নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় সাংবাদিক, লেখক, স্থির চিত্রগ্রাহক। কবি, গবেষক, গ্রন্থকার, আবৃত্তিকার, যুক্তিবাদী মানবতাবাদী আন্দোলন কর্মী। সাধারণ সম্পাদক, ভারতীয় বঙ্গসমাজ। ধর্মহীন সাম্যের সমাজের স্বপ্ন দেখি ও দেখাই।

শমীন্দ্র ঘোষ

সাংবাদিক, গবেষক, লেখক, গ্রন্থকার, ফোটোগ্রাফার, কবি, আবৃত্তিকার, যুক্তিবাদী মানবতাবাদী আন্দোলনকর্মী

শমীন্দ্র ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ

২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:১৩


যোগ বা Yoga: যোগ বা Yoga হলো বিশুদ্ধ আজগুবি চিন্তা ও বালখিল্যসুলভ দৈহিক কসরত্‍ দ্বারা নিজেকে ও সমাজকে অসুস্থ করার এবং সময় ও শ্রমের অপচয় করার পদ্ধতি।
তাই "যোগ বা Yoga"কে বিয়োগ করা আবশ্যক। বরং বিজ্ঞানমনষ্ক চিন্তা ও বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যায়াম করলে শরীর ও মন এবং সমাজ কয়েকগুণ সুস্থ থাকবে।
বর্তমানে "যোগ" নামক পাগলামীটি রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারে সওয়ার। প্রচারকরা যোগের দ্বারা ধর্মীয়, সংস্কৃতি ভাগ করতে জাল পেতেছে। এসবের থেকে সাবধান হোন। নচেত্‍ বিপদ হতে পারে।

যোগের গুজব: কুলকুণ্ডলিনী জাগ্রত করা, ঈশ্বরের উপলব্ধি, অলৌকিক ক্ষমতা প্রাপ্তি, না খেয়ে শতশত বছর বেঁচে থিকা, আকাশে ওড়ার ক্ষমতা, সকলকে বশ করার ক্ষমতা ইত্যাদি সবই গুজব। কারণ, মানুষের দেহে কুলকুণ্ডলিনী বলে কিছু নাই; প্রতীক অর্থেও নাই। ঈশ্বরের আস্তিত্ব নাই। অলৌকিক ক্ষমতা বলে কিছু নাই। আসলে অলৌকিকতার পিছনে লৌকিক পদ্ধতিই থাকে। যা সাধারণ চোখে ধরা যায় না। জাদুবিদ্যার মতো।
মনোর উত্‍সাহ দেখে অপু-দুর্গার কাহিনী মনে পড়ছে। যেন খেলনবাড়ি খেলা বালখিল্যতা।
অতএব গুজবে কান দেবেন না। নিজেকে আজগুবি চিন্তায় অসুস্থ করবেন না।

প্রচার: মিডিয়ার কথায় ভুলবেন না। হুজুকে মাতে নিজের ও সমাজের সর্বনাশ করবেন না। এদের অধিকাংশই পাগলামী ছড়াচ্ছে এবং/অথবা প্রচারের বদলে টাকাও পাচ্ছে।

যোগ-এ শ্বাস নিয়ন্ত্রণ বা প্রাণায়াম: নাকের ডগার দিকেই দুটো ছেঁদা। কিন্তু ডগা থেকে গড়ে ইঞ্চিখানেক গোড়ার দিকে গেলেই ছেঁদা মাত্র একটা। সেটি বেশ বড় ও শক্ত হাড়ের তৈরি, খুলির অংশ। এখান থেকে ডগার পর্যন্ত নরম হাড়ের তৈরি। এইটুকুই দু'ভাগে বিভক্ত নাকটাকে উঁচু রাখার জন্য, যাতে বায়ু ঢুকতে বেরোতে পারে সহজে। বায়ু এইটুকুই দু'ভাগে গিয়ে নাকের বড় গর্তেটাতে ঢোকে ও কপালের নালি বেয়ে একটি শ্বাসনালি দিয়ে ফুসফুসে ঢোকে এবং একই পথে উল্টো পদ্ধতিতে বেরোয়।
অতএব, নাকের ছেঁদা দুটোকে পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে/খুলে শ্বাস নিয়ন্ত্রণের কসরতটি সময় ও শ্রমের অপচয় এবং পাগলামী বই কিছুই নয়। এই কৌশলচর্চা বন্ধ করলেই সবার উপকার হয়।

যোগগুরু: আজগুবি চিন্তাজঞ্জাল ছড়ানো সহ ভণ্ডামী, প্রতারণা, ধান্দাবাজি, পাগলামী --- এগুলোর এক বা একাধিকটির অধিকারীকে যোগগুরু বলা হয়। এর মাধ্যমে যোগগুরুরা মানুষকে অন্ধকারে রেখে নিয়ন্ত্রণ করে ও টাকা রোজগার করে। যেমন "যোগী বাবা রামদেব" এখজন খাঁটি প্রতারক, ভণ্ড ও দুর্নীতিগ্রস্ত অমানুষ।

যোগের দ্বিতীয় ভাগ: খালি হাতে সাধারণ দৈহিক অঙ্গ সঞ্চালন করাকে যোগব্যায়াম বা ব্যায়াম বা শরীরচর্চা বলে। রোজগার করতে গিয়ে যারা দৈহিক কসরত্‍ করেন, তাদের একপ্রকার যোগব্যায়াম, সাধারণ শরীরচর্চা হয়েই যায়। খেলোয়াড়রা রোজই সাধারণ শরীরচর্চা করেন। যোগব্যায়ামে কারোরই পেশীবহুল দেহগঠন হয় না। এটা করে কেউই বিশ্বশ্রী হয়নি। এতে অসুস্থতাকে সুস্থ করা যায় না। অসুস্থ হলে চিকিত্‍সকের পরামর্শ ছাড়া শরীরচর্চা নিষিদ্ধ।
@শমীন্দ্র ঘোষ
২০/০৬/১৫

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬

রাজীব বলেছেন: যোগ ব্যায়ামের কিছু তো উপকার আছে। তবে শুধু শারীরিক উপকার ছাড়াও এটি অনেক ক্ষেত্রে উপকারী।
যেমন: রাজনীতি, ব্যাবসা, ঠকবাজী, ভন্ডামী, ধর্ম ইত্যাদি।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৩১

শমীন্দ্র ঘোষ বলেছেন: হাঃহাঃহাঃহাঃ... বেশ বেশ :-D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.