নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঢাকার মানুষ

মানুষকে ভালবাসি।

শফিক১৯৪৮

শখ দেশভ্রমন বই পড়া আড্ডা মারা। বছরে এক দুবার বেড়াতে বিদেশ যাই ।

শফিক১৯৪৮ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এডলফ হিটলারের পতন শুরু- স্টালিনগ্রাদের ভয়াবহ যুদ্ধের বিভিষিকা

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:০৩



১৯৪১-৪২ এর শীতে মস্কো এবং এর আশে পাশে হিটলারে বাহিনী রাশানদের হাতে যে পিটুনি খায় তার ধকল আর সামলে উঠতে পারেনি। প্রায় ১০ লাখ জার্মান সৈন্যের প্রানহানী ঘটে।



এরপর হিটলার তার সেনাবাহিনীর পুর্ণ নিয়ন্ত্রন নিজের হাতে নিয়ে নেন। দৈনিক নির্দেশনাও তিনি নিজেই দেয়া শুরু করেন। আর যে সমস্ত তুখোড় জার্মান জেনারেলরা ব্লিৎসক্রীগ আবিষ্কার করেন, এক ধাক্কায় পোল্যান্ড আর ফ্রান্স দখল করেছিলেন তারা হলেন অবহেলিত।



রণকৌশলের বড় বড় সিদ্ধান্ত হিটলার নিজেই দিতে লাগলেন আর তাতে ভুলও হতে থাকল। আবার অনেক সিদ্ধান্ত নিতেন দেরী করে কারন তিনি কাজ করতেন ভোর ৪ টা পর্যন্ত আর ঘুমাতেন দুপুর পর্যন্ত ফলে অনেক সিদ্ধান্তের সময় পেরিয়ে গিয়ে একটা হযবরল অবস্হার সৃস্টি হত।

যাহোক ১৯৪২ এর বসন্তে হিটলার ঠিক করলেন তিনি মস্কো রেখে দক্ষিনে রাশিয়ার ককেশাস এলাকা আর স্টালিনগ্রাদ দখল করবেন যেগুলো ছিল তেল সমৃদ্ধ এলাকা আর গুরুত্বপুর্ণ রেল জংশন, আর এতে রাশিয়ার তেল সরবরাহ বিঘ্নিত হবে।

কিন্তু এত বড় অপরেশন চালাতে যে জনবল লাগে তা হিটলারের তখন ছিলনা। জার্মানীতেই যোদ্ধা তরুনদের সংকট।



হিটলার হুকুম দিলেন বন্ধু রাস্ট্র গুলো যেমন ইতালি, স্পেন, হাঙ্গেরী, রুমানিয়া ও স্লোভাকিয়া থেকে লোক এনে আর্মী ডিভিশন তৈরী করতে। ৫২ টি আর্মী ডিভিশন তৈরী হল। তবে জার্মান জেনারেলরা দুশ্চিন্তায় পড়লেন যে এই বিদেশি সেনা যাদের প্রশিক্ষন, দক্ষতা বা আনুগত্য সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই তাদের দিয়ে একটা গ্লোবাল ওয়ার চালায় কিভাবে!

যাহোক প্রাথমিক পর্যায়ের যুদ্ধে জার্মানরা সাফল্য অর্জন করল, তারা রাশিয়ার অনেক ভিতরে ঢুকে পড়ল। কিন্তু এর ফলে লজিস্টিক লাইন বা সরবরাহ লাইন অনেক বড় হয়ে গেল, খাবার, জ্বালানী সরবরাহে প্রচন্ড সমস্যা হতে লাগল্, আর রাশিয়ানরা এটাই চাইছিল।

বসন্ত পেরিয়ে গ্রীষ্ম এল, জনবল সংকটে জার্মানী তখন দোটানায়, তেলখনির ককেশাসে যাবে না রেল জংশন স্টালিনগ্রাদে যাবে।



