নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় প্রকৌশলী। অন্তর্মুখী। কবিতা ভালোবাসি ভীষণ। লিখিও

ঋতো আহমেদ

আমার হাতের দিকে বাড়ানো তোমার হাত। হাতের ভেতরে শিখা, শত্রুতার এমন রূপ! কামনা বিভীষিকা

ঋতো আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনলিপি

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৩


০৬.০৬.২০১৯
নিজেকে শুকোনোর জন্য প্রলম্বিত করি আমার ছায়া। আর বৃষ্টিবিন্দুগুলি নেমে আসে কাঁধ বরাবর। সেই সাথে গড়িয়ে নামে আমার কান্নারাও। তুমি আজ কোন গ্রহে আছো জানা নেই। জানি না সেখান থেকে কোনো আলো এসে আদৌ পৌঁছায় কি না পৃথিবীতে। অথবা তোমার ছায়া এসে আমার ছায়ায় কোনো গ্রহন সৃষ্টি করে কি না তা-ও বুঝতে পারি না। শুধু তোমার নামের আদ্যাক্ষর আমার গড়িয়ে নামা জলের সাথে মিশে একটা হাহাকার সুর তুলতে চায় মাঝেমধ্যেই। একটা শূন্যতার শব্দের ঔরসজাত ধ্বনির থেকে বারবার প্রতিধ্বনিত হতে চায়। জানতে চায় কেমন আছো তুমি। ভালো আছো তো?

সমগ্র সকাল সূর্যের নিচে দাঁড়িয়ে থেকেও আমার শুকোনো হয় না। ভেজা শরীর নিয়ে আর ভেজা চোখ নিয়ে আমি একবার আকাশের দিকে তাকাই আর একবার অন্তরাত্মার দিকে। তারপর রাত্রি নেমে এলে ঘন হয়ে আসে কবেকার সব জমাটবদ্ধ দীর্ঘশ্বাস। আমার ভালো লাগে না।…

২২:০০; বাইলেন

০৭.০৭.২০১৯
যে কোনো দিন যে কোনো একটা কথা বলতে চেয়ে যখন তাকিয়েছি তোমার কক্ষপথে, তুমি তখন সৌরজগত ছেড়ে অন্য কোথাও অন্য কোনো খানে হয়তো চলে গেছ। এর বেশি আর কিচ্ছু জানিনি তখনো। এদিকে, পরিক্রমার মধ্য দিয়ে যখন সমগ্র পথের কোথাও খুঁজে পেলাম না তোমায়, তখন, চিরতরে যাওয়া বলতে হয়তো এটাই বুঝায় ভাবছিলাম! আর, তেমনটা ভাবতে ভাবতেই নীলাভ সবুজ একটা ছায়াপথ এসে পৌঁছে গেল সেই ভোররাতে। ঠিক আমার বুকের উপরে। শিয়রের দিকে মেলে ধরা তার আশ্চর্য সপ্রতিভ চাহনি। ভালো করে তাকালে শেষ পর্যন্ত দেখতে পাই সে,

আমারই এক ঘন দীর্ঘশ্বাস!

২৩:৪৫

১২.০৭.২০১৯
তোমাকে পড়তে পড়তেই ডুবে যাই। তোমাতে ডুবতে ডুবতেই ভেসে উঠি। আহ্,, কী বিপুল জলের ময়দান! আমাকে বারণ করো আমাকে বারণ করো আমাকে বরণ করো এইবার—

এই বর্ষণে, নিহত নিয়মগুলো সব, শব হয়ে ভেসে যাক দূরে। দূর পারাবার…

১২:২৫

১৪.০৭.২০১৯
না-বলা আগুনগুলো সব জমে জমে সমুদ্র হয়ে গেল। তবুও বলি না আমি। বলি না একটুও—কী আশ্চর্য! কী অদ্ভুত! অসাধারণ সব ভুল। না-বলা আগুনগুলো সব—আগুন আগুন জল

২১:৪৮

১৭.০৮.২০১৯
ছোটবেলায় এক প্রেমিকাকে একবার একটা নদ উপহার দিয়েছিলাম। তারপর সেই নদের স্রোতে কোথায় যে ভেসে গেল সে! এই চল্লিশে এসে আজ‌ও খুঁজে পাইনি তাকে। তুমি বললে, সাগরে খুঁজতে। আমি বললাম, না, নদের তো আর সাগরের সাথে কিছু নেই। তাই পৃথিবীর যতো নদী রয়েছে যতো যমুনা রয়েছে আমি কেবল সেদিকেই সাঁতরে গেছি। আর আজ এতোকাল পর নদ/নদী সবই প্রবাহিত হচ্ছে এই শরীরে যে যার নিজের মতোন সাবলীল। শুধুমাত্র নেই আমার অগ্নি।

