নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৌরভ দাস

সৌরভ দাস ১৯৯৫

চলুন, সবাই কথা বলি

সৌরভ দাস ১৯৯৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি সৎ আসামি

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

থানার ভেতরকার পরিবেশ নিতান্তই ছন্দহীন। এলাকায় খুন খারাপি খুব বেড়েছে। কখনো কাক ডাকা ভোরে, কখনো নিশুতি রাতে, কখনো নাস্তার টেবিলে বসার প্রাক্কালে ইন্সপেক্টর আব্দুর রবের ডাক পড়ে। থানায় কখনো বা কাউন্সিলর, কখনো মেয়র, কখনো এমপি-মন্ত্রীরা এসে শাসিয়ে যান। আব্দুর রবকে গিয়ে সেই শাসানিগুলো নীরবে গিলতে হয়। রাজনৈতিক নেতাদের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হয় আদৌ আসামিকে ধরা হবে কিনা। ঝামেলাটা বাঁধে তখনই যখন রাজনৈতিক নেতারা বিভিন্ন গ্রুপ উপগ্রুপে ভাগ হয়ে থাকেন। তখন একেক সময় একেক গ্রুপের শাসানিতে টালমাটাল অবস্থায় পড়তে হয় আব্দুর রবকে। যত বড় খুনি ধরা পড়ে শাসানোটা তত বেশি জোরে এবং তত বড় উপর মহল থেকে আসে। আব্দুর রব খুব আমুদে মানুষ ছিলেন ছাত্র জীবনে। কিন্তু মন্ত্রী এমপিদের এসব শাসানি, আকস্মিক রূঢ়তা তার সকল আমুদ ছোঁবলে নিয়েছে। আব্দুর রবের অজান্তেই বাড়তে থাকে তার ব্যাংক ব্যালেন্স। কখনো বা নগদ টাকায় ভর্তি হয়ে যায় তার দু পকেট। কখনো তার ফাঁকা ফ্রিজটা টাটকা খাবারের জিনিসপত্রে কানায় কানায় ভরে যায়।
একটি দাগী আসামিকে এইমাত্র একটি নিরাপদ জায়গায় ফেলে দিয়ে আসলেন আব্দুর রব। লোকাল এমপির নির্দেশ ছিলো। আসামিটি যে এমপির আন্ডারে কাজ করতো তা না জেনেই ধরা হয়েছিলো। তাই ভুল বুঝতে পেওে (!) তাকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হলো আব্দুর রবকে। এসব এখন গা সওয়া হয়ে গেছে আব্দুর রবের জন্য। চাকরিতে ঢোকার পূর্বে আব্দুর রব এক অলীক স্বপ্নে কিছু দিন মহাশূন্যে ভেসেছিলেন। পুলিশের চাকরি পেয়ে ফাটাকেস্টর মতো সবকিছুর একেবারে বারোটা বাজিয়ে দিবেন। ধীরে ধীরে এসব শাসানির নিকট তার বুকের পাঠা ফুলানো বন্ধ হয়ে যায়। এখন আর হুমকি ধামকিতে আব্দুর রব ভ্যাবাচ্যাকা খান না, অথর্বের মতো শুনেন কেবল।
তবে আজ সকাল থেকেই আব্দুর রবকে কেন যেনো মনমরা দেখাচ্ছে। ফেলে আসা দিনগুলোর হৃদয় নিংড়ানো স্মৃতি আজ যেনো তাকে বারবার তাড়া করছে। আব্দুর রবের চোখের সামনেই জ্বাজল্যমান হয়ে উঠলো তার গ্রামের হতদরিদ্র মানুষগুলোর হাসোজ্জল চেহারা। আব্দুর রব অনুভব করলো তার বাবা তার মাথায় হাত রেখে বলছেন- “বড় হ বাবা।”
আব্দুর রব আজ এতই বড় হয়েছে যে এটা নিজ চোখে দেখলে হয়তো তার বাবা হার্ট অ্যাটাক করেই মারা যেতেন।
বিকেল গড়িয়ে তখন সন্ধ্যা হচ্ছে কেবল। আব্দুর রব যখন থানার গেটে পৌঁছেন। থানায় ঢোকার আগেই থানার দেয়ালের মধ্যে নো স্মোকিং বোর্ডটা আজ নতুন করে তার নজরে পড়লো। ইটালিক হরফে ছাপা এবং নো স্মোকিং এর নিচে একটা জলন্ত নিষ্পাপ সিগারেটের পুরো দেহ জুড়ে লাল ক্রস চিহ্ন। থানায় সিগারেট খাওয়া পুরোপুরিই নিষিদ্ধ। কোনো কারণে মনটা খুব ইমোশনাল হয়ে গেলে আব্দুর রব সিগারেটের ছ্যাঁকায় সেই ইমোশনগুলোকে চেপে নিষ্পেষিত করেন। সিগারেট ছাড়া আজকের পুরো সন্ধ্যা কাটাতে হবে তাকে। বাড়িতে বউয়ের গাঁক গাঁক চেঁচানির মাঝেও অনায়াসে সিগারেট ফুঁকতে পারেন আব্দুর রব। অথচ এই প্রাণহীন নো স্মোকিং বোর্ড কত সহজে তার সিগারেট খাওয়ার উপর অধিকার বসিয়ে নিলো।
আব্দুর রব তার চেয়ারে গিয়ে বসলেন। চেয়ারে বসলেই ইদানিং এক অসহ্য অনুভূতি কাজ করে আব্দুর রবের ভেতর। অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে দিতে তার ভেতরটা যেনো ঝাঁঝরা হয়ে গেছে।
একটু সময় পরেই কনস্টেবল এসে হাজির। সম্মানসূচক সালাম দিয়ে বললো, “স্যার, আজ একটা পিকিউলিয়ার আসামী ধরা পড়েছে।”
“কী রকম?”
“প্যাদানির আগেই স্বীকার করে নিলো সেই খুনটা করেছে।”
ঈষৎ অবাক হয়ে ইন্সপেক্টও আব্দুর রব জিজ্ঞেস করলেন, “মাথায় কোনো ছিট নাই তো?”
“না স্যার, একদম অরিজিন্যাল।”
“কবে ধরেছো?”
“এই তো স্যার। কয়েক ঘন্টা আগে। আপনি তো আব্বাস আলীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। এমন সময় ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফোন দেয়ায় আমরা তