![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরনো ইমেজারির ব্যবসা করি। চিত্রকল্প সস্তায় বানাই। টান টান রিমেকশিল্প, ওপরে ঝকঝক করছে স্কাই।.........লোকে পড়ে ভাবে এ তো নতুন, আনকোরা কৌটো। কিন্তু সেই একই, সেই একই বন্দিপ্রাণ ছটফট ভ্রমর....
দিনটা সবে আড়মোড়া ভেঙ্গেছে। নাস্তার টেবিলে বসে মায়ের দিকে তাকিয়ে মনে হলো মন খুব খারাপ; চোখের কোল একটু ফুলেও আছে; কান্নাকাটি করেছে মনে হয়। স্কুলড্রেস পরে বিদায় নিতে যেতেই মা বললেন “সেঁজুতির মা মারা গেছেন।“ “কি বলো!!! কখন?” “কাল রাতে।“ বনানী থেকে আজিমপুরে স্কুল পর্যন্ত পুরোটা সময় আমি অবিশ্বাসের দোলাচলে। এইটে পড়া সদ্য কিশোরী হওয়া এই ক্ষুদ্র জীবনে আমার সব বন্ধুদের জীবন ছবির মতো সাজানো। ক্লাসের ফাঁকে যখন জানালা দিয়ে বাইরের সবুজ মাঠে চোখ রাখি অনেক দূরে তেপান্তর পেরিয়ে আসা অশ্বারোহী রাজপুত্র ধুলো ওড়ায়; স্কুলের পাশে পুকুরের টলটলে জলের দিকে তাকালে মনে হয় এই জলে ডুব দিলে পাওয়া যাবে লালকমল আর নীলকমলের সেই কৌটা যেখানে সব প্রিয় মানুষদের প্রানভোমরা লুকানো আছে। জীবনটা রুপকথার মতো সুন্দর ছিলো; হঠাৎই সুর কাটলো।
স্কুলে সেদিনটা অন্যসব দিনের মতোই ছিলো; ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে বন্ধুদের সাথে গল্প; টিফিনের সময় মাঠে গোল হয়ে বসে পিছনের গেট দিয়ে কেনা কদবেল কাঠি দিয়ে খাওয়া। শুধু আমারই বার বার ছন্দপতন হচ্ছিল; বোঝার চেষ্টা করছিলাম মাকে ছাড়া একজন মানুষ কিভাবে থাকবে। সেঁজুতি সেদিন স্কুলে আসেনি। সেঁজুতির কথা আমাকে কেউ জিজ্ঞাসাও করেনি। ভালো বন্ধু হলেও স্কুলে আমাদের বন্ধুদের দল আলাদা; সেঁজুতি বা আমি স্কুলে কখনোই কাউকে বলিনি যে আমরা কতো কাছের বন্ধু...কেন কে জানে?
ক্লাস সিক্সে ওঠার পরে আমি বনানীতে চলে গিয়েছিলাম, যদিও স্কুল বদলাইনি। সেঁজুতিদের বাসা সেন্ট্রাল রোডে যে বাড়িতে ভাড়া থাকতাম তার দু’বাড়ী পরে। বাড়ীওয়ালার তিন মেয়ে, লিপি, লিজু আর মুন্নি, আমার সার্বক্ষণিক খেলার সঙ্গী। তারপরেও মাঝে মাঝে সেঁজুতিদের বাসায় খেলতে যেতাম, যখন বাড়ীওয়ালার মেয়েগুলোর সাথে কনেআঙ্গুল ছুঁইয়ে আড়ি হতো বা ওদের পড়া, পরীক্ষা থাকতো অথবা মাঝে মাঝে যখন ওদের সাথে খেলা একঘেঁয়ে লাগতো।
সেঁজুতিরা তিন ভাই বোন; তিন বছরের বড় সৌরভ ভাইয়া, মাঝে সেঁজুতি আর দু’বছরের ছোট স্নিগ্ধা। ওদের বাসাটা অন্যরকম ছিলো; বড্ড বেশী চুপচাপ আর ছিমছাম। আন্টি খুব গোছানো; ওরা কখন খাবে, ঘুমাবে, পড়বে সব ঘড়ি ধরে ঠিক করা। আমি বড় হয়েছি একটু রুটিন ছাড়া, বন্ধনহীন, বন্য ভাবে। বাবা মা দু’জনেই চাকরী করতেন; আমি সারাদিন কোথায় কি করছি এসব নিয়ে ওনাদের তেমন মাথাব্যথা ছিলো না। সূর্য ডোবার পর বাসায় ফিরলে আর পড়াশুনোয় ভালো করলেই সব ঠিক আছে।
সারা পাড়া আমার জ্বালায় অস্থির থাকলেও আন্টি আমাকে বেশ আদর করতেন; আসলে আমি যে সবসময় ক্লাসে প্রথম তিনজনের মধ্যে থাকতাম। দেখা হলেই জানতে চাইতেন কখন পড়ি, দিনে কতক্ষন পড়ি, কোনদিন কি সাবজেক্ট পড়ি। আমি বানিয়ে বানিয়ে উত্তর দিতাম; কাউকে বুঝি বলা যায় যে আমি পরীক্ষার আগে ছাড়া বা মায়ের বকা না খেলে একদমই পড়ি না!!! ওদের বাসায় খেলতে যেতে হতো বিকেল চারটার পরে। তার আগে ওরা দু’বোন স্কুল থেকে এসে খাবে, ঘুমাবে, রোদ পড়ে এলে তারপরে খেলা। সূর্য ডোবার আগে পর্যন্ত খেলা যেতো, তবে মাঝে মাঝে আন্টি সেঁজুতি রেজাল্ট ভালো না করলে পড়ার জন্য খেলার সময় কেটে নিতেন।
আন্টি ওনার জীবনের মতোই খুব সাজানো গোছানো ছিলেন। আংকেল বিজনেস করতেন; বিকেলে বাসায় ফেরার সময় হলেই আন্টি শাড়ী বদলে টিপ দিয়ে চা নাস্তা ঠিকঠাক করতে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। আন্টিকে দেখলে আমার সবসময় প্রাচীন আমলের ঝাড়লন্ঠনের কথা মনে পড়তো বা খুব সুন্দর কারুকাজ করা পুরোনো রাজবাড়ীর কথা। খুব সুন্দর ছিলেন উনি; বড় বড় চোখ, একটু চাপা রং, পাতলা ঠোঁট, অভিজাত নাক; দেখলে মনে হতো মানুষটা ষাটের দশকের, ভুল করে এ সময়ে জন্মেছেন। সামান্য পৃথুলা; ওনার রাজকীয় ভাবের সাথে সেটা মানিয়ে গিয়েছিলো। কথাও বলতেন বেশ সুন্দর করে থেমে থেমে, মনে হতো প্রত্যেকটা শব্দ খুব যত্ন করে ভেবে বলছেন। এই হড়বড়িয়ে কথা বলা আমি ওনার সাথে কথা বলার সময় সুন্দর করে শ্বাস নিয়ে বলতাম। কে জানে উনি হয়তো সেই সব মানুষদের মধ্যে যারা আশেপাশের সবকিছুই সুন্দর করে দেয়!!