ভাবছি এরপর যখন খুঁজবো, আমৃত্যু আমি সাগরে কাটাবো।

১৪:২৫

২০.০৮.২০১৯
আমি ঘুরতে ঘুরতে ঘুরতে ঘুরতে একটা চিঠির ভেতর ঢুকে পড়েছিলাম গতকাল রাতে। আবছা আলোয় দেখতে পেয়েছিলাম কার যেন ক্ষয়ে-যাওয়া মুখ সেখানে আমার‌ই দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাচ্ছে। আর, এইসব সম্পূর্ণ বুঝে উঠার আগেই চিঠিটা বৃষ্টিতে ভিজে গেল। দেখলাম একটা যুক্তাক্ষর সম্বলিত ঈষৎ বাঁকা হাসি মুহূর্তেই গলে গেল। মিলিয়ে গেল আমার হাতের রেখায়। তারপর থেকে সময় গড়িয়ে যাচ্ছে কেবল। গতকাল থেকে এই একটি দিনের ভেতর-যে লুকিয়ে ছিল আস্ত একটা মহাকাল—আজ—এই মাঝরাত্তিরে এসে আশ্চর্য শূন্যতার বোধে আমার বোধগম্য হচ্ছে তা ধীরে।—ধীরে ধীরে জানতে ইচ্ছে করছে খুব: কেমন আছো?... কেমন আছো তুমি? ভালো আছো তো?

২২:৫৫

২১.০৮.২০১৯
আমার বুদ্ধি বলে কিছুই ছিল না তখন। নিজেকে প্রকাশ করতে গিয়ে বারবার ছেলেমানুষী-ই প্রকাশ করেছি। আর তুমি বিরক্ত হয়েছ। চুইংগাম চিবুতে চিবুতে মাঝেমধ্যে তাকিয়েছ আমার দিকে—অবজ্ঞায়, তাচ্ছিল্যে আর ঘৃণায়। কখনো কৌতুক ছিল কখনো-বা করুণার সেই চোখ। তারপর ছুঁড়ে ফেলেছ রাস্তায়—পায়ের নীচে। তবে, আমি কিন্তু এগুলোর কিছুই পড়োয়া করিনি। কারণ, বুঝে নিয়েছি সত্যিকারের প্রেম মানুষকে শুধু নির্বোধ-ই করে না—পোড়ায়-ও।

২০:০০

২৭.০৮.২০১৯
রাত নামেনি। তবুও রাতের গন্ধ ভেসে এলে মনে পড়ে তোমার কথা। মিলিয়ে গেছ কবেই। তবু হাতরে বেড়াই। হাওয়ার ভেতর। জলের কান্নার ভেতর। নেই, কিছুই নেই। শুধু শুয়ে আছে কবেকার নদ। তীরে তীব্র হাহাকার। বলি: দাঁড়াও এবার। যেখানেই থাকো, দুদণ্ড তাকাও ওই ঢেউয়ের দিকে। আমার কামনার দিকে। দ্যাখো—

তোমাকে জড়িয়ে কীভাবে আছড়ে পড়ছে মহাকাল!

১৮:০০

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪৬

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: শূন্যতা থেকে জন্ম নেওয়া তীব্র হাহাকার

ভালো লেগেছে অন্তহীন শূন্যতার আবেগগুলো

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৫২

ঋতো আহমেদ বলেছেন: বলেছেন: ধন্যবাদ রাবেয়া আপা। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে। শুভ কামনা জানবেন।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৫০

জাফরিন বলেছেন: অসাধারণ! লেখা ভালো লাগলো।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ জাফরিন আপু। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। শুভ কামনা।

৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:৩৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে পড়লাম।
আপনাকে পড়তে পড়তে আমি আমার মধ্যেই ডুবে গিয়েছিলাম। কারো স্মরণে শূন্যে ওড়ানো ঘন ঘন দীর্ঘশ্বাস, না বলা আগুনকথা, প্রাক্তন চিঠি.... সবিই আমার আছে।

+

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৫

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ জুনায়েদ ভাই। না বলা আগুনকথা, প্রাক্তন চিঠি...মিলে যাওয়ায় ভালোলাগা রইলো। শুভ কামনা

৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আবেগ গুলো লিখে রেখে ভালো করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.