নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালো থাকার চেষ্টা করি সদা

ফালতু বালক

আমি অগোছালো টাইপ ছেলে। ফুটবল খেলাটা আমার খুব পছন্দ। পিসিতে গেম খেলে অথবা ভালো কোনো গল্পের বই পেলে সারাদিন একাই থাকতে পারি।আমার কিছু অসম্ভব রকম ভালো বন্ধু আছে। তারা সদা আমার পাশে থাকে।

ফালতু বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিতা হক প্রসঙ্গ................;););)

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৮





মিতা হক নামের একজন মহিলাকে নিয়ে ইদানিং সবখানেই খুব তোঁলপাড় হচ্ছে।শুনেছি উনি রবীন্দ্র সংগীত গান।আমি তাকে চিনতাম না।রবীন্দ্র সংগীত আমার শোনা হয় না।তাই বলে আমি রবীন্দ্র বিরাগী নই।তার প্রতি ভক্তি সকল বাঙ্গালীরই থাকা উচিত।ঠাকুর সাহেবের প্রসঙ্গ এখন থাক, আমাদের ব্যস্ত হওয়া উচিত মিতা হককে নিয়ে।কেননা ঠাকুর সাহেব 'কারা বাঙ্গালী' এরকম কোনো স্পেসিফিক সার্টিফিকেট কাউকে দিয়ে যাননি। মিতা হক দিয়েছেন। " যারা মাথায় কাপড় দেয় আর যাই হোক বাঙ্গালী না ।" এমন ধরনের কথা তিনি বলেছেন।তাকে নিয়েই তো সবখানে মাতামাতি কাঁপাকাঁপি হওয়া উচিত।তাই তার উক্তি অনুসারে যারা বাঙ্গালী তাদেরকে আমি বলবো, মিতা হকের নিজ হাতে স্বাক্ষরিত মূল্যবান কাগজের সার্টিফিকেট খানা তাড়াতাড়ি সংগ্রহ করার জন্য।পরবর্তীতে হয়তোবা কাজে লাগতে পারে।



ফেসবুক, ব্লগ, টুইটারে বাঙ্গালিয়ান সার্টিফিকেট দেনেওয়ালী মিতা হককে অনেকে সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ বলতে নারাজ।সে দিক দিয়ে বিবেচনা করে আমি বলতে পারি, হয়তো তিনি ফোবিয়া রোগী।প্রবল টাইপ ঘোমটা ভীতি আছে তার।ধরলাম রোগটা তার বংশগত না।রোগটার উৎস হিসাবে বলা যেতে পারে, হয়তো মিতা হক তার ছোটবেলা কিংবা বড়বেলার কোন এক সময় তিনি গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলেন।গভীর রাতে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেয়ার প্রয়োজন হলে হারিকেন হাতে তিনি একা নয়তো কাউকে নিয়ে বাড়ির অদূরেই টিন দ্বারা নির্মিত টয়লেটে কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।সেই মূহুর্তে ঘোমটা পরা কাউকে, ধরে নিলাম ভূত দেখেই তিনি চিৎকার দিয়ে লুটিয়ে পড়েছিলেন মাটিতে।মাটিতে লুটানোর পরও হয়তো তিনি থরথর করে কাঁপছিলেন।আর সেইদিন থেকেই হয়তোবা ঘোমটা ভীতি রোগটা তার মনের ভিতর ঢুকে যায়।



মিতা হকের প্রতি খুব রকম সমবেদনা।এতদিন হয়তো রোগটা প্রাইমারী পর্যায়ে ছিলো তাই কেউ টের পায় নাই।কিন্তু বর্তমানে এটা সেকেন্ডারী স্টেজে।তাই চ্যানেলের টকশোতে তিনি বলে বেড়াচ্ছেন "যারা মাথায় কাপড় দেয় তারা বাঙ্গালী না ।" অদূর ভবিষ্যতে রোগটা যখন টারসিয়ারী পর্যায়ে পৌঁছাবে তখন হয়তো তিনি রাস্তায় নেমে পড়বেন।খালি গলায় চিৎকার করে বলতে থাকবেন, " যারা মাথায় কাপড় দেয় তারা বাঙ্গালী তো দূরের কথা মানুষই না।"



