নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় সাংবাদিক, লেখক, স্থির চিত্রগ্রাহক। কবি, গবেষক, গ্রন্থকার, আবৃত্তিকার, যুক্তিবাদী মানবতাবাদী আন্দোলন কর্মী। সাধারণ সম্পাদক, ভারতীয় বঙ্গসমাজ। ধর্মহীন সাম্যের সমাজের স্বপ্ন দেখি ও দেখাই।

শমীন্দ্র ঘোষ

সাংবাদিক, গবেষক, লেখক, গ্রন্থকার, ফোটোগ্রাফার, কবি, আবৃত্তিকার, যুক্তিবাদী মানবতাবাদী আন্দোলনকর্মী

শমীন্দ্র ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তসলিমার আন্দোলনের কফিনে শেষ পেরেক

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪১




#তসলিমা_সম্পর্কে_সিদ্ধান্ত:
#তসলিমার_আন্দোলনের_কফিনে_শেষ_পেরেক:
তসলিমা নাসরিন একটি বিপথগামী নাম। এমন মন মানসিকতার অনেক সাহিত্যিক শিল্পী অতীতে ছিল, যাঁরা মন বিকলনের শিকার; অথচ সৃষ্টিতে অনবদ্য, বিখ্যাত। ক্লদ মনে, ভ্যানগখ প্রমুখ। তগমনি হিটলার, মুসোলিনী প্রমুখ। অধুনা নরেন মোদি, মমতা প্রমুখ। তাই তসলিমা ব্যতিক্রমী নন। তিনিও মানসিক রোগী হয়ে সাহিত্য রচনা করছেন ও আন্দোলন করছে, এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
তসরিমা যে প্রতিবেশে একটু একটু করে বড় হয়েছেন, সেটা তাঁর মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানান প্রগতিশীলতার মোড়কজাত বিষয়। মিলেমিশে মন মানসিকতার স্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়েছে ব্যহত। তাঁর অস্বভাবী মনের রূপটা তাঁর সৃজনশীল বিষয়, বক্তব্যের সঙ্গে খাপ খেয়ে গেছে; প্রলেপ পড়েছে আধুনিকতার, প্রগতিশীলতার। ফলে তাঁকে প্রতিবাদী চরিত্র হিসেবে অনেকে ভাবছেন। জুটেছে ভক্তগণ। কিন্তু এর নেপথ্যটা কী? বিশ্লেষণটা কী ও কিভাবে করব?
তাঁর আচরণ, ভাবনার বিষয়, ব্যক্তিজীবন, সৃষ্টিগুলো মনোবিদ্যার দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করলে সত্যটা প্রকাশিত হয়--- তিনি #মনোরোগী। সুতীব্র যৌনবিকৃতি (Hyper-sexual disorder)-র শিকার। সাদাবাংলায় বলা হয় #লম্পট। এই রোগী তীব্র যৌন আকাঙ্খা মেটাতে সঙ্গী নির্বাচনে বাছবিচার করে না। দেশশুচিতা এদের কাছে কুসংস্কার। যৌনতা হলো বিনোদন। এই রোগের একটা ভাগ, মেয়েদের হলে বলা হয় #নিম্ফোম্যানিয়া (Nymphomania), পুরুষদের #স্যাটেরিয়াসিস (Satyriasis)। এই রোগে আক্রান্ত হলে একগুচ্ছ #যৌনবিকৃতি (Sexual Disorder) দেখা দিতে পারে। যেমন, #যৌনাঙ্গ_দেখিয়ে_যৌনউত্তেজনা (Exhibitionism) নামক বিকৃতি; যেমন, #তনা বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, যৌনাঙ্গ দেখান। যৌনতামূলক শব্দ বেশি ব্যবহার করেন। যৌন উত্তেজক লেখাই বেশি লেখেন। #ধর্ষকাম (Sexual Sadism); যৌনসঙ্গীর ওপর যৌনপ্রভুত্ব করা, জোর করা। শারীরীক অত্যচার করা। তনার ক্ষেত্রে এটা #রুদ্রের একটি কবিতায়, "তুমি বরং বিড়াল পুষো..."--- ইঙ্গিত দেয়; এছাড়াও "দু-একটা পুরুষ পেলে হতো" বা "আমার প্রেম পেয়েছে" ইত্যাদি তনার একাধিক কথা এই রোগকে নির্দেশ করে।
আধুনিক মনোবিদ্যা বলে যে, #নিম্ফোম্যানিয়ার পিছনে একগুচ্ছ কারণ থাকে, যা মস্তিষ্কের স্নায়ুগত ও মনোগত রোগ। এবং এরফলেও একগুচ্ছ মানসিক রোগ হতে পারে; এমনকি #ডিমেনশিয়া ও অগ্রমস্তিষ্ক ক্ষতিজনিত রোগ হতে পারে। দেখা গেছে, তীব্র যৌনকাঙ্খার রোগীরা বেশিরভাগই প্রাথমিকভাবে 'ব্যক্তিত্ব-সীমারেখা বিকৃতি' (Borderline Personality Disorder)-এ আক্রান্ত। ফলস্বরূপ, তীব্র যৌনবিকৃতিরও শিকার। এই রোগটি তিনটি অস্বভাবী আচরণের মিলিতরূপ--- #অপরের_সঙ্গে_অস্থির_সম্পর্ক, অর্থাত্‍ সম্পর্ক স্থায়ী হয় না; বিশেষত বিপরীতলিঙ্গের সঙ্গে; #অস্থির_আবেগগত, কখনও তীব্র ডিপ্রেশন, কখনও উত্‍সাহে আত্মহারা, উদ্যোগী, চঞ্চল; অর্থাত্‍ আবেগ কেবলই ওঠানামা করে, মসৃন নয়, শৃঙ্খলাপরায়ণ নয়; এটা আবার #দ্বিমেরু_বিকৃতি (Bipolar Disorder)-এও দেখা যায়। এবং #অস্থির_আত্মবোধ, অর্থাত্‍ ১) নিজের সম্বন্ধে কাল্পনিক মূল্যায়ন ও সেটা নিয়ে অস্থিরতা, ২) অন্যের সম্বন্ধে কিছু মাপুনি--- চুলের রং, আইকিউ মান, উচ্চতা, ওজন, শারীরীক বিষয় অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া ও সেভাবে সম্পর্ক গড়া, ৩) অন্যরা রোগীর সম্বন্ধে কী ভাবল, কী বুঝল, সেটা বুঝতে চাওয়ার তীব্র ইচ্ছা। এগুলোই মিলিতভাবে সম্পর্কটিকে বুঝতে চায়। সেই মতো সম্পর্ক চলে অস্বভাবী ভাবে, অমসৃনভাবে, বিশৃঙ্খলভাবে। মুহুর্মুহু ভাঙেও। তসলিমার যাবতীয় সম্পর্কই এইরূপের; বিশেষত পুরুষদের সঙ্গে। তাঁর সমমান বা উচ্চমানের পুরুষদের সহ্য করতে পারেন না। এমনকি প্রেম ও স্বাভাবিক যৌনজীবন যাপনে ব্যর্থ হন। তাড়িয়ে বেড়ায় স্বাধীনতা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের বদ্ধমূল নিজস্ব ধারণা।
