নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।

সহীদুল হক মানিক

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।

সহীদুল হক মানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃষ্টির দিনে নিরাপদে ড্রাইভিং এর জন্য ১০টি টিপস.................

০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫০


বর্ষাকাল মানেই গাড়ি মালিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ! ইঞ্জিন, ব্যাটারি, কার্বুরেটর কিংবা টায়ার সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বৃষ্টির কারনে। এছাড়া বৃষ্টির মধ্যে নানান ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা তো আছেই!
তবে রোমে যখন আছি তখন রোমান হয়ে যাওয়াই ভালো। বৃষ্টি নিয়ে হা-হাপিত্যেশ না করে কীভাবে সতর্ক থেকে দুর্ঘটনা রোধ করা যায় সেখানেই বরং আমরা নজর দেই।
আসুন জেনে নেই কীভাবে আমরা বৃষ্টির সময় দুর্ঘটনা রোধে আরো সচেষ্ট হতে পারিঃ
১। গাড়ি চলুক ধীর গতিতে
বৃষ্টিতে গাড়ি চালানোর সময় প্রথম যে জিনিসটা মাথায় রাখতে হবে যে স্পিড খুব বেশি তোলা যাবে না। বৃষ্টির মধ্যে অতিরিক্ত স্পিড নিয়ে গাড়ি ব্রেক করা বা টার্ন করা দুটোই প্রচন্ড ঝুকিপূর্ণ। এতে চাকা স্কিড করে দুর্ঘটনা ঘটার সমূহ সম্ভাবনা থাকে।
২। সড়ক নির্বাচণে সতর্কতা অবলম্বন করুনঃ
শহরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে একটু ভারী বৃষ্টি হলেই শহরের অন্যতম প্রধান রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। এতে যেমন দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায় তেমনি দীর্ঘ জ্যামও তৈরি করে। তাই আপনার গন্তব্যে পৌছানোর জন্য অন্য কোন বিকল্প রাস্তা আছে কিনা ভেবে দেখুন।
ছোট্ট একটি সিদ্ধান্তের ফলেই হয়তো জ্যামে গাড়িতে বসে জলাবদ্ধ রাস্তার ফটো ফেসবুকে আপলোড দিয়ে ঢাকাকে উদ্ধার করা লাগবে না।
৩। গাড়ির যন্ত্রাংশগুলো ডাবল চেক করে নিনঃ
গাড়ি স্টার্ট দেয়ার আগে গুরুত্বপূর্ন যন্ত্রাংশগুলো ডাবল চেক করে নিন। বৃষ্টিতে ওয়াইপার খুব জরুরি, এটা ছাড়া গাড়ি চালানো অসম্ভব হয়ে পরবে। এছাড়াও ব্রেক, এসি ঠিক মতো কাজ করছে কি না চেক করে নিন। গাড়িতে পর্যাপ্ত জ্বালানী আছে কিনা দেখুন। বৃষ্টিতে পেট্রোল পাম্পেও গাড়ির দীর্ঘ সারি পরে যায়।
৪। টার্ন নেয়ার পূর্বে সতর্ক থাকুনঃ বৃষ্টিতে রাস্তা শুকনো অবস্থা থেকে প্রায় তিনগুন বেশি পিচ্ছিল থাকে। তাই এসময় ভেজা রাস্তায় টার্ন নেয়ার পূর্বে গাড়ির গতি কমিয়ে নিন এবং আশেপাশে ভালো করে লক্ষ করে টার্ন নিন। যদি টার্ন নেয়ার সময় হঠাৎ গাড়ির চাকা পিছলে যায়, এক্সিলারেটর থেকে পা সরিয়ে নিন।
৫। সামনের গাড়ির সঙ্গে যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখুন
বৃষ্টির মধ্যে আপনার সামনের গাড়ি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। রাস্তার মধ্যে গর্ত বা কেউ সামনে দিয়ে দৌড় দিলে হয়তো সামনের গাড়িটি হার্ড ব্রেক করতে পারে, সেক্ষেত্রে আপনাকেও প্রস্তুত থাকতে হবে যাতে গাড়ি সময়মতো ব্রেক করে ফেলতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ গাড়ির যত্নে যে ৬টি টিপস আপনার জানা জরুরী
৬। হেডলাইট অন করে রাখুন
রোদ ঝলঝলে দিনে হেডলাইট অফ করে গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে আয়েশ করে গাড়ি চালাচ্ছেন। এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ আকাশ কালো হয়ে ঝুম বৃষ্টি নামে তখন গানের প্লেলিস্ট চেঞ্জ করার আগে হেডলাইটটা অন করে নিন।
