![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাউকে হাসিয়ে তোলার শুরুটা তখন ছিল স্কুল জীবনে বান্ধবীরা আমাকে নামের বিপরীতে নাম ধরে ডাকত তখন ,আমি শুরুতে খুব রেগে যেতাম তারা আমাকে এমন নামে ডাকে তার পিছনে কারন ছিল আমি নাম্বার বেশি পাইলে আমারে ঠেকানোর জন্য রাগ করে বা মজা করে এমন করত তাই আমি ও চিন্তা এবং কৌশলে এটাকে মজা হিসেবে নেয়া শুরু করি তারপর ও বান্ধবীরা আমাকে যখন নাকি সেই নামে ডেকে বলত তোর প্রতিভা কোথায় লুকায়িত আমরা দেখতে চাই আমি তখন থেকেই তাদের সামনে আমার প্রতিভা কোথায় তোরা দেখতে চাইতেছিস তারপর আমি বললাম আমার প্রতিভা সবগুলার আমার বেহেবে আর কথার মইদ্যে লুকায়ীত।।।।তোরা কয়দিন পর থেকে টের পাবি তারপর বাসায় এসে বিষয়গুলো আমার বাবার কাছে শেয়ার করলাম তখন বাবা আমাকে কিছু কথা বলেছিল সেই থেকে সূত্রের উপর বল.......আমার মুখের কথা শুনলে তোরা কবর থেকে উঠে এসেও আমার কথা শুনবি আর হাসবি ।।।।
এখনো আছে সেই প্রতিভা মাঝে মাঝে বিশেষ সময় প্রয়োগ।।।।।
যাইহোক,,,
কথা সেইটা না কথা হইল গিয়া আমি এখন বদরুল ভাই আর আনিস ভাইয়ের বিষয় টা নিয়ে ভাবতেছি এদের অবস্থাটা কি !!!
বদরুল VS আনিস
পৃথিবীর খুব ই অভিনভ একটা নিয়ম আছে। এই রুলটাকে আমি নাম দিয়েছি "টপ ওয়ান" রুল। এই রুল এর সারাংশ সোজা। আপনি যেই দেশে, যেই সমাজ এ বাস করেন, আপনি যদি তার টপ ওয়ান পারসেন্ট এর মাঝে জায়গা না করে নিতে পারেন, তবে আপনি জীবদ্দশায় উপভোগ করবেন কম, স্ট্রাগল করবেন বেশি।
আপনি যেই দেশেই যান না কেন, যেই সমাজ এই থাকুন না কেন এই টপ ওয়ান পারসেন্ট এ যদি না থাকতে পারেন, তবে এই টপ ওয়ান পারসেন্ট আপনাকে ছিঁড়ে খাবে। ধর্ম, মানবিকতা, প্রথা, দেশপ্রেম এগুলো অক্টোপাস এর মত আপনাকে জড়িয়ে খাবে।
আপনি ইউএস যান বা এই দেশে থাকেন, নিয়ম একই। এই দেশ থেকে উন্নত দেশে সেটেল হবার পদ্ধতি দুটি - ১)নিজের টাকায় পড়তে যাওয়
২) স্কলারশিপ নিয়ে যাওয়া।
নিজের টাকায় পড়তে যায় যাদের ফ্যামিলির টাকা আছে অর্থাৎ টপ ১-৫ পারসেন্ট এ যারা আছে। আর স্কলারশিপ নিয়ে যাবে যারা স্টুডেন্ট হিসেবে টপ এ আছে।
আপনি যদি বিসিএস দিয়ে প্রথম দিকের ক্যাডার পোস্টগুলো পেতে চান, আপনাকে টপ এই থাকতে হবে।
একটা সাধারণ মানুষের জীবন থাকে স্ট্রাগল এ ভরা। জীবনে নানা চাপ। বিনোদনের থাকে ব্যাপক অভাব। তাই সে মোটামুটি চাকরি জুগিয়েই বিয়ে করে ক্ষণস্থায়ী সুখের জন্য বাচ্চা পয়দা করে। বাচ্চা পয়দা করে তার সলুশন থাকে একটাই - তাকে লেখাপড়া করাও, যাতে সে চাকরি পেতে পারে। এইভাবে সন্তান ও একটা বিলো এভারেজ জীবনের দিকে ধাবিত হয়। সে ও পরে এই সেম সাইকেল কন্টিনিউ করে।
অথচ, ধনীর সন্তান এর জীবনে বিনোদন থাকে অগণিত। তার বিনোদনের জন্য বিয়ে করা লাগে না। এইকারণে তার সব কাজ হয় পরিকল্পনা মত। তারা বিয়ে করে বাচ্চা নিলে বিজনেস, মিডিয়া এসব হাই ভ্যালু প্রফেশন এ তাদের পেনিট্রেট করায়।
ধরা যাক, বদরুল এর বয়স ২৭। এখনো সে ভার্জিন। একটা এভারেজ ঘরের ছেলে। বিয়ে ছাড়া কী তার কামনা মেটানোর সুযোগ আছে? আর ক্ষমতাবানরা ধর্ম-নৈতিকতা দিয়ে বিবাহ বহির্ভূত জিনিসগুলোকে এমন ভাবে ট্যাবু বানায় রাখবে যাতে বদরুল একটা চাকরি জুটিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। ব্যাস, এইভাবেই বদরুল জড়িয়ে যায় দায়িত্বে। তখন, তার আর বিপ্লবের সুযোগ থাকে না।
কালেভাদ্রে, এক দুইটা বদরুল জাতে ওঠে আর তাদের দেখে বাকি বদরুলরা বাঁচার আশা পায়।
অথচ, ব্যবসায়ীর পোলা আনিস এর সোশাল লাইফ আছে, অগণিত নারী বন্ধু আছে। সে কিন্তু এত লাফায় না বিয়ের জন্য। বিয়ে করলেও সে বিয়ে করে পরিকল্পনা মাফিক।
সোশাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত এক্টিভ থাকে বদরুলরা বা আমরা। কারণ, আমাদের আসল জীবনে বিনোদন এর অভাব। এইটা সোশাল মিডিয়ার ফাউন্ডার রা ভাল করেই জানে। আমাদের এক্সিস্টেনশিয়াল ক্রাইসিস ই সোশাল মিডিয়ার এক্সিস্টেন্স এর শক্ত ভিত্তি।
টপ ওয়ান পারসেন্ট এমন সিস্টেম বানায় রাখছে যেখানে বাকিরা নিজেদের মধ্যেই মারামারি করে। সাধারণ মানুষ একে অপরকেই ঘৃণা করে। এইকারণে উপরের লোকদের দিকে আংগুল তোলার সময় তাদের থাকে না।
যেহেতু তাদের জীবন হতাশাব্যাঞ্জক তারা ধর্ম, নৈতিকতা বা বিভিন্ন জিনিস দিয়ে নিজেদের সুপিরিওর ভাবে। দুনিয়াকে ক্ষণস্থায়ী ভাবে, অর্থকে খারাপ ভাবে। শিক্ষা ব্যবস্থাও এভাবে বানানো যাতে গরীব ছোটবেলা থেকেই অর্থ-বিত্তকে নেগেটিভ ভাবে দেখে। কারণ, তারা বেশি বুঝে গেলে সমস্যা।
আমাদের মুভি, নাটক, সাহিত্যে সবখানে দারিদ্র্যকে গ্লোরিফাই করা হয়, অর্থকে ভিলিফাই করা হয়। সততার বুলি দিয়ে আমাদের উপর দেবত্ব চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করা হয়।
সাধারণ মানুষ দের এই দুর্দশা থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন কোপিং মেকানিজম। এই কোপিং মেকানিজম এর মুখাপেক্ষী হতে গিয়ে আদর্শগত দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করা হয় যাতে প্রকৃত সমস্যা নিয়ে তারা কখনোই ভাবনার সুযোগ না পায়।
দুইটা বিলিওনিয়ার এর মধ্যে ধর্ম, তত্ত্ব নিয়ে কোন বিভেদ কিন্তু নাই। আপনি একটা বামপন্থি বিলিওনিয়ার আর ডানপন্থি বিলওনিয়ার এর মধ্যে তফাত দেখাতে পারলে আমি আপনাকে উড়ন্ত খরগোশ দেখাব!
Here I said it -our whole existence is a lie! আমরা ক্ষমতাবানদের হাতের পুতুল বাদে আর কিছুই না। আমাদের প্রধান কাজ গতর দিয়ে খেটে টোটাল সিস্টেম টা স্ট্যাবল রাখা। আমরা হল সেই রাজমিস্ত্রি যারা বিলাসবহুল ভবন বানায় কিন্তু সেইখানে থাকার সুযোগ পায় না!
এই হল বদরুল VS আনিস ভাইয়ের কাহিনী জীবন এমনই যে যেমন ভাবে নেয় এটাই।।।।।
"একদিকে কত আশা, আকাঙ্খা, পরিকল্পনা আর অন্যদিকে 'কুল্লু নাফসিন জাইকাতুল মাউত'।"
©somewhere in net ltd.