![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি জানি তুমি আজ আমার কাছ থেকে অনেক দূরে, দূরে থেকেও তুমি আছো আমার লেখার মুলে, তুমি হীনা আমার ভাষা রুদ্র , বেঁচে থাকা দুর্বিষহ, তাই তোমার হারানো শক্তি আজ আমার প্রেরনা,
আমার কলেজ শেষ করে ্ আমি ২০০৬ সালে ডিসেম্বর মাসে ঢাকাতে আমার খালার বাসায় তে উঠি, আমার খালা আর আমার মায়ের মধ্য কোন পার্থক্য ছিলো না কারন, আমার খালা আমার জন্মের পর থেকে আমাকে লালন , পালন করেছে, তাই ভাবলাম খালার বাসা থেকে কোনমতে একটা চাকরি মিলায় নিয়ে ম্যাচে উঠে পড়বো, তখন একটাই স্বপ্ন ছিল যে ভাবেই হোক একটা চাকরি চায়, কারন আমার মা অনেক কষ্টে ডিপ্লোমা তা কমপ্লিট করাতে পেরেছে, তাই বি এস সি করলে আমার নিজের টাকাতে করতে হবে কারন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে পড়তে হবে। তখন একমাত্র পাবলিক ইউনিভার্সিটি ছিল ডুয়েট, তাই অতসব ঝামেলায় না গিয়ে সরাসরি, বি এস সি করবো এটাই মাথার মধ্যায় ঘুরপাক খাচ্ছে, যায় হোক চাকরি ত মিলেনা কোন মতেই, অবশেষে ৩ মাস পর বিসিএস কম্পিউটার সিটি তে একটা কম্পিউটার শপে চাকরি পায় ২০০৭ সালে মার্চ মাসে, বেতন যা ধরলো তাই দিয়ে থাকা খাওয়া সম্ভব বি এস সি করা আর সম্ভব নয়, সকাল ১০ টায় প্রবেশ আর রাত ১০ টায় বাহির, সূর্যের আলো দেখার আর সুযোগ নাই, এক মাস না জেতেই মা কে বললাম , মা অনেক কষ্ট আমি পারবো না, আমি বি এস সি করবো, তুমি আমাকে পড়ার খরচ দিতে পারবে?, মা ত মা সাথে সাথে বলল, জমি বিক্রি করে হলেও পড়াবো, আমার আবার স্বপ্ন ছিলো, আমার বাবা বি এস সি পাশ, আমি এম এস সি করবো, বাবার ওপরে থাকবো, অবশেষে ভর্তি হলাম , খালার বাসা থেকে ক্লাস শুরু করলাম, ২-৩ মাস না জেতেই আমি আমার মায়ের অবস্থা বুঝতে পারলাম, তখন ভাবলাম না আর পড়বো না, অন্তত মা সুস্থ থাকবে, সে সময় আমার সম্পর্কে এক চাচার মারফতে এক ফুফাতো ভাইয়ের সাথে দেখা করি , ভাই কে বলি ভাই যে , আমার যে কোন একটা জব মেনেজ করে দিতে হবে, বসে না থেকে অন্য জায়গাতেও চেষ্টা চালাতে থাকি, চাকরি কি পাওয়া যায়, সে তো সোনার হরিন, মা কেও কিছু বলি না, অনেক কষ্টে ফুফাতো ভাইয়ের মাধ্যমে তার এক বন্ধুর কাছে কাজ জুটায় দেই, মাসে তিন হাজার সাথে দুপুরের খাবার আর রাস্তা খরচ, ভাবলাম যায় হোক এই দিয়ে আমার ইউনিভার্সিটি খরচ হয়ে যাবে, লেগে গেলাম কাজে , একটানা ৩-৩,৫০ বছর চাকরি করলাম এরি মধ্যে বি এস সি শেষ, ওই বেতন দিয়ে তো আর চলা যাবে না, তাই রাগ করে চাকরি ছেড়ে দিলাম, মাস খানেক বসে থাকলাম, দেখি চাকরি আর মিলেনা, পরে আমাদের কলেজের এক ছোটো ভাইয়ের মাধ্যমে তার অফিসে ছোট একটা চাকরি নিলাম, বসে থাকার থেকে এটা অনেক ভালো, এখান থেকে জব ছেড়ে দিয়ে আরও ২-৩ তা প্রতিষ্ঠান এ চাকরি করি, এখন মোটামুটি কাজকাম শিখলাম, কিন্তু মনে একটায় স্বপ্ন ঢুকল , আল্লাহ যে ভাবেই হোক আমাকে