মনোবিদরা বলছেন যে, এমন রোগীরা আরো কিছু রোগের শিকার অথবা এটি অন্য রোগের লক্ষণ--- #বাধ্যতামূলক_পীড়ন ও #আত্মবিশ্বাসের_অভাব (Obsesive Compulsive Disorder/Nurosis)। তনার আকৈশোরের বৃদ্ধির প্রতিবেশ এই রোগটির আঁতুরঘর। তাঁর আত্মজীবনীতে বেশকিছু বিবরণ থেকে এটা পাওয়া যায়। হীন মন থেকে, পাপবোধ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে উঠার অভীপ্সা পেয়ে বসে। এভাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার আকুতি দেখা যায়।
কিছু সম্পর্ক বিভিন্ন সংস্কৃতিতে অবৈধ সম্পর্ক হিসেবে বিবেচিত। সেই সম্পর্কতে জ্ঞানত বা জোরজবরদস্তি জড়ালে এবং তা ভুলে যেতে পারলে এবং সমাজে অবরুদ্ধ হলে হীনমন্যতার জন্ম হতে পারে, পাপবোধের জন্ম হতে পারে। ফলে বদ্ধমূল কিছু ধারণার বশবর্তী হয়ে প্রতিশোধস্পৃহা, ক্রোধ জাগতে পারে। উক্ত ঘটনাটির সমতুল সব ঘটনা এমনকি সমগোত্রীয় কিন্তু বৈধ ঘটনাকে একপংক্তিতে দাঁড় করিয়ে বিচার করে। এটাই পরে বদ্ধমূল হয়। তনার পুরুষতন্ত্রের বিরোধিতা তথা পুরুষবিদ্বেষ এমন ধারার বলে মনে হচ্ছে।
এসব থেকে অজান্তে পরিত্রাতা হয়েছে #নারীবাদ #নারীস্বাধীনতা #নারীমুক্তি এবং #পুরুষতন্ত্র বিরোধ থেকে #পুরুষবিদ্বেষ। যেগুলো স্পষ্টভাবে মতবাদ না হয়ে গুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে, একটা ভ্রান্তপথে গেছে তনার মগজটি। #বদ্ধমূল_ভ্রান্তিজনিত_মস্তিষ্ক_বিকৃতি (Paranoia)-র শিকার হয়েছেন তসলিমা নাসরিন। #প্যারানইয়ার রোগী কিছু বদ্ধমূল ভ্রান্ত বিশ্বাস করে। এটাকে বিশ্বাসযোগ্য করতে খুব সুন্দর যুক্তি সাজায়। আপাতভাবে খুব যুক্তিপূর্ণ মনে হয়। মনোবিদরাও এই রোগীকে চিহ্নিত করতে ঘোল খায়। কিন্তু অচিরে তা ধরাও পড়ে। প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী #ম্যাগডুগাল বলেন--- 'প্যারানইয়া রোগীর গোপন মনে হীনমন্যতাবোধ ও পাপবোধ লুকিয়ে থাকার দরুন ভ্রান্ত বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে এক ধরনের শান্তি পায়। নিজের অন্যায় কাজকে #জাস্টিফাই করতে স্বামী বা স্ত্রীকে লম্পট প্রতিপন্ন করে প্রশান্তি পায়।' তসলিমা যেমন, সব পুরুষকেই #পুরুষতন্ত্রিক, সবকিছুতেই পুরুষতন্ত্রের ছায়া দেখেন। একটা কিছু হলেই তার লিঙ্গ বা কামগত বিভাগ করে বিচার ও সিদ্ধান্ত করেন। যৌনতা, যৌন উত্তেজক এবং পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে যৌনতার ছায়া মেপে লেখাই তাঁর বিষয়; এবং এর পিছনে নারীমুক্ত নিয়ে যুক্তি সাজিয়ে থাকেন। অবান্তর যুক্তি দিয়ে সমকাম (Neo-Gender Crisis) নামক বিকৃত যৌনতাকে সমর্থন ও সহযোগিতা করেন।

