নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় সাংবাদিক, লেখক, স্থির চিত্রগ্রাহক। কবি, গবেষক, গ্রন্থকার, আবৃত্তিকার, যুক্তিবাদী মানবতাবাদী আন্দোলন কর্মী। সাধারণ সম্পাদক, ভারতীয় বঙ্গসমাজ। ধর্মহীন সাম্যের সমাজের স্বপ্ন দেখি ও দেখাই।

শমীন্দ্র ঘোষ

সাংবাদিক, গবেষক, লেখক, গ্রন্থকার, ফোটোগ্রাফার, কবি, আবৃত্তিকার, যুক্তিবাদী মানবতাবাদী আন্দোলনকর্মী

শমীন্দ্র ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালিত্ব মোছা যায় না, বাঙালিত্ব অমর

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯

বাঙালিত্ব মোছা যায় না
বাঙালিত্ব অমর


শমীন্দ্রঘোষ

কোনও কিছু দিয়ে বাঙালিত্ব বা বাঙালিত্বের পরিচয় মোছা যায় না।
১) বাঙালির ধর্মগত পরিচয় বদল করা যায়। যে কোন বাঙালি যে কোনো ধর্মের হতে পারে। হিন্দু, মুসলি, খ্রিস্টান, সরণা ইত্যাদি ধর্মের বাঙালিগণ তাদের নিজ ধর্ম পরিবর্তন করতে পারে। এটা বারবার বদল করা যায়। যুগ যুগ ধরে ধর্মান্তরকরণ চলছে যেভাবেই হোক।
অতএব, বাঙালির ধর্ম পরিচয় অস্থায়ী, পরিবর্তনশীল, আরোপিত, ইচ্ছাধীন।
:-)
২) বাঙালির নাগরিকত্বের পরিচয় বদল করা যায়। বাংলাদেশী বাঙালি তার রাষ্ট্রীয় নাগরিকত্ব বদল করে যেকোনো রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিতে পারে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিয়মকানুন পালন করে। ভারতীয় বাঙালিরাও তাই। এমনকি সরকারী পদাধীকারীও হতে পারে। আবার, এই পুরোনো নাগরিকত্বেও ফিরে আসতে পারে। রাষ্ট্রের সীমানা বদল করলেও নাগরিকত্বের পরিচয় বদলে যায়। ০১/০৮/২০১৫-তে ভারত-বাংলাদেশের ছিটমহল বিনিময়ে বহু মানুষের নাগরিকত্ব বদল করা হয়েছে।
অতএব, বাঙালির নাগরিকত্বের পরিচয় অস্থায়ী, পরিবর্তনশীল, আরোপিত, ইচ্ছাধীন।
:-)
৩) বর্ণ, গোত্র, পীরঘর, গুরুঘর, সম্প্রদায়গত পরিচয়ও বদল করা যায়। বহু বাঙালি গত দুই হাজার বছর ধরে এইগুলো বদল করে চলেছে। বাঙালির হিন্দুনারীদের গোত্র বদল হয় বিবাহসূত্রে।
অতএব, বাঙালির বর্ণ, গোত্র, পীরঘর, গুরুঘর, সম্প্রদায়গত পরিচয় অস্থায়ী, পরিবর্তনশীল, আরোপিত, ইচ্ছাধীন।
:-)
৪) বাঙালির রাজনৈতিক দলগত, মতবাদগত পরিচয় বদল করা যায়। বহু বার দল গোষ্ঠীগত পরিচয় ইতিমধ্যে বদল করেছে বহু বাঙালি।
অতএব, বাঙালির রাজনৈতিক পরিচয় অস্থায়ী, পরিবর্তনশীল, আরোপিত, ইচ্ছাধীন।
:-)
৫) বাঙালির পেশাগত, বৃত্তিগত পরিচয় বদল করা যায়। বহু বাঙালির পদবি পূর্বপুরুষের পেশা ও বৃত্তিগত। মল্লিক, হালদার, তালুকদার, গোলদার, চাকলাদার, মজুমদার, মণ্ডল, ওঝা, হাওলাদার, মুন্সি, নিয়োগী, মাঝি, খাসনবীশ, হাজরা, হাজারি, চৌধুরী, বিশ্বাস, শাঁখাড়ি ইত্যাদি। বর্তমান প্রজন্মের এইসব পদবিধারিগণ পূর্বপুরুষের পেশা ও বৃত্তি না করেও পদবিটা ধারন করে। অনেকে পদবিও বদল করেছে। এখনও আইনি প্রক্রিয়ায় পদবি বদল করা যায়।
