়ে সেজে ওঠে শহরের ব্যস্ত মানুষ।এই সময় তরুন-তরুনীরা নিজেদের সাজায় বাসন্তী রঙে , কারন ফাল্গুনে হলুদ রঙেরই আধিক্য দেখা যায়।অনেকেই সবুজ অথবা লাল বেছে নেয়,কারন গাড় রঙেই তারুন্য ধরা পড়ে সবার কাছে।
পয়লা ফাল্গুনে মেয়েদের পছন্দের কাপড়ের মধ্যে শাড়ী থাকে সবসময়,আর এ সময়টা যেহেতু শীত কমে আসে এবং রোদের মাত্রা থাকে কড়া তাই সূতি কাপড়ের দিকেই সবার নজর।এক প্যাঁচে শাড়িতে ঘটি হাতার ব্লাউজ পড়তে অনেককেই দেখা যায়,তবে লম্বা মেয়েরা শাড়ি কুচি করে ফুল হাতার ব্লাউজ পড়লে ভালো লাগে বেশী।আঁচলটা থাকবে ছাড়া যেন দক্ষিনা হাওয়ায় দুলতে থাকা কোন এক রমনীর ভাবনা গুলো মেলে ধরা থাকে সুদূর অরণ্যে ।শুধু শাড়ী হলেই কি চলে মেয়েদের,ম্যাচ করে পড়া চাই মাটির কানের দুল।অনেকে আবার কানে আর মাথায় ফুল পড়তে খুব ভালোবাসে।শুধু খোঁপায় ফুল দিয়ে কেউ কেউ ক্ষান্ত হয় না,মাথায় রিং পড়া চাই চাই।আর এই হোলদে গাঁদার ফুলে তরুনীদের চেহারায় একটা আলাদা মাধূর্য দেখা যায়।কপালে লাল টিপ,হাত ভর্তি লাল চুড়ি আর কাঁধে মানানসই ব্যাগ -ব্যাস তৈরি বসন্ত বরনে।কিন্তু সারাদিন যে’দুটো পাঁয়ের উপর নির্ভর করে থাকতে হবে তাকেতো উপেক্ষা করলে চলবে না,এমন দিনে হাই হীল না পড়াই ভালো।শাড়ীর সাথে ম্যাচ করে একটা স্লীপার পড়ে নিলেই আপনি সারাদিনের জন্যে থাকবেন ফিট।
কেবল রমণীদের সাজালেই কি চলে,পাশে থাকা যে মানুষটি সারাদিন ধরে সময় দেবে তাকেওতো মনের মতোন সাজাতে হবে ,তা না হলে পরিপূর্ন হবে না এই উৎসব।ছেলেরা এই সময় পাঞ্জাবী পড়তেই বেশি ভালোবাসে।একদম সূতির ফিনফিনে হালকা রঙের পাঞ্জাবী,তার মধ্যে সাদা আর লালের আধিক্য বেশি দেখা যায়।পাঞ্জাবীর উপর নানান জ্যামিতিক আঁকিবুকি অথবা টাই-ডাই কাজ আরো বেশী আকর্ষনীয় করে তোলে।কেবল পাঞ্জাবী না , এই সময় নানান রঙের টি-শার্ট পড়তে দেখা যায় অনেক ছেলেদের ,তবে তার সাথে যেন মানিয়ে যায় এমন চটি থাকা উচিৎ পায়ে।শার্টের পাশাপাশি উজ্জ্বল রঙের হাফ বা ফুল হাতার ফতুয়াও পাওয়া যায় এই সময়।দুই রঙের শেড দিয়ে অনেক ফ্যাশন হাউজে ছেলেদের পোশাকে নতুনত্ব এনেছে।তাই,প্রকৃতির নতুন সাজের সাথে নিজেকেও সাজিয়ে নিন নতুন রূপে।
শুধু কি পয়লা ফাল্গুন,ঠিক তার পর দিন আরম্ভ হয়ে যায় ভালোবাসার সময় মানে -ভ্যালেনটাইন্স ডে।এই সময় মূলত কপোত-কপোতীরা সেযে ওঠে লালের দৌরাত্বে।এই দিনটিকে যারা স্মরনীয় করে রাখতে চান তারা খুব গুরূত্ব দেন এই দিনের সাজের ব্যাপারে।সারা বছর অপেক্ষা করেন - কবে আসবে ভ্যালেন্সটাইনস ডে।প্রিয় মানুষের চোখে নিজেকে পৃথিবীর সেরা সুন্দর প্রমাণ করতে চাওয়ার এক আবেগীয় পায়তারা পরিলক্ষিত হয়।শাড়ী-সালোয়ার -কামিজ অথবা টপস, পোশাক আপনি যাই পড়ুন না কেন মেকআপটা যেন মাত্রা ছাড়া না হয়।দিনের বেলা যেহেতু অনেকটা সময় বাইরে দিতে হয় তাই মুখে হালকা বেজ করাই ভালো,সাথে লাইনার আর হালকা আই শ্যাডো।
তবে বেশীর ভাগ দম্পতিদের রাতে অনেক পার্টি থাকে,সে ক্ষেত্রে জমকালো সাজ অনেক খানি আনন্দদায়ক হয়।আর তাই কালো রঙের পোশাকের উপর লাল কাজ এমন শাড়ী পড়ে নিলে খুব ভালো লাগবে,পাথরের বড় কানের দুল আর ঠোঁটে লাল লিপস্টিক না হলে কি আর ভালোবাসার দিনে প্রিয় মানুষের নজর কাড়া যায়।ছেলেরাও কালো অথবা লাল রঙের ব্লেজারে নিজেদের আবৃত করে নিতে পারেন ,সাথে গলায় ছোট্ট একটা বো-টাই।তারপর পছন্দসই সু-গন্ধি গায়ে মেখে বেড়িয়ে পড়ুন প্রিয় মানুষের হাত ধরে।
পর পর দু’দিন টানা সাজ আর অতিরিক্ত ঘোরাঘুরিতে আপনার ত্বকে যেন বাড়তি কোন প্রলেপ না পড়ে সে দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।প্রতিবার সাজার পর তা ভালোভাবে অবশ্যই তুলে ফেলবেন।প্রথমে মুখ ধুয়ে দুধ-মধু আর ময়দার মিশ্রন সারা মুখে লাগিয়ে রাখুন।এরপর মশ্চারাইজার লাগিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন,তারপর স্পঞ্জ দিয়ে ধীরে ধীরে মুখের ত্বক আলতো করে মুছে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
নিজেকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখুন সব সময়।শুধু উৎসব-পার্বনে নয় , বছরের প্রত্যেকটি প্রহর নিজেকে রাখুন হাসি-খুশী ।আপনি সজীব থাকলে বছরের বিশেষ দিন গুলো এমন রঙিন হয়ে আপনার মুঠোতে ধরা দেবে চিরকাল।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

