নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুরা ঘুরি একদিন (ফ্যান্টাসি কিংডম না নন্দন পার্ক) পর্ব ১ এরপর
(নন্দনে প্রবেশে)
প্রথম রাইড ট্রেনে যাবার
এরপর চলন্ত ঘুন্নিতে উঠি। সোহাগ ও তার বউ উঠতে চায় ছিল না। কিন্তু আমি তাদের জোর করায় তারা রাজী হয়। আমি আর আজম এবং অন্যটায় সোহাগ ও তার বউ। তিন মিনিটে ঘুন্নিতে সোহাগ ও তার বউ চোখ বন্ধ করে ছিলো।
এরপর বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি। সবাই মিলে গাড়ি চালাই।
এরপর জিপ রাইড। ৪৫ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট টাওয়ার থেকে ৪৫ ডিগ্রি স্লোপে ১৪ মি.মি. স্টিল ওয়ারের সাহায্যে স্যান্ডিং পয়েন্টে বা ভূমিতে অবতরণ করতে হয়। এটি একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় রোমাঞ্চকর রাইড।
হঠাৎ ওয়াটার ওয়ার্ল্ড প্রবেশের আগ মূহত্তে আমাদের চোখে পড়ে গোলাপ পিকনিক স্পট।
এরপর ওয়াটার ওয়ার্ল্ড প্রবেশ করি বেলা ১টা ২০ মিনিটে। ওয়াটার ওয়ার্ল্ডের রাইডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ওয়েভ পুল, ওয়েভ রানার, ডুম স্লাইড, মাল্টি প্লে জোন এবং ওয়াটার ফল অ্যান্ড মিস্ট।
ওয়েভ পুল : সমুদ্রের স্বাদ নিয়ে এলো ওয়েভ পুল। সমুদ্রের মজা পাওয়ার জায়গা সমুদ্র ছাড়া এই একটাই। নানান ঢেউয়ের মেলা এখানে। হালকা ঢেউ, ভারী ঢেউ , উত্তাল ঝোড়ো ঢেউ। ঢেউয়ের সাথে নাচবে মন, সাথে শরীর যাবে ভেসে।
স্যুট ও ফ্যামিলি কার্ভ টিউব স্লাইড : প্রায় তিন তলা সমান উচ্চতা থেকে দু’টি ভিন্ন ধরনের টিউবের ভেতর দিয়ে সোজা পানিতে। প্যাঁচানো পথে রাবারের ভেলায় চেপে পানির সাথে স্লাইড করে নামা। এ রাইডে আছে জোশ, আছে উত্তেজনা।
ওয়েভ রানার : একেবারে নয়, কিছুটা গড়িয়ে, স্লাইড করে তীব্র গতিতে নামা, এর নাম ওয়েভ রানার। দারুণ থ্রিলিং এক ফান গেম। প্রায় ৭০ ফুট ওপর থেকে রাবারের ভেলা বা ম্যাটে চড়ে টিউবের মাঝ দিয়ে সোজা গিয়ে পড়া নন্দন সাগরের মাঝে, মানে পুলে। এক অন্য রকম আনন্দ। এ যেন সমুদ্রের উঁচু ঢেউয়ের ওপর দিয়ে সারফেসিং করে ভেসে যাওয়া। এ রাইড প্রচণ্ড উত্তেজনার।
ডুম স্লাইড : পানির মাঝে ছোট্ট পাহাড়, পানির মাঝে ঢেউ, ডুম স্লাইডের পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ে কেউ। পুলের মাঝখানে এ স্লাইডের মজা বেশ। হাত-পা ছড়িয়ে পানির মাঝে পিছলে পড়ার মজা মানেই ডুম স্লাইড। সোজা হয়ে চিৎ হয়ে কিংবা কাৎ হয়ে ইচ্ছেমতো গড়িয়ে পানিতে মাছের মতো সাঁতার কিংবা হুটোপুটি। ডুম স্লাইড। হলো মজার পাহাড়, যার ওপরে আছে এক ঝরনা। পাহাড় থেকে গড়িয়ে পানিতে পড়ার আনন্দ এনে দেয়ে ডুম স্লাইড। এখানে আজমে টেনে তুলার একটি চেষ্ঠা।
মাল্টি প্লে জোন : পানিতে মজার খেলার জায়গা। যেখানে খেলা আছে ধুলা নেই। পানির রাজ্যে ধুলা আসবে কোথা থেকে? সাঁতার শেখা আর খেলা দুটোই হবে এখানে। এখানে আছে দোলনার দোল আর আছে স্লিপার। এক জাদুর বালতি ওপর থেকে ঢেলে দেবে রাশি রাশি পানির ফোয়ারা। এখানে নামা মানে বাসার কথা ভোলা। সারাদিন পানির মাঝে খেলা। ছোটদের এখানে ডুবে যাওয়ার ভয় নেই, আছে অপার আনন্দে ভেসে যাওয়ার মজা।
বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে আমরা আমাদের দুপুরের খাবার খেয়ে নেয় ওয়াটার ওয়ার্ল্ডের ভিতরে ।
ওয়াটার ফল অ্যান্ড মিস্ট : ওয়াটার ফল অ্যান্ড মিস্টে এলে পাওয়া যাবে কুয়াশার মতো এক মিস্ট, যা ছড়িয়ে থাকে এলাকাজুড়ে। এক জলপ্রপাত থেকে পানি পড়ছে জলপ্রপাতের কিনারায় দাঁড়িয়ে দেখা যাবে ইলশেগুঁড়ির চেয়ে এক মিহি বৃষ্টি ঝরছে চার পাশে। আরো আছে নানা চমক জাগানো আলোর খেলা। নন্দন ওয়াটার ওয়ার্ল্ডের এ এক রহস্যময় জায়গা। আছে মিউজিক আর আলোর খেলা। ওপর থেকে পড়ছে বৃষ্টির অঝোর ধারা। মনে হবে যেন প্রাকৃতিক বৃষ্টির মধ্যে আপনি ভুলে যাবেন বর্তমান, মিউজিকের তালে ফিরে পাবেন আপনার স্মৃতিময় দিনগুলো। আর সুরের মূর্ছনায় মন নেচে উঠবে। হবে ফান আর মাস্তি।
এরপর সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে আমরা আামাদের পোষাক পরিবর্তন করে বিদায় নেয়। নন্দনেরে সামনে চায়ের দোকানে বসে চা খায়।
এরপর সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিটে সাভার পরিবহনের গাড়িতে করে ইপিজেড আসি। এরপর আলিফ পরিবহনের গাড়িতে করে কোনাবাড়ি বাসস্ট্যান্ড আসি। সন্ধ্যা ৮টা ২০ এর মধ্যে বাসায় আসি।
এই দিনটা আমার মনে হয় আজম, গোলাপ এবং তার বউ কেউ ভুলতে পারবে না।
মা দূর্গা
©somewhere in net ltd.