নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

life is a game . lets make a highscore

প্রফেসর সাহেব

প্রফেসর সাহেব › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেমিট্যান্স বয়কট

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৯



প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ দেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে, এতে সরকার চাপে পড়বে, এটা পুষিয়ে নিতে জিনিসপত্রের দাম বাড়াবে, আর একবার দাম বাড়লে তা কি আর কমে?

একমাস দুইমাস দেশে টাকা না পাঠাইলে সরকার দেশ চালানোর জন্য ঋণ করবে, জনগণকেই সেই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। প্রবাসীরা বড়জোর দুইমাস এই বয়কট চালাতে পারবেন, এই দুইমাস আপনার পরিবার মিতব্যয়ী হয়ে চললেও প্রশাসন কিন্তু যা বেতন ভাতা নেওয়ার সেটা নিবেই, তারা বেতন কম নেবে না, এতে যে আর্থিক সংকট দেখা দেবে তা পুষিয়ে নিতে ঋণ করা বা জিনিসের দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নাই।

আর হুন্ডি মানেই তো দেশের টাকা পাচার, আপনি একলাখ টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে পাঠালেন মানে দেশ থেকে একলাখ টাকা বের হয়ে গেলো, এটা টাকা পাচারে সাহায্য করা। আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়মের বিরুদ্ধে, সেটা করতে গিয়ে অনিয়মের দোসর বনে গেলে তো লাভ বেশি হলো না।
মানে একদিকে যারা দূর্নীতি করতেছে আপনি তাদেরকে দূর্নীতিতে সহায়তা করতেছেন আবার তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতেছেন।

এইভাবে কিছুদিন চলতে থাকলে সরকার নড়েচড়ে বসবে, হুন্ডি ব্যবসায়ীদের ধরা শুরু করবে। তাদের ধরতে গোয়েন্দা লাগাবে। হুন্ডি রিস্কি হয়ে গেলে পরে ব্যবসায়ীরাও ভালো রেট দিতে পারবে না, অনেক হুন্ডি ব্যবসায়ী ধরা খাবে, ব্যবসায়ীরা ধরা পড়লে অনেকের কস্ট করে রুজি করা টাকা মরবে। ফলে আবার বৈধপথে টাকা পাঠানো শুরু করতে হবে, কিন্তু ততদিনে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে, হুজুগে বাংগালী হুজুগ বাদ দিয়া এইটু চিন্তা করেন, অন্যের যাত্রা ভংগের জন্য নিজের নাক কাটবেন না।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

নতুন বলেছেন: নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গের কোন মানে হয় না।

শেখ হাসিনার বয়স হয়েছে, উনি আর বেশিদিন নাই। আর এই ২০০ মৃত্যুর প্রভাবে উনি মানুষিক ভাবে দূর্বল হবে যাবে।

বুঝতে পারবে যে উনি কি ভুলটাই না করেছেন।

কিন্তু দেশের অর্থনিতি দূর্বল করে আয়ামীলীগের কোন ক্ষতি হবেনা। বরং দেশের অবস্থা খারাপ হলে এরা জোকের মতন দেশ ছেড়ে চলে যাবে।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

প্রহররাজা বলেছেন: হুন্ডিতে চড়া রেটে টাকা পাঠিয়ে যখন লস খাবে তখন ঠিকই সোজা পথে পাঠাবে।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ''যার যা আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে হবে''............প্রবাসীদের প্রতিবাদের একমাত্র ভাষা এই রেমিট্যান্স। সরকারের পায়ের তলায় এমনিতেই মাটি নাই। অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। রেমিট্যান্স প্রবাহ কয়েক মাস বন্ধ থাকলেই সরকার চোখে সর্ষে ফুল দেখবে। তাছাড়া ব্যাঙ্কের চাইতে হুন্ডিতে রেইটও ভালো পাওয়া যায়, প্রবাসীরা সবাই তা জানে। যারা এতোদিন বৈধ চ্যানেলে দেশে টাকা পাঠিয়েছে, সরকারের অর্থনৈতিক হাতকে শক্তিশালী করার জন্যই পাঠিয়েছে। এই সরকারের হাতে যেই পরিমান রক্ত লেগে আছে, তাকে শক্তিশালী করার মানে আরো রক্তপ্রবাহ নিশ্চিত করা।

চিন্তা করবেন না। দাগ থেকে যদি ভালো কিছু পাওয়া যায়, তাহলে দাগই ভালো।

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরেকটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছি। রেমিট্যান্স বৈধ চ্যানেলে না পাটানোর যেই কনসিকোয়েন্স আপনি বর্ণনা করেছেন, বিষয়টা এতো স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড না। এর মধ্যে বহুবিধ মারপ্যাচ আছে। এর জন্য আপনার হুন্ডি ব্যবসার অলিগলি জানতে হবে আর অল্প কয়েক মাসের অর্থনৈতিক ধাক্কার রিপার্কেশান সম্পর্কেও জানতে হবে।

মডেল হিসাবে ''শ্রীলংকা কেইস'' স্টাডি করতে পারেন। অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার কারনে খাদের কাছে দাড়িয়ে থাকা একটা সরকারের জন্য ছোট্ট একটা টোকাই যথেষ্ট। শ্রীলংকা সরকারের মন্ত্রীরা তাদের ''জাইঙ্গা'' বাচাতে পেরেছিল। বাংলাদেশ সরকার কি তা পারবে?

