নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।
এ এক আজব গ্রাম। এ গ্রামে বাড়ি রয়েছে, কিন্তু কোনো রাস্তা নেই। তাহলে কী করে হয় যাতায়াত? সে প্রশ্ন জাগাই তো স্বাভাবিক! সে এক অভিনব উপায় অবলম্বন করে এ গ্রামের বাসিন্দারা স্থান বদল করেন। এই রাস্তাহীন গ্রামকে নিয়ে জানার ও দেখার উৎসাহও কম নয় মানুষের! এই রাস্তাহীন গ্রাম রয়েছে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডমে। ওভারিজসেল প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত গ্রামের নামটি গের্দুন। এই গ্রামে রাস্তা নেই। নেই যানবাহনও। যোগযোগ মাধ্যম একমাত্র নৌকা। নৌকায় চড়েই এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বা এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে যান গ্রামবাসীরা। আজব এক গ্রাম, যেখানে কোনো রাস্তা নেই! নেদারল্যান্ডসের এই গের্দুন গ্রামে প্রায় ২৫০০ পরিবারের বাস। এত পরিবার, এত সংখ্যক বাড়ি, জনপদ থাকা সত্ত্বেও জনপথ গড়ে উঠল না। কিন্তু কেন? কেন রাস্তা নেই এই গ্রামে? রাস্তাহীন গ্রাম দেখতেই বা কেমন, প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক ঘুরে আসেন এ গ্রাম থেকে। তাঁদের সবার মনে প্রশ্ন! আজব এক গ্রাম, যেখানে কোনো রাস্তা নেই! ছবি সৌ:পিক্সেলস গের্দুন গ্রামে কোনো রাস্তা না থাকায় একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম জলপথ। এখানকার মানুষের মানুষ এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে নৌকা ছাড়া যাওয়ার কোনো উপায় নেই। তবে গের্দুন গ্রামে রাস্তা না থাকলেও সেতু রয়েছে। প্রায় ১৮০টি সেতু রয়েছে এই গ্রামে।এই রাস্তাহীন গ্রাম দেখতে সবথেকে বেশি ভিড় জমান চিনা পর্যটকরা। প্রতি বছর প্রায় দুই লক্ষ চিনা পর্যটক যান নেদারল্যান্ডসের এই গ্রামে। চিনাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় গ্রাম। ধীরে ধীরে অন্য দেশ থেকেও পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে এ গ্রামে। বর্তমানে তা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই গ্রামকে বলা হয় নেদারল্যান্ডসের ভেনিস! ১২৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই ম্যাজিক্যাল গ্রাম। কিন্তু কেন এ গ্রামে কোনো রাস্তা নেই? এই গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মাটির নীচে ছোটো বড়ো ফাঁপা অংশ ছিল। গ্রামে মানুষ বসবাস শুরু করার পর সেগুলো খুঁড়ে ফেলে।এর ফলে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ছোটোখাটো হ্রদ তৈরি হয়। সেগুলো জুড়েই তৈরি হয় ক্যানাল রোড। গ্রামের বিভিন্ন দিকে এই ছোটো ছোটো ক্যানের চলে গিয়েছে। ফলে গ্রামটাও পরিণত হয়েছে ছোটো ছোটো দ্বীপে। দ্বীপগুলোর মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করেছে ১৫০টিরও বেশি সেতু। আজব এক গ্রাম, যেখানে কোনো রাস্তা নেই! এই গ্রামটি বিশ্বের নজরে আসে ১৯৫৮ সালে। ডাচ ফিল্মমেকার বার্ট হান্সট্রা তার কমেডি ফিল্ম ফ্যানফেয়ারের শুটিং এই গ্রামে করার পর থেকেই তা নজর কাড়ে। গ্রামের মনোরম পরিবেশ হয়ে ওঠে পর্যটনের অন্যতম ঠিকানা। এখানে রয়েছে বেশি কিছু মিউজিয়ামও। সেখানে ১০০ বছরের ইতিহাস সংরক্ষিত রয়েছে। প্রতি শীতে গের্দুন গ্রাম হয়ে উঠে উৎসবমুখর।
©somewhere in net ltd.