নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় সাংবাদিক, লেখক, স্থির চিত্রগ্রাহক। কবি, গবেষক, গ্রন্থকার, আবৃত্তিকার, যুক্তিবাদী মানবতাবাদী আন্দোলন কর্মী। সাধারণ সম্পাদক, ভারতীয় বঙ্গসমাজ। ধর্মহীন সাম্যের সমাজের স্বপ্ন দেখি ও দেখাই।

শমীন্দ্র ঘোষ

সাংবাদিক, গবেষক, লেখক, গ্রন্থকার, ফোটোগ্রাফার, কবি, আবৃত্তিকার, যুক্তিবাদী মানবতাবাদী আন্দোলনকর্মী

শমীন্দ্র ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খণ্ডিত সোনারবাংলার অখণ্ড পরিচয়

২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

(ভেবে দেখতে পারেন)

#মন্ত্রী: যারা জনগণকে ভুজুংভাজুং দিয়ে সরকারী পদে বসে জনগণের টাকায় জীবনধারণ ক'রে শোষকের দালালি করে এবং জনগণের জন্য খরচের অর্থ লুটের তদারকি করে ও লুটের বখড়া পেতে সর্বজ্ঞ ও জনদরদী সাজে, তাদের মন্ত্রী বলে।

#রাজনৈতিক নেতা: যারা কথায় ও কাজে বিপরীত মেরুতে থেকে সরকারী পদে না বসেই মন্ত্রীর মতো আচরণ ক'রে, মিথ্যা ও প্রতিশ্রুতি ভরা জ্বালাময় ভাষণে মানুষকে মাতিয়ে রেখে, সবসময়ে প্রচারে থেকে, স্থানীয় স্তরে তোলাবাজি ক'রে, 'বেসরকারী-সরকার' চালিয়ে, মস্তানি ইত্যাদি ক'রে এবং চোর ডাকাত গুণ্ডা মস্তানদের সুরক্ষা প্রদান ক'রে জীবনধারণ করতে বিজ্ঞ ও জনদরদী সাজে, তাদের "ভোটভিত্তিক রাজনৈতিক নেতা" বলে।

#পুলিশ: যারা সরকারী পদে বসে জনগণের টাকায় জীবনধারণ ক'রে ক্ষমতাসীন দলের দাস হিসেবে সমস্ত ধরনের দুষ্কৃতিদের সুরক্ষা দেয় এবং ঘুষ খায় এবং মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক দলের সেবাদাস হিসেবে দুষ্কৃতি ধরার নাটক করে অথচ ভাজা মাছ উল্টে খেতে না জানার ভাণ করে, তাদের পুলিশ বলে।

#প্রশাসন: বোতলসম গণসম্পদ লুঠ করতে শোষণব্যবস্থার স্ট্র।

#প্রশাসক ও সহযোগী: শোষণব্যবস্থার স্ট্রয়ের অঙ্গ হিসেবে এরা সরকারী পদে বসে জনগণের টাকায় জীবনধারণ ক'রে ক্ষমতাসীন দলের দাসত্ব করে এবং সমস্ত দুর্নীতি মুখ বুজে সহ্য করে বিজ্ঞতার ভাণ করে এবং বিশেষ স্তরেররা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত থাকে।

#সেনা: এরা জনগণের টাকায় গুলতানি, লাম্পট্য করে, সস্তায় মদ খায় ও সস্তায় ভোগবিলাসে ডুবে থাকে, উচ্চস্তরের নির্দেশে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা করে দেশরক্ষার নাটক করে। এজন্য আজীবন পারিবারিক পেনশনও পায়।

#সরকারী গোপনীয়তা: জনগণের অর্থ খরচ ক'রে শোষককে দালালি করার তথ্য এবং জনগণকে বঞ্চিত করার তথ্য সহ সিস্টেম টেকানোর তথ্য সমূহ জনগণকে না জানানোটা হলো সরকারী গোপনীয়তা।

#মিডিয়া: এরা নিজের ব্যবসা বাড়াতে সত্যিকে মিথ্যা ও মিথ্যাকে সত্যি করে এবং মিথ্যার মিথ গড়ে সিস্টেমের পক্ষে থেকে মানুষের মগজ ধোলাই করে। এদের গুরু হলেন শ্রদ্ধেয় যোশেফ গোয়েববেলস। তবে, এদের কেউ কেউ একটু আলাদা হয়।

#রাজনীতি: যে নীতির দ্বারা জনগণের মগজ ধোলাই ক'রে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের মাধ্যমে শোষকের দালালি ক'রে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করা যায়, জনগণের অর্থ লুঠ করা যায় এবং নিজেদের সম্পদ বাড়ানো যায় ব্যাপক প্রচারিত সেই নীতিকে রাজনীতি বলে।

#রাজনৈতিক দল: এরা দুটো শ্রেণির। এখানে ব্যাপক প্রচারিতটা হলো>>>
ভোটভিত্তিক ও সিস্টেমের দাসরূপী শোষকের দালাল হিসেবে জনগণের অর্থে জনগণকেই বঞ্চিত করতে প্রতিশ্রুতির বন্যায় জনগণের মগজধোলাই করা লুটেরার জোট।