ভোগবাদী দুনিয়া তথা শোষকরা তসলিমার মনোরোগ সম্বন্ধে অবহিত। তাদের অবহিত থাকতে হয়। যেহেতু তিনি নাস্তিক এবং প্রবাস ছাড়া তাঁর গতি নেই এবং তাঁর ভক্ত আছে বাংলায় বেশি, সেহেতু তিনিই হলেন এই সমস্ত #বিকৃত_কামাচার প্রচারের হাতিয়ার। অপরজন ছিলেন #অভিজিত্‍_রায়; তবে ততটা নয়। এদের লক্ষ্য উগ্র নারীমুক্তি প্রচার করে যুক্তিবাদী আন্দোলনের পালের হাওয়া কাড়া। সম্পর্কগুলোকে তছনছ করা। নাস্তিকতা, নিরীশ্বরতা, যুক্তিবাদের প্রতি সাধারণের বিতৃষ্ণা তৈরি করা। অথচ, নারীমুক্তি স্বাধীনতার একমাত্র পথ যুক্তিবাদ, যা সর্বশেষ তথ্যের ভিত্তিতে নির্মিত; এবং তা ধীরে ধীরেই হওয়া সম্ভব। এক ঝটকায় মুক্তি সবক্ষেত্রে আসে না। মানুষ তাঁর বিচার বুদ্ধি প্রয়োগ করে নিজে বুঝলেই আত্মবিশ্বাসী হবে। যুক্তি শুনে সাজাতে হবে না। হুজুকে ভাসবে না; অন্ধ হবে না, ভাববে, ভাবাবে।
এছাড়াও নারী পুরুষ সম্পর্কের ক্ষেত্রে নানান রসায়ন থাকে। সম্পর্ককে বুঝতে হয়। দাম্পত্যে বন্ধুত্বই আসল ভিত্তি। মনের মিল মতাদর্শগত মিল থাকলে সোনায় সোহাগা। সমান সমান, এটাই দাম্পত্যপ্রেম। এই মনমিলনে প্রেমে যৌনতা আসাই সুস্থতার লক্ষণ। যৌনতা না আসা অসুস্থতা। কে কাকে ডাকবে, তা মানসিক অবস্থা, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। #প্রাক্তন চলচ্চিত্রে #সুদীপা চরিত্রটা আদপেই কিছুটা তসলিমার ছায়া, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য। #উজান চরিত্রটাও ভুল ধারণার কিন্তু অনেকটা সহনশীল; যেন বিবর্তনের পথে। #মলি চরিত্রটা বাস্তব; পরিস্থিতি অনুসারে যুক্তি প্রয়োগ। সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক কিছু মেনে নিতে হয়, মানিয়ে নিতে হয়; আবার অনেককিছু না মেনে বুঝিয়ে কাজে করে দিখিয়ে সুপথে আনতে হয়। সংস্কৃতি, মেধাস্তর ইত্যাদি অনুযায়ী এটা পৃথক হয়। তেমনি #বেলাশেষে চলচ্চিত্রে আরতির চরিত্র #বিকৃতকাম; প্রেম নয়।
দাম্পত্যে পুরুষতন্ত্র, নারীতন্ত্র, ব্যক্তিস্বাধীনতা--- এসবের অনুপ্রবেশ বন্ধ হোক। পরস্পরের বন্ধু হলে ওসব কোনো তন্ত্রই ধারপাশ মাড়ায় না। "অ্যাডজাস্টমেন্ট" মানে #আপোশ নয়। নিজেরা নিজেদের বুঝে এবং অপরকে বুঝে চলা। এজন্য সময় লাগে, ইচ্ছে লাগে, ইতিবাচক ভাবনা ও তার প্রয়োগ লাগে। পুরুষও দাম্পত্যের বহুক্ষেত্রে নারীর ওপর নির্ভরশীল। এভাবে মানসিক অভ্যাস গঠিত হয়। এটা কি বোঝা যায় না?