হিটলার ককেশাসেই যাবার সিদ্ধান্ত দিলেন কিন্তু পরে দেখেন স্টালিনগ্রাদ তো একেবারেই অরক্ষিত! হুকুম হল চল স্টালিনগ্রাদ। ৪র্থ পানযার আর্মীকে এই চক্কর খেতে হল কিন্তু ততক্ষনে রাশিয়ানরা স্টালিনগ্রাদে শক্ত অবস্হানে চলে যায়।



হিটলার তখন ককেশাস আর স্টালিনগ্রাদ দুটোই আক্রমনের সিদ্ধান্ত নিলেন যা ছিল 'মারাত্মক ভুল'।

শীর্ষ দুই জার্মান জেনারেল, জেনারেল ফ্রান্জ হালডের যিনি ছিলেন 'চীফ অফ আর্মী জেনারেল স্টাফ' আর ফিল্ড মার্শাল লীস্ট যিনি ছিলেন ককেশাস এলাকার 'আর্মী গ্রুপ এ' এর কমান্ডার --প্রকাশ্যেই প্রতিবাদ আর সমালোচনা করলেন। নীচে জেনারেল ফ্রান্জ হালডের এর ছবি:







ব্যাস আর যায় কোথায়, দুজনাই বরখাস্ত।

সেখানকার আর্মির পুর্ণ নিয়ন্ত্রন হিটলার নিজেই নিলেন। সাথে রইল জেনারেল ফ্রেডরিখ পলাস আর তার সিক্সথ আর্মী, পলাসের ছবি নীচে:





স্টালিনগ্রাদে সিক্সথ আর্মীর ট্যাংকগুলি একটু মুস্কিলে পড়ে কারন শহরের ভিতরে ট্যাংক প্রায় অকার্যকর, নড়া চড়া কঠিন ছিল। এছাড়া আগেই প্রচুর আর্টিলারী শেল দিয়ে শহরটাকে একেবারে ভাংগাচোরা স্তুপ বানিয়ে ফেলেছিল জার্মানরাই ফলে হাঁটা সহজ ছিল কিন্তু ট্যাংক খুব একটা কাজে আসছিল না।।

হিটলার আর তার বাঁয়ে জেনারেল পলাস।



বিদ্ধস্ত স্টালিনগ্রাদ নীচে:







আর এই ভাংগাচোরার মধ্যে যুদ্ধ করতে রাশিয়ান পদাতিক বাহিনীর সুবিধাই হচ্ছিল। প্রচুর জার্মান সেনা মারা যাচ্ছিল। দৈনিক প্রায় ২০০০০ জার্মান সৈন্য হতাহত হচ্ছিল। ওদিকে রাশিয়ার স্টালিন প্রায় ১০ লাখ সৈন্য ঐ যুদ্ধে নিয়োজিত করেন।

যাহোক জার্মানরা দেখা গেল স্টালিনগ্রাদ প্রায় দখল করে ফেলেছে ঠিক তখনি রাশিয়ানরা প্রচন্ড শক্তিতে কাউন্টার এটাক করল। সেটা ছিল ১৯শে নভেম্বর ১৯৪২, রাশিয়ান মার্শাল জর্জি যুকভ জার্মানদের পিছনে আক্রমন করেন। আর ঐ হিটলারের সৈন্যরা ছিল নন জার্মান। প্রচন্ড মার খেয়ে জার্মান জেনারেল কুর্ট জিটযলার অহেতুক মার না খেয়ে সিক্সথ আর্মীকে নিয়ে পালাবার জন্য হিটলারের অনুমতি চাইলেন কিন্তু হিটলার তা দেননি।

মার্শাল যুকভ



খোলা জায়গাতে ট্যাংক ঠিক আছে কিন্তু শহর এলাকায় পদাতিক বাহিনী অনেক বেশি ইফেকটিভ।



অন্যদিকে বাজে আবহাওয়ার কারনে জার্মান বিমান বাহিনী প্রধান গোয়েরিং এর বিমান সাপোর্ট ঠিকমত পাওয়া যায়নি আর তীব্র শীতে, খাবারের অভাবে কাহিল জার্মানরা উইথড্রও করতে পারছিলনা, হিটলারের অর্ডার।



নীচে রাশিয়ানরা শীতবস্ত্র নিয়ে পুরো তৈরী হয়েই যুদ্ধ করছিল।





এই অবস্হায় জার্মানদের প্রতি দয়া করেই মনে হয় ৮ই জানুয়ারী ১৯৪৩ রাশিয়ানরা সারেন্ডারের জন্য আহ্বান করে প্রস্তাব দেয় কিন্তু হিটলারের নির্দেশে তা প্রত্যাখ্যাত হয়।

আবার ২৪ শে জানুয়ারী একই প্রস্তাব নিয়ে আসে রাশিয়া কিন্তু হিটলারের একই উত্তর, না।

কমান্ডার পলাস যাতে সারেন্ডার না করেন সে জন্য হিটলার তাকে ফিল্ড মার্শাল বানিয়ে দিলেন, উল্লেখ্য কোন জার্মান ফিল্ড মার্শাল তখনো সারেন্ডার করেননি, আত্মহত্যা করতেন। আরো কয়েক ডজন জার্মান অফিসারের প্রমোশন দেয়া হল যুদ্ধক্ষেত্রে, যাতে তাদের মনোবল উচু থাকে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলনা, জার্মানরা নিঃশেষ হতে থাকল।



অবশেষে ৩ রা ফেব্রুয়ারী ১৯৪৩ ফিল্ড মার্শাল (জেনারেল) পলাস হিটলারের কথা অগ্রাহ্য করে সারেন্ডার করেন। সাথে তিনি রাশিয়ানদের সাথে মিলে একটা কমিটি করেন যাতে জার্মানরা আর যুদ্ধ না করে হিটলারের বিরুদ্ধে চলে যায়।

ঐ যুদ্ধে জার্মানদের ২৮৫০০০ সৈন্যের মধ্যে ১৬৫০০০ স্টালিনগ্রাদেই মারা যায়, ৯১০০০ বেচে ছিল যার মধ্যে ২৪ জন জেনারেল আর ২৫০০ অফিসার যুদ্ধবন্দী হিসেবে সাইবেরিয়াতে প্রচন্ড শীতে বাকী জীবন কাটায়।



আর রাশিয়ানদের মারা যায় ১০ লাখ লালফৌজ।



শীতে বিদ্ধস্ত পরাজিত জার্মান যুদ্ধবন্দী নীচে:



হিটলার:

























মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একগুয়েমি সবসময় কাজ করে না ;)

পড়তে ভাল লাগল :)

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

শফিক১৯৪৮ বলেছেন: পড়া আর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: একটু ব্যস্ত তাই লেখাটা প্রিয়তে নিয়েছি । একটু পরই পড়ে আবার কমেন্ট করবো ।

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

শফিক১৯৪৮ বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন।

৩| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: hmm পড়লাম ভালো লাগলো , তবে আরেকটু ভালো হইতে পারতো । ৪-৫ বছর আগে এই যুদ্ধটা নিয়ে একটা লেখা পড়েছিলাম , পড়ার সময় মনে হয়েছে আমি যুদ্ধা ক্ষেত্রে অবস্থান করছি , এতো সুন্দর করে লেখাটা ছিল ।
আসলে এই ধরণের পোষ্ট খুবই ভালো লাগে পড়তে +++++++

১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮

শফিক১৯৪৮ বলেছেন: আসলে স্টালিনগ্রাদের যুদ্ধটা নিজেই একটা বিরাট ইতিহাস, অনেক বড় ব্যাপার। মুল লেখাগুলো অনেক জটিল আর বিস্তারিত, আমি চেস্টা করেছি সহজ আর ছোট করে মুলটা অক্ষত রেখে বলতে। পেরেছি বলে মনে হয়না। অনেক ধন্যবাদ আপনার কষ্ট করে পড়ার জন্য আর জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য দেয়ার জন্য। (ঢাকাবাসী)

৪| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:০০

শাব্বির আহমাদ নাইম বলেছেন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আমার প্রিয় ঐতিহাসিক বিষয়, চমৎকার পোস্ট। খুব আনন্দ পেলাম। আনন্দ হল তথ্য পাবার!! এরকম পোস্ট দেবেন সব সময় আশা করি। প্রিয়তে

১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:০০

শফিক১৯৪৮ বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৫| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২৬

ল্যাটিচুড বলেছেন: একগুয়েমি সবসময় কাজ করে না, কিন্তুু যুগে যুগে শাসকের এ কথা ভূলে নিজের ও জাতির চরম ক্ষতি সাধন করে।

১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:০২

শফিক১৯৪৮ বলেছেন: হ্যাঁ ভাই ইতিহাস তো তাই বলে, তবে শাসকরা সব সময়ই তা ভুলে যায়, আর পরবর্তি শাসক তা থেকে শিক্ষা নেয় না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

৬| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:৪৬

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: আপনার লেখাটা ভালো লাগল। ফালতু যুদ্ধের আবেগ না দিয়ে যুক্তি দিয়ে লিখেছেন। যুদ্ধের আবেগময় কেচ্ছা কাহিনি তো কতই শুনি। নতুন কিছু পেলে ভালোই লাগে।

১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:০৩

শফিক১৯৪৮ বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৭| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

শিশির ডি শাখামৃগ বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ লেখা ভাল লাগে। চমৎকার পোস্ট +++

১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

শফিক১৯৪৮ বলেছেন: আপনার সুন্দর আন্তরিক মন্তব্যের জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ নিন।

৮| ১০ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: হিটলার প্রেমিকদের এই লেখাটা পড়া দরকার। দুপুর পর্যন্ত ঘুমানোর খেসারত জার্মানদের ডি ডে'র দিন ও দিতে হয়েছিল। ফুয়েরার দুপুর পর্যন্ত ঘুমান, তার সরাসরি নির্দেশ ছাড়া প্যাঞ্জার ডিভিশন নামান গেল না, মিত্রপক্ষ নরম্যান্ডির যুদ্ধে জিতে ঘুরে দাঁড়াল।

পোস্টে +++++++++++

১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

শফিক১৯৪৮ বলেছেন: আপনার বিশ্লেষন চমৎকার, 'ফুয়েরার দুপুর পর্যন্ত ঘুমান, তার সরাসরি....। অতি মাত্রায় কেন্দ্রিভূত ব্যাক্তিকেন্দ্রিক কমান্ড ভাল ফল বয়ে আনেনা। অত্তোগুলো প্লাসের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ নিন। ভাল থাকুন।

৯| ১০ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

শাব্বির আহমাদ নাইম বলেছেন: ৎঁৎঁৎঁ আশা করি আমার মন্তব্য কে অন্য ভাবে নেবেন না। হিটলার একগুঁয়ে ছিল এবং ভাল নেতাও ছিল না, কারন সে সুশৃঙ্খল ছিল না। তার মানে কিন্তু এই না যে তার জাতিয়তাবধ ছিল না!! সে যা করেছে তা কিন্তু জনতার মান্ডেট নিয়েই করেছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মান জাতি এতটাই দুঃসময় পার করেছে যে তারা হিটলারের মত নেতা চেয়েছে, এবং জাতি হিশেবেই তারা তাদের অবস্থার পরিবরতন চেয়েছে। তাদের চাওয়া টা কিন্তু ভুল ছিল না। কারন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের যতটুকু দায় জার্মানদের ছিল তার চেয়ে কন অংশে কম ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ব্রিটেন, পোল্যান্ড বা তুরশকের ছিল না। কিন্তু ঐ অঞ্চলে balance of power করতে গিয়ে ভারসাই চুক্তিতে জার্মানি কে অনেক বেশি হারাতে হয় যা তাদেরকে প্ররচিত করে এবং ঠেলে দেয় অনিশ্চিত অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের দিকে। এটা কিন্তু পশ্চিমা ঐ দেশগুলোর ভুল calculation ছিল। জার্মান দের সাথে এই ক্ষেত্রে অনেকটা অন্যায় করা হয় এবং তারা ১০ বছর চরম অর্থনৈতিক মন্দাতে ছিল। জার্মান জনগন ঐ ১০ বছর কষ্টে দিনাতিপাত করে। এই অন্যায় এর প্রতিফল হিসেবেই কিন্তু হিটলারের উত্থান। আমি হিটলারের supporter নই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে আমি অনেক পড়েছি এবং মুভি দেখেছি(এমন কি ফ্রেঞ্ছ ও গ্রমান অনেক মুভিও)।

