নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানি না

আমি ........

রফিকুল রানা

রফিকুল রানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাবিশ্বের ব্ল্যাক হোল রহস্য

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২০

মহাবিশ্বের সবচাইতে রহস্যময় বস্তু হল ব্ল্যাক হোল। মহাবিশ্বের কিছু স্থান আছে যা এমন শক্তিশালী মহাকর্ষ বল তৈরি করে যে এটি তার কাছাকাছি চলে আসা যেকোন বস্তুকে একেবারে টেনে নিয়ে যায়, হোক তা কোন গ্রহ, ধুমকেতু বা স্পেসক্রাফট, তাই ব্ল্যাক হোল। পদার্থবিজ্ঞানী জন হুইলার এর নাম দেন ব্ল্যাক হোল। কেন? কারন ব্ল্যাক হোলের মহাকর্ষ বল এতই বেশি যে এর আকর্ষন থেকে এমনকি আলোও(ফোটন) বের হয়ে আসতে পারে না। ১৯১৬ সালে আইনস্টাইন তার জেনারেল রিলেটিভিটি তত্ত দিয়ে ধারনা করেন ব্ল্যাক হোল থাকা সম্ভব। আর মাত্র ১৯৯৪ সালে এসে নভোচারিরা প্রমাণ করেন আসলেই ব্ল্যাক হোল আছে। এটি কোন সাইন্স ফিকশন নয়। জার্মান বিজ্ঞানী কার্ল শোয়ার্জস্কাইল্ড ১৯১৬ সালেই দেখান যেকোন তারকা ব্ল্যাক হোলে পরিণত হতে পারে। সূর্যের ব্যাসার্ধ (৮৬৪,৯৫০মাইল) যদি কমতে কমতে সঙ্কুচিত হয়ে ১.৯ মাইলে পরিণত হয় তাহলে সূর্যও ব্ল্যাক হোলে পরিণত হবে। তিনি ঘটনা দিগন্তের ব্যাসার্ধ মাপতে সক্ষম হন। ঘটনা দিগন্ত হল কোন এলাকা ব্যাপী ব্ল্যাক হোলের প্রভাব থাকবে সেই এলাকার ব্যাসার্ধ। বিজ্ঞানীরা প্রথম Cygnus X-1 নামক তারকারাজি থেকে মাত্রাতিরিক্ত এক্সরে রেডিয়েশন বেরুচ্ছে খেয়াল করেন।



১৯৭১ সালে বিশ্বের প্রথম এক্সরে স্যাটেলাইট এই এক্সরে রেডিয়েশনের মূল সূত্র বের করে হতবাক হয়ে দেখেন এটা একটা অতি বৃহৎ কিন্তু অদৃশ্য বস্তু থেকে আসছে। চতুর্মাত্রিক মহাবিশ্বের দ্বিমাত্রিক চিত্রায়ন করার চেষ্টা ব্ল্যাক হোলের একটা বিশেষত্ব হচ্ছে এর

চারপাশে যখন আকর্ষিত গ্যালাক্সি এসে পড়ে তখন

এটি গ্যালাক্সি বা যেকোন মহাজাগতিক বস্তুকে স্পাইরাল একটা ওয়ে(WAY) তে শুষে নিতে থাকে। এটা অনেকটা এমন যে একটা টেবিলের মাঝখানে ফুটো করে সেই ফুটোটা যদি টেবিলের লেভেল থেকে একটু নিচে থাকে তাহলে একটা বল

টেবিলে ছেড়ে দিলে তা ঘুরতে ঘুরতে সেই ফুটোতে পতিত হবে একসময়। ব্ল্যাক হোল একটা গ্যালাক্সিকে শুষে নিচ্ছে ব্লাক হোল আসলে মৃত তারকা। তারকা মানে হল উজ্জ্বল নক্ষত্র। যাদের আলো আছে। যেমন – সূর্য। ভারতের অসাধারন মেধাসম্পন্ন বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর সুব্রাহ্মন কোন তারা ব্লাক হোল হতে পারে তার একটা সীমা ঠিক করে দিয়েছেন। তা হল সুর্যের ভরের ১.৫ ভাগ বেশি ভরের সব তারা নিজেদের জ্বালানী শেষ

হয়ে গেলে নিজেদের ভরে নিজেরাই সঙ্কুচিত হয়ে সসীম আয়তন কিন্তু অসীম ঘনত্বের ব্ল্যাক হোলে পরিণত হবে। বাকিরা পালসার বা নিউট্রন তারকা হবে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ২:১৮

মিনহাজুল হক শাওন বলেছেন: এসব বিষয়ে বরাবরই মজা পাই। যদিও জানতাম, কিছু তথ্য নতুন পেলাম। +

২৮ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:০২

রফিকুল রানা বলেছেন: আমারও মজা লাগে ।

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৪২

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: উদাহরণে ড: মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছিলেন যে "একটি পিপড়াকে যদি একটি বৈ এর ৩নম্বর পৃষ্ঠা থেকে ৭নম্বর পৃষ্ঠায় যেতে হয় তো তাকে একটা বিশাল পথ পাড়ি দিতে হবে তো এখন যদি সে ৩নম্বব পৃষ্ঠায় একটা ছিদ্রকরে যেটা ৭নম্বর পৃষ্টা পর্যন্ত দৈর্ঘ্যে তাহলে সে খুব তারাতারি সেখানে পৌছে যাবে। আর এই চিদ্রটাই ঐ পিপড়ার ব্লাকহোল" কিন্তু বাস্তব ব্লাকহোল এখনো এক রহস্য । এর শেষে কি কিছু আছে? থাকলে সেটা কি?

২৮ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:০৪

রফিকুল রানা বলেছেন: জানি না।

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৪৫

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: আবার কেউ কেউ বলে ব্লাকহোল হচ্ছে সময়ের ছিদ্র যা দিয়ে টাইম ট্রাভেলিং সম্ভব ।
তবে এ বিষয়ে হকিং এর মতবাদটা আমিঠিক জানিনা জানলে জানাতে চেষ্টা করতাম ।
বিজ্ঞান নিয়ে চালিয়ে যান ।

২৮ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:০৫

রফিকুল রানা বলেছেন: এই বিষয় গুলোতে আমার আগ্রহ বেশি ।

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৩০

নীলঞ্জন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।++++++++++

২৮ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:০৬

রফিকুল রানা বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৩৭

চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: আপনার বর্ণনা অনেক সুন্দর। আরেকটু ছবিযোগ করে বিস্তারিত লিখলে এইসব প্রিয়বক্সে ঢুকার জন্য কাড়াকাড়ি লেগে যাবে :P

শুভকামনা রইল ++++

২৮ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:০৭

রফিকুল রানা বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো উপদেশ আর জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.