মিতা হক এবং তার মত ঘোমটা ভীতি রোগীরা রাস্তায় নেমে এসে চিৎকার চেঁচামেঁচি করুক তা আমরা চাই না। আর রাস্তা-ঘাটে চিৎকার করাটাও শোভনীয় না।আমরা আমাদের সমবেদনার দৃষ্টিকে প্রসারিত করি তাদের প্রতি।সাহায্যের হাতকে প্রস্তুত রাখি সদা তাদের জন্য।



আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক মিতা হকের ঘোমটা ভীতি দূর করার জন্য একটা পদ্ধতি খুঁজে পেয়েছে।পদ্ধতিটা জটিল না,প্রাচীন।ভয়ের বস্তুটাকে রোগীর মুখোমুখি করা। তার পরিবারের মানুষজন যদি ইচ্ছা করে তাহলে চেষ্টা করতে পারে।পদ্ধতিটা হলো, তার পরিবারের সকল টাইপ মহিলা সদস্যগণ মাথায় কাপড় কিংবা ঘোমটা দিয়ে তার চারপাশে চলাফেরা করবে।আর একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর তার সামনে গিয়ে বিনীত কন্ঠে সালাম দিয়ে হাসিমাখা মুখে বলবে, "আমি বাঙ্গালী, বাংলাদেশে আমার বসবাস।"



সবশেষে আমি মন থেকে মিতা হকের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।সুস্থ মস্তিষ্কেই তিনি রবীন্দ্র সংগীত গান অনেকদিন। শুভ কামনা।



মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

আশফাক সুমন বলেছেন: দারুন লিখে(ছন ভাই !
++++ নেন ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৬

ফালতু বালক বলেছেন: ধন্যবাদ, সুমন ভাই।
আপনার প্লাস পেয়ে খুশি হইলাম।
ভালো থাকবেন সদা।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৩

তারেক বলেছেন: জব্বর হইছে। ;) ;)

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৭

ফালতু বালক বলেছেন: আপনার কমেন্টও জব্বর হইছে B-)

ভালো থাকবেন খুব, শুভ কামনা।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৪

জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: মিতা “সত্য” – বাকী সব মিথ্যা! “হক” নামটাও সাম্প্রদায়িক – কেমন আরবী গন্ধ!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২২

ফালতু বালক বলেছেন: হয়তো :(

দেশটা দিন দিন নাটকের মঞ্ছ হয়ে যাচ্ছে।
ভালো থাকবেন।

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৬

মুহামমদল হািবব বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। আশা করি উনি নিজেকে সামলাতে পারবেন।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

ফালতু বালক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, হাবিব ভাই।
সামলে নিলেই ভালো ;)

