নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভারসাম্য মাত্রই কৃতিত্ব নয় ।

আল - বিরুনী প্রমিথ

আল - বিরুনী প্রমিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুই চার কথা

১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১৫

ইতিহাস , সমাজ , সভ্যতা , বিকাশ এইগুলা কারো পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া তিন ফসলী জমি না যেটার ক্ষুদে মালিকানা আপনার থাকবো । ধর্ম হইতে চার্চরে আলাদা করতে হইবো কারণ মানুষের মৌলিক চাহিদা নিরুপনের আধুনিকতম ( তৎকালীন সময়ানুযায়ী ) পদ্ধতির সাথে পোপ , চার্চ এদের আধিপত্য দিনে দিনে সাংঘর্ষিক হইতেছিলো । সেই অবস্থার তাগিদেই জ্যাক রুঁশোর হাত দিয়ে বের হইলো ‘ সোশাল কন্ট্রাক্ট ‘ । রেঁনেসা নামক অবলম্বনের জন্ম হইলে তাতে কেবল ইউরোপ আলোর দিশা পাইলোনা , সমগ্র মানবজাতিই তাতে ব্যক্তির পছন্দ – অপছন্দ নির্বিশেষে উপকৃত হইলো । ইউরোপীয় রেঁনেসা বিশ্বের একটা মানুষের ভালোলাগা – মন্দলাগাকেও তোয়াক্কা করেনাই । তার আবির্ভাব অনিবার্য হয়ে গেছিলো আসছে । এসে মানুষের বসবাসে উদ্ভাসিত পৃথিবীরে একটানে বহুদূর আগাইয়া নিছে । সেই সময়কার সাহিত্যিক , কবি , দার্শনিক , চিত্রশিল্পী এই ২০১৪ সালে এসেও প্রাতঃস্মরণীয় । তাদের সময়কার সমাজকে , পৃথিবীকে তারা নিজেদের একই চোখ দিয়ে ভিন্নভাবে দেখছিলো । সেই চোখগুলার আলোতে এখনো আমরা পথ খুঁজে পাই । তারপর শিল্পবিপ্লবের হুঙ্কারে পৃথিবী বুঝে গেলো অতীতের হিরো বর্তমানে এন্টি – হিরোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হইছে । ধর্ম হইতে রাষ্ট্র আলাদা থাকবে এই তত্ত্বটাই অতীতের হিরোরা নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থেই মানলোনা । সাথে গণমানুষকে এটাও হাতেকলমে শিখাইয়া দিলো তোমার মর্যাদা তোমার পরনের কাপড়ের ঔজ্জ্বল্যের সমানুপাতিক । মানুষ নিজের সত্তা সম্পর্কে সন্দেহ করতে শুরু করলো । ক্যামুর ‘ আউটসাইডার ‘ উপন্যাসের নায়ক মারসোল মানুষ থেইকা মানুষের বিযুক্ততার ছবি ব্যক্তিমানুষের পছন্দ – অপছন্দের থোড়াই কেয়ার কইরা ন্যাংটাভাবে দেখাইয়া দিলো । তারও বেশ আগে দুই বুড়া মার্ক্স আর এঙ্গেলস কোটি কোটি মানুষরে জানাইলো তাদের দুজনের মতো সেই কোটি কোটি মানুষদেরও আসলে দেশ বলতে কিছু নাই । যেই জন্মভূমিরে দেশ বইলা তাদের গদগদ করে রাখবার ষড়যন্ত্র কইরা রাখা হয় সেই দেশ বহু আগেই বেগানা হইছে । যেই রাজতন্ত্র গণতন্ত্রের আগমনী সঙ্গীতের পূর্বে এবং সেই মধ্যবর্তী সময়ে বহু রক্তপাতের জন্ম দিছিলো শিল্পবিপ্লব সেই রক্তপাত সদর্পে ফিরাইয়া আনলো । সবই নিজের প্রয়োজনে , টিকে থাকবার লাইগা । সেটা পৃথিবীর কারে আক্রমণ করেনাই ? ১৯১৭ সালের আগে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেইকা শুরু কইরা আফগানিস্তান পর্যন্ত সর্বত্র অতীতের নায়ক বর্তমানের ভিলেইন পুঁজি রক্তের হুমকি নিয়া কোটি মানুষের জীবনের সাথে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে জড়াইছে । তারপরেও মানুষের জীবন থামেনাই , শত – সহস্র চোখ রাঙ্গানীতেও মানুষ হাসি , আনন্দ , প্রমোদ , ফূর্তি , স্বপ্ন , ভালোবাসার মাঝে বিদ্রোহের আগুন নিয়া ঘুমাইছে , বাঁচছে । সেই আগুন কনামাত্র নিভেনাই । তোমার উঠান শীতল কইরা রাখন হইলে তুমি লাকড়িতে আগুন জ্বালাইয়া রাখবাই । রুশো ‘ সোশাল কন্ট্রাক্ট ‘ লিখা গণতন্ত্রের আগমনী সংকেতরে অভ্যর্থনা জানাইছিলো , মার্ক্স ‘ দাস ক্যাপিটাল ‘ লিখা সেই সঙ্গীত যে বশীকরনের মন্ত্রে পরিণত হইছে সেটা তোমারে জানাইলো । সে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা আছিলোনা । তাই বহু ধিক্কারের শিকার হইছে । কিন্তু আমাদের জানা হয়না বাইরে বের হওনের বাসনা না তৈরী হইলে লাখো হ্যামিলনের বাঁশিতে মানুষ ঘুমে ডিস্টার্ব হইতেছে মনে কইরা বিরক্ত হয় । ঘাত – প্রতিঘাতের নানাবিধ ক্রিয়া – প্রতিক্রিয়ায় সোভিয়েত ইউনিয়ন মার্ক্সের স্বপ্নরে বাস্তব করলো । আমরা দেখলাম কোন দার্শনিকের দর্শনানুযায়ী পৃথিবীরে বদলাইয়া ফালানোর স্বপ্নটা ইউটোপিয়া গোছের কিছু না । অজস্র রক্তচক্ষুরে নর্দমায় ফালাইয়া দিয়া তার সমস্ত পুঁজ বাইর করার দায়িত্ব পালন করা যায় । তারপরে আরো একশো বছর গড়াইছে । শরীরের সমস্ত পুঁজ বাইর করা সম্ভব হয়নাই । বরং শরীরের নতুন নতুন জায়গায় পুঁজের দেখা মিলতেছে । কিন্তু তারপরেও পুঁজের স্রষ্টাদের আতঙ্ক এখনো কমেনাই । আবার যদি কেউ শরীরের সমস্ত পুঁজ সারানোর তাগিদ অনুভব করে তাইলে ? তারপরে সে অযুত – নিযুত কৌশল নিছে । তোমার কেবলা পশ্চীমে আর তোমার পাশের মানুষের কোন কেবলাই নাই এই বইলা তোমরা আলাদা এই ধারণা তোমার মনে ঢুকাইছে । আবার নিজের প্রয়োজনে তোমাদের একত্রিতও করছে । কিন্তু তাতে ভাতৃত্বের কোন জায়গা নাই , আছে তোমারে দিয়া তার বিনিয়োগের ক্ষেত্র প্রসারিত করার । তুমি তোমার পাশের বাড়ীর মানুষ যেই রঙের গাড়ি ব্যবহার করে সেটার স্বপ্নে লালায়িত হইতেছো , অন্যদিকে তোমার কেবলা পশ্চীমে আর তার কেবলাই নাই এই ধারণাতেও বিশ্বাস রাখো । তোমার মনে হয় পৃথিবীটা তোমার নিজস্ব বাগানবাড়ি । তোমার পাশের বাড়ীর সেই মানুষ ভাবে সিভিলাইজেশনটা তার মামার গাছের নারিকেল । যখনই তৃষ্ণার বোধ হইবো তখনই সে গাছ থেইকা সেই নারিকেলটা পাড়বো । কখনো তুমি নিজেরে জিগাইছো তুমি কে ? তোমার পাশের বাড়ীর মানুষের কেবলা নাই তাতে তোমার নিজের জীবনের কোন সংকটটা বাড়ছে ? তুমি অ আ শিখো সুদূরের কোন এক প্যাট্রিক বা উইলিয়াম শেখে A B C D তাতে তোমাগো দুইজনের পার্থক্য কেমনে থাকে ? গ্লোবালাইজেশন নিয়া লিখতে বইলেই তোমার মনে আনন্দ হয় । মনে হয় জীবনের অর্জিত সকল জ্ঞান এই রচনাতেই ঢাইলা দেই । কিন্তু তোমার বোধে আসেনা তুমি আর প্যাট্রিক আসলে মিলামিশা একাকার হইয়া গেছো । তার বাড়ী থেইকা চার ক্রোশ দূরে কঙ্কালসার কোন শরীর এখন মুহূর্তের মধ্যে তুমিও দেখতে পারবা । সেই প্যাট্রিকও দেখবার পারে যেই ভূখন্ডে বাস কইরা তুমি ‘ সকল দেশের সেরা আমার জন্মভূমি ‘ ভাইবা মনের আনন্দে নিজের মাথাটারে মূর্খতার নিলামে তুলতেছো সেই ভূখন্ডে এখনো ফ্রাঙ্কেস্টাইনের অঙ্গুলী হেলনে বিনা বিচারে তোমার মতো রক্তমাংসের কাউরে যার ভান্ডারে টাকা , ক্ষমতা কোনটাই নাই তারে ভ্যানিশ করা যায় । সেই ফ্রাঙ্কেস্টাইন তোমার মতো কোটি কোটি মানুষের অপদার্থতার ফসল । তুমি গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ কইতে অজ্ঞান অথচ এখনো নাস্তিক ইহুদী , গরিব মুসলমানের এই আজাইরা বিভাজন কইরা আলাদা ঝান্ডা তৈরী করার খোয়াব দেখো । সুদূরের প্যাট্রিক আনন্দে গদগদ হয় বিশ্বসভ্যতার সমস্ত সুখ তার কপালে আর তোমার মতো মানুষে সব গেঁয়ো ভূত , পৃথিবীর ওয়েস্টেজ । তুমি কেবলা দিয়া মানুষ বিচার করো , সে লাক্সারী দিয়া মানুষ বিচার করে । তুমি ফিলিস্তিনীর লাশে নিরাকার আল্লাহরে খুঁইজা বেড়াও , সে তোমার গায়ের রঙে গেঁয়ো ভূতের উপস্থিতি দেখে । তার স্নবারীতে সে আপাদমস্তক মুর্খই থাকে , তোমার হীনমন্যতায় তুমি থাকো আবাল । গ্লোবালাইজেশনের রঙে তুমি শরীর মাখাও , প্যাট্রিকও মাখায় । তবুও তোমাগো মনে আসেনা তোমাদের একজনরে ছাড়া আরেকজন অচল । তুমি মানো কি নাই মানো , প্যাট্রিক মানে কি নাই মানে তাতে কিচ্ছু যায় আসেনা । তুমি , প্যাট্রিক তোমাদের পছন্দে – অপছন্দে তো সূর্য পর্যন্ত উঠেওনা , অস্তও যায়না তাইলে গ্লোবালাইজেশনের কি যাইবো আসবো ? তুমি , প্যাট্রিক নিজেগোরে চেনো । নিজেগোরে চেনার লাইগা সাথে সাথে অপররে চেনো । অপরের অবস্থা জানলে বুঝে আসবো তোমাগো কারো পছন্দে – অপছন্দে জগতের মৌলিক কোন নিয়ম কনামাত্র বদলাইবোনা । তোমরা সর্বোচ্চো যা করবার পারো সেটা হইলো সেই নিয়মগুলারে আত্মস্থ করবার পারো । সেটা কইরা নিজের চারপাশরে বদলানোর কাজে হাত দিবার পারো । তোমরা বাঁইচা থাকতেই সেটা হইতে হইবো এমন কোন কথা নাই । যেই জঞ্জাল তোমাদের সবার উপরে চাইপা আছে তারে কমাইতে তো পারো ? কমাইতে পারার মানেই হইলো যখন একসময় সেই জঞ্জাল পুরাপুরি নাই হইয়া যাইবো তোমরা সেই ঘটনার প্রতিটা বিন্দুতে বিন্দুতে মিশে যাবা । না বুইঝা গায়ের জোরে নিজেরে মহিমান্বিত করতে গিয়া তুচ্ছতর কোন দুপেয়ে প্রাণী হবার থেইকা সেই মিশে যাওনের মধ্যেই কি সন্তুষ্টি বেশী পাওন যাইবোনা ? তোমার প্রিয় কোন দার্শনিক থাকলে কিংবা সাহিত্যিক থাকলে তারাও কি সেই কাজটাই তাদের জীবনে করেনাই ?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২৭

