নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় সাংবাদিক, লেখক, স্থির চিত্রগ্রাহক। কবি, গবেষক, গ্রন্থকার, আবৃত্তিকার, যুক্তিবাদী মানবতাবাদী আন্দোলন কর্মী। সাধারণ সম্পাদক, ভারতীয় বঙ্গসমাজ। ধর্মহীন সাম্যের সমাজের স্বপ্ন দেখি ও দেখাই।

শমীন্দ্র ঘোষ

সাংবাদিক, গবেষক, লেখক, গ্রন্থকার, ফোটোগ্রাফার, কবি, আবৃত্তিকার, যুক্তিবাদী মানবতাবাদী আন্দোলনকর্মী

শমীন্দ্র ঘোষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চূড়ান্ত সতর্কতা

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

চূড়ান্ত সতর্কতা:

শমীন্দ্রঘোষ


বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ নামক লোকটা রীতিমত দিবাস্বপ্ন দেখছেন এবং উসকানীমূলক কথা বলছেন। তিনি ধর্মীয় দাঙ্গা লাগানোর অপচেষ্টা করছেন। ১১/০১-এ বারাসতের এক সভায় তিনি বলেছেন বাংলাদেশটা নাকি 'আমাদের' ছিল; একদিন আমাদের হবে; বার্লিন প্রাচীর যেমন ভেঙে দুই বার্লিন জুড়েছে, তেমনি দুই বাংলাও জুড়বে; বাংলাদেশ নাকি ভারতের হবে। এভাবে আদপে তিনি নিজের বিপদ নিজেই ডাকছেন তাঁর উসকানীমূলক প্রলাপে। এই কথার জন্য ওই সভাপতিটিক কেন ভারতের #রাষ্ট্রদ্রোহী বা #দেশদ্রোহী বলা হবে না? ভারত সরকার কেন তাঁকে এই মর্মে ঘোষণা করবেন না? বাংলাদেশটা কি বিজেপি তথা সংঘ পরিবারের পৈত্রিক সম্পত্তি? সভাপতিটির বক্তব্য কি সংবিধানসম্মত? কী ধৃষ্টতা! একটা স্বাধীন দেশকে দখলের পরিকল্পনা করছে ওই লোকটা!
.
শুনে রাখো সভাপতি মহাশয়--- বাংলাদেশ কখনই তোমাদের হবে না। তোমরা সংঘ পরিবার বাঙালি ও বাংলার বিশ্বাসঘাতক বাহিনী। এই বাহিনীকে বাংলার মানুষ খুব শীঘ্রই সমূলে উচ্ছেদ করবেই। বাংলাদেশের উচিত ওই সভাপতি ও তাঁর সাগরেদদের বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক।
বাংলার জনগণ ওই সভাপতিটির কথায় পাত্তা দেবেন না। ওকে বাংলার কোনো অংশে বক্তব্য রাখতে দেবেন না। ওর কথা প্রচার করবেন না। ওই সভাপতিটি বাঙালির পক্ষে বিপজ্জনক বিষ। দিকে দিকে এই লাল সতর্কতা জারি করুন। এইসব নখদন্তহীন দিল্লির দালালদের বাংলায় স্থান নেই। সিবিআইকে লেলিয়ে বাংলায় সংঘ পরিবারকে চাঙ্গা করতে চাইছে দিল্লি। নানান ভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে; ধর্মে ভাসানোর অপচেষ্টা চলছে। ভাঙার অপচেষ্টা চলছে #বাঙালি_জাতীয়তাবাদ।
.
শুনে রাখো সংঘপরিবার, অতীত থেকে বাঙালি শিক্ষা নিয়েছে--- ধর্মের ভিত্তি আর নয়। একটা জাতিসত্ত্বাকে নানান কায়দায় ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। বর্তমানে বাঙালি #সপ্তখণ্ডে মূল #চারটে ভাষায় বিভক্ত। এইভাবে আর নয়। এবার শেষ বোঝাপড়ার দিন এসেছে। দরকার এককোটি বাঙালি #শহিদ হবে; দরকারে পাঁচকোটি বাঙালি #শহিদ হবে। স্বাধীনতা স্বকীয়তা স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে বাঙালি শহিদ হতে জানে। অতীতে শহিদ হয়েছে।
.