আর সেঁজুতি!! ও সুন্দর ছিলো, তবে অন্যরকম সুন্দর। মায়ের মতোই বড় বড় পাপড়ি ঘেরা চোখ, একটু পুরু ঠোঁট, মাথা ভর্তি ঘন কালো পিঠ ছোঁয়া চুল। তেল দিয়ে মোটা মোটা দুটা বেনী করে ফ্রক পড়ে যখন মাঝে মাঝে আমাদের বাসায় খেলতে আসতো কি যে মিষ্টি দেখাতো। সেঁজুতি বেশ শ্যামলা ছিলো, কালো ঘেঁষা। কিন্তু আলো আলো বা গম রঙ্গা হলে ওকে মানাতো না। ওর দিকে তাকালেই আমার ছায়াঘেরা টলটলে শান্ত দিঘীর কথা মনে পড়তো। আন্টির চোখে এক ধরনের প্রখরতা ছিলো; বড্ড বনেদী, কাছে যেতে ইচ্ছে করতো না; মনে হতো দূর থেকে দেখতে বেশ লাগছে। কিন্তু সেঁজুতিকে দেখলেই ওর পাশে বসতে ইচ্ছা করতো; কি যে ছায়াময় মায়াময় দুই চোখ!!!
সেঁজুতিকে আমি আমার মতো করে ভালোবেসেছিলাম। কিছু কিছু মুখ আছে যাদের দিকে তাকালে না জেনেই হৃদয় হেঁটে যায়, ওর ঠিক তেমনটা গ্রীষ্ম-ময় ত্বকে তরমুজের মত সুশীতল মুখ। মাঝে মাঝে মনে হতো ইশশ্ কেন যে ওর মতো মিষ্টি আর শান্ত হলাম না। পরক্ষনেই এসব ভুলে গিয়ে বন্ধুদের সাথে ছাদের কার্নিশে লাইন ধরে হাঁটা, চুপিচুপি পাশের বাসার ছাদে উঠে রোদে শুকাতে দেয়া আচার খেয়ে শেষ, বাসার পেছনের দেয়াল টপকে মাঠে গিয়ে যে ছেলেটা কাল লিপিকে ধাক্কা দিয়েছে ওকে গুলতিতে ইটের টুকরো মেরে ভোঁ দৌড়।
ক্লাস ফাইভে তখন ষান্মাসিক পরীক্ষা শেষ; গরমের ছুটি চলছে। যথারীতি আমরা চার পান্ডব ছাদে মহা তুলকালাম করছি; সেদিন আবার আমাদের সাথে আয়েশা খেলতে এসেছে। পেছনের মাঠের ডানপাশে একটা কুৎসিত নীলসবুজ পাচঁতলা বিল্ডিং আছে, সেখানে আয়েশা থাকে। ওর বাবা এই অট্টালিকার মালিক বলে উঠতে বসতে শুনতে হয় যে ওরা খুব বড়লোক; মেয়েটা একটু ঝগড়াটি আর হিংসুটে কিন্তু বোকা বলে ঝগড়া করতেও আমাদের মজা লাগতো।
বাবা সেদিন বাসায় কাজ করছেন; ড্রয়িংরুমে মস্ত সাদা টেবিলের ওপরে কাগজ বিছিয়ে আকাঁবুকি। টেবিলটার দু’পাশে সুতো টানা; সে সুতোর ওপরে ভর করে স্কেল ওপর নীচ করে। কয়েকদিন বকা খেয়েছি ওই স্কেল টানাটানির জন্য। বাবা বেশ ব্যস্ত; একটু পরে ছাদ থেকে ডেকে পাঠালেন। দোতলায় আমাদের বাসার ওপরেই ছাদ; খুবই দুপদাপ আওয়াজ করছি; খেলতে মানা করলেন। একটু মন খারাপ করে ঘরে যেয়ে ভাবছি কি করবো।
যখন মোটামুটি ঠিক করে ফেলেছি যে এখন রান্নাঘরে যেয়ে বুয়াদের বিরক্ত করবো তখনই বাইরের দরজায় কলিংবেলের আওয়াজ; উঁকি মারতেই দেখি বাবা দরজায়, আমাকে ডাকলেন। আয়েশা কেঁদে কেঁদে বিচার দিচ্ছে যে আমি ওকে ছাদে আটকে রেখে চলে এসেছি; ছাদের দরজার ছিটকিনি বাইরে থেকে আটকে দিয়েছি। এমন না যে এই কাজটা করতে আমার আপত্তি থাকতো বা আগে করিনি কিন্তু বাবা যখন আমাকে ডেকে পাঠিয়েছেন তখনতো ওরা চারজন ছাদে খেলছে। কিছু বলার আগেই গালে চড়; বাবা কাজে বারবার ব্যাঘাত হওয়ায় বেশ বিরক্ত।
চড় খাওয়া আমার জন্য প্রত্যাহিক ব্যাপার; গতকালইতো গাছ বেয়ে উঠে পাশের বাসার টিনের চালে নেমে ধুমধাম আওয়াজ করার জন্য মার খেয়েছি। কিন্তু চড় খেয়ে চোখ তুলেই দেখি সিঁড়ি দিয়ে সেঁজুতি আর স্নিগ্ধা উঠছে। বড্ড অপমান লাগলো; ওদের ঘরে নিয়ে গেলাম। ওরা আসলে বাইরে কম খেলা হয় আর ছাদেতো একদমই না; আন্টি ছাদে খেলা পছন্দ করেন না। সেদিন এতো মন খারাপ ছিলো যে হাসতে পারছিলাম না। সেঁজুতি বুঝতে পেরেছিলো; ও কথা না বাড়িয়ে বললো “শিখা...আসো ক্যারাম খেলি।“ মেঝেতে ক্যারাম বোর্ড পেতে খেলা শুরু; আমি আর সেঁজুতি খেলছি; স্নিগ্ধা পকেটে পড়া গুটির হিসাব রাখছে।
চুপচাপ মাথা নীচু করে খেলছি; একসময় বোর্ডের কালো কিনারার ওপরে ফোঁটা ফোঁটা জল। নিঃশব্দে কাঁদছিলাম; এতো মন খারাপ হয়েছিলো যে অনেক চেষ্টা করেও কান্না থামাতে পারিনি। স্নিগ্ধা একটু পরে খেয়াল করলো “ওমা!! পানি কেন? শিখাপু তুমি কি কাদঁছো?” কান্না না থামাতে পারার লজ্জায় আমার মাথা আরো নীচু হয়ে গেলো। “আহ্ স্নিগ্ধা...চুপ করো...শিখার মন খারাপ দেখছো না!!!” মাথা তুলতেই দেখি কি মায়াময় দুঃখী দুঃখী দুটো চোখ আমার দিকে তাকিয়ে আছে; সে চোখে ভৎসনা নেই, করুনা নেই। সেঁজুতিকে আমি শুধু সেই মুহূর্তটার জন্য ভালোবেসেছিলাম; কারো চোখে যখন আমার কষ্টে পাতলা জলের পর্দা তিরতির করে কাঁপে তাকে কি ভালো না বেসে পারা যায়?
