![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অজানা অদেখাকে জানতে জানাতে
ইউরোপ ও এশিয়ার মাঝে অবস্থিত এক বিষ্ময়কর জলাশয় কাস্পিয়ান সাগর। চারিদিকে ভূমিদ্বারা বেষ্টিত এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জলাশয়। আয়তনের বিচারে জলাশয়টি সাগরের সমান হলেও, সংজ্ঞা মতে এটি একটি হ্রদ।
কাস্পিয়ান সাগর এশিয়ার পশ্চিমে এবং ইউরোপের পূর্ব পাশ্বে অবস্থিত। এ সাগরের উত্তর-পূর্বে রয়েছে কাজাখস্তান, উত্তর-পশ্চিমে রাশিয়া , পশ্চিমে আজারবাইজান, দক্ষিণে ইরান এবং দক্ষিণ-পূর্বে তুর্কমেনিস্তান। কাস্পিয়ান সাগরের আয়তন ৩,৭১,০০০ বর্গ কিলোমিটার। জলাশয়টিতে প্রায় ৭৮,২০০ ঘন কিলোমিটার জল সঞ্চিত রয়েছে। কাস্পিয়ান সাগরের সর্বোচ্চ গভীরতা ৩৩৬২ ফুট। এই সাগরে প্রচুর পরিমানে স্টারজন মাছ পাওয়া যায়। স্টারজন মাছ হলো স্বাদু পানিতে প্রাপ্ত সব চেয়ে বড় প্রজাতির মাছ। বহু প্রাচীনকাল হতেই কাস্পিয়ান হ্রদের অতি বিশাল আয়তনের কারণে একে সাগর মনে করা হতো। তৎকালীন সময়ে পৃথিবীর বিস্তারিত মানচিত্র না থাকায় মনে করা হতো, এই জলাশয়টি হয়তো কোনো না কোনোভাবে সাগরের সাথে মিশেছে।
এছাড়া জলাশয়টি প্রকৃতপক্ষে একটি হ্রদ হলেও এর পানি সাগরের মতো লবনাক্ত। ঐতিহাসিক বর্ণনা থেকে জানা যায়, রোমানরা যখন এই সাগরের দক্ষিণাঞ্চলে আসে তখন তারা জলাশয়টির পানির লবণাক্ততা দেখে একে সাগর হিসেবে অভিহিত করে। ভলগা নদী এবং উড়াল নদী হতে প্রচুর পরিমান স্বাদু পানি এই সাগরে পতিত হয়। এর ফলে কাস্পিয়ান সাগরের উত্তর অংশের পানি মিঠা পানি হলেও কোনো কারণে কাস্পিয়ান সাগরের মধ্যবর্তী ও দক্ষিণ অংশের পানি লবনাক্তই থেকে যায়। তবে এই লবণাক্ততার পরিমান সাধারণ সামুদ্রিক জলের ৩ ভাগের ১ ভাগ মাত্র।
কাস্পিয়ান সাগর নাকি হ্রদ সেই বিতর্ক এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতির জন্য বিরাট এক সংকট। দীর্ঘ দিন থেকে এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ আহরণ ও জলসীমার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে কাস্পিয়ান সাগরের তীরবর্তী দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্ধ চলছিল। কাস্পিয়ান সাগরের পানির নিচে বিপুল পরিমান খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ রয়েছে। কাস্পিয়ান যদি সাগর হয় তবে এর জলসীমা জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সমুদ্র নীতি অনুযায়ী কাস্পিয়ান তীরবর্তী দেশগুলোর মধ্যে বন্টন করা হবে। আর যদি এটিকে হ্রদ হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেক্ষেত্রে প্রতিটি দেশ তাদের উপকূল থেকে ১৫ মাইল দূর পর্যন্ত খনিজ সম্পদ আহরণ করতে পারবে এবং আরো অতিরিক্ত ১০ মাইল পাবে মৎস শিকারের জন্য। আর মাঝখানের বাকি অঞ্চল সব দেশ মিলেমিশে ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু এই অঞ্চলে রাশিয়া এবং ইরানের মতো শক্তিশালী প্রতিবেশী দেশের কারণে ছোট দেশগুলো কাস্পিয়ানকে হ্রদের মতো বাটোয়ারা করতে রাজি নয়। এই সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি কাস্পিয়ানের আইনগত অবস্থান নিয়ে ইরান, রাশিয়া, কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও আজারবাইজান একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তি কাস্পিয়ান কনভেনশন নামে পরিচিত। চুক্তিতে ২৪টি অনুচ্ছেদ থাকলেও সেগুলোর মধ্যে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, এই সাগরে বাইরের কোনো দেশের সামরিক উপস্থিতি থাকতে পারবে না। এছাড়া এই সাগর দিয়ে বাইরের কোনো দেশ তাদের সামরিক সরঞ্জাম পরিবহন করতে পারবে না। কাস্পিয়ান সব চেয়ে বড় হ্রদ হলেও এর পানি সুপেয় নয়।
২| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩৭
পাতা ছেড়া ডায়েরি বলেছেন: http://vara24.com/
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
৪| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫২
শের শায়রী বলেছেন: কর্ম উপলক্ষ্যে ওখানে যেতে হয়েছিল। দারুন জায়গা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০
জাহিদ হাসান বলেছেন: এটা একটা হৃদ ছাড়া আর কিছুই না।