মিন্টু ভাই [রম্য গল্প]

২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

নিলয়ের আজ মনটা খুব বিষণ্ণ , তাঁর কিছু টাকা দরকার বই কেনার জন্য, দুই মাস পর ফাইনাল পরীক্ষা। নিলয়ের বন্ধু বলতে আছে তারিকুল ইসলাম মিন্টু। মিন্টু আজব মানুষ। মিন্টু পড়াশুনার পাশাপাশি ব্যবসা করে নাকি, কিন্তু নিলয় যদি তাঁকে জিজ্ঞাসা করে মিন্টু তুই কি ব্যবসা করছ? সে বলে নিলয় এটা বলা যাবে না, তবে তোঁকে এটা বলতে পারি আমি খারাপ কোন কাজ করি না, বিনা চালানে ব্যবসা করি মাত্র। মিন্টু সব সময় নিলয়কে বলে তোর যে কোন সমস্যা হলে আমাকে বলবি...।। আমরা বুন্ধ না আমরা দুই ভাই। কিন্তু নিলয় যতবার তাঁর বিপদের সময় তাঁকে মোবাইল করেছে, তাঁকে কখনো কাছে পায়ানি। এ বারের কথা ভিন্ন কারন এবার তাঁকে পাওয়া গেছে, তবে সে এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে একশো তিন নাম্বার ব্যাডে চিকিৎসারত আছে।
যাই হোক, মিন্টুকে দেখার জন্য নিলয় মিরপুর থেকে একটি বাসে উঠল। কিছুক্ষণ পর একজন মোটা করে লোক বাসে উঠলো তাঁর সাথে আরও দুজন লোক ছিল। মোটা লোকটা যে একজন নামি দামি মানুষ তা বুঝার অপেক্ষা রাখে না । পরে নিলয় জানতে পারল লোকটা কোন এক মন্ত্রনালয়ের সচিব। নিলয় এই ভেবে খুব খুশি হল যে আমাদের দেশ মনে হয় পরিবর্তন ছোঁয়া লাগছে। আজ সচিব কাল মন্ত্রী...।। কিছুক্ষণ পর সচিব লোকটার সাথের একজন বলল...............
একজন বলল স্যার আমি যাব গাড়ির সাথে?
লোকটাঃ দূর বেটা এটা এখন সরকারী গাড়ি কার এত বড় সাহস আমার গাড়ি ছুরি করব?

আরেক চামচা ইতিমধ্যে কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছে।
চামচা২ঃ ভাই আপনারা সব সড়ে বসেন । স্যারের বসতে সমস্যা হচ্ছে। আমার কাছে এসে বলে এই বেটা তোর কানে কি কথা যায় না?
নিলয়ঃ আবলাদের তাকিয়ে বলল ভাই কিছু শুনতে পারছিনা কি বলছেন?
চামচা২ঃ ধুর বেটা দেন্ধা!!!!!!
এই তিন মহাশয়দের কাণ্ডকারখানা দেখতে দেখতে নিলয় অবশেষে মিন্টু কাছে
হাসপাতালে পুছালো।
ব্যাডে অনেকটা ভীত ও জড়ো সরো হয়ে বসে আছে মিন্টু.........।

নিলয়ঃ কি হয়েছে মিন্টু?
মিন্টুঃ নিরব ভাবে তাঁর তাকিয়ে রইল?
নিলয়ঃ তোর কি হয়েছে? তুই তো দেখছি টিকি আছত কি হয়ছে তোর?
মিন্টুঃ কেঁদে উঠল!!!!!! আমি শেষ নিলয়.........
নিলয়ঃ তোর সামনের দাঁত গুলো কই?
মিন্টুঃ ঘুষি মেরে ফেলেদিছে!!!!
নিলয়ঃ কে? কয়টা?
মিন্টুঃ বলছি।

০ টি +০/-০