নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় প্রকৌশলী। অন্তর্মুখী। কবিতা ভালোবাসি ভীষণ। লিখিও

ঋতো আহমেদ

আমার হাতের দিকে বাড়ানো তোমার হাত। হাতের ভেতরে শিখা, শত্রুতার এমন রূপ! কামনা বিভীষিকা

ঋতো আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুর্দি কবি আব্দুল্লাহ পেশোয়ার কবিতা

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:১১



বিশিষ্ট কুর্দি কবি ও লেখক আবদুল্লাহ পেশোয়ারকে বহুল জনপ্রিয় জীবিত কুর্দি কবি হিসাবে গণ্য করা হয়। জন্মেছিলেন ১৯৪৬ সালে ইরাকী কুর্দিস্তানের আর্বিলে। সেখানে টিচার্স ট্রেনিং ইন্সস্টিটিউশনে লেখাপড়া করেন। তিনি ১৯৭০ সালে বাগদাদে কুর্দিজ রাইটার্স ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠায় সংযুক্ত ছিলেন। কিন্তু ১৯৭৩ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন চলে যান। এবং ১৯৭৯ সালে এমএ আর ১৯৮৪ সালে দর্শনশাস্ত্রে পিএইচডি করে পরবর্তী ৫ বছর লিভিয়ার ত্রিপলিতে শিক্ষকতা করেন। এরপর ১৯৯৫ পর্যন্ত ফিনল্যান্ডে বসবাস করেছেন। তাঁর প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় ১৯৬৩ সালে আর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ১৯৬৭ সালে। তারপর তাঁর আরও সাতটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলো ’বড়উ জর্দাপার (গোধূলির দিকে যাত্রা)’ আর ’হেসপিম হিউরু রেকিফিম চিয়া (মেঘ আমার ঘোড়া, পর্বত আমার রেকাব)’। এছাড়া তিনি কুর্দিতে ওয়াল্ট হুইটম্যান আর আলেকজান্ডার পুশকিন অনুবাদ করেছেন।

আবদুল্লাহ পেশোয়ার

১.
যদি চাও
তোমার বাচ্চাদের বালিশগুলো
প্রস্ফুটিত হোক পিঙ্কের মতো,
যদি চাও বরফ-সাদা সিল্কি
স্বপ্নের দোলনায় বেষ্টিত হোক ওরা,
যদি তুমি চাও ওদের ডায়াপার হোক
রংধনুর মতো রঙীন আর
মসীহার হৃদয় দিয়ে
খেলুক পুতুল ওরা,
যদি চাও
ইক্ষুর ফলনে ভরে উঠুক তোমার আখক্ষেত,
যদি চাও তোমার আনন্দের উচ্ছ্বাস থেকে
সূর্য তার তৃষ্ণা মেটাক,
যদি চাও ওই ঘন মেঘেরা তোমার মাঠগুলোয়
সবুজের বার্তা পাঠাক আর
মেলে ধরুক বসন্তের ঢুলুঢুলু চোখের ওই পাপড়ি,
তাহলে মুক্ত করো—
মুক্ত করো
আমার জবানে বাসা বাঁধে
যেই পাখি।

০৪.০৬.১৯৭২
কুর্দিস্তান


২.
তোমার সাথে পরিচয়ের আগে,
আমি ছিলাম আত্মকেন্দ্রীক, এক শিশু।
চওড়া আকাশটাকে
ভাবতাম একটা তাঁবু
আমার জন্যই টাঙানো রয়েছে, আর
অন্য কেউ নয় কেবল আমার দ্বারাই অধ্যুষিত
এই পৃথিবীটা একটি প্লাবন-পরবর্তী দ্বীপ মাত্র।

কিন্তু হঠাৎ করেই তোমার ভালোবাসা এসে পৌঁছুল আমার কাছে
আর ধ্বংস করে দিল আমার এই দুর্গ, দুর্গের দেয়ালগুলো,
বদলে দিল সব রঙ
বাতিল ঘোষণা করলো সমস্ত আইন।
আমার নির্জনতার জন্য
বিশাল পৃথিবীটাকে একটি খাঁচায় পরিণত করে দিলো সে।
শিখিয়ে দিলো
অর্ধেক বালিশে কী করে সন্তুষ্ট থাকতে হয়।

০১.১২.১৯৭৩
ভরোনেজ


বাংলা অনুবাদ: ঋতো আহমেদ
২০।০৪।২০২০
ছবিসূত্র: ইন্টারনেট

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো লাগলো। +

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

ঋতো আহমেদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আলি ভাই

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: দুটা কবিতাই সুন্দর। আবেগ আছে, ভালোবাসা আছে, পাওয়া না পাওয়া আছে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৮

ঋতো আহমেদ বলেছেন: বাহ্,, পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার দুটি কবিতা সঙ্গে কবি পরিচয় পেয়ে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর দুটো কবিতা পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ++

অফটপিক- আপনাকে আর কি আমরা নিয়মিত পাবো না?
বিশ্বব্যাপী ক্রান্তিকালের দ্রুত অবসান ঘটুক। বাসায় থাকুন সবাইকে নিয়ে সুস্থ থাকুন।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০৭

ঋতো আহমেদ বলেছেন: কবিতা পড়ে মন্তব্য জানানোয় কৃতজ্ঞতা দাদা।
আশা করি ভালো আছেন। বহুদিন পর আজ বেরিয়েছিলাম। থমথমে শহরটাকে খুব অপরিচিত লাগলো।জানিনা কবে শেষ হবে এই ক্রান্তিকাল! ততোদিন বাঁচবো কীনা এমন নিরাশার প্রশ্নও শুনছি অনেকের কাছে।
নিয়মিত হবার চেষ্টায় আছি। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:১৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০৯

ঋতো আহমেদ বলেছেন: মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো সেলিম ভাই। শুভ কামনা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.