এতে আপনি যেমন রাস্তা, গাড়ি এবং অন্যান্য জিনিসগুলো ভালো ভাবে দেখতে পারবেন তেমনি বিপরীত পাশ থেকে আসা অন্যরাও আপনাকে সহজে দেখতে পারবে। তবে লাইট লো বিমে থাকা ভালো, হাই বিমে থাকলে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ি চালকের জন্য আপনাকে দেখা কঠিন হয়ে যাবে।
৭। ওয়াইপার চালু রাখুন
বৃষ্টির মধ্যে উইন্ডশিল্ড বা গাড়ির সামনের কাঁচে পানি যাতে না জমতে পারে তাই সবসময় ওয়াইপার চালু রাখুন। উইন্ডশিল্ডে পানি জমে থাকলে সে অবস্থায় গাড়ি চালানো বেশ বিপজ্জনক। এতে যেকোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
৮। এসি চালিয়ে রাখুন
এসি অন করে রাখুন। ক্রেডিট
বৃষ্টির সময় কাঁচ নামিয়ে ঠান্ডা বাতাস খেতে খেতে গাড়ি চালানোর শখ থাকলেও গাড়ির ভেতরে বৃষ্টির পানি ঢোকার ভয়ে তা পূরণ করা কঠিন! তাই বাধ্য হয়েই কাঁচটা তুলে দিতে হয়। কিন্তু সেখানেও বাঁধে বিপত্তি। কাঁচ তোলার ফলে গাড়ির বাইরের তাপমাত্রার সাথে ভেতরের তাপমাত্রার তারতম্য হওয়ার ফলে কাঁচ ঘেমে ঘোলা হয়ে যাবে!
এ সমস্যা থেকে সমাধানের উপায় হচ্ছে এসি চালু করে দেয়া। এতে গাড়ির ভেতর আর বাইরের তাপমাত্রার পার্থক্যে ভারসম্য এনে দিবে এবং কাঁচ ঘোলা হওয়া থেকে বিরত রাখবে।
৯। ডুবন্ত রাস্তা থেকে সাবধান!
পানিতে ডুবে যাওয়া রাস্তা যতটা সম্ভব পরিহার করুন। ঢাকার রাস্তায় গর্ত বা ভাঙাচোরা থাকা খুবই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে যেকোন মুহুর্তে বেকায়দায় পরে গাড়ির ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্থ হলে আশেপাশে কোন মেকানিক না পেলে দুর্ভোগের কোন সীমা থাকবে না। তাই পানির গভীরতা নিশ্চিত না হয়ে সামনে আগাবেন না।
১০। খুব জরুরি না হলে প্ল্যান চেঞ্জ করুনঃ
বৃষ্টির মধ্যে জলাবদ্ধ রাস্তায় গাড়ি চালাতে কারই বা ভালো লাগে! কিন্তু পারিপার্শ্বিক বাস্তবতা ও দায়বদ্ধতার কারনে না চাইলেও চাবিটা নিয়ে বের হতে হয়।
তবে ভারী বৃষ্টির সময় খুব বেশি জরুরি না হলে গাড়ি নিয়ে বের না হওয়াই উত্তম। যদি একান্তই বের হতে হয় অন্তত চেস্টা করুন কিছুক্ষন অপেক্ষা করে বৃষ্টি কমলে তারপর বের হওয়ার। বের হওয়ার আগে হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে বের হোন, অন্যথায় বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় তাড়াহুড়া করে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এছাড়াও আরো কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে যেমন সড়কের মাঝ বরাবর থাকার চেস্টা করুন, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে নজর রাখুন, গাড়িতে ছাতা বা রেইনকোট রাখুন, ভিজে জুতা পরে গাড়িতে বসা পরিহার করুন, গাড়ির মেঝেতে কার্পেট বা ম্যাট ব্যবহার করুন।
এখন ঘরে বসেই করে নিতে পারবেন কার ওয়াশ সার্ভিস।
এখন ঘরে বসেই কার ওয়াশ সার্ভিস নিতে ক্লিক করুন এখানে।
সবচেয়ে ভালো হয় যদি এমন ঝরঝর বাদল দিনের রোমান্টিক আবহাওয়ায় রাস্তায় বসে জ্যামে-পানিতে একাকার না হয়ে বাসায় বসে বৃষ্টি উপভোগ করুন। চুলোয় খিচুড়ি চড়িয়ে দিন। খাওয়ার পর গায়ে কাথা টেনে সুনীল বা হুমায়ূনের একটা বই নিয়ে আশেপাশের দুনিয়া ভুলে যান। যে কাজটা গত তিনমাস ধরে আজ করবো কাল করবো করে জমিয়ে রেখেছেন সেটা সেরে ফেলুন। দিনটা পরিবারের সাথে কাটান।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো।

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩২

পবন সরকার বলেছেন: উপকারী পোষ্ট

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.