নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সরল মনের সরল কথা

রুবন্স

একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের মতামত উপস্থাপনকারী একজন সাধারন প্রজা ।

রুবন্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরিবর্তন হোক প্রতিবাদের ভাষা, আসুক সুসাশন।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২২

সেদিন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি হঠাৎ দেখলাম এক জন ক্ষমতাবান ব্যাক্তির পক্ষে মিছিল করছে কয়েকজন মিছিলকারী। স্লোগান হচ্ছে ".......... ভাইয়ের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে,"। মনে একটা প্রশ্ন আসলো, ক্ষমতা ভোগ করলো ভাই, অন্যায়ো করলো ভাই, কিন্তুু তার জন্য আমার ঘরে হুমকি!! প্রকাশ্যে দিবালোকে আমার বাড়ী ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়ে একটা স্বাধীন দেশের রাস্তা দিয়ে কয়েকজন মিছিল করে যাচ্ছে অথচ আমরা কেন প্রসাশন কিছুই বলছে না? আর আমরা যারা খেটে খাওয়া মানুষ তারাও সেটা শুনে যাচ্ছি!! আমার ঘরে যদি ভাইভাই কোন্দল হয় তবু সেটা পারলে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে মিটিয়ে দেবার চেষ্টা করে। যেকোনো অন্যায় প্রতিহত করে প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তার জন্য, দেশের শান্তি রক্ষার জন্য।

তাদের উপরি আমাদের সাধারন মানুষের আস্থা। তারা কেন নিশ্চুপ? তাহলে কি আমি এই হুমকির জন্য সরাসরি আদালতে যাব?? আমার কি করা উচিত?



আসলে আমাদের মন যেটা মেনে নিয়েছে প্রতিনিয়ত দেখতে দেখতে সেটা ভালো কি মন্দ সেটা হয়তো বিচার করি না? হতে থাক না , তাতে আমার কি? এটা বলে মিছিল করবে এটাই তো স্বাভাবিক। আমিতো জানি তারা সত্যিসত্যি আমার বাসায় আগুন জ্বালাবে না। তো বলে যাচ্ছে বলে যাক। আসলে এটা বলা বা মেনে নেবার মানসিকতাই কখনো কখনো ক্ষতির সম্মুখিন করে দেয়।



প্রতিবাদের ভাষা হোক বা প্রতিরোধের ভাষাই হোক সেই বাক্যটা আমাদের জন্য ভাল না হলে মনের ভাল চিন্তাভাবনাটাও বাক্যের সাথে হারিয়ে যায়।



আমাদের দেশে বিরোধীদল হোক আর সরকারী দলই হোক প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের ধরন টা কেমন যেন আক্রমনাত্বক। এটা একে অন্যেকে মানসিক দিক থেেক ক্ষেিপয়ে তুলে। এই রাজনৈতিক সংস্কৃতিটাই আমার ভাল লােগ না।



যেকোনো দলই হোক তাদের আচার আচরন কথা বলার বাক্য থাকবে সুন্দর তাতে আমরা স্বাধারন মানুষরাও উৎসাহিত হবো। যেকোন দল, ব্যক্তির অন্যায়ের প্রতিবাদ করবো একসাথে মিলেমিশে। তার জন্য আর একজনের ঘরবাড়ী পুরাতে যাব কেন? লিফলেট লিখে, ফেস্টুন বানিয়ে, একসাথে সববেত হয়ে দাড়ীয়ে প্রতিবাদের উপমা তৈরী করবো। এতে অন্যায়কারী লজ্বায় এমনিতেই অনেক অপমানিত হবে। অার এমন প্রতিবাদে সাধারন জনগন অশস্তি বোধ করবে না। বরং তারা মুল্যায়ন করতে পারবে কোনটা ঠিক আর কোনটা ঠিক না। আর প্রশাসনেরও মানুষের সাথে ঠকরাঠকরি লাগাতে হবে না। তারাও জনগনের সঠিক মুল্যায়ন করতে পারবে।



বিরোধীদল যতই সঠিক প্রতিবাদ করুক না কেন এই জ্বালাও পোরাও সংকৃতি থেকে বেরিয়ে না আসলে সাধারন মানুষ সেই নিরব প্রতিবাটাও কিন্তু আর করবে না। সুতরাং সুন্দর ভাবে ধর্য সহকারে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখলে এর মুল্যায়ন বাংলাদেশের জনগন অবশ্যই করবে। আর সরকারী দলকে যতই চাপে ফেলা হোক তারা দেশের দায়িত্বে আইন অনুযায়ী যতদিন আছে থাকুক। একদিন তারাও বুঝবে বাংলাদেশের মানুষ কতটা সচেতন ছিল, আছে আর ভবিষ্যতেও থাকবে।



আমরা চাই হানাহানী টাইপ প্রতিবাদের ধরন পরিবর্তন হোক। অার ভুল স্বীকার করার মানসিকতা তৈরী হোক। টিকে থাকুক দেশপ্রেমিক, আত্তসম্মানি বাংলার অতিথিপরায়ন মানুষ আর গড়ে উঠুক সুন্দর সংস্কৃতি।



ভাষা হোক সাবলীল, বাক্য হোক সুন্দর,

জীবন হোক আন্দময়, দেশ হোক নিরাপদ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.