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

রিদওয়ান খান বলেছেন: আপনার কথা সমর্থন করি এবং এটাও জানি অন্যায়কে অবৈধ পথে বৈধ করা যায়না।
কিন্তু একটা কথা আছে 'বাংলাদেশ ইজ নট ফর বিগেনার্স'। এই দেশে বৈধ পথে কোনোকিছু করতে চাওয়া বিলাসিতা।
আমরা যেটা দেখেছি ১৪ তারিখ পর্যন্ত ছাত্ররা কোনোপ্রকার সহিংসতায় না জড়িয়ে একদম শান্তভাবে তাদের দায়-দাবী জানিয়ে আসছিলো। কিন্তু এভাবে যে এদেশে দাবী আদায় হয়না এটা প্রমাণ করতে প্রথমে নেত্রী 'রাজাকার' ট্যাগ দিলো। তারপর ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিলো, এদিকে ওবায়েদুল কাদের তাদের শায়েস্তা করার ডায়লগ দিলো। তো তারপর কী হলো তা তো আমাদের সামনেই।
কাজেই এ দেশে যেকোনো কিছুর ক্ষেত্রেই সবাই আঙ্গুল বাকায়। সোজা আঙ্গুল এ দেশে চলেনা।

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৪

রাফখাতা- অপু তানভীর বলেছেন: অনেক আগে থেকেই প্রচুর মানুষ হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠায় । আপনার হয়তো জানা নাই যে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠালে বৈধ পথে টাকা পাঠানোর থেকেও লাখে দুই তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি পাওয়া যায় ! মানুষ কোন দুঃখে বৈধ পথে টাকা পাঠাবে বলেন ? আর এখন ট সেটা তো আরো বাড়বে !

আর দেশের টাকা এমনিতেই পাচার হয়ে যাচ্ছে। এর থেকে যারা কষ্ট করে আয় করছে তারাই ঠিক করুক তাদের টাকা সঠিক ভাবে পাঠাবে নাকি হুন্ডির মাধ্যমে ।

৭| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৪

রাফখাতা- অপু তানভীর বলেছেন: অনেক আগে থেকেই প্রচুর মানুষ হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠায় । আপনার হয়তো জানা নাই যে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠালে বৈধ পথে টাকা পাঠানোর থেকেও লাখে দুই তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি পাওয়া যায় ! মানুষ কোন দুঃখে বৈধ পথে টাকা পাঠাবে বলেন ? আর এখন ট সেটা তো আরো বাড়বে !

আর দেশের টাকা এমনিতেই পাচার হয়ে যাচ্ছে। এর থেকে যারা কষ্ট করে আয় করছে তারাই ঠিক করুক তাদের টাকা সঠিক ভাবে পাঠাবে নাকি হুন্ডির মাধ্যমে ।

৮| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

রাসেল বলেছেন: যা ই করেন না কেন, লাভের গুড় জনসাধারনের জন্য না।

৯| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেক আগে থেকেই প্রচুর মানুষ হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠায়। এটা বড় সমস্যা না।

কিন্তু হুজুগে সবাই গণহারে এই কাজ করতে গেলে আইনের চোখে ধরা খাবেই। যেমন আমিরাতে ৮৪ জন চাকুরি হারিয়ে জেল জরিমানার সম্মুখিন।
হুন্ডি মানে মানি লন্ডারিং। ধরা পরলে সবদেশেই কঠিন শাস্তিযোগ্য, এটা অপরাধ। গণহারে এই কাজ করতে গেলে পুলিশের নজরে আসবেই। আর আইন ভঙ্গ করেছে প্রমানিত হলে জেল জরিমানা হবে। আমেরিকার আইনে আদালতে প্রমান হয়ে কনভিক্টেড হলে গ্রীন কার্ড বাতিল হয়ে ডিপোর্টেশন অর্ডার হয়।

বাংলাদেশের সাইডেও পুলিশ ইচ্ছা করলে ধরতে পারে। এমনিতে এনআইডি বাদে বর্তমানে আর ক্যাশ টাকা তোলা যায় না, জমাও দেয়া যায় না। কোন পরিবারের কাছে কোন কারণ ছাড়া লাখ লাখ টাকা নিয়মিত আসতেছে বিকাশে। হুন্ডি সন্দেহ করে রাষ্ট্র ইচ্ছা করলেই বিকাশ ফ্রিজ করে দিতে পারে, বা পুলিশ একটা ওয়ার্নিং দিলেই যথেষ্ট। বলবে এরপর দ্বিতীয় বার কোন কারণ ছাড়া অপরিচিত কেউ ৫০ হাজারের এর উপরে টাকা দিলে তার টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।
এর পরে তার হুন্ডিগিরি শেষ।

১০| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪৫

রানার ব্লগ বলেছেন: সাধারনের কোন লাভ নাই।

১১| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

প্রফেসর সাহেব বলেছেন: এইভাবে কিছুদিন রেমিট্যান্স বন্ধ হলে সরকার নড়েচড়ে বসবে, হুন্ডি ব্য্যবসায়িদের ধরতে অভিযান চালাবে, এদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করতে দুই চাইরটা হুন্ডি ব্যবসায়ীরে ক্রসফায়ারে দিতেও পারে, তখন বাকিগুলো গা ঢাকা দেবে, আর প্রবাসীরা দেশে দুইমাসের বেশি টাকা না পাঠিয়ে থাকতে পারবে না। সবার পরিবারের সেই সামর্থ্য নাই। হুন্ডি ব্যবসায়ীদের ধরা বা ক্রসফায়ার হলে অনেকে সে ব্যবসা বাদ দেবে, অনেক প্রবাসীর টাকা মাইর যাবে। ফলাফল আবার বৈধপথে টাকা পাঠানো শুরু হবে। এটা হইতেছে নিজের নাক কাইটা অন্যের যাত্রাভঙ্গ, খুববেশী লাভজনক কিছু না।

১২| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:






অসাধারণ সুন্দর একটি পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.