নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভারসাম্য মাত্রই কৃতিত্ব নয় ।

আল - বিরুনী প্রমিথ

আল - বিরুনী প্রমিথ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চক্র

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩০

চেনা ঘরে প্রবেশ করতেই ঘরের চাইতেও বেশী পুরনো খকখক কাশির আওয়াজ শোনা যায় । অবিরাম । ক্লান্তিহীন । যখন শুরু হয় তারপর সহজে আর থামাথামির নাম-গন্ধ নেই । কি যে যন্ত্রণার তা বলে শেষ করা যাবেনা । বাড়ির মানুষজন হিমসিম খায় । তবু আর কি করা ? ডাক্তার – বদ্যি বহু দেখিয়েছে কিন্তু কেউই প্রতিকার করতে পারলোনা । শীতের বেলাতে প্রকোপ আরো বেশী বেড়ে যায় । তখন বারেক মিয়ার কাশির দমকে ঘরের দেয়ালগুলোও যেন কাঁপতে থাকে । হয়তো অনিচ্ছায় । হয়তো বাড়ির এককালীন কর্তার প্রতি ভালোবাসায় । ছেলে বদরুল বাপের ধারাবাহিক কাশির আওয়াজে গুঢ় কোন চিন্তায় নিজেকে জড়িত করতে আগ্রহী হয়না । বুড়ো বাপটা হাড়মাস কালি করে দিলো একেবারে । সারাটাজীবন ।



অনেকদিন পরে আজকে সন্ধ্যাটা নির্ঝঞ্ঝাট কাটলো বদরুলের । কিন্তু সেখানেও বুড়ো বাপ থেকে নিস্তার ছিলো কই ? সদ্যই পার্টির শামীম ভাইয়ের কল্যাণে বিক্রমপুরের জমিটার ব্যবস্থা ফাইনালী পাকা করে ফেললো । ছেলে-মেয়ে বড় হতে হতে সেই জমির দাম নিশ্চিতভাবেই হু হু করে বেড়ে যাবে । তাদের বিদেশে পড়ার খরচ এই জমি কেনাবেঁচা থেকেই দেওয়া যাবে । বাপ হিসাবে সন্তানদের প্রতি দায়-দায়িত্ব পালনের পথে বড় একটা বাঁধা পার হওয়া গেলো । কোথায় সেই নিয়ে বাল্যবন্ধুরা তাকে শুভেচ্ছা জানাবে , সেও খুশী মনে দামী স্কচ খাওয়াবে তা না । বন্ধুরা শুরুই করলো সেই পুরানো ক্যাচাল দিয়ে ।



“ কিরে , তোর বাপ এখনো সেই আগের মতোনই ট্যাটন আছে নাকি ? “ ইদ্রিসের চোখে বিদ্রুপ , মুখে কৌতূহলের আন্তরিক ছাপ ধরে রাখবার চেষ্টা ।



“ ইশ , বাপটা তোর এতো বছর পরে এসেও মানুষ হলোনা । ছেলে টাকাপয়সা করে সংসার ভরে দিতেছে তবুও লোকটা যদি একটু ঠান্ডা হতো । নাহ , সেই আগের গোঁ ধরেই বসে থাকবে । কাঁচা পয়সার সুখ সহ্য হয়না । “ তোরাবের কন্ঠ বন্ধুর প্রতি সমব্যাথী শোনায় ।