কোন একটা ইপিজেডে চাকরি মিলায় দাও, কারন শুনেছি, এখানি অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়, অবশেষে আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করলো, চাকরি পাইলাম স্বনাম ধন্য একটা বড় গ্রুপে, চাকরি তে জইন করেই চলে আসলাম ২০১৫ এর সেপ্টেম্বরে মংলা ইপিজেডে, আসার পর ভালোই লাগলো কারন ঢাকার অই কোলাহল ছেড়ে নিরিবিলি কার না ভালো লাগে, তাই বেশ ইনজয় করতেছিলাম, আস্তে আস্তে ইপিজেড সম্পর্কে জানতে শুরু করলাম, জানতে জানতে এত জেনে গেলাম যে, এখানে কোন প্রতিষ্ঠান ভালো ভাবে চলে না, চলে ২ একটা মোটামুটি, ইতি মধ্যে টেম্পোরারি বন্ড লাইসেন্স পেয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠান মেশিনারিজ আমদানি করা শুরু করছে, ২ মাসের মধ্য সব মেশিন নিয়ে আসে, এবার পালা উৎপাদন , উৎপাদন শুরু করবে ভেবে অনেক খুশি ছিলাম, কারন এতো দিন কাজ খুব একটা ছিলও না, এখন কাজের গতি একটু বাড়বে, এখানেই হলো কাল, উৎপাদনের জন্য লাগবে র-মেটেরিয়ালস আর ইপিজেডের অধীনে শুল্ক মুক্ত, এই শুল্ক মুক্ত আওতায় আসতে হলে লাগবে স্থায়ী বন্ড লাইসেন্স, কিন্তু বন্ড লাইসেন্স আর মিলে না, কারন সংশ্লিষ্ট অফিস পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া দিবে না, যে ছাড়পত্র চাওয়ার কথা অস্থায়ী বন্ড লাইসেন্সের সময়, সংশ্লিষ্ট অফিস সেইটা না করে, স্থায়ী বন্ড লাইসেন্সের সময় চেয়ে বসে ছাড়পত্র, এখন তো আর কিছু করার নাই, এবার পরিবেশ অফিসে দৌড়াদৌড়ি ফলাফল মিলল না, অবশেষে পরিবেশ অফিস থেকে সুপারিশ পত্র আনা হলো , ইহাতেও সংশ্লিষ্ট অফিসের মন গলে না, ইপিজেড কে বলেও কোন সচারচর উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না, তাহলে কোম্পানি রানিং হবে না, এখানে আমার মত অনেকে আছে যারা অনেক স্বপ্ন নিয়ে ইপিজেডের কোন না কোন কোম্পানিতে কর্মরত, আমাদের সকলের স্বপ্ন পরিশ্রম করে দুটো ডাল-ভাত খাবো, কষ্ট আরও বেশি লাগে এই ভেবে, আমাদের কোম্পানি প্রতিষ্ঠাতারা কোটি কোটি টাকা ইনভেস্ট করে ফেলে রেখেছে, উপরোক্ত আমাদের মত কর্মচারীদের বেতন গুনে যাচ্ছে, তাহলে কি ইনভেস্ট করা টায় ভুল নাকি ভুল করে তার মাশুল গুনতে হবে, অনেক স্বপ্ন , আশা মিশে আছে আমাদের সকলের ,সকলের প্রতিষ্ঠানের সাথে, আমাদের সাথে আবার মিশে আছে আমাদের পরিবারের, ইপিজেডের সব কটি প্রতিষ্ঠান যদি চালু হয় তাহলে কয়েক হাজার কর্মসংস্থান হবে, আর আমাদের মত সাধারন পাবলিকের তৈরি হবে ডাল-ভাতের ফয়সালা, আমি শুধু ভাবি আমাদের এই সমস্যা দেখার কেউ কি নাই,
কেও কি নাই যে, আলাদিনের চেরাগের মতো এক দিনেই মংলা ইপিজেডের সমস্যা সমাধান করে আমাদের প্রতিষ্ঠান উৎপাদন মুখি করবে। মংলা ইপিজেডকে প্রানবন্ত করে তুলবে, দিনের শুরুতে ও শেষে সবাই এক সাথে কাধে কাঁধ মিলিয়ে যাওয়া আসা করবে, আর আমদের স্বপ্ন যাত্রা শুরু হবে,
©somewhere in net ltd.