ভালো থাকবেন সদা।

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৮

বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: মিতা হক আজ একটি অতি অতি পরিচিত নাম। ভদ্রমহিলা জীবনের ৪০+টি বছর ধরে বরীন্দ্র সংগীতের চর্চা চালিয়ে যে পরিমাণ নাম কামাই করতে পারেননি আজ একটা ছাইপাশ কথা বলে বাংলার ঘরে ঘরে ব্লগে ব্লগে আলোচিত হয়ে আছেন। বোধকরি আরো একশ বছর সাধনা করলেও ওনার নাম এত লোক জানতো না বা গণনায় নিতো না। ধন্য মিতা হক ধন্য।
সত্যি কথা বলতে আমরা আমজনতা মৌলবাদী বলতে শুধুমাত্র ধর্মীয় উগ্রবাদীদের বুঝি আর তাই নিয়ে লাফাতে থাকি। আমাদের দেশে যে আর এক শ্রেণীর মৌলবাদী আছে তাদের কথা আমরা ভুলে যাই। সম্মানিতা মিতা হক সেই কম আলোচিত মৌলবাদীদেরই একজন। এই মৌলবাদীরাই কবি গুরুকে তরুণ প্রজন্মের থেকে আলাদা করে ফেলেছেন।বদ্ধ ডোবার মত এই সকল মৌলবাদীরা আজ কবি গুরুর সৃষ্টিকে সাধারণের জন্য করে তুলেছে অস্পৃশ্য। এই মিতা হক এই বছরের প্র্রথমে ক্ষ ব্যান্ডের গাওয়া “আমার সোনা বাংলা” জাতীয় সংগীত নিয়ে আক্রমণ করে নিজেই আবার নাকে খত দিয়েছিলেন (লিংক:http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=218ee2aa3a1bce98a6016d5aba186029&nttl=03022013170781)। যে রবীন্দ্রনাথ নিজে ছিলেন নবীনের কেতনবাহী আজ মিতা হকের মত মৌলবাদীদের আগ্রাসনে তিনি আজ মহাসমুদ্র হতে বদ্ধ ডোবায় পরিণত হয়েছেন।
সত্য কথা বলতে মিতা হকের মত সীমিত জ্ঞানীরা পরচর্চা ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারেন না। বিদেশের কালচার এসে বাংগালী কালচারের বারোটা বাজাচ্ছে তা নিয়ে ওনাদের কোন কথা নেই। আসলে এই বিদেশী কালচারের ধারক আর বাহক তো এনাদের মৌলবাদী গুপটাই। মিতা হকের সন্তান কি বাংলা মিডিয়ামে পড়ে না ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে? আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে। উনি বাংগালী বাংগালী বলে যে চিৎকার করছেন হিন্দি কিংবা ইংরেজী কিংবা ডিজুসিয় বাংলার বিরুদ্ধে ওনাকে তো আজ পর্যন্ত বলতে শুনিনি।
আজকে বাংলানিউজে ওনার কথোপকোথনের কিছু চুম্বক অংশ এখানে তুলে ধরছি:
আপনি আইডেন্টিটি ক্রাইসিসের কথাও বলেছেন অনুষ্ঠানটিতে। আইডেন্টিটি ক্রাইসিস বলতে আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন?

আমরা এখনো এই আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছি যে আমি কী মুসলমান না বাঙালি। যে কারণে আমরা এখনো আমাদের পোশাক নির্বাচন করতে পারছি না। ফলে আরব দেশের পোশাক পরতে হচ্ছে মেয়েদের। আমাদের কী কোন নিজস্ব পরিচয় থাকবে না? মুসলমান প্রমাণ করতে আমি কেন হিজাব আর বোরখা পরবো। আমি তো নামাজ পরি। শালিন জামা কাপড় পরি আমার তো কোন সমস্যা হচ্ছে না। পোশাক ধর্মের আইডেন্টিটি করে না।
শেষ প্রশ্ন। হিজাব পরলে যদি আইডেন্টিটি ক্রাইসিস তৈরি হয়। তাহলে যে মেয়েরা জিন্স, শার্ট, টি শার্ট, স্কার্ট পরে তাদের কী বলবেন আপনি?

এটাকে আমি ফ্যাশন বলবো। ফ্যাশনের অংশ হিসাবে মেয়েরা এটা পরছে।

যার যা ইচ্ছা তা যদি পরতে পারে এটা যে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি বুঝতে পারে না তার ব্যাপারে কি বলা যায়।

মিতা হক গংদের এই মহাবচনের তুলনা চলে শুধুমাত্র শফি মাওলানার তেঁতুল ত্বত্তের সাথে।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