আন্টি মারা যাওয়ার পরে সেঁজুতি আর স্নিগ্ধা বনানীতে আমাদের বাসায় এসে মাঝে মাঝেই থেকেছে। প্রথমবার থাকতে এলো আন্টি মারা যাবার মাস তিনেক পরে। আমি খুব ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম কিভাবে ওদের দুজনের মন ভালো রাখবো; এক মুহূর্তও একা থাকতে দেইনি; সারাক্ষন বকবক করেছি। সেঁজুতি বারবার ঠোঁট চেপে হাসছিলো; মনে হচ্ছিল ও বুঝতে পারছে যে আমি বড্ড বেশীই হাসিখুশী ভাব করছি। দুজনেই জানি যে সবকিছু ছাপিয়ে কারো না থাকাটাই বারবার মনে পড়ছে।
সেদিন রাতে খুব জোছনা ছিলো। সারা বিছানায় ফিনকি ফোঁটা জোৎস্না; গরমের রাতে বৃষ্টি শুরুর আগে ঠান্ডা হাওয়ায় মশারী উড়ছিলো সমুদ্রগামী জাহাজের পালের মতো। স্নিগ্ধা ঘুমিয়ে গেছে; আমরা দুজন এটা সেটা এলোমেলো গল্প করছিলাম, মাঝে মাঝে টুকরো হাসি। সেঁজুতি হঠাৎই বললো “আম্মুর জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে!!!” কাচভাঙ্গা চাঁদের আলোয় ওর অদ্ভুত সুন্দর চোখ দিয়ে নিঃশব্দে কষ্ট ঝরছিলো। হাত ধরতেই ও আঙ্গুলগুলো জড়িয়ে নিলো; সেঁজুতি আর একটা শব্দও বলেনি। তরল পারদে ডুব দিয়ে আমরা দু’কিশোরী সেদিন চুপচাপ কষ্ট ভাগ করে নিয়েছিলাম।
আমি এখনো কিশোরীবেলার মতোই অভিমানী। আহত বাঘ যেমন তার ক্ষতস্থান বসে বসে চাটে ঠিক তেমনি অবসরে বা রাতের অন্ধকারে আমি আমার দুঃখ আর অভিমান গুলোর পসরা খুলে বসি। এখনো কারো সামনে আমি কাঁদতে পারি না। রাতের আধাঁরে যখন চুপচাপ বালিশ ভেজাই এক মায়াবতী কিশোরীর আঙ্গুল আমার হাত জড়িয়ে থাকে; শ্যাওলা সুশীতল এক কিশোরী মুখ তার দুটো চোখে আমার কষ্টে দুঃখের ছায়া ফেলে।
আমি সেঁজুতিকে হারিয়ে ফেলেছি। সেঁজুতি তোকে বলা হয়নি, হয়তো কখনোই বলা হবে না যে তোকে আমি কেমন ভালোবেসেছিলাম, কতো ভালোবেসেছিলাম। তুই আমার ছায়াময় অতীত যে আমার সঙ্গে বাস করেনা; কিন্তু সেখানে বসত করে আমার অনুভব, আমার অভিমান, আমার কষ্ট।
© শিখা রহমান
বিঃ দ্রঃ লেখাটা যখন লিখেছিলাম তখন তোমার সাথে পরিচয় হয়নি। কোন কোন মানুষকে মনে হয় অনেক আগে থেকে চিনি, তুমি তেমনটাই। শব্দে-লেখায়-কবিতায় মনে হয়েছিলো তোমাকে চিনি, মুখোমুখি দেখা হওয়ার পরে নিশ্চিত হলাম যে তোমাকে জানি। আদরের মিথীমনি এই লেখাটা তোমাকে দিলাম। তুমি নিশ্চয়ই পড়ে বুঝতে পারবে কেন এই জীবনের গল্প তোমাকে মনে করিয়ে দেয়। ভালো থেকো ভালবাসায় প্রিয় মিথীমনি। এত্তো আদর!!
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৮
শিখা রহমান বলেছেন: নীল আমি মানুষটাই নস্টালজিক। আমার অনেকগুলো স্মৃতিচারণমূলক লেখা ইতিমধ্যেই ব্লগে আছে। এই লেখাটা গতবছরের। আজ পড়ে মিথীমনিকে মনে পড়লো আর তাই ব্লগে দেয়া।
পড়ার জন্য আর সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা নিরন্তর!!
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৮
বিজন রয় বলেছেন: পারলাম না প্রথম হতে!!
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫০
শিখা রহমান বলেছেন: বিজন হুউউউ...প্রথম হতে পারেননি। তার ওপরে লেখাটা কেমন লাগলো তাও বলেননি। আপনাকে পাশ মার্ক দেবো কিনা এই নিয়ে চিন্তায় আছি।
ভালো থাকবেন আর একটু জানাবেন লেখাটা কেমন লাগলো।
৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩
নজসু বলেছেন:
আজকে আমি তৃতীয়।
এর জন্য দায়ী নেট।
প্রমাণঃ
This site can’t be reached http://www.somewhereinblog.net took too long to respond.
Try:
Checking the connection
Checking the proxy and the firewall
Running Windows Network Diagnostics
ERR_CONNECTION_TIMED_OUT
ছায়াময় অতীত আমার নজরে এসেছিল তার প্রমাণ নিচে সংযুক্ত হলো।
পড়াশুনা পরে দিবো।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪
শিখা রহমান বলেছেন: নজসু তথ্য প্রমাণতো বেশ ভালো উপস্থাপন করেছেন। আপনি আইন আদালতের লোক নয়তো?
যাইহোক সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দেরীতে আসা মেনে নিলাম। এখন পরীক্ষাটা দিয়ে ফেললেই আপনার এ প্লাস নিশ্চিত।
মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম। শুভকামনা প্রাক্তন ফার্স্টবয়।
৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩
বিজন রয় বলেছেন: Wait -Wet & Take.
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৮
শিখা রহমান বলেছেন: বিজন দেখলাম যে কবিতা সংকলন দিয়েছেন, ব্যস্ত নিশ্চয়ই। অপেক্ষা করতে বলছেন এটুকু বুঝতে পেরেছি।
"পৃথিবীর দীর্ঘতম অপেক্ষা
আমার। বলেছিলে ‘ভুলে যেও...’
অপেক্ষা আসলে একটা অঙ্ক। আর
অঙ্কে তুমি কাঁচাই রয়ে গেলে।
অপেক্ষা আসলে একটা অঙ্ক...
ভালোবাসার ব্যস্তানুপাতিক।
ভালোবাসা শুণ্য হলে অপেক্ষা অসীম হয়ে যায়।
কেউ ফিরবে না জেনেও অপেক্ষা রয়ে যায়,
কালবৈশাখী শেষে বাতাসে ধূলো গন্ধের মতো।
কেউ কোথাও নেই জেনেও
অর্থহীন অপেক্ষারা শিশিরের পায়ে
নিঃশব্দ হেঁটে চলে অন্তহীন গন্তব্যহীন।
.
অঙ্কে তুমি কাঁচাই রয়ে গেলে।
হৃদয় দিয়ে অঙ্ক শেখো
ভালোবাসার মতো।
অঙ্ক মানেই অপেক্ষা...
আর অপেক্ষা মানেই হৃদয়।"
আমার কবিতাটা থেকে অপেক্ষার অঙ্কটা শিখে নেবেন কবি। শুভকামনা।
৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: স্মৃতিচারন পড়ে অনেক ভাল লাগল শিখাপু।
লেখা পড়ে মনের ভেতরে অনেক কথার ঝড় খেলে গেলেও কিছুই বলতে পারলাম না।
আপনার আরও অনেক লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১২
শিখা রহমান বলেছেন: সোহেল "লেখা পড়ে মনের ভেতরে অনেক কথার ঝড় খেলে গেলেও কিছুই বলতে পারলাম না।" --- স্মৃতিচারণ পড়ে আমারও এমন হয় জানেন? হঠাত করে হুড়মুড়িয়ে সব স্মৃতিরা এসে পড়ে।
পাশে থাকার জন্য ভালোবাসা। আমিও কিন্তু লেখা দিয়েই আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকি।
শুভকামনা নিরন্তর!!
৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২
রাফা বলেছেন: টম বয় টাইপ ক্যারেক্টার নাকি ! আমিও ডানপিটে টাইপ ছিলাম।স্বতিচারন ভালো হয়েছে।
ধন্যবাদ,শি.রহমান।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২০
শিখা রহমান বলেছেন: "টম বয় টাইপ ক্যারেক্টার নাকি !" --- খুব ডানপিটে ছিলাম। টম বয় না আমি ছিলাম বয়দের সর্দার!! অবশ্য এখনো যে ডানপিটে নেই সেটাও হলফ করে বলতে পারছি না।
রাফা জানি আপনি মন থেকে বলেন আর তাই আপনার ভালোলাগা অনেক বড় পাওয়া। আর 'শি.রহমান' বলার জন্য ভালোলাগা।
শুভকামনা অফুরন্ত। ভালো থাকুন সবসময়।
৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯
মিথী_মারজান বলেছেন: নিখাদ ভালোবাসার এক পবিত্র গল্প।
নির্মল বন্ধুত্ব, অনুভূতির গভীরতা সব দিক থেকে অদ্ভুত সুন্দর এক মায়াঘেরা স্মৃতিচারণ।
প্রতিটা সূক্ষ্ম বর্ণনা, প্রতিটা সম্পর্কের হিসেব নিকেশ, কি বলবো আমি! জাস্ট মাইন্ড ব্লোয়িং!
কিশোরী উচ্ছ্বল শিখা আপুর মন লুকানো অশ্রুতে চোখ ঝাপসা হয়েছিল, আবার উথালপাথাল মন কেমন করা জোছনা রাতে মায়াবতী দুই বন্ধুর হৃদয়স্পর্শী অনুভবের দৃঢ়তায় চোখের পানি ঠিক আপনার গল্পের বর্ণনার মতই পাতলা জলের পর্দার হয়ে তিরতির করে কাঁপছিল।
আর গল্প শেষের অংশটুকু পড়ে আমার যে কি অনুভূতি হয়েছে, সেটা আমি বলার চেয়ে আপনার নিজের মত বুঝে নিলে আরো অনেক শৈল্পিক প্রকাশ হবে, তাই আর মুখ ফুটে কিছু বললাম না।
আমার ব্লগে আপনার একটা কমেন্ট আছে শিখা আপু, কিছু অনুভূতি শব্দের চেয়ে স্পর্শে ভালো প্রকাশ পায়।
ঠিক তেমন করেই একটা হাগ এক্ষুনি আপনাকে দিতে পারছিনা জন্য খুব শূন্য লাগছে বুকের খুব গহীনে কোথাও।
সব শূন্যতা জমিয়ে রাখলাম আপু, আবার যখন দেখা হবে, আপনাকে অনেকক্ষণ জড়িয়ে রেখে ভালোবাসার পরশমনিতে মন ভরাবো জন্য।
ভালোবাসি, অ-নে-ক ভালোবা, আজ এগুলো বলে একটুও মন ভরছে না প্রিয় জারুল ফুল আমার।
জানি না, কিচ্ছু জানিনা..., জলদি দেশে আসুন তো!!!!
আই মিস্ ইউ।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪১
শিখা রহমান বলেছেন: মিথীমনি তোমার মন্তব্য পড়ে অনেকক্ষণ চুপ করে বসে থাকলাম। ল্যাপটপের স্ক্রীনে শব্দের ওপরে আঙুল ছুঁইয়ে মেখে নেয়ার চেষ্টা করলাম তোমার ভালোবাসা। কি মায়ায় জড়িয়ে কথাগুলো বলেছো!!
আসলেই কিছু কিছু অনুভুতি স্পর্শেই ভালো বোঝানো যায়, শব্দেরা সেখানে ব্যর্থ!! মায়াবতী মেয়ে জমিয়ে রাখো বুকের শূন্যতা। কথা দিচ্ছি দেখা হলে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেবো। তোমাকে সবসময়েই মিস করি মিথীমনি। তুমি ছাড়া জারুল ফুল ফোটে কই!!
ভালো থেকো মিথীমনি। অনেক অনেক আদর আর ভালোবাসা। দেখা হয়ে যাবে নিশ্চয়ই কোন এক নিরালা দুপুরে চায়ের দোকানে, বা পড়ন্ত বিকেলে কোন এক ছোট গল্পের স্টলে।
৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক সুন্দর করে লেখা স্মৃতি;
অমন করে স্নিগ্ধতায় তুমি'ই পারো ভালোবাসতে!
আর উৎসর্গ ও মায়া' র ডালি' কে করেছ ।
তোমাদের দুজ'নের জন্য' ই ভালোবাসা।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮
শিখা রহমান বলেছেন: নীরা "অমন করে স্নিগ্ধতায় তুমি'ই পারো ভালোবাসতে!" --- অমন ভালোবাসা খুব সহজ যখন তুমি আর মিথীমনির মতো মায়াবতীরা কাছে আসে। তোমরা দুজনেই আমার খুব খুব ভালোবাসার মানুষ। এমন মায়ায় জড়িয়ে রাখো সারাক্ষণ, কথায়, কবিতায়। ব্লগে এলে মনে হয় তোমাদের কাছে এলাম, আপনজনদের কাছে।
ভালো থেকো আমার কবিতার মেয়ে। মনে রেখো সুনীলের চেয়েও কিন্তু আমি তোমাকে বেশী ভালোবাসি।
৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৩
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: স্মৃতিচারণ যত সহজ সরল মনে হোক না কেন,প্রকৃত বিচারে তা কিন্তু বেশ কঠিন। সত্য এই যে, জীবন কেবল আমাদের সামনের দিকে তাকাতে বলে । জীবন কখনো সময়ের কষ্টিপাথরে বিচার হয় না।আবার এইমাত্র অতীতে ফিরে তাকানোর মধ্যে দিয়েও জীবনের তাৎপর্য খোঁজা যায়।এ এক জটিল হিসাব আপু ।
ভালো লিখেছেন+++
শুভ কামনা রইলো আপু।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৭
শিখা রহমান বলেছেন: কবীর সুন্দর ও সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ভালোলাগা রইলো। "স্মৃতিচারণ যত সহজ সরল মনে হোক না কেন,প্রকৃত বিচারে তা কিন্তু বেশ কঠিন।" --- প্রত্যাবর্তনের পথ কখনোই সহজ নয়। পিছু ফিরে না চাইলেও বর্তমানের আমি যে পুরোনো আমির ওপরেই কাদামাটি, রঙের প্রলেপ দিয়ে তৈরী। কোথাও না কোথাও তো অতীত রয়েই যায়। আসলেই জটিল হিসেব, তবে জীবনটাই যে জটিল অথবা মানুষই জটিল।
পড়ার জন্য ও প্লাসের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থেকো সবসময়, অতীতকে ভুলে থেকে বা সাথে নিয়ে।
১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
ছোট চোখ দুটি যদি হয় অতীতের স্বপ্ন ধরে রাখার দূরবীন, তাহলে আমার ছোট বেলার প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি দিন সেই অতীতের স্বপ্ন ধরে রাখা সারি সারি করে সাজানো একেকটা মহা মূল্যবান শো পিস। আমার বুকের ভেতরের শ্বাস-প্রশ্বাসের যন্ত্রটা যদি হয় পৃথিবীর সর্বোচ্চ গুদাম, তাইতো সেখানে সারি বেঁধে সাজানো পণ্যের বস্তার মত আছে আমার ছেলেবেলার সেই সু- মধুর সময় আনন্দঘন মুহূর্ত দিনগুলি।
শৈশবের প্রতিটি মুহূর্ত যেখানে একেকটা মহামূল্যবান শো পিস, সেখানে কোনটাই চেড়ে দেওয়া যায় না বারবারই চলে আসে স্মৃতির পাতায়। কোনটাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করি, কোনটাকে নিয়ে স্বপ্নের তুলি দিয়ে ছবি আঁকি। শৈশবের প্রতিটি দিন যেখানে মধুভরা, আনন্দময় ছিলো সেখানে কোন দিনটা বিশেষ ভাবে স্মরণ করি।
শৈশবের প্রতিটি মুহূর্ত সুন্দরী লাস্যময়ী নারীর ভুবন জয় করা হাসির মত, ফুরিয়ে গেলেও হৃদয়ে থেকে যায়। রমণী হারিয়ে গেলেও যেমন হাসির রেশটা থেকে যায় মনের গভীরে ঠিক তেমনি ছোট বেলার দিন গুলি ফেলে এলেও দখল করে নেয় হৃদয়ের সমস্ত জমিনটা।
শৈশব-কৈশোরের দুরন্তপনা আর ডানপিটে জীবন যাপন আমার মত প্রতিটি মানুষের ফ্ল্যাশ ব্যাক জীবন। আমরা যারা শরীর থেকে সেই ছোট গ্রামের কাঁদা আর ধূলা মাটির সোঁদা গন্ধ মুছে দিতে বিদেশী পারফিউম ব্যবহার করে আধুনিক হবার জন্য ব্যস্ত থাকি, তাঁরা কেউ বলতে পারবো ছোট বেলা খড়কুটো দিয়ে বল বানিয়ে বাড়ির উঠানে সাথীদের নিয়ে ফুটবল খেলেনি? আমরা কী বলতে পারবো ঘরের কোণায় পরে থাকা কাঠের টুকরো দিয়ে ব্যাট বানিয়ে টেনিস বল দিয়ে বাড়ির উঠানের ছোট জায়গাটায় মাঠ বানিয়ে খেলিনি?
