![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....
১.
- এই তোমার পছন্দের পোকা কি?
বহ্নি হতাশ চোখে রণোর দিকে তাকালো। এতো ঝামেলা করে বাবা মায়ের চোখ এড়িয়ে রণোর সাথে দেখা করতে এলো। লেকের পাশে বসে পড়ন্ত বিকেলের অদ্ভুত মায়াবী আলোয় কেউ বুঝি তার প্রেমিকাকে এইসব বলে।
- আমার কোন পছন্দের পোকা নেই!!
- আমার মনে হয় তোমার মাকড়শা পছন্দ করা উচিত।
- কেন? তোমার বুঝি মাকড়শা খুব পছন্দ?
- হুউউ...পছন্দ মানে!!! আমি নিজেইতো একটা মাকড়শা।
- তাতো হবেই...আটটা হাত পা দিয়ে আমাকে আঁকড়ে ধরেছো!!!
- আমি মোটেও তোমাকে আঁকড়ে ধরিনি বহ্নি। আর কোন দিন তোমায় ধরেও রাখবো না...আমিতো শুধু জাল বুনে যাবো...তোমার চারপাশে ভালোবাসার জাল...দেখি ধরা পড়ো কিনা!!
রণো হাসছে; লেকের জলের আয়নায় ধাক্কা লেগে অস্তরাগের আলো ওর চোখে মুখে। ছেলেটা যখন হাসে ওর চোখ হাসে; বামপাশের একটা উঁচু দাঁত পাতলা ঠোঁটেটাকে কি সুন্দর করে যে বাঁকিয়ে দেয়! বহ্নি নিঃশ্বাস ফেলে ভাবলো মানুষটা আরেকটু কম সুন্দর হলে কি হতো?
ওর একটু মন খারাপ লাগছে। আজ বহ্নি কালো শাড়ী পরেছে; রনোর ফেভারিট কালার ব্ল্যাক। শাড়ীটার আঁচলে বেগুনী আর গোলাপী ফুলের ছাপ; ওর ঠোঁটে ম্যাচিং বেগুনী লিপস্টিক। একবার কথায় কথায় রনো বলেছিলো যে ওকে বেগুনী ঠোঁটে মানাবে। গত কয়েকদিন অনেক খোঁজাখুঁজি করে শেষে গুলশানের মার্কেট থেকে বেগুনী লিপস্টিক কিনেছে। এমন সাজগোজ করে বাসা থেকে বেরুতে মাকে অনেকগুলো মিথ্যা বলতে হয়েছে। অথচ রনোতো মনে হয় খেয়ালই করেনি।
রণোর সাথে ওর সম্পর্কের বয়স প্রায় দু’বছর হতে চললো; কিন্তু আজও ছেলেটা একবারো বলেনি ভালোবাসি। দেখা হলেই সব ইয়ার্কি কথাবার্তা!!! মাঝে মাঝে বহ্নির খুব রাগ লাগে; কিন্তু ভালোবাসার কথার জন্য অপেক্ষা করতে যে খুব ভালোও লাগে। দেখা হলেই বুক ধুকপুক ধুকপুক; যদি আজ সে ওই তীব্র সুন্দর শব্দগুলো বলে!! রণো কি ইচ্ছে করেই এমনটা করে? ও কি জানে যে অপেক্ষা ভালোবাসাকে আরো গাঢ় করে?
রণো বকবক করে চলেছে “আমি হচ্ছি তোমার পোষা মাকড়শা...তুমি কি জানো আমার অনেক গুণ? মাকড়শার জাল দিয়ে একদিন ধ্বংসাত্মক মিসাইল আটকে দেয়া যাবে; চারজন মানুষের যতোটুকু ডিএনএ তা একটা মাকড়শার ডিমে থাকে। আর Black Widow নামের নারী মাকড়শা পুরুষের সাথে মিলনের পরপরই তাকে মেরে ফেলতে চায়। ঐ পুরুষকে তারা মনে করে genetic anomaly!! আজব না?”