#আইন: সিস্টেমকে টিকিয়ে রেখে শোষকদের রক্ষা ক'রে জনগণের অর্থে জনগণকেই বঞ্চিত করার নৈতিক পদ্ধতিকে আইন বলে।

#বিচার: যে পদ্ধতিতে জনগণের অর্থে জনগণেরই অধিকাংশ সমস্যার নিষ্পত্তি হয় না, অথচ উকিলদের সম্পদ বাড়ে এবং ব্যাপক জনগণ বঞ্চিত হয়, তাকে বিচার বলে।

#শিক্ষাব্যবস্থা: ভিক্ষা করার জন্য ও শোষকের দালাল হওয়ার জন্য তোতাপাখি তৈরির ব্যবস্থা হলো শিক্ষাব্যবস্থা। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হলো ব্যবস্থাটার কারখানারূপী অঙ্গ।

#গণতন্ত্র: জনগণকে ভুজুংভাজুং দিয়ে মগজ ধোলাই ক'রে জনগণকে ভোটের ললিপপ ধরিয়ে লুটেরাদের স্বার্থরক্ষাকারী ব্যবস্থা হলো গণতন্ত্র।

#প্রজাতন্ত্র: সিংহভাগ প্রজাদের বঞ্চিত ক'রে মেরে ধরে যা খুশি একটা তকমা দিয়ে কারাগারে পুরে তাদেরই টাকায় তাদেরই সম্পদ লুঠ ক'রে শোষকরাজ ও তাদের দালাল সাঙাতদের স্বার্থরক্ষার নাম প্রজাতন্ত্র।

#স্বাধীনতা: যেখানে শোষক ও তার দালাল সাগরেদরা তাদের খেয়াল খুশি মতো জনগণকে লুঠ ক'রে, যা খুশি তাই ভুলভাল বলে মগজ ধোলাই ক'রে, জনগণের কণ্ঠ রোধ ক'রে জীবনধারণ করে, তাকে স্বাধীনতা বলে।

#সার্বভৌম: যে ভৌমস্থানে শোষক ও তাদের দালাল সাগরেদদের সর্বমিলিত ভাবে অবাধ বিচরণ চলে, সে স্থানকে সার্বভৌম বলে।

#সমাজতন্ত্র: সিংহভাগ জনগণকে বঞ্চিত করে মেরে ধরে তার সম্পদ লুঠ করে সেই সম্পদ শোষক ও তার দালাল সাগরেদদের মধ্যে সমানুপাতিক ভাগবাটোয়ার নাম সমাজতন্ত্র।

#উন্নয়ন: জনগণের অর্থে জনগণেরই মগজধোলাই ক'রে শোষণব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য, গণসম্পদ লুঠের জন্য এবং শোষকদের নিজেদের সম্পত্তি বাড়ানোর জন্য জনগণকে বঞ্চিত করার ব্যবস্থাদি ও দৃশ্যত ঝাঁ চকচকে করার নাম উন্নয়ন।

#দেশের সম্পদ: যে সম্পদ বঞ্চিত ব্যাপক জনগণকে ভুজুংভাজুং দিয়ে শোষকরা ও তার সাগরেদরা লুঠ করে সেই সম্পদকে দেশের সম্পদ বলে।

#মহত্‍ কাজ: উপরের সমস্ত কাজগুলোকে বলে দেশের কাজ, তথা মহত্‍ কাজ!

#দেশসেবক: যারা উপরুক্ত কাজ করে তাদের দেশসেবক ও মহত্‍ বলা হয়!

#দেশ: মাটি গাছগাছড়া পাহাড় নদী হ্রদ খালবিল নর্দমা রাস্তাঘাট ইটকাঠ পাথর কয়লা অভ্র সোনা রূপা খনিজ পদার্থ আকাশ বাঘ সিংহ হাতি ঘোড়া গরু ভেড়া ছাগল কুকুর বিড়াল এই সমস্ত কিছু নিয়ে মানচিত্রটা, দেশ মানে শুধু মানুষ বাদ!

#জনগণ: মূলত তিন শ্রেণির রয়েছে। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, দরিদ্র।
@সমাজমুখী শিক্ষিত প্রায় একজোট ও শোষকের পক্ষকারীরা উচ্চবিত্ত।
@ঝোলে ঝালে অম্বলে টকে থেকে নিজেরটুকু গুছিয়ে নেওয়া শতবিচ্ছিন্ন আত্মকেন্দ্রিক উদাসীন মধ্যসংখ্যক শোষকের ঢালরূপীরা মধ্যবিত্ত।
@আর, উপরুক্ত মহত্‍সেবক ও মহত্‍ কাজের দ্বারা সহস্রভাবে বিভক্ত বিচ্ছিন্ন প্রজন্ম পরম্পরায় অভূক্ত অর্ধভূক্ত বঞ্চিত নিপীড়িত সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ।

#সত্যিই... এভাবেই সোনার বাংলা চলছে তো চলছেই...

***উপরুক্ত বিষয়গুলো বাস্তবে দেখা তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সংজ্ঞায়িত। :-D

#শমীন্দ্র ঘোষ
২১/০৮/২০১৫,
কোলকাতা

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.