শুনে রাখো দিল্লিপন্থিগণ, বাঙালি একটি জাতিসত্ত্বা। অখণ্ড জাতিসত্ত্বা। সেটার নাম, বাঙালি। প্রতিটি বাঙালি রক্তের সম্পর্কে পরস্পরের আত্মীয়; এটা বৈজ্ঞানিক সত্য এবং অপরিবর্তনীয়। বাঙালির পূর্বপুরুষ বৈদিক কথিত অসুরজাতি। ছয়টি নৃতাত্ত্বিক জাতির সম্মিলন হলো বাঙালি। যে ছিল সম্বৃদ্ধ বীর বঙ্গসভ্যতার সংগঠক। বর্তমানের বাঙালি সেই বঙ্গসভ্যতার ধারক বাহক
.
মনে রাখবেন দিল্লির দালাল বাংলার বিজেপি আরএসএসগণ--- বাঙালি আপনাদের হুকুমের সম্পত্তি নয়; বাংলার ভূমি আপনাদের পৈত্রিক সম্পত্তি নয়।
মনে রাখবেন গোয়ালালকর নামক দেশদ্রোহীর বশংবদ দালালগণ--- এই বাংলা রামমোহন, বিদ্যাসাগর, রবিঠাকুর, আচার্য জগদীশচন্দ্র, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র, মেঘনাদদের চেতনাসিক্ত দেশ; এই বাংলা বিপ্লব বিদ্রোহের জন্মভূমি ধাত্রীভূমি; #ফকির #সন্ন্যাসী #সাঁওতাল #হুল #চোয়াড় #সিপাহী বিদ্রোহে শহিদের রক্তে রাঙা বাঙালি; ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রাণ দেওয়া, ধর্মীয় দাঙ্গায় উচ্ছেদ হওয়া কোটি মানুষের রক্তরঞ্জিত দেশ। স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিতে কুণ্ঠিত নয় এই বাঙালি।
হে হিন্দুত্ব তথা বিজেপির দালালগণ শুনে রাখো--- এই বাংলার মাটি তোমাদের #মৃত্যু_উপত্যকা। বাঙালির এবং ভারতীয়দের বিশ্বাসঘাতক ব্রিটিশ দালাল হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী #সাভারকর #গোয়ালালকর নামক 'জাতীয়' কুলাঙ্গারদের এবং তাঁদের বশংবদদের এদেশে স্থান নেই। যারাই এদের বন্দনা করবে, এই বাংলায় মৌলবাদের চাষ করবে, তাদেরই দুর্মুশ করা হবে; মগজে বুলডোজার চালিয়ে সমূলে উচ্ছেদ করা হবে সমস্ত মৌলবাদীদের; তা সে হিন্দুই হও আর মুসলমানই হও। মৌলবাদের স্থান নেই বাংলায়। ধর্ম পালন করো ঘরে বসে একান্তে নিজের মতো। ধর্ম দিয়ে বাঙালিকে আর ভাগ করা যাবে না, দখল করা যাবে না। বাংলাদেশও ভারতের সঙ্গে যুক্ত হবে না এবং গায়ের জোরেও তাকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে না।
এই মর্মে বাঙালি সর্বাত্মক ও বিধ্বংসী আন্দোলনে তৈরি হচ্ছে। হয় মৌলবাদ থাকবে, নচেত্‍ মৌলবাদহীন বাঙালি থাকবে।
.
আরও শুনে রাখো বিজেপি তথা সংঘ পরিবার--- ওই সভাপতিটিকে যদি #রাষ্ট্রদ্রোহী না বলা হয় এবং ওনার বক্তব্য যদি ভারতের সংবিধানসম্মত হয়, তাহলে আপামর বাঙালি #অখণ্ড_বঙ্গসংস্কৃতি গঠনের দাবি জানাবে। #অখণ্ড_বাংলা গঠন করে ছাড়বে। ভেঙে দেবে সীমান্তের কাঁটাতার। মুক্ত সীমান্তে অখণ্ড স্বাধীন বঙ্গ গঠন করবে, যা দিল্লির থাবার তলায় নয়। দিল্লি শুনুক অথবা না শুনুক, দিল্লি এটা মানতে বাধ্য হবে। #অখণ্ড_বঙ্গ গঠনই বঙ্গসভ্যতা রক্ষার একমাত্র পথ। সেখানে সংঘ পরিবার থাকবে না। জামাতিরা থাকবে না। থাকবে না মৌলবাদ। বিধ্বংসী গণ আন্দোলনের দামামা বাজাবে ৩১কোটি বাঙালি।
:-)
#শমীন্দ্রঘোষ
১১/০১/১৭

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.