মানছি, বহু ক্ষেত্রে এখনও পুরুষতন্ত্র জাঁকিয়ে আছে। কিন্তু তা উচ্ছেদ করতে গেলে উভয়কেই আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। এজন্য ধীরে ধীরে বুঝতে হবে। যুক্তিবোধ গঠন করতে হবে। একজন অপরকে ভালোবেসেই সাহায্য করতে পারে। এভাবেই যে নিজে নিজে বুঝবে, সেই আত্মবিশ্বাসী হবে। বিকল্পটাও বলতে হবে; যেটা বন্ধুত্ব। তাতে না হলে ছেড়ে দেবে। মানবিক স্পর্শই বোঝা যায় অনেককিছু। তেমনি নারীকেও আর্থিক স্বয়ম্ভর হতে হবে। আবার দাম্পত্যের ক্ষেত্রে কে রোজগার করবে, কে করবে না, এটা অন্যকিছুতে নয়, পরিস্থিতি বুঝে দুজনে যুক্তিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিক। কই, নিম্নমেধার মানুষদের মধ্যে তো এ'সমস্যা বড় একটা হয় না। এত হিসেব নিকেষও থাকে না। তথাকথিত শিক্ষিতদের নিয়েই মুশকিল। সমাজ বদল, সমাজ বিবর্তন একঝটকায় হয় না। যেহেতু মানসিক স্তর পৃথক এবং সংস্কৃতি পৃথক, আবার একই সংস্কৃতির মধ্যে নানান জটিল আবর্ত থাকে। এসব ধীরে ধীরেই বিবর্তিত হয়। সব নারীই স্বাধীনতা মুক্তি চায়, বোঝেও কমবেশি। তবু কি সকলে #তনাপন্থি হলো? এভাবে হয় না। এজন্য মতাদর্শ আবশ্যক; প্রতিবেশ অনুযায়ী যুক্তির প্রয়োগ দরকার। এটা বোঝা দরকার, নারী পুরুষ পরস্পরের শত্রু নয়, বন্ধুই।
তসলিমা এভাবে ভাবেন না। তাঁর ভাবনাগুলোর লক্ষণ মনোরোগ ও যৌনরোগের লক্ষণের সঙ্গে হুবহু মিলছে। এক মনোবিদ লিখিতভাবেই বলছেন, "তসলিমা হলেন 'পেঁচি লম্পট"। দীর্ঘ সাক্ষাত্‍কারটিতেও তসলিমার মনোরোগ, মতাদর্শগত দেউলিয়াপনা ধরা পড়েছে।
মনোবিদরা বলেন, #নিম্ফোম্যানিয়া রোগের কোনো চিকিত্‍সা মনোবিজ্ঞানে নেই। তনার বাকি সমস্ত মনোরোগ সারানো যায়। ঠিকঠাক #সাইকোথেরাপিতে সারবে। এজন্য মনোবিদ ও থেরাপিস্টের সাহয্য লাগবে। তসলিমা নাসরিনকে একটি মানবিক পরামর্শ, উনি মনোবিদের সাহায্য নিন। তাতে শেষপর্যন্ত নিম্ফোম্যানিয়া না সারলে, তখন #ইউথানাশিয়া নিতে পারেন। যন্ত্রণা থেকে মানবিক মুক্তি পাবেন।
তসলিমা নাসরিন আদপেই ভোগবাদী দুনিয়ার মদতে বিকৃতকাম, মনোরোগ এবং উচ্ছৃঙ্খলতা ছড়াচ্ছেন। সমাজ, পরিবার, ব্যক্তি সম্পর্ককে বিষাক্ত করছেন। হতে পারে, তসলিমাকে কেউ কেউ বিষাক্তচিন্তা দিয়েছিল। সেটা কাটিয়ে ওঠাই শ্রেয়; চিকিত্‍সায় সুস্থ হওয়া শ্রেয়। কিন্তু সেসব চিন্তা সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার অর্থ, তসলিমা সমাজবিরোধী, সভ্যতাবিরোধী। নতুন, গঠনমূলক, সাম্যের সমাজগঠনের জন্য কিচ্ছু করছেন না। তাই তাঁকে অনুসরণ করার অর্থ, সমাজ ধ্বংস করা। এটা কিছুতেই হতে দেওয়া যায় না। বরং তাঁকে সম্পূর্ণ বর্জন করা শ্রেয়।