১০| ১০ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

শাব্বির আহমাদ নাইম বলেছেন: দেখুন অনেক ঐতিহাসিক যেমন বলেছেন যে জার্মানরাই ছিল পুরোপুরি দায়ী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য তেমনি অনেকেই কিন্তু বলেছেন যে এটা নিরনয় করা কঠিন। কারন ঐ সময়ে ইউরোপ এ balance of power ঠিক করতে অনেক নোংরা international politics হয়েছে। এবং তা চলেছে শতাব্দী ব্যাপী। তাই এটা বলা কঠিন যে হিটলার আশলেই কি চেয়েছিল। কারন সে পোল্যান্ড দখল করার সময় শুধু সেই জাইগাগুলাই দখল নিতে চেয়েছিল যা জার্মান জাতি ভেরসায় চুক্তিতে হারায় এবং যা অন্যায্য ভাবে পোল্যান্ডকে দেয়া হয়েছিল। পরে অবসস বিষয়টা পরিবর্তিত রুপে অন্য আকার ধারন করে। কিন্তু জার্মানি ব্রিটেন বা ফ্রাঞ্ছ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে নি। বরং এটা ব্রিটেন এবং ফ্রাঞ্ছ এর যৌথ ঘোষণাতে প্রমানিত যে তারা জার্মানি র বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তারা হিতলারকে সময় বেধে দিয়ে বলে যে কন শর্ত এবং আলোচনা ছাড়াই পোল্যান্ড ছারতে হবে নইলে বা জার্মানদের কাছ থেকে কোন reply না পেলে অমুক তারিখের (তারিখতা এই মুহুরতে আমার মনে পরছে না) সকাল ১১ তার পর জার্মানদের বিরুদ্ধে তারা সরাসরি যুদ্ধাবস্থায় চলে যাবে। এরপর জার্মান রা পোল্যান্ড ও ছাড়ে নি আবার কোন reply ও দেয় নি। ফলশ্রুতিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ!! দেখুন, আমি বলছিনা যে জার্মানদের এতে কোন দায় ছিল না, তারা অবশ্যই যুদ্ধটা থামাতে পারত। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদ যদি অপরাধ হয় তবে তা রোম করেছে, একসময় ব্রিটিশরা, ফ্রেঞ্চরা, ডাচরা, পর্তুগীজরা করছে, সোভিয়েতরা করেছে এবং আখন করছে আমেরিকানরা। তাহলে শুধু হিটলার একাই এতটা দায়ী হবে কেন? আর সেতো জার্মানদের তাদের নিজের ভুমি ফেরত দিতে চেয়েছিল। এটা ত একইসাথে জাতিয়তাবধও। আর জাতিয়তাবোধ থাকাটা কি এতটাই অন্যায়? তবে সে যে হত্যাযজ্ঞ করেছে আর ইহুদীদের সাথে যা করেছে তা কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য না। এবং এই আমি তার supporter নই। সে এটা না করলে আমি নিরধিদায় বলতে পারি আমি তার supporter হতাম এবং তাকে এক মহান নেতাই মনে করতাম। তবে শুধু যদি ইহুদীদের সাথে তার আচরণটাই জার্মান মানুষদের দুর্গতির কারন হয় তাহলে আমি বলব জার্মান মানুষও আর জন্য দায়ী এবং তারা ঐ ফলাফল deserve করে। কারন প্রত্তক্ষ বা পরক্ষভাবে তারাও এর সাথে জড়িত ছিল এবং একে সমরথন দিয়েছিল। আর একটা বিষয়, হিটলারের জন্যই মুলত জার্মানরা যুদ্ধে হেরে যায়। তার বিশৃঙ্খল জীবন যাপন, হত্যাযজ্ঞ, রাশিয়া আক্রমনের মত ভুল সিদ্ধান্ত, রমেলের মত ফিল্ড মার্শাল কে হত্যা, যুদ্ধের strategy না বোঝা ইত্যাদি ইত্যাদি আর অনেক। আমি বাক্তিগতভাবে মনে করি যে জার্মানি রাশিয়া আক্রমনে না গেলে যুদ্ধের ফলাফল ভিন্ন হলেও হতে পারত। (বানান ভুলকে ক্ষমা সুন্দর ভাবে দেখবেন আশা করি)