রাজিব বলেছেন: আপনি দয়া করে প্যারাগ্রাফ আকারে ভেঙ্গে দিন। আপনি আসলে ঠিক কি বলতে চেয়েছেন তা বুঝতে পারলাম না। যাই হোক প্যারা আকারে দিলে পড়তে অনেকের সুবিধা হবে।

২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২৮

রাজিব বলেছেন: জ্যাক রুঁশোর কথা যখন বললেন তখন হয়তো জন লক ও টমাস হবস এর কথাও আসতে পারতো।

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: আল - বিরুনী প্রমিথ ,




খুব সুন্দর লিখেছেন । আরও একটু পরিষ্কার করা যেত ।
একটা ক্ষোভের মিশেল থাকলেও জাগরনের কথা বলতে চেয়েছেন ।

কাদের জন্যে ?

জানেন তো শেখা, জানা আর বোঝা সমাথর্ক নয় । যেটা শেখা হয় তা ই শিক্ষা । যা জানা যায় তা ই বিদ্যা । যাকে আমরা বলি – জ্ঞান । আর যা বোঝা যায় তা ই হলো বোধি বা প্রজ্ঞা ।
বুঝবার জন্যে শেখার , জানার ও সঠিক একটা বয়সের প্রয়োজন । সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন বোঝার আগ্রহের ।
উপলব্ধির স্তরে উন্নীত না হলে জ্ঞান মাত্রই বন্ধ্যা । নিস্ফলা ।

এই জ্ঞানের পরিমার্জন, উৎকর্ষ সাধন এবং পরিশীলন দ্বারা যে মানুষ নিজেকে সাজায় সে সংস্কৃতবান । আর সংস্কৃতবান কেউ কখোন ও পরমত অসহিষ্ণু কিম্বা সংকীর্ণ চিত্তের হয় না । সে বিশ্বকে জানে আপন বলে । কল্যানকে আর শ্রেয়সকে বরণ করতে জানে দ্বিধাহীন চিত্তে , অসংকোচে ।

আজকাল কেউ আর অর্জিত জ্ঞানের পরিমার্জন, উৎকর্ষ সাধন এবং পরিশীলন করেন না । জীবিকার্জনের যোগ্য হবার প্রশিক্ষন নিতে আসেন শুধু । ইতিহাস, সমাজতত্ত্ব, সাহিত্য বা শিল্প বা দর্শন ইত্যাদি বিদ্যা অর্জন তার কাছে সময়ের অপচয় । তাই অনুভব, উপলব্ধির জগৎ থেকে তারা থাকেন বিচ্ছিন্ন ।

তাই নিজেকে চিনতে হবে আগে । তারও আগে চাই উপলব্ধির জ্ঞান ।

৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: আল - বিরুনী প্রমিথ ,




খুব সুন্দর লিখেছেন । আরও একটু পরিষ্কার করা যেত ।
একটা ক্ষোভের মিশেল থাকলেও জাগরনের কথা বলতে চেয়েছেন ।

কাদের জন্যে ?

জানেন তো শেখা, জানা আর বোঝা সমাথর্ক নয় । যেটা শেখা হয় তা ই শিক্ষা । যা জানা যায় তা ই বিদ্যা । যাকে আমরা বলি – জ্ঞান । আর যা বোঝা যায় তা ই হলো বোধি বা প্রজ্ঞা ।
বুঝবার জন্যে শেখার , জানার ও সঠিক একটা বয়সের প্রয়োজন । সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন বোঝার আগ্রহের ।
উপলব্ধির স্তরে উন্নীত না হলে জ্ঞান মাত্রই বন্ধ্যা । নিস্ফলা ।

এই জ্ঞানের পরিমার্জন, উৎকর্ষ সাধন এবং পরিশীলন দ্বারা যে মানুষ নিজেকে সাজায় সে সংস্কৃতবান । আর সংস্কৃতবান কেউ কখোন ও পরমত অসহিষ্ণু কিম্বা সংকীর্ণ চিত্তের হয় না । সে বিশ্বকে জানে আপন বলে । কল্যানকে আর শ্রেয়সকে বরণ করতে জানে দ্বিধাহীন চিত্তে , অসংকোচে ।

আজকাল কেউ আর অর্জিত জ্ঞানের পরিমার্জন, উৎকর্ষ সাধন এবং পরিশীলন করেন না । জীবিকার্জনের যোগ্য হবার প্রশিক্ষন নিতে আসেন শুধু । ইতিহাস, সমাজতত্ত্ব, সাহিত্য বা শিল্প বা দর্শন ইত্যাদি বিদ্যা অর্জন তার কাছে সময়ের অপচয় । তাই অনুভব, উপলব্ধির জগৎ থেকে তারা থাকেন বিচ্ছিন্ন ।

তাই নিজেকে চিনতে হবে আগে । তারও আগে চাই উপলব্ধির জ্ঞান ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.