বদরুল বন্ধুদের কারো কথারই কোন জবাব দেয়নি । কি জবাব দেবে ? এরকম গোয়ারগোবিন্দ লোক নিয়ে পারা যায় ? মান্ধাতার আমলের সেই নীতি – নৈতিকতার কচকচানি । উফ , অসহ্য !! এখন সব জায়গায় খালি টাকাপয়সা উড়ে । বাতাসটাই পয়সায় ভরপুর । কেবল তাকে খামচে ধরবার কৌশল জানা চাই । না শিখলে মানুষ বাঁচবে কিভাবে ? কিন্তু কে বুঝাবে লোকটাকে ? তার সেই একই কথা , গৎবাঁধা । যেন টেপরেকর্ডার বাজছে অবিরাম । “ আমাগো সময়ে রাজনীতি কি আমরাও করিনাই বদরুলের মা ? দেশ নিয়া , জাতি নিয়া চিন্তাভাবনা অহনকার ছোঁড়াগুলার থেইকা অনেক বেশী আছিলো আমাগো । বিয়ার পরে পাঁচ বচ্ছর তুমি কতোই না কষ্ট করলা খেয়াল আছে ? হের পরে কি হইলো ? তোমার পোলা হইলো , আমিও আস্তে আস্তে সংসার গুছাইয়া আনলাম । কতো জায়গা থেইকা কতো লোভ দেখাইলো মানুষজনে । কই , আমি তো গুয়ে পা দেইনাই । তারপরেও তোমার ঘরে পিন্দনের শাড়ী কোনটা ছেঁড়া আছিলো কও ? এই কথা আমারে কোনদিন কইতে পারবানা । রাজনীতি আমরাও করছি । কিন্তু দেশরে ভালোবাইসা । লগে সংসারের দেখভালও করছি । অহনকার ছ্যামড়াগুলারে দেহো । খালি ছোটে ট্যাকার পিছে । তোমার পোলারে দেহো । চিন্তা নাই ভাবনা নাই খালি আছে ট্যাকার ধান্দায় । ট্যাকার লাইগা পারেনা এমন কোন কাম আছে ? একদিন দরকার হইলে তোমারে – আমারেও লাত্থি দিয়া ঘর থেইকা বাইর কইরা দিবো । তুমি দেইখা নিও , সেইদিনে বুড়ার কথা তোমার মনে ধরবো । “



“ ও বদরুল “ চিকন মিহি স্বরে জননী আমেনার কন্ঠ এই শীতে তীব্র হয়ে বদরুলের কানে পৌঁছালে জনকের গৎবাঁধা ঝাঁঝালো বাক্যমালার রোমন্থন থেকে মুক্ত হতে পারে সে স্বস্তি পায় । আজকের রাতটাও তার জব্বর কাটবে । তার বউ , ছেলেমেয়ে সহ নিজের বাপের বাড়িতে গেছে । রাতভর মাল গেলা যাবে । গলা অবধি । ভাবতে ভাবতে সরু অথচ ঋজু রেখার আমেনা বদরুলের সামনে এসে দাঁড়ায় ।



“ কাইল সকালে করিম ডাক্তারের চ্যাম্বারে গিয়া তারে বাড়িত আসতে কইস । তর বাপের কাশি আইজকা বাড়াবাড়ি হইছে । থামেইনা । এমনে আর কতো ? “ আমেনার কন্ঠে অসহায়তা । সাথে ক্লান্তিও ছাপ ফেলতে আরম্ভ করেছে ।



ঠোঁটে একটা নীরব অথচ তীব্র বিদ্রুপের হাসি ফুটে উঠে বদরুলের । যেন অদৃশ্য যেই লড়াইটা পিতা – পুত্রের মাঝে বছরের পর বছর ধরে চলছে তার মীমাংসা হয়ে গেছে । তীব্র অস্বস্তিকর দ্বৈরথটা যেন তার জয়লাভ করা হয়ে গেছে । নিষ্পৃহ থাকবার চেষ্টা করতে করতে সে হালকা শ্লেষ মেশানো গলায় বলে ,



“ তা বুড়া মিয়া কি রাজি হইবো ? করিম ডাক্তারের যেই ভিজিট ফি তাতে সৎ পয়সায় তো তারে বাড়িত আনা যাইবোনা । আনতে হইলে আমার কামানো কাঁচা পয়সাতেই তারে নিয়া আসতে হইবো । হেয় সহ্য করবার পারবো ? “