১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

শফিক১৯৪৮ বলেছেন: হিটলারে ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলার নেই, তবে হিটলারের মত দেশপ্রেমিক সৎ মানুষ আজও জগতে দুর্লভ। তখন তাকে জার্মানীর খুব দরকার ছিল। হিটলার সম্পর্কে আরো জানতে হলে সহজ ভাষায় লেখা আমারই পোষ্ট (ঢাকাবাসী নামে) পড়তে পারেন। ওহ হ্যাঁ ইংল্যান্ড আর ফ্রান্স ৩ রা সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ সকাল ১১ টায় জার্মানীর বিরুদ্ধে আনিষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষনা করে।

১১| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২৮

রমনা টেক বলেছেন: ভালো লাগল।

১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

শফিক১৯৪৮ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ভাল লেখা, পড়লাম, তবে মন ভাল নেই।

১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৪০

শফিক১৯৪৮ বলেছেন: কেন ভাই মন ভাল নেই কেন। নিজেকে ব্যাস্ত রাখুন, বই পড়ুন। লেখার প্রসংসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৩| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২১

ইয়ার শরীফ বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ লেখা ভাল লাগে। চমৎকার পোস্ট ++

১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৪০

শফিক১৯৪৮ বলেছেন: পড়েছেন আর প্রসংসাও করলেন, ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

রফিকুল রানা বলেছেন: হিটলারের মত দেশপ্রেমিক সৎ মানুষ আজও জগতে দুর্লভ । প্রিয়তে ।

২৫ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

শফিক১৯৪৮ বলেছেন: একটা দামী আর সত্য কথা বলেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ১২ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩১

দিবা স্বপ্ন বলেছেন: জামার্নী থাকার কারনে হিটলার এবং দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ নিয়ে স্বাভাবিক কারনে আমার আগ্রহ একটু বেশী। এ বিষয় নিয়ে কিছু পড়ালেখা করেছি। ভবিষ্যতে পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে। আপনার তথ্য বহুল পোস্টের জন্য পোস্টে প্লাস।

২৫ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

শফিক১৯৪৮ বলেছেন: আরিব্বাস, ভাগ্যবান আপনি একেবারে হিটলারের দেশেই আছেন, শুনে ভাল লাগল। আর আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ নিন।

১৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৮

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: পড়তে ভালো লাগল। পোস্টে প্লাস।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

শফিক১৯৪৮ বলেছেন: পড়া আর প্লাসের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন।

১৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৮

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: ইহুদীদের কেন হত্যা করা হয়েছিল তার বাস্তব প্রমান আজ দৃশ্যমান। আর সে সময় যদি জার্মান আর জাপান জিতে যেত তাহলে আজ দুনিয়ার চেহারাই অন্যরকম হতো ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

শফিক১৯৪৮ বলেছেন: আপনার বাক্যদুটো নিয়ে অনেক গবেষনা আছে। অনেক রকম তত্ব আছে। হ্যাঁ দুনিয়ার চেহারাটা অবশ্যই ভিন্ন হতো! মনে রাখবেন হিটলার ঘুষ বা কমিশন খেতোনা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: আমি ইহুদীদের বর্তমান কাজ কাম আর তারাতো এমনিতেই বেঈমান তাই বলছি। কুকুরদের সাথে কুকুরের মতই আচরণ করতে হয়। দেখেন যেই রাশিয়া আগ্রগামী হয়ে ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে বড় ভুমিকা পালন করলো তাদের কিভাবে পুটু মারলো। আমেরিকার সাথেও আজ হোক কাল হোক এরকম করবেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.