আপা, আপনার ছায়াময় অতীত পড়ে ভাল লাগা থেকে অনেক কিছু লিখে ফেলেছি।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২২
শিখা রহমান বলেছেন: কাওসার আপনার মন্তব্য মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়লাম। মন্তব্যের প্রতিটা বাক্য টুকে রাখার মতো। খুবই সুন্দর লিখেছেন। "শৈশবের প্রতিটি মুহূর্ত সুন্দরী লাস্যময়ী নারীর ভুবন জয় করা হাসির মত, ফুরিয়ে গেলেও হৃদয়ে থেকে যায়। রমণী হারিয়ে গেলেও যেমন হাসির রেশটা থেকে যায় মনের গভীরে ঠিক তেমনি ছোট বেলার দিন গুলি ফেলে এলেও দখল করে নেয় হৃদয়ের সমস্ত জমিনটা।" --- কি আশ্চর্য সুন্দর কথাগুলো!!
আমার এই সামান্য লেখা আপনাকে এমন সুন্দর কিছু শব্দমালা লিখতে উৎসাহিত করেছে দেখে অভিভূত হলাম। মন্তব্যটার জন্য একরাশ মুগ্ধতা আর ভালোবাসা। আমার প্রিয় মন্তব্যের তালিকায় রেখে দিলাম।
পাশে থাকার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকুন ভালোবাসায়। শুভকামনা নিরন্তর প্রিয় লেখক।
১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপু ,
আপনার ' অতীত ' পড়ে মুগ্ধ হলাম। শৈশবের বিস্তৃতির পাতা থেকে স্মৃতিচারণ অসম্ভব ভালো লেগেছে । বাস্তবে শৈশবটা আয় আমাদের গোটা জীবনে ছায়াময় অতীত। কর্ম জীবনের স্মৃতি আমাদেরকে যত বেশি না ডেকে তার চেয়ে অনেক বেশি শৈশবের স্মৃতি আমাদের কে বারে বারে পিছনে টানে। যে স্মৃতি আমাদেরকে বিমোহিত করে, করে অসহায়। ভালোবাসার এক অকৃত্রিম পরশে যে আমাদেরকে করে তোলে কাব্যিক বা ছন্দময়ী।
বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা জানবেন।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৭
শিখা রহমান বলেছেন: পদাতিক শৈশবের সব স্মৃতিই খুব মায়ায় জড়ানো, খুব নিষ্পাপ, সরলতা মাখানো। ওই সময়টাতে ফিরে যেতে ভালো লাগে সবার, হয়তো কঠিন বাস্তবতা থেকে পলায়ন বা আশ্রয় কখনো কখনো। খুব সুন্দর বলেছেন "যে স্মৃতি আমাদেরকে বিমোহিত করে, করে অসহায়। ভালোবাসার এক অকৃত্রিম পরশে যে আমাদেরকে করে তোলে কাব্যিক বা ছন্দময়ী। "
আপনাকেও অশেষ ভালোবাসা ও শুভকামনা। ভালো থাকবেন প্রিয় লেখক ও ব্লগার।
১২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: অতীত.... সেতো সোনার হরিণ.........
ডাকে কিন্তু উত্তর দেওয়া যায় না.....
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম.....
বরাবরের মতোই পটু হাতের লেখা....
মুগ্ধতার ছোঁয়া রেখে গেলাম....
আপনি তো দেখছি ছোট্টকাল থেকেই দুষ্টু
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩২
শিখা রহমান বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স অতীত ডাকলে উত্তর দেয়া যায় হয়তো কখনো কখনো, তবে কখনো কখনো ডাকে সাড়া না দেয়াই ভালো। "কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে?"
ঠিক ধরেছেন আজন্ম দুষ্টু। এখনও শুধরাইনি। এও ঠিক যে রতনে রতন চেনে। আপনি ঠিক চিনতে পেরেছেন।
আপনার মুগ্ধতা সবসময়েই অভিভূত করে। শুভকামনা।
১৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আবারও এলাম।
কিছু স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়ায় আজীবন,
খুঁজে ফেরে..........
আসলে জীবন বড়ই নিষ্ঠুর......
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫
শিখা রহমান বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স আবারো ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ। হুউউউ...Some memories do haunt us forever!!
ভালো থাকুন প্রাচীন পক্ষী। মাঝে মাঝে আমার ব্লগে ডানা মেলে বসবেন নাহয়। দেখা হবে গল্পে-কবিতায়।
১৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১০
ফোয়ারা বলেছেন:
কিছু স্মৃতি জীবনের মানসে লেপ্টে থাকে। সেই সব স্মৃতি আমাদের নাড়া দেয়।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭
শিখা রহমান বলেছেন: ফোয়ারা জীবনের পথ পরিক্রমায় স্মৃতিতো কুড়াতেই হয়।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ভালোলাগা ও আমার লেখায় স্বাগতম। শুভকামনা সতত!!
১৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল ভাষায় সুন্দর লিখেছেন।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪০
শিখা রহমান বলেছেন: রাজীব পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনি সবসময় মন্তব্য করে পাশে থাকেন সেজন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা প্রিয় ব্লগার।
১৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪
কিরমানী লিটন বলেছেন: নিখাদ ভালোবাসার এক পবিত্র গল্প- মুগ্ধতা রইলো ...।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪২
শিখা রহমান বলেছেন: কিরমানী লিটন শৈশবের গল্পগুলো এমনই নিষ্পাপ, আর সরলই হয়, আর ভালোবাসাও বড় নিঃস্বার্থ, নিখাদ হয়।
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। শুভকামনা কবি।
১৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০
কালো_পালকের_কলম বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লেগেছে...
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩
শিখা রহমান বলেছেন: কালো_পালকের_কলম আপনার ভালোলাগা অনেক বড় পাওয়া। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা নিরন্তর!!
১৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০০
করুণাধারা বলেছেন: পরিচিত কোন মানুষকে দেখতে পেলে ভালো লাগে, হোক না এক মুহূর্তের জন্য........এক মুহূর্তই খুলে দেয় বন্ধ থাকা স্মৃতির ঝাঁপি............
তাই খুব ভালো লাগলো এই গল্প; অবশ্য চড়টা কিছুতেই মেলাতে পারছি না!!!!