অতএব, বাঙালির পদবিগত-পেশাগত-বৃত্তিগত পরিচয় অস্থায়ী, পরিবর্তনশীল, আরোপিত, ইচ্ছাধীন।
:-)
৬) বাঙালি "কৃত্রিম শল্যচিকিত্‍সা" করিয়ে মুখ, শরীরের বাইরের অংশ বদলে নিতে পারে। বোঁচা নাক টিকালো, পুরু ঠোঁট পাতলা ইত্যাদি করতে পারে।
অর্থাত্‍ বাঙালির বহিরাঙ্গ অস্থায়ী, পরিবর্তনশীল, ইচ্ছাধীন।
*উক্ত ছয়টি পরিচয় বাঙালি বদল করতে পারে এবং এই পরিচয় সম্পূর্ণ নির্মূলও করতে পারে।
.
কিন্তু বাঙালি তার জাতিসত্ত্বাগত পরিচয় পরিবর্তন ও নির্মূল করতে পারবে না। কোনও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হয়নি, যার দ্বারা বাঙালি তার জাতিসত্ত্বাগত পরিচয় বদল ও নির্মূল করতে পারে। কোনও "শল্য চিকিত্‍সা" করিয়েও তা বদল করতে পারে না। এই জাতিসত্ত্বা গড়ে উঠেছে ছয়টি নৃতাত্ত্বিক পর্যায়ের মিশ্রণে বহু হাজার বছর ধরে। অর্থাত্‍, #আলপীয় (অসুর) #আদিঅস্ত্রাল (দস্যু) #দ্রাবিড় (রাক্ষস) #মোঙ্গলীয় (কিরাত) #আর্মেনীয় (অসুর) #দিনারিক (অসুর) --- এই ছয়টি জাতির সংকর জাতি হলো #বাঙালি। বৈদিকরা এদের একত্রে #অসুরজাতি বলতো। বর্তমানের ৯৯% বাঙালি এই অসুরজাতির সন্তান। এই পরিচয় মোছা যায় না। মাথার গড়ন ও আকার, কপালের আকার, নাকের আকার, চোখের মণির রং, মুখের গঠন ও আকৃতি, গাল ও চিবুকের গড়ন, উচ্চতা, ত্বকের রং, হাড়ের কাঠামো সহ জিন-ডিএনএ---- এসবই উক্ত ছয়টি নৃতাত্ত্বিক জাতিগত। এটি পৃথিবীতে স্বতন্ত্র; দ্বিতীয়টি নেই। এটাই বাঙালি জাতিগত পরিচয়। বাঙালির #রক্তে লেখা রয়েছে বাঙালির পরিচয়।
(এটাকে মুছতে গেলে আরও কয়েক হাজার বছর ধরে অন্য নৃতাত্ত্বিক জাতির সঙ্গে মিশতে হবে। এটা একমাত্র বৈবাহিক ভাবেই সম্ভব এবং তা দীর্ঘমেয়াদী।)
:-)
অতএব, প্রত্যেক বাঙালি প্রতিটি বাঙালির জিন/ডিএনএ সম্পর্কে আত্মীয়। অর্থাত্‍ বাঙালিরা রক্তের সম্পর্কে পরস্পরের আত্মীয়। এজন্যই আরোপিত ভেদাভেদ না করে বাঙালির জাতিগত একজোট হওয়াই তার সমস্ত কিছুকে উন্নত আরও স্বতন্ত্র করবে।
:-)
#শমীন্দ্রঘোষ
০৯/১২/১৬

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন:
জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী

কিছু বুঝলেন?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

শমীন্দ্র ঘোষ বলেছেন: বাঙালির আত্মপরিচয়: যে জাতির জাতিসত্ত্বাগত আত্মপরিচয় বোধ নেই, সেই জাতির আত্মমর্যাদাবোধ থাকে না। যার আত্মমর্যাদাবোধ থাকে না, সেই জাতি আত্মকোন্দলে মাতবে এবং আত্মঘাতী হবেই। বাঙালির অবস্থা গত দুই-আড়াই হাজার বছর যাবত্‍ এমনটাই হয়ে চলেছে।
অথচ, বাঙালি একটি জাতিসত্ত্বা, একটি ভাষাগোষ্ঠী, একটি সংস্কৃতি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.