কল্লোল পথিক বলেছেন: ভাল বলেছেন।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪১

রোদেলা বলেছেন: ম্যাগাজিনের জন্যে লেখা,তাই শেয়ার দিলাম।ধন্যবাদ।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

জেন রসি বলেছেন: বসন্তের শুভেচ্ছা। :)

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

রোদেলা বলেছেন: শুভেচ্ছা নিরন্তর .।।

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এত সাজুগুজু ভাল পাইনা।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

রোদেলা বলেছেন: া হা হা.।

৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সেটাই। খুব রোম্যান্টিক ঋতু
শুভ নববসন্ত

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৪

রোদেলা বলেছেন: ্বেশীই রুমান্টিক।

৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনি ইদানিং ব্লগে অনিয়মিত হয়ে গেছেন X((

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৫

রোদেলা বলেছেন: বই নিয়াই মার্কেটিং করি,ব্লগিঙ্গের আর সময় পাই না। ;)

৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: সুন্দর।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১০

রোদেলা বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন অগ্নি সারথি।

৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগল বসন্ত পরামর্শ। বই কেমন চলছে । বই মেলার শেষটায় বই বেশি যায় আপনার কি অবস্থা?

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১১

রোদেলা বলেছেন: কবিতার বই এবার বেশী গেল গল্পের বিয়ের থেকে,আজকের আপডেট জানিনা।কাল যাব বই মেলায়।ধন্যবাদ।

৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

উল্টা দূরবীন বলেছেন: বসন্তের শুভেচ্ছা

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১১

রোদেলা বলেছেন: ্ধন্যবাদ উলটা দূরবীন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.