পিতা – পুত্রের দুর্বোধ্য লড়াইতে আমেনা বরাবরই অসন্তুষ্টি পোষণ করে এসেছে । সেটার প্রতিফলন তার কন্ঠে স্পষ্ট হয় ।



“ তোগো বাপ – ব্যাটার খিঁচ নিজেগো কাছে রাখ । আমারে হুনাইয়া লাভ নাই । কাইল সকালে করিম ডাক্তারের চ্যাম্বারে গিয়া তারে বাড়িত নিয়া আসবি । কাশতে কাশতে কোনদিন না মইরাই যায় । “



বদরুলের মুখে কিছু কথা এসে গিয়েছিলো । মুখ ফুটে বলার আগেই ঝট করে আমেনা ঘর থেকে সরে গেলে সেগুলো অব্যক্ত থাকে । তবে হারিয়ে যায়না । বদরুল এতোদিন লক্ষ্য করেনি তবে এখন দেখলো তাদের ঘরটার বিভিন্ন জায়গা থেকে চুন খসে খসে পড়তে শুরু করেছে । শীতকালে এই ড্যাম্পনেসটা আরো বেশী সমস্যার । বদরুল খাটের নিচ থেকে বোতল বের করতে হাত বাড়ায় । পেটের মধ্যখানে একটু ঝাঁকির মতো লাগে । একসময় বেশ স্লিম শরীর ছিলো । পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পাবার পর থেকেই বেশ একটা ভুড়ি বাগিয়েছে । মোটা বোতলটা ততক্ষণে টানটান বিছানার মাঝে । প্রায় চল্লিশ মিনিট পরে বদরুলের মেদবহুল শরীরটা নিস্তেজ হতে শুরু করলে বোতলটা তার পাশে অর্ধেক পূর্ণ হয়ে পড়ে থাকে ।



পরদিন সকালে করিম ডাক্তারের চিকিৎসা শেষে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বারেক মিয়া ঘরে পড়ে থাকাকে সমীচীন বলে মনে করেনা । স্ত্রীর মৃদু নিষেধ অতঃপর হালকা অভিশম্পাতকে এড়িয়ে ঘর থেকে বেরুলে বাইরের সূর্য ছাড়াও বুকের ভেতরে নতুন সূর্যকে বারেক মিয়া অনুভব করতে পারে । ছেলের কামানো কাঁচা পয়সায় তার আজকের চিকিৎসা হয়েছে । এই অবস্থায় ঘরে বসে বসে সে কথা মনে করে কি আবারো অসুস্থ হয়ে পড়বে নাকি ? বউকে এই কথা বলাও যায়না । কাউকেই বলা যায়না । বিশটা বাড়ি পার হয়ে আনোয়ার মাস্টারের বাড়িতে যাবার প্রয়োজনীয়তা এই কারণেই তাকে ব্যাখ্যা করতে হয়েছে । এই আনোয়ার মাস্টারের বাড়িটা তার জন্য মস্ত সুবিধার হয়েছে । অস্বস্তিকর সময় এড়াতে চাইলেই সেখানে চলে যাওয়া যায় ।





সোজা আনোয়ার মাস্টারের ঘরে ঢুকলে তার গলায় হালকা আনন্দের আভাস পাওয়া যায় ।



“ আরে তুমি ? আইজকা আইবা এইডা আশা করিনাই । পরশুদিন ভাবীর লগে দেখা হইছিলো । কইলো কাশতে কাশতে তোমার অবস্থা কাহিল । অহন দেখি নিজেই আইসা পড়লা , বাহ বাহ । “



বারেক মিয়া সলজ্জ হাসি হাসে । এই একটা আনন্দের জায়গা । ঘরে ঢুকতে ঢুকতেই আনন্দ । স্বস্তির আগমন । সাধে কি কারণে – অকারণে এখানে আসে ?