ফালতু বালক বলেছেন: মিতা হক আজ একটি অতি অতি পরিচিত নাম। ভদ্রমহিলা জীবনের ৪০+টি বছর ধরে বরীন্দ্র সংগীতের চর্চা চালিয়ে যে পরিমাণ নাম কামাই করতে পারেননি আজ একটা ছাইপাশ কথা বলে বাংলার ঘরে ঘরে ব্লগে ব্লগে আলোচিত হয়ে আছেন। বোধকরি আরো একশ বছর সাধনা করলেও ওনার নাম এত লোক জানতো না বা গণনায় নিতো না। ধন্য মিতা হক ধন্য।

খুব ভালো বলেছেন, ভাই।
হয়তো এরুপ সস্তা নাম কামাই -ই এরুপ সস্তা উক্তির লক্ষ্য।

আপনার সুন্দর দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য খুব রকম ধন্যবাদ।

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রসময় লেখা ;)

সবশেষে আমি মন থেকে মিতা হকের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।সুস্থ মস্তিষ্কেই তিনি রবীন্দ্র সংগীত গান অনেকদিন। শুভ কামনা।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

ফালতু বালক বলেছেন: রসময় ধন্যবাদ আপনাকে বীজ ভাই ;)

ভালো থাকবেন, খুব।

ভুলটা মনে হয় ধরতে পারছি...........গাক>গান......... :#>

৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: বাংলাদেশের নারীরা যদি ইসলামের দিকে ঝুকে তবে অনেকের গায়ে রীতিমত ফোস্কা পড়ে যায়। কেন বোরখা পড়ছ, বোরখা তো মধ্যযুগীয় পোশাক, বর্বর আরবদের পোশাক, বোরখা পড়ে ইউনিভার্সিটিতে পড়ার এত আগ্রহ কেন ইত্যাদি ইত্যাদি নানান হাজারো অপমানসূচক কথা চলে বোরখাধারীদের প্রতি। এইসব সংকীর্নমনারা আগেও ছিল এখনও রয়েছে। তা সত্ত্বেও বেশীর ভাগ নারী বোরখাকেই আপন করে নিয়েছে।

এর আগে আল্লামা শফী যখন তেতুল তত্ব দিলেন তখন তা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলোর সেকি মাতামাতি! আর এখন মিতা হকের বেলায় তারা মুখে এটেছে কুলুপ। আল্লামা শফীর তেতুল তত্ব কিংবা মিতা হকের বোরখা-বাংগালী তত্ব কোনটিই আমাদের মাটির সংস্কৃতি নয়। আমাদের সংস্কৃতি তার নিজের মহিমায় স্থান করে নেবে, তা শফি কিংবা মিতা হকের অপছন্দ বা পছন্দের পরোয়া করবে না।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

ফালতু বালক বলেছেন: বাংলাদেশের নারীরা যদি ইসলামের দিকে ঝুকে তবে অনেকের গায়ে রীতিমত ফোস্কা পড়ে যায়। কেন বোরখা পড়ছ, বোরখা তো মধ্যযুগীয় পোশাক, বর্বর আরবদের পোশাক, বোরখা পড়ে ইউনিভার্সিটিতে পড়ার এত আগ্রহ কেন ইত্যাদি ইত্যাদি নানান হাজারো অপমানসূচক কথা চলে বোরখাধারীদের প্রতি। এইসব সংকীর্নমনারা আগেও ছিল এখনও রয়েছে। তা সত্ত্বেও বেশীর ভাগ নারী বোরখাকেই আপন করে নিয়েছে।

কথা গুলো খুব ভালো লাগলো, আপু।

আপন সংস্কৃতি যারা মনে লালন করে কে কি বললো তা নিয়ে তারা মাথা ঘামায় না, বরং নিজ আদর্শকেই আঁকড়ে রাখে প্রবল ভাবে।

ভালো থাকবেন, আপু।শুভ কামনা।

৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: গেট ওয়েল সুন মিতা দ্যা হক।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

ফালতু বালক বলেছেন: আমারো একই কামনা।
ভালো থাকবেন হাসান ভাই।

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৫

আরজু পনি বলেছেন:

:|

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

ফালতু বালক বলেছেন: ভালো থাকবেন সদা, আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.