ভালো থাকুক সবাই- শিখা, মিথী আর অল্প বয়সে মা হারানো, হারিয়ে যাওয়া সেঁজুতি- স্নিগ্ধা।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪
শিখা রহমান বলেছেন: করুণাধারা আপনাকে ব্লগে কোন সম্বোধন করছি না বলে কিছু মনে করবেন না প্লিজ!! আপনি বলেছিলেন ব্লগে আপনি 'করুণাধারা'ই থাকতে চান তাই।
বুঝতে পারছি আপনি এই স্মৃতি কথার কয়েকজন মানুষকেই দেখতে পাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময়টাতে, আমার শৈশবে-কৈশোরে। আর বন্ধ থাকা স্মৃতির ঝাঁপি খুললেই হুড়মুড়িয়ে সব প্রিয় মুখেরা চলে আসে।
আপনি চড়টা মেলাতে পারছেন না কারণ আপনি আব্বুকে চেনেন, কিন্তু আমাকে হয়তো অতোখানি নয়। আমি ছেলে বেলায় (দুর্মুখেরা বলে এখনও) খুবই চঞ্চল ছিলাম। আরো কয়েকটা স্মৃতিকথা ব্লগে দিলে হয়তো বুঝতে পারবেন আমি কি দুরন্ত ছিলাম।
আপনিও ভালো থাকবেন। শুভকামনা অফুরন্ত!!
১৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: যখন কারো জীবনের কথা শুনি, এবং ঐ গল্পকথার বর্ণনায় মনের মাঝে লুকিয়ে থাকা কষ্টগুলোর আভাস পাই, তখন মনটা খারাপ হয়ে যায়।
শিখাআপু, ছবিটা খুব রহশ্যময় এবং সুন্দর।
ভালো থাকুন সবসময়
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮
শিখা রহমান বলেছেন: প্রান্ত আপনি খুব সংবেদনশীল মানুষ ও পাঠক। আপনি যে গল্পের মাঝে লুকিয়ে থাকা কষ্টগুলো অনুভব করেছেন সেজন্য ভালোবাসা রইলো।
মনছোঁয়া মন্তব্যের জন্য ভাললাগা। শুভকামনা। ভালো থাকুন সবসময়।
২০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮
ওমেরা বলেছেন: আপু আপনার ছোট বেলার স্মৃতিচারন পড়ে মুগ্ধতায় মন ভরে উঠল। অনেক ভাল লাগল আপু।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০১
শিখা রহমান বলেছেন: ওমেরা মনি তোমার ভালো লেগেছে জেনে মনটা আলো হয়ে গেলো। ভালো থেকো মিষ্টি লেখিকা। অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা।
২১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: জ্বলে পুড়ে হনু খাক
যত কও মিনসে;
মিথীমনি লাক দেখে
হিংসেই হিংসে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১১
শিখা রহমান বলেছেন: কেন বাপু হিংসেই হিংসে?
কয়লার ময়লা যায় না ধুলে।
কেউ শিখাকে ভালোবাসে,
আর কেউ তার আগুনে জ্বলে!!
২২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
এস এম ইসমাঈল বলেছেন: এখন একটু খানি পড়লাম। আর বুঝলাম শিখার লেখা সব সময় আলো ছড়ায়। পরে এসে মন্তব্য দিয়ে যাবো। ততক্ষণ পর্যন্ত গুড বাই, প্রিয় শিখা মণি।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৩
শিখা রহমান বলেছেন: এস এম ইসমাঈল ব্যস্ততার মাঝেও মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। লেখার বিষয়ে আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম। ভালো থাকুন। দেখা হবে আবার নিশ্চয়ই!!
২৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লিখকের বড়গুণ পাঠককে লিখার সাথে একাত্ব করতে পারা।
সে হিসাবে স্মৃতিচারণটি সার্থক। মনে হচ্ছিল সব চোখের সামনে দেখছি।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৬
শিখা রহমান বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই আমার স্মৃতিচারণকে আপনার আপন মনে হয়েছে শুনে মন ভরে গেলো। মন্তব্যে বরাবরের মতোই অনুপ্রাণিত হলাম।
ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা প্রিয় ব্লগার।
২৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: ছায়াময় অতীত- গল্পের শিরোনাম বেশ চমৎকার হয়েছে। যদিওবা অতীত'কে অতীত নামে ডাকলেই সে অতীত হয়ে রয় না, সে ফিরে ফিরে আসে বর্তমানে।
গল্পের সেজুতী'র জন্য মায়া পড়ে রইলো। সেঁজুতি'র মা জিনি দারুণ চমতকারভাবে উপস্থাপন করতেন নিজেকে বিকালের হেলে পড়া রোদের সাথে, বেশ পরিপাট্যতায় তার জন্যও বেশ স্নেহের জল ছলছল করে উঠলো।
সর্বোপরি, গল্পের তৃতীয় ও প্রধান ভাগ- যিনি তার নিজের ছায়াময় অতীতকে টেনে এনেছেন যাদুকরী শব্দ বিন্যাসে তার প্রতিও মুগ্ধতা রইলো।
শুভেচ্ছা শিখা আপু।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২০
শিখা রহমান বলেছেন: জাহিদ "যদিওবা অতীত'কে অতীত নামে ডাকলেই সে অতীত হয়ে রয় না, সে ফিরে ফিরে আসে বর্তমানে।" --- কবি বলেই কি মনের কথাটা এতো সহজে বলে দিলে?
আমার সেঁজুতি আর তার মায়ের জন্য এমন মায়াভরা কথাগুলো মন ছুঁয়ে গেলো। আর কবি মুগ্ধ হয়েছে যখন, তখন লেখাটা আসলেই সার্থক!!
শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় কবি। ভালো থেকো সবসময়।
২৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৬
জাহিদ অনিক বলেছেন: ওহ ! গল্পের উৎসর্গের পর্বটা - মিথী আপু নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কেন তাকে উৎসর্গ করা হয়েছে, আমার তো মনে হয় আমিও কিছুটা বুঝেছি।
মিথী আপু ও আপনাকে- দু'জনকেই শুভেচ্ছা।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২২
শিখা রহমান বলেছেন: হুউউউ...তুমি তো বুঝতেই পারবে। তুমি-আমি-মিথী গল্পে কবিতায় পরষ্পরকে জেনে গেছি।
ভালো থেকো। তোমাকেও অফুরন্ত শুভেচ্ছা।
২৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৮
নজসু বলেছেন:
পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম কমেন্টে প্রশ্ন করবো এটা কল্পনার গল্প নাকি জীবনের গল্প।
শিখা আসো ক্যারাম খেলি বাক্যটা যথন পড়লাম তখন বুঝতে পারলাম এটা
কল্পনায় আঁকা কোন গল্প হতে পারেনা।
জীবনের গল্প বলেই এর পরতে পরতে মিশে আছে মমতা আর স্বার্থহীন ভালোবাসার পরশ।
মা মরা একটা মেয়ের প্রতি আপনার যে সহানুভূতি আর মায়া দেখলাম তা অতুলনীয়।
বন্ধুত্বের যে বন্ধন ছিল সেটা অতিক্রম করে নতুন করে আত্মার সাথে মিশে গেছেন যেন।
সেঁজুতির কষ্টটাকে নিজের কষ্ট করে নিলেন কেন? সেঁজুতির জন্য আপনার বুকচেড়া হাহাকার আমি বুঝতে পেরেছি।
সেদিন জোছনা রাতে সেঁজুতি যখন মায়ের জন্য কষ্টের কথা আপনাকে বললো আপনা আপনি আমার চোখ দুটোও ছলছল করে উঠলো।
খুব কষ্ট লাগলো।
সেঁজুতি হারিয়ে গেলেও আপনার হৃদয়ে আজীবন জ্বলজ্বল করে বেঁচে রবে। এটা আমার বিশ্বাস।
সেঁজুতি যেখানেই থাক আপনার ভালোবাসার অনুভূতিতে ভাসবে।
আপনার সাবলীল বর্ণনা, গল্পের উপস্থাপনা সব সুন্দর।
মিথীমনি কে? আমি নতুন, তাই হয়তো চিনিনা।
সবার জন্য শুভকামনা।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৯
শিখা রহমান বলেছেন: নজসু আপনার মন্তব্য পড়ে আমার নিজেরই চোখ ছলছল করে উঠলো। আপনি সেঁজুতির কষ্ট ঠিক আমার মতোই বুঝতে পেরেছেন। সেই জ্যোৎস্নারাতে আমার আর সেঁজুতির পাশে চুপচাপ বসে উথাল পাথাল আলোয় ভেসে বেড়ানো কষ্ট অনুভবের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ভালোলাগা।
মিথী মারজানকে লেখাটা উৎসর্গ করেছি। আমি আদর করে মিথীমনি বলি। আপনি ৭ নম্বর মন্তব্যে ওকে পেয়ে যাবেন।
আপনাকেও শুভকামনা ফার্স্টবয়। ভালো থাকুন, পাশে থাকুন সবসময়।
২৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন:
আমরা মানুষ আমাদের ছোট চোখ দুটি যদি হয় অতীতের স্বপ্ন ধরে রাখার দূরবীন মন যদি স্মৃতি বক্স তবেই এমন নিপুণ লেখা উপহার দেওয়া যায়। আর পাঠক যদি সুখ পাঠ্য পায় তাহলে লেখকের ক্রেডিট আরো বহুগুনে বর্ধিত হয়। এ যেনো গল্প নয় দেখিয়ে দেওয়া কোন এক খন্ড জীবনের চিত্রপট।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩২
শিখা রহমান বলেছেন: সুজন কি সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন!! পড়ে শব্দের বিন্যাসে, কারুকার্যে অভিভূত হলাম। এটা আসলেই জীবনের এক টুকরো, গল্প নয়।
আপনার মন্তব্যে বরাবরের মতোই অনুপ্রাণিত হলাম। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা। শুভকামনা সতত!!
২৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৪
উম্মে সায়মা বলেছেন: গল্প পড়ে সেজুঁতির জন্য মন ভিজে গেল। মানুষের কত সুন্দর সাজানো জীবন নিমেষে কিভাবে ধুলায় মিশে যায় দেখলে খুব কষ্ট হয়। তখন জীবনের বাস্তবতা স্পষ্ট হয় নিজের কাছেও।
মিষ্টি মেয়ের গল্প উৎসর্গ করেছেন আরেক মায়াবতীকে
দুজনের জন্যে ভালোবাসা.....
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬
শিখা রহমান বলেছেন: সায়মা মনি সেঁজুতি আসলেই বড় মায়াবতী ছিলো। হুমায়ুন আহমেদের গল্পে-উপন্যাসে যখনই মায়াবতী মেয়েদের কথা পড়েছি, ওর কথা, ওর মুখ ভেবেছি। এমন মায়াবতীর গল্প যে আরেক মায়াবতীকেই উৎসর্গ করা যায়।
তোমাকেও এত্তো আদর আর ভালোবাসা মিষ্টি কবি। ভালো থেকো ভালোবাসায়।
২৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৪২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পড়ে গেলাম।। গল্পে কিন্তু সেই প্রথম দিককার কিছুই পেলাম নাৃৃ সেজুতিতে কিছুটা.......।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪১
শিখা রহমান বলেছেন: সচেতনহ্যাপী অনেকদিন পরে আপনাকে ব্লগে আর লেখায় পেলাম।
আমার এই গল্পটা কিন্তু বেশ আগের লেখা, বছর দেড়েক আগের। তখন আপনি আমার লেখাগুলোতে নিয়মিত মন্তব্য করতেন খেয়াল আছে। তাই মনে হয় না এখনকার লেখা বলে আপনি আগের কিছু খুঁজে পাননি। আমার মনে হয় লেখাটাই ভালো হয়নি।
তারপরেও পড়েছেন বলে ধন্যবাদ আর আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে অনেক।
আশাকরি মাঝে মাঝে লেখায় আপনাকে পাবো আর কোন একটা লেখা হয়তো আপনার ভালো লাগবে। শুভকামনা রইলো।
৩০| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ এবং মনোমুগ্ধকর লেখা। শুভ সকাল।
+।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪
শিখা রহমান বলেছেন: শুভ সকাল সুমন। আমার যদিও শুভ সন্ধ্যা!!
আপনার ভালোলাগা বড় পাওয়া। আমার সন্ধ্যাটা তাই আপনার মন্তব্যে আলো হয়ে গেলো।
শুভকামনা কবি। সুন্দর কাটুক আজকের দিনটা ও অনাগত দিনগুলো।
৩১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩
অচেনা হৃদি বলেছেন: লেখাটা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে আপু, অনেক ভালো।
লেখার মত মানানসই সুন্দর একটি মন্তব্য লিখতে পারলে আমার কাছে ভালো লাগতো, কিন্তু আমার সময় খুব সংকুচিত। তাই মনের কথাগুলো লিখতে পারছি না।
ভালোলাগা জানবেন আপু।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
শিখা রহমান বলেছেন: হৃদিমনি তোমার লেখাটা অনেক ভালো লেগেছে জেনে মন ভরে গেলো। মানানসই মন্তব্য না লিখলেও হবে। তুমি পড়েছো আর তোমার ভালো লেগেছে সেটাই আমার মন ভালো করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
ভালো থেকো সবসময়। তোমাকেও অনেক ভালোলাগা ও শুভকামনা।
৩২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫
মলাসইলমুইনা বলেছেন: সেজুতির মতো ছিল আমার অভিন্ন হৃদয় বন্ধু তমাল। ওর আম্মা যখন মারা যান তখন আমরা সাত । অনেক দিন তমালের সাথে দেখা হয় না । ওর কথাটা এতো মনে পড়লো আপনার লেখা পড়তে পড়তে । অনেক রাতে চুপচাপ পড়লাম । আমার পেছনে ফেলে আসা সব পেয়েছির ছোটবেলার অনেক কথা ভাবলাম ।আবার পড়লাম কিছুটা ।আরো বেশি ছোট বেলা ভাবলাম ।গল্পটা শেষ হতেই মনে হলো আরো একটু কেন লিখলেন না। রাজসিক বর্ণনা, ভাষার অলংকার সব মিলে আরেকটা মাস্টারপিস হয়েছে এই গল্প । যত স্নো এই আকাশ থেকে পড়ছে এখন-তার সবটুকু মিলে যতদূর শুভ্র চাঁদর বিছিয়েছে মাটিতে তত দীর্ঘ্য ভালো লাগা গল্পের প্রতিটা লাইনে লাইনে আমিও বিছিয়ে দিলাম। এমন একটা গল্পই আমার নদীতো আত্মীয়কে উৎসর্গ করা যায়।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫
শিখা রহমান বলেছেন: মলাসইলমুইনা আপনি এমন হৃদয়ছোঁয়া মন্তব্য করেন যে পড়ে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকি। কোন এক অজ্ঞাত কারণে আপনার সাথে আমার অনেক অভিজ্ঞতা, গল্প মিলেই যায়। শব্দ যে কি আশ্চর্য একটা যাদু!! কিভাবে হাজার যোজন দুরে থাকা সম্পূর্ণ অচেনা দুজন মানুষকে পরষ্পরের কাছকাছি এনে দেয়।
"যত স্নো এই আকাশ থেকে পড়ছে এখন-তার সবটুকু মিলে যতদূর শুভ্র চাঁদর বিছিয়েছে মাটিতে তত দীর্ঘ্য ভালো লাগা গল্পের প্রতিটা লাইনে লাইনে আমিও বিছিয়ে দিলাম।" --- এতো ভাললাগা রাখার জায়গা কোথায় বলুন তো? কিছু ভালোলাগা তাই আপনাকেও ফিরিয়ে দিলাম। আর ঠিক বলেছেন মায়াবতীর গল্প কেবল আরেক মায়াবতীকেই দেয়া যায়।
ভালো থাকুন বরফের দেশে ভালোবাসার উষ্ণতায়। শুভকামনা সতত!
৩৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩১
তারেক ফাহিম বলেছেন: ব্লগটিতে ২ নাম্বার পাঠক ছিলাম আমি। কিছু অংশ পড়েছি, একটু পড়ে ব্যস্ত হয়ে উঠায় মন্তব্য করতে পারি নাই।
স্মৃতিচারন আমার কাছে সবসময় মধুর লাগে।
প্রতিটি শব্দে ভালোবাসার প্রলেপ দিয়ে সাজানো।
পাঠে অনেক অনেক ভালোলাগা।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭
শিখা রহমান বলেছেন: তারেক ফাহিম অনেক ধন্যবাদ ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে লেখাটি পড়ার জন্য। আপনার সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
পাশে থাকার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। অশেষ ভালোলাগা ও শুভকামনা রইলো।
৩৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯
এস এম ইসমাঈল বলেছেন: ফেলে আসা দিন, স্বপ্ন রঙিন,
পিছু ডাকে মোরে, বাজিয়ে বীণ।
প্রজাপতি মন মানেনা বারণ,
ফিরে পেতে চায় যাপিত জীবন।
এ কেমন আচরণ, বুঝিনা কারণ?
পোড়ামন শুধুই কাঁদে অকারণ,
সেই দিনগুলো ফিরিবে না আর,
মন চায় ফিরে পেতে বার বার।।
মনে পড়ে ছিল কতনা সুহৃদ,
খেলায় খেলায় কেটে যেতো দিন
প্রভূ করে দিও তাঁদের কল্যাণ,
যাঁদের কথা ভেবে কাঁদে মোর প্রাণ।
সে মধুর ক্ষণগুলো জানি হয়েছে গত,
স্মৃতিরা কাঁদায় মোরে অবিরত,
বড় হবার অনেক জ্বালা,
আসে না ফিরে আর সেই ছেলে বেলা।
কাঁদলে যায়না সে দুঃখ-ব্যাথা ভার,
কোথায় গেলে পাবো নিস্তার?
সময় আর স্রোত নয় থামবার,
পাহারা দিয়েও নয় সে রুখবার।।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০
শিখা রহমান বলেছেন: এস এম ইসমাঈল বাহ!! চমৎকার কবিতায় অভিভূত হলাম।
ছায়া ছায়া স্মৃতিমাখা কাব্যিক মন্তব্যে একরাশ ভালোলাগা আর মুগ্ধতা।
ভালো থাকবেন অনেক। পাশে থাকার জন্য আর সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য শুভকামনা অফুরন্ত।
৩৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৮
মুক্তা নীল বলেছেন: আপা, আপনার এই *ছায়াময় অতীত* পড়ে মনে পড়ে গেলো আমার সেই হারিয়ে যাওয়া শৈশবের কথা। এতো সুন্দর করে সেজুঁতির কথা লিখলেন,মনে হচ্ছে দুনিয়াতে এখনও ভালো মানুষ আছে। রক্তের সম্পর্কের চেয়েও আত্মার সম্পর্ক কোন অংশে কম নয়। আমি বলবো, মত থেকে এতো ভালোবেসেছেন বলেই তো আপনার কাছে এই অতীত "মায়াময় অতীত"।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪
শিখা রহমান বলেছেন: মুক্তা নীল ব্লগে এসেই সুন্দর মন্তব্যে মন ছুঁয়ে গেলেন। আমার স্মৃতিচারণ আপনাকে শৈশবের কথা মনে করিয়ে দিতে পেরেছে শুনে ভালো লাগলো। খুব সুন্দর বলেছেন "মায়াময় অতীত"...আসলেই তাই!!
ভালো থাকুন সবসময়। মাঝে মাঝে আপনাকে লেখায় পাবো আশা করছি। শুভকামনা নিরন্তর!!
৩৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১৮
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আদরের মিথীমনির জন্য আমার উজার করা ভালবাসা থাকল।
লেখাটা বলছে যে, একদিন কথ্য লেখক হতে পারবে ।
.............................................................................
আদরের মিথীমনি কি এই রকম ??
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬
শিখা রহমান বলেছেন: স্বপ্নের শঙ্খচিল সুন্দর মন্তব্যের জন্য ভালোলাগা। কিভাবে জানলেন যে আদরের মিথীমনি এমনটা? অবশ্য আদরের মিথীমনিরা এমনটাই হয়।
পড়ার জন্য ও সবসময়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা অফুরন্ত।
৩৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: বাহ! দারুণ লিখেছেন আপু....
শুভ কামনা রইলো।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭
শিখা রহমান বলেছেন: প্রভমনি তোমার ভালো লেগেছে জেনে মন আলো হয়ে গেলো। ভালোবাসা আর শুভকামনা এত্তো!!
৩৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ছায়াময় অতীত যে এত্টা আবেগময় হতে পারে, আপনার হৃদয়ছোঁয়া লেখাটা না পড়লে বুঝতে পারতাম না।
পোস্টে +++++ ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯
শিখা রহমান বলেছেন: শামছুল ইসলাম আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। প্লাসের জন্য ভালোলাগা জানবেন।
পড়ার জন্য ও মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা অফুরন্ত।
৩৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: একখানা পোস্ট দিয়েছি....
একটু দেখবেন
২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫০
শিখা রহমান বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স আরেহ!! মাত্র আপনার পোস্টে মন্তব্য করে এলাম। প্রিয়তে নিয়েছি। মনে রাখার জন্য ভালোবাসা আর শুভকামনা।
৪০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: হিংসা ভালো নয় !!! তবু আপনার লেখা পড়ে আমার হয়।
আপনার চেয়ে ভালো লেখে একদিন করব জয় ।
সত্যি ভালো লাগলো। শুভাকাঙ্ক্ষা...
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬
শিখা রহমান বলেছেন: পবিত্র হোসাইন আমার লেখায় আপনাকে স্বাগতম।
হিংসা করে ভালো লিখলে বেশ হয়। আমরা ভালো লেখা পাই।
আর আমি খুব সামান্য লেখক। আপনি হিংসা করেছেন দেখেও ভালো লাগছে। আপনি নিশ্চিত একদিন অনেক দেশ বরেণ্য লেখকদের মতোই ভালো লিখবেন।
আপনার মন্তব্যের ভালোলাগা আসলেই মন ছুঁয়ে গেলো। ভালো থাকুন আর আশাকরি কখনো দেখা হয়ে যাবে কোন গল্প বা কবিতায়। আর আপনার হিংসা হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১২
নীল আকাশ বলেছেন: কি আপু, স্মৃতির কবিতা পড়ে কি নস্টালজিক হয়ে গেলেন নাকি? হঠাৎ এই ধরনের লেখা.......
পুরোনো স্মৃতি নিয়ে লেখা ভালো হয়েছে....
শুভ কামনা রইল!