কিন্তু হালকা কুশলাদি বিনিময়ের পরে সেই আনন্দে ব্রেক কষে আনোয়ার মাস্টার বলে বসে “ তোমার পোলায় তো দেখাইয়া দিছে । দুই সপ্তাহ আগে খবর পাইলাম বিক্রমপুর না কই জানি জমিও কিনা ফালাইছে । তোমার নাতিপুতির বিদেশে পড়ালেখার বন্দোবস্ত নিশ্চিত । কাশির রোগ বাদ দিলে অহন তোমার কেবল পায়ের উপরে পা তুইলা আরাম করনের সময় । “



এইসব কথার কি জবাব দিতে পারে বারেক মিয়া ? শৈশবে চাচীর মুখে প্রায়ই একটা কথা শুনতো । ‘ টকের ডরে পালাইয়া আইসা তেঁতুলতলায় বাস । ‘ তারও এখন এই অবস্থা । কোথায় হারামজাদা ছেলের কাছে তার পরাজয়ের কথা ভুলতে এখানে এসেছে তাও নিস্তার নাই । এখানেও ঘুরেফিরে সেই ছেলের কথাই চলে আসলো । বারেক মিয়ার দাঁত শিরশির করে । বহু বছরের পুরানো দাঁত । যদিও এখনো তার কোনটাই পড়ে যায়নি ।



চা আর হালকা নাশতা নিয়ে ঘরে ঢুকতে ঢুকতে আনোয়ার মাস্টারের স্ত্রী জমিলাও বারেক মিয়ার পুত্রের প্রশংসায় যোগ দেয় । “ আপনার পোলায় আসলেই একখান হীরার টুকরা বারেক ভাই । কাছ থেইকাই তো দেখতাছি । অল্প সময়ের মইদ্দে কত কি না কইরা ফালাইলো । আপনি অন্য পোলাদের কথা ভাবেন । জলিল মিয়ার পোলায় নেশা – ভাং কইরা বস্তিতে পইড়া থাকে মাসের বিশদিন । শিকদার সাহেবের পোলারে ছিনতাইয়ের লাইগা পাবলিক রাস্তায় পিটাইয়া মারলো । আকরাম সাহেবের পোলায় মাইয়া মানুষ নিয়া বেলেল্লা করে । পাড়ার সবে জানে । কিন্তু বদরুল ? টাকাপয়সা কইরা বুড়া মা – বাপরে দেখতেছে । নিজের পোলামাইয়াগোর বন্দোবস্তও কইরা ফালাইছে অল্প বয়সে । “



ছেলের প্রশংসায় আনোয়ার মাস্টারের বাড়ির কর্তা – কর্ত্রী উভয়ই দীর্ঘসময় পঞ্চমুখ থাকে । বারেক মিয়ার ইচ্ছা হয় হাতুড়ি কি শাবল যোগাড় করে নিজের মাথায় নিজেই বাড়ি দেন । কি কুক্ষণে এই সময়ে এখানে এসেছিলেন আল্লাহই মালুম । হীরার টুকরা পোলা তার , থুঃ । এই কুলাঙ্গার পোলার কাছে নেড়ি কুত্তার মতো এই বুড়া বয়সে পড়ে থাকবার লজ্জা অন্যরা বুঝবে কি ? টাকাপয়সা করছে , হাহ । কতজনের মুখের খাবার কাইড়া নিয়া সেই পয়সা হইছে খবর রাখে বাইরের মানুষে ? হয়তো সেই খবর রেখেও চুপ করে থাকে । এখন তো এটাই নিয়ম । যুগের নিয়ম । আনোয়ার মাস্টারের কথাই ধরা যাক । শালা , সরকারী হাইস্কুলে সামান্য কয় পয়সা বেতন পায় । দিব্যি সাইত্রিশ ইঞ্চি কালার টিভি কিনে বসে আছে । কোত্থেকে এই পয়সা আসে বারেক মিয়া বুঝেনা ? সে কি ঘাসে মুখ দিয়ে চলে ? অবশ্য এরা তো বাইরের মানুষ । ঘরের ভেতরেও তো সেই একই কেচ্ছা । ছেলে যেই টাকাপয়সার মুখ দেখতে শুরু করলো তার বউ নিজের পোলার দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে । ধীরে ধীরে । সাবধানে । প্রথম অনেকদিন বারেক মিয়াও বুঝতে পারেনি । যখন বুঝলো ততোদিনে অনেক দেরী । সে ততোদিনে ঘরেও নিঃসঙ্গ হতে শুরু করেছে । শালার , চারিদিকে ধান্দাবাজ দিয়ে ভর্তি হয়ে গেছে । বারেক মিয়া না পারে কিছু বলতে না পারে সইতে ।



