নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় সাংবাদিক, লেখক, স্থির চিত্রগ্রাহক। কবি, গবেষক, গ্রন্থকার, আবৃত্তিকার, যুক্তিবাদী মানবতাবাদী আন্দোলন কর্মী। সাধারণ সম্পাদক, ভারতীয় বঙ্গসমাজ। ধর্মহীন সাম্যের সমাজের স্বপ্ন দেখি ও দেখাই।

শমীন্দ্র ঘোষ

সাংবাদিক, গবেষক, লেখক, গ্রন্থকার, ফোটোগ্রাফার, কবি, আবৃত্তিকার, যুক্তিবাদী মানবতাবাদী আন্দোলনকর্মী

শমীন্দ্র ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গ সংস্কৃতির বর্তমান

২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:১১

যে সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর আত্মপরিচয় নাই, আত্মমর্যাদাবোধ নাই; আত্মসমীক্ষা যে করে না; যে সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী হুজুকে ব্যস্ত, যার সমাজবোধ ক্ষয়িষ্ণু, যাদুকরী সমাধানে যারা বিশ্বাসী, ভীরু প্রকৃতির, সেই সাংকৃতিক গোষ্ঠীর অবনতি অবধারিত। এটা আত্মহত্যার মতো।
বঙ্গ সংস্কৃতির অবস্থাটা তাই-ই।
ক্রমাগত অন্তর্কোন্দলে জর্জরিত। হিংসা, দ্বেষ, লোলুপতা, বিশ্বাসঘাতকতা ব্যাপ্তি পাচ্ছে। ধর্মমোহ রূপান্তরিত ভাবে জেঁকে বসছে। নিত্যনতুন লোভের ফাঁদ। সস্তায় বাজিমাতের প্রচেষ্টা। আজগুবি ভাবনা, কল্পনাবিলাসী সমাজজীবন। তায় রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতা। সর্বোপরি আদর্শহীনতা, দর্শনে অজ্ঞতা, উদ্দেশ্যহীনতা গ্রাস করছে। বাংলার শিক্ষা থেকে দারিদ্র হলো পণ্য। বাঙালি নিজেই পণ্য। আধুনিকতার মোড়কে পর্তুগীজ আমলের মতো মনে হচ্ছে আর্থসমাজটা। এরই ফাঁকতালে অবাঙালিরা তাদের স্বার্থসিদ্ধি করছে, প্রসারিত হচ্ছে। কী শিক্ষায়, কী ভাষায়, কী পণ্য সামগ্রীতে, কী ব্যবসা বাণিজ্যে। এখন বাঙালি আর অত্মনিয়ন্ত্রিত নয়। সে পর পদলেহী, পরপ্রত্যাশী, পরের গোলাম। কে কবে এখানে অর্থলগ্নী করবে, তার প্রত্যাশী। ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। কে এসে শিক্ষা উন্নত করে দেবে, তার প্রত্যাশী। ভিক্ষা করার শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
শেষে, চপভাজা হলো শিল্প! পোষাক ইস্ত্রি করা পরিষেবা শিল্প! এরপর হয়ত মাঠে মাঠে ঘাস ফলানোটা কৃষিকাজ হবে! সমকাম নামক মগজ বিকৃত হবার শিক্ষা পাবে! ঘাস খেয়ে চপ ভাজতে ভাজতে সমকাম চর্চা করবে। বা ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে দোরে দোরে ঘুরবে। এসব তো বিদেশীরা শেখাচ্ছে, তাই মহার্ঘ্য। বিদেশীরা বলেছে, তাহাই সত্য! দেশের লোক যা বলেছে, সেটা মূল্যহীন। মেধা বিক্রি করতে বিদেশে লাইন। মধ্যমেধার চাষ হচ্ছে অর্ধশিক্ষিত লোভী শিক্ষকদের দ্বারা। 'পড়লে পড়ো না পড়লে তোমার দায়' শিক্ষক বেতন হিসেবে টাকা ঠিকই পেয়ে যাবে। শিক্ষকও জুটছে তেমন! একটা লম্পট, ভণ্ড, বিকৃত মস্তিষ্ক হচ্ছে কলেজে অধ্যক্ষ! ভাবা যায়! অষ্টম, দশম পাস দিয়ে কেজি স্কুলে পড়ায়। এদের দ্বারা একটা বোদ্ধাশ্রেণিও তৈরি হচ্ছে। এরা সবাই সর্বজ্ঞ, সর্বদ্রষ্টা ও সমাজ নিয়ন্ত্রক। চোর চোট্টা, চিটিংবাজ, মিথ্যাবাদী, খুনি, মস্তান, ডাকাত, স্মাগলার, লোভী সহ অর্ধশিক্ষিতদের দ্বারা সমাজ, দেশ নিয়ন্ত্রিত হলে যেমনটা হওয়ার, তেমনটাই হচ্ছে বাংলায়। দেখে শুনে মনে হচ্ছে যেন বিম্বিসারের সময়ে বাস করছি।

যারা ভাবছেন যে, ব্যাপারটা এত ভয়াবহ ও সর্বব্যাপী নয়। তাঁরা কল্পানার "সোনার বাংলা"য় আছেন। বরং বাস্তবটা সত্যিই আধুনিকতার মোড়কে, গণতন্ত্রের মোড়কে বিম্বিসারের রাজত্বের সঙ্গে পর্তুগীজের বাংলায় রাজত্বের মিশ্রণ।
বঙ্গ সংস্কৃতি হয়ে যাচ্ছে একটা খিচুরি ও লাবড়া মিশ্রিত বামন সংস্কৃতি। এভাবে চললে আগামীটা ভয়াবহ।
উত্তরণের একমাত্র যে পথটা দেখছি সেটা, আদর্শের ভিত্তিতে সাম্যের লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে সংঘর্ষ করতে করতে নির্মাণ করে যাওয়া।
শমীন্দ্র ঘোষ
১৯/০৬/২০১৫

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.