তসলিমার ভক্তগণের প্রতি--- নির্ভেজাল অযৌক্তিক কথা বলে নিজেদের মনোরোগ, বিকৃতি না বাড়ানোই ভালো। তসলিমা সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত না বুঝলে, মনোবিদের পরামর্শ নিন। তাঁরাই বুঝিয়ে দেবেন। যদিও, ভক্তগণের বেশিরভাগই মনোরোগের শিকার; মনোবিকৃতি, যৌনবিকৃতি, বিকৃতকাম, আত্মপরিচয়হীনতা, ডিপ্রেশন, অনিয়ন্ত্রিত আবেগ, হীনমন্যতা, উচ্চমন্যতা, পাপবোধ ইত্যাদির শিকার; আচরণেও অস্বভাবী। কিছু আছে হুজুকে, উত্যক্তকারী; কিছু আছে ধূর্ত, ধান্দাবাজ, লম্পট; অপরাধমনস্ক, সমাজবিরোধী। এরা তনার চিন্তার ছায়ায় বিন্দাস ভোগবাদের চাষ করে সভ্যতার মুখোশ পরে। এদের বিশালাংশ নাস্তিক। যা কিনা দর্শন, আদর্শ, জীবনদর্শন, ধর্ম কিছুই নয়; দিশাহীন। এদের মধ্যে ধূর্ত, ধান্দাবাজ, তীব্র যৌনাকাঙ্খী ও লম্পটরা অচিরেই শেষ হবে। কিছু নিজে নিজেই শেষ হবে। আত্মহত্যাও করতে পারে। দিশাহীন আন্দোলন, একঘেয়ে যৌনতা, উচ্ছৃঙ্খল বিনোদনে এটাই হয়। কিছুর সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা করা হবে। বাকিরা মনোবিদ দেখিয়ে সুস্থ হন। নচেত্‍ জীবন, ভবিষ্যত্‍ অন্ধকার; অপরাধমনস্ক হয়ে উঠতে পারেন। আর, নারীমুক্তির জন্য পড়ুন--- #যুক্তিবাদের_চোখে_নারীমুক্তি বইটা। মানবিক হোন।
এটাই তসরিমা নাসরিনকৃত আন্দোলনের কফিনে শেষ পেরেক।
.
এতকিছু বলার কারণ:
#তসলিমা_নাসরিনকে_খোলা_চিঠি
মাননীয়া তসলিমা নাসরিনকে প্রশ্ন:
১) আপনি কি মনেকরেন যে, পুরুষরা ধর্ষণ করে বলে বদলা হিসেবে নারীরাও পুরুষদের ধর্ষণ করুক?
২) প্রেম মানেই কি শুধু যৌন সম্পর্ক এবং একমাত্র যৌন সম্পর্কের ভিত্তিতেই কি প্রেম নির্ভর করবে?
৩) নারীবাদ বা নারীস্বাধীনতা মানেই কি নারীদের অর্ধ উলঙ্গ বা উলঙ্গ থাকা?
৪) সকাল-বিকাল বা দু'দিন অন্তর অন্তর পুরুষসঙ্গী বদল করাটাই কি নারীস্বাধীনতা?
৫) ব্যক্তিগত পর্যায়ে যেকোন নারী-পুরুষের মধ্যেকার সম্পর্কের সমস্ত কিছুই কি সেই সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে হাটেবাজারে বিক্রি করার বিষয়? এবং সেটাই কি নারীবাদ বা নারীস্বাধীনতা?