এরপরে আর বেশীক্ষণ আলাপ চালানো যায়না । প্রায় ঘন্টাখানেক থেকে বারেক মিয়া বের হয়ে আসে । বাইরের আকাশটা গতানুগতিক দেখায় । নীল এবং নৈর্ব্যক্তিক । নর্দমা দিয়ে রাস্তার ধারের দেওয়ালে যেই শ্যাওলা লেগে আছে তার আস্তরণ গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে । মনুষ্যপ্রাণীর মল-মূত্র সমেত । বারেক মিয়া বাড়ির উদ্দেশ্যে হাঁটতে থাকে সচেতন । দীর্ঘদিন ধরে বুকে জমে থাকা অনুভূতির ভাঙ্গা-গড়ার মধ্য দিয়ে তার আটপৌরে সময় অতিক্রান্ত হয় । একটু আনমনা হয়ে গিয়েছিলো । ঠেলাগাড়ীর সাথে ধাক্কা খেয়ে পেটে বেশ জোরসে ব্যাথা পেলে দুইটা খিস্তি দিয়ে বারেক মিয়া সামনে এগোয় । কাশির থেকে মুক্তি পেলো তো এখন পেটে গোত্তা খেলো । বেশ ব্যাথা করছে । ছরে গেছে কিনা কে জানে । বাড়ি ফিরে পাঞ্জাবী খুলে দেখলেই হবে । এই বয়সে এতো শারীরিক কষ্ট আর নেওয়া যায়না ।



দরজায় কড়া নাড়লে কাজের লোক হাসমত সবল হাতে দরজা খোলে । সদ্য রঙ করার দরজার ঘ্রাণ বারেক মিয়ার নাকে এসে লাগে । নাকটা হালকা কুঁচকে গেলে নিজের ঘরে এগোতেই সামনে স্ত্রী ও পুত্রকে দেখে । তাদের নিজেদের মধ্যকার কোন গোপন কথোপকথন । বারেক মিয়াকে দেখে উভয়েই নিজেদের মধ্যে ইশারা করলে বারেক মিয়া দেখেও না দেখবার ভান করে । পোলায় নিশ্চয়ই নতুন কোন ধান্দাবাজির গপ্প শোনাচ্ছে নিজের মাকে । আগে এসব দেখলেই সাথে সাথে চিৎকার করে বাড়ি মাথায় উঠাতো । পোলার সাথে আদর্শগত দ্বন্দ্ব আর ঝালিয়ে কাজ নেই । ঠেলাগাড়ির যেই গুতা পেটে খেয়েছে এখনো ব্যাথা করছে । হয়তো ডাক্তার দেখাতে হতে পারে । এখন তার বয়স তো হয়েছে অনেক । বাকি সময়টা শুধু আল্লাহ আল্লাহ করে পার করে দিলে কি দোষ ?









মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৭

নিলু বলেছেন: শেষ বয়সেই আমরা সাধারনত ধর্ম ভীরু হতে চাই

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৮

আল - বিরুনী প্রমিথ বলেছেন: লেখার মূল মেসেজের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.