![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কি বলবো। কিছুই মনে করতে পারছি না।
কোপায় ৫ ম্যাচে ১৮ গোল আর্জেন্টিনা।
কেউ যাবে না খালি হাতে। এবারের কোপা আমেরিকায় এটাই যেন আর্জেন্টিনার স্লোগান। প্রতিটি ম্যাচেই প্রতিপক্ষ অতিথির বেশ ‘খাতির-যত্ন’ করছে জেরার্ডো মার্টিনোর দল। কোনো ম্যাচেই কেউ খালি হাতে ফেরেনি। আর্জেন্টিনা গোলের গিফট দুহাত ভরেই দিয়েছে!
২, ৫, ৩, ৪, ৪...আর্জেন্টিনার গোলবন্যা চলছেই। কোয়ার্টার ফাইনালের পর সেমিফাইনালেও এক হালি গোল! ভেনেজুয়েলাকে ৪-১ গোলে হারানোর পর এবার যুক্তরাষ্ট্রকে ৪-০ গোলে হারিয়ে লিওনেল মেসির দল চলে গেল ফাইনালে।
কোপা আমেরিকার ইতিহাসে গ্রুপ পর্বে সবচেয়ে বেশি ১০ গোল করা আর্জেন্টিনা এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে করেছে ১৮ গোল! কোয়ার্টার ফাইনালে এক ম্যাচেই সাত গোল করেও চিলি ঢের পিছিয়ে আছে আর্জেন্টিনার চেয়ে। তাদের গোল ১৪টি। এখান থেকেই বোঝা যায়, প্রতিটি ম্যাচেই আর্জেন্টিনা কীভাবে খুঁজে পেয়েছে প্রতিপক্ষের জাল।
প্রথম ম্যাচে চিলির বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়। এরপর পানামাকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বলিভিয়ার জালে মাত্র ৩২ মিনিটে ৩ গোলের পর জয়ের ব্যবধানটা ওই ৩-০-তেই রাখা।
এরপর নকআউট পর্বে দুই ম্যাচেই ৮ গোল। গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার ১০ গোলের মাত্র একটি ছিল স্ট্রাইকারদের। সেটিও বদলি হিসেবে নামা সার্জিও আগুয়েরোর। নকআউট পর্বে দুই ম্যাচে চার গোল করে সেটি পুষিয়ে দিলেন গঞ্জালো হিগুয়েইন। পাঁচ গোল করা মেসির ঠিক পেছনেই তিনি। ঠিকমতো সুযোগ না পেয়েও এজেকিয়েল লাভেজ্জি আর এরকি লামেলারও দুটি করে গোল। সব মিলিয়ে আর্জেন্টিনার নয়জন খেলোয়াড় এবারের আসরে পেয়েছেন গোলের দেখা, আর কোনো দলের এতগুলো গোলদাতা নেই।
তার চেয়েও বড় সুখবর পুরো টুর্নামেন্টটা মেসির উপভোগের মন্ত্র হিসেবে নেওয়া। আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির ব্যর্থ হওয়ার মূল কারণ মানসিক চাপ নিয়ে নেওয়া। এবার যেন মেসি পণ করেছেন শিরোপার কথা মাথাতেই আনবেন না। নিজের মতো করে খেলে যাবেন। আজও ম্যাচে আলো ছড়ালেন। নিজে এক গোল করে আর্জেন্টিনার সর্বকালের গোলদাতা হয়েছেন, দুটি গোলের উৎসও ছিলেন মেসি। গ্রুপ পর্বে দীর্ঘ সময় বাইরে বসে থেকেও এখন পর্যন্ত কোপার সেরা খেলোয়াড় তিনিই।
আর্জেন্টিনার হয়ে একটি করে গোল সার্জিও আগুয়েরো, এভার বানেগা, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া, নিকোলাস ওটামেন্ডি ও ভিক্টর কুয়েস্তার। ডি মারিয়া ফাইনালে ফিরলে বসে থাকতে হবে লাভেজ্জিকে। লাভেজ্জি অবশ্য আজ বেশ চোট পেয়েছেন।
পুরো ম্যাচে এটাই আর্জেন্টিনার একমাত্র খারাপ খবর। অবশ্য আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা এই অনুযোগও করতে পারে, প্রতিটি ম্যাচই বড্ড একপেশে হয়ে যাচ্ছে। খেলার আনন্দ-রোমাঞ্চের অনিশ্চয়তায়। সেটাই যে শুরুতেই শেষ করে ম্যাচগুলো ম্যাড়ম্যাড়ে বানিয়ে দিচ্ছে আর্জেন্টিনা!
©somewhere in net ltd.