৬) আপনি নাস্তিক না যুক্তিবাদী? এবং কেন, তার ব্যাখ্যা দিন।
৭) সমকামীতাকে আপনি কোন যুক্তিতে সমর্থন বা অসমর্থন করেন?
৮) মন মানসিকতা বা চেতনার গঠন ও উত্কর্ষসাধন কি যৌনতা নির্ভর? হলে কেন? এবং নাহলে কেন?
৯) আপনি কি ধরনের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন? সামাজিক চেতনায় আপনার লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও পথটা ঠিক কী?
১০) মানবতা কাকে বলে?
.
উক্ত দশটি প্রশ্ন তাঁকে করা হয়েছে গত তিন বছর যাবত্‍। শেষবার ২০১৬-র জানুয়ারি থেকে প্রায় তিনমাস একাধিক ব্যক্তি এই প্রশ্ন করেছে ফেসবুকে। তাঁকে জানানোও হয়েছে। যেহেতু তিনি একজন "পাব্লিক ফিগর" ও তাঁর দ্বারা কিছু মানুষ প্রভাবিত এবং আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খল চিন্তার প্রচারক, তাই তসলিমা নাসরিনের নৈতিক কর্তব্য হলো আন্দোলন ও তাঁর মতবাদ, আন্দোলনের উত্‍স, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যটা দ্বর্থহীন ভাষায় ব্যক্ত করা। কিন্তু তা তিনি করেননি এবং উক্ত দশটি প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব দেননি। তাঁকে বলাই হয়েছিল যে, তিনি উত্তর না দিলে তাঁর সমস্ত কর্ম এবং নেপথ্য কাহিনী ও উদ্দেশ্য ফাঁস করা হবে। এখন সেটাই করা হলো।
#শমীন্দ্রঘোষ
২৭/১২/১৬
#কলকাতা
#সূত্র: #মনের_নিয়ন্ত্রণ_যোগ_মেডিটেশন; #সম্মোহনের_A_টু_Z, #প্রবীরঘোষ
#মনের_রোগ_যন্ত্রণা, #অর্ধেন্দুশেখর_রায়
#ICD_10, #WHO
#DSM_5, #APA
#যুক্তিবাদের_চোখে_নারীমুক্তি, #প্রবীরঘোষ
#ক/ #দ্বিখণ্ডিত #লজ্জা #আমার_মেয়েবেলা, #তসলিমা_নাসরিন
#Taslima_Nasrin ফেসবুক পেজ/প্রোফাইল
#তসিমার বিভিন্ন বক্তব্য ও অন্যান্য লেখা
#অন্যান্য
,
#প্রাথমিক_সিদ্ধান্তের_লিংক>>>
https://m.facebook.com/story.php...
,
#তসলিমা_নাসরিনের_মনোরোগের_কিছু_নিদর্শনের_লিংক>>>
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=708908449274297&id=100004654443803&_rdr&hc_location=ufi
,
#ভক্ত_কাকে_বলে>>>
https://m.facebook.com/ShamindraghoshPinku/photos/a.467251070062354.1073741825.270768499710613/1152361808217940/?type=3&_ft_=top_level_post_id.1152361808217940:tl_objid.1152361808217940:thid.270768499710613:306061129499414:69:0:1483257599:-5070724934345686746&__tn__=E

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



তসলিমা শেষে অনেক ইডিয়টের জন্য ভয়ের কারণ হলো?

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: X( তস্লিমা নিয়ে অধিক চুল্কানির কারণে তাকে তস্লিমা হতে সাহায্য করছে।
তস্লিমা হল ' শয়তানের ঘোড়া' এটা আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। আর তাকে নিষিদ্ধ নারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে দেশের মৌলবী, মাওলানারা, ফলে মানুসষের মধ্যে তাকে নিয়ে আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি হল! জানেন ত' মানুষের আবার নিষিদ্ধ জিনিষের প্রতি টান একটু বেশি।

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে যত কম লেখা যায়, ততই ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.