সময় শেষ হয়ে আসছে; সূর্য ডুবুডুবু; আকাশটার সাথে সাথে লেকের জলও কমলা লাল। নাহ্...রণো আজ আসলেই ওকে একটুও খেয়াল করেনি! সবুজ পাতায় ফিকে রোদের মতো এক টুকরো বিষাদ লেপ্টে থাকে সারাটা বিকেল। অথচ এই বিকেলটা হতে পারতো অন্যরকম; আকাশ দোলের আবীর মেখেছিল। মন খারাপ করে বহ্নি রিকশায় উঠে বসতেই রণো বললো “বাসায় পৌঁছে জানিও। আর শোনো আমার জারুল ঠোঁটের মেয়ে...তুমি কি জানো যে তুমি আমার রানী মাকড়শা, Black Widow? মরে যাবো জেনেও বার বার তোমার কাছেই যেতে ইচ্ছা করে!!!”
বহ্নির নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলো; বুকের মধ্যে হঠাত ধাক্কা লাগলো। ভাগ্যিস সন্ধ্যা নামছে; রণো দেখতে পায়নি যে ওর চোখে জল চলে এসেছে। মানুষটা এমন করে বলে যে বুকের মাঝে একই সময়ে কষ্ট আর সুখেরা ঘাই মারে!! এটাই কি ভালোবাসা?
২.
- প্রত্যেকদিন ঝুল ঝাড়ো...মাকড়শাটা মেরে ফেললেইতো হয়!!
- না না...থাক না! ঝুল ঝাড়তে কি আর এমন কষ্ট?
- ভয় পাও নাকি? ভয় লাগলে আমি মেরে দিতে পারি!!
- না না আবীর...প্লিজ!! কি দরকার? ও তো কাউকে কামড়াচ্ছে না...থাক না!!
কোমরে আঁচল পেঁচানো আর লম্বা ঝুলঝাড়ন হাতে বহ্নি; কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। লালচে মুখের কাজে ব্যস্ত বহ্নিকে আবীর পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।
- ইশশ রে আমার বউটা না একটু বেশীই ভালো...একটা মাকড়শার জন্যেও এতো মায়া?
- যাওতো...অফিসে দেরী হয়ে যাচ্ছে...আর আল্লাদী করতে হবে না।
বাইরের দরজা বন্ধ করে বহ্নি শোবার ঘরের বিছানায় এসে বসলো। ও ঠোঁট চেপে কান্নার দমক সামলাচ্ছে; আবীর জানে না কিন্তু ও আসলেই একটা বিষাক্ত মাকড়শা, Black Widow। একবছর আগে ঠিক আজকের দিনটাতে রণো ঠিক ওর ঠোঁটের মতো বেগুনী হয়ে গিয়েছিলো। এতো অভিমানী হয় মানুষ? বিয়ে হয়ে যাচ্ছে বলে বহ্নির মানুষটা চুপচাপ ঘুমের ওষুধ খেয়ে মরে যাবে? একবারো বললো না যে “বিয়ে করো না”; শুধু কষ্টে বেগুনী হতে হতে চিরকুট লিখে গেলো “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ না শুধু একটা রানী মাকড়শা দায়ী।“
বহ্নি দেয়াল বেয়ে ওঠা মাকড়শাটার দিকে তাকিয়ে বললো “রণো...মিছেমিছি তুমি জাল বুনে যাচ্ছ। রানী মাকড়শাটা সেই কবেই তোমার ভালোবাসার জালে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে গেছে। আমার বোকা মাকড়শা...ভালোবাসার জাল বুঝি কেউ ছাড়াতে পারে? কিন্তু আমার জাল তুমি কাটলে কেন বলতো? খুব অভিমানী ছিলে যে...বেশী বেশী ভালোবাসা পেতেই বুঝি ভালোবাসার জাল ছিড়েছো? তুমি ফেরারী আর আর আমি? সেই কবে থেকে বাঁধা পড়ে আছি.....আর কতোদিন তোমাকে একা একা ভালোবাসবো বলতো? আমি যে এখনো অপেক্ষা করে আছি...এখোনো...”
(১১/৩০/২০১৫) (ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০০
শিখা রহমান বলেছেন: উম্মে সায়মা আপনার চোখ জল এসেছে শুনে আমার লেখাটা সার্থক মনে হলো। ভালো থাকবেন। পড়ার জন্য আর সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২
জেন রসি বলেছেন: বেশ ঝরঝরে লেখা। একটানে পড়ে ফেলেছি। ব্ল্যাক উইডো সম্পর্কে জানা ছিলনা। সেটাও জানা হয়ে গেছে।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০১
শিখা রহমান বলেছেন: জেন রসি অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। এই প্রেমের গল্প থেকে আপনি কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন শুনেও ভালো লাগলো। শুভকামনা আর ভাল থাকবেন।
৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ছবিটা দেখছিলাম বারবার, পরে দেখি, নীচে কিছু লেখাও আছে!
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৬
শিখা রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ আমার এখানে আসার জন্য। ছবি দেখে আসলেও আশাকরি গল্পটা পড়েছেন। শুভকামনা।
৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৬
বুড়ো হিমু বলেছেন: লেখাটা পড়ে বেশ ভাল লাগোল
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৭
শিখা রহমান বলেছেন: বুড়ো হিমু অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য শুভকামনা।
৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৪
জুন বলেছেন: মেয়েরা চায় তার ভালবাসার মানুষটি ভালোবাসার কথা মুখ ফুটে বলুক। অনেকে মনে করে বুঝে নিবে, সব কথা কি বলতে হয়? আমি মনে করি বলতে হয়, শুনতে ভালোলাগে শিখা রহমান।
আপনার ছোট ছোট গল্পগুলো যেন মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে।
অনেক ভালোলাগা রইলো
+
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১১
শিখা রহমান বলেছেন: জুন আপনার নামটা শুনলেই কেন যেন ফুলফোটা অর্কিডের কথা মনে পড়ে। একদম ঠিক বলেছেন। ভালোবাসার কথা বার বার শুনতে ভালো লাগে বলেই মান অভিমান আর আল্লাদী। বরাবরের মতোই সুন্দর মন্তব্য করে অনুপ্রেরণার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। সাথে থাকবেন আর ভালোবাসা ঘিরে থাকুক আপনাকে।
৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০২
শায়মা বলেছেন: আপু!
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৩
শিখা রহমান বলেছেন: শায়মা মনি মন খারাপ করে না লক্ষী মেয়েটা!!! আজ একটা মন ভালো করা গল্প দিলাম এই গুণী মেয়েটার জন্য। শুভকামনা আর ভালোবাসা থাকলো।
৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আপনার লেখাগুলি ভাল লাগছে বলে, পড়তে পড়তে এতদুর আসা।।
আমি আসলে বোদ্ধা নই।। শুধু নিজের অনুভূতিরই প্রকাশ করে যাই।। ভুলও হতে পারে।।
ভালবাসা মনে হয় প্রকাশে নয়, যতটা অনুভবে।। আর এটাই দুজনকে কাছে আনে জনমকার মত!!
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৮
শিখা রহমান বলেছেন: সচেতনহ্যাপী লেখা ভালো লেগেছ শুনে মন ভরে গেলো। আমি নিজেও বোদ্ধা নই। সামান্য লেখক, শখের বশে লেখালেখি। কারো পড়ে ভালো লাগলেই দিনটা আলো হয়ে যায়। ধন্যবাদ আর শুভকামনা।
৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬
মিথী_মারজান বলেছেন: রণো,
আপনি কেন চলে গেলেন এভাবে!
আপনার এত সুন্দর হাসিটা শেষ পর্যন্ত এভাবে ম্লান হয়ে যাবে এটা ভাবতেই পারছিনা।
আরেকটু কি চেষ্টা করা যেতো না???
রণো,
আপনি কি জানেন, black widow দের যতটা নিষ্ঠুর মনে হয় তারা আসলে ঠিক ততটাই অসহায়!
কতটা অভিমান জমেছিল আপনার বুকে?
তার চেয়েও বেশি অভিমান আমি আপনার উপর করলাম।
ভাল থাকবেন প্রিয় রণো।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮
শিখা রহমান বলেছেন: মিথী_মারজান মিথীমনি "রণো"কে তোমার মতো করে কেউ বলেনি, বহ্নিও নয়। বললে হয়তোবা অভিমানে সে চলে যেত না। বহ্নি যা বলেনি সেটা তুমি বলে দিলে!!
ভালো থেকো। তুমি কেমন করে যেন আমার কথাগুলো বলে দাও। ভালোবাসা অফুরন্ত!!
৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪০
মলাসইলমুইনা বলেছেন: অনেক অনেক দিন আগে -আসলে হাজার বছর আগে ইরানের তুষ নগর থেকে একজন গরিব অখ্যাত কবি এসেছিলেন পারস্য সম্রাট সুলতান মাহমুদের দরবারে | সেই অখ্যাত কবির মুখে শোনা প্রথম কবিতার দুটি চরণ শুনে সুলতান মাহমুদ সিংহাসন ছেড়ে দৌড়ে এসে সেই অখ্যাত কবিকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন "আয় ফেরদৌসী তু দরবার মেরা ফেরদৌস কারদারি" মানে হে স্বর্গীয় তুমি আমার দরবারকে স্বর্গে পরিণত করেছো | সে দিনের পর থেকে সেই কবি সারা পৃথিবীতে পরিচিত হয়ে আছেন সুলতান মাহমুদের দেওয়া ফেরদৌসী নামেই |আপনার এই গল্পটা আমি যখন পড়ি (কতবার যে এখন পর্যন্ত পড়লাম !) তখন আমার মনে হয় এই গল্পটা দিয়ে আপনিও আমাদের এই ব্লগটাকে স্বর্গ বানিয়ে দিয়েছেন | আপনার গল্প যখন পড়তে আসি তখন এই ব্লগ পাতাটা আমার কাছে স্বর্গের আঙিনার মত লাগে | এতো সুন্দর করে কেনো আপনি এই গল্পটা লিখলেন ! ভবিষ্যতে যদি সামুর ব্লগারদের গল্প নিয়ে বইমেলায় কোনো বই আমরা বের করতে পারি আমি দাবি জানাবো বইয়ের প্রথম গল্প হিসেবে আপনার এই গল্পটাই থাকবে | এর বাইরে যে কোনো প্রস্তাবে আমার ভেটো থাকবে |চির ভেটো | আপনাকে কেন জানি খুব হিংসে করতে ইচ্ছে করে আমার | অনেক ভালো থাকবেন |
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮
শিখা রহমান বলেছেন: মলাসইলমুইনা এই মন্তব্যটা আমার লেখালেখি নিয়ে পাওয়া মন্তব্যের মধ্যে সেরা। আমি কৃতজ্ঞ এবং অভিভূত। লেখা নিয়ে এমন সুন্দর করে কেউ আজ পর্যন্ত বলেনি। আপনি প্রথম আর হয়তোবা আপনিই শেষ। মন খারাপ হলেই এই কথাগুলো পড়ে নেবো।
আজ ভালোবাসা দিবসে আপনার এই মন্তব্য সেরা উপহার হয়ে থাকলো।
লিখলেই হয় না। শব্দের মাঝে অনুভূতি খুঁজে নেওয়ার মতো সুন্দর মনও লাগে। আমার সৌভাগ্য যে আপনার মতো পাঠকেরা আছে।
ভালো থাকবেন। ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা। আর হিংসা করার সাথে সাথে দোয়া করবেন যেন এমন সব গল্প লিখে আপনাদের মন ভরে দিতে পারি।
১০| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এ গল্প টা আমি অনেক আগেই পড়েছি ;কিন্তু মিথী মনি আর মলাস ভাইয়ার মত করে প্রকাশ করতে পারি নি ।
আপনাতে ,আপনার লেখায় সব কিছুতে ভালোলাগা ,ভালোবাসা ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮
উম্মে সায়মা বলেছেন: খুব খুব সুন্দর হয়েছে।
শেষটা পড়ে চোখ ঝাপসা হয়ে এল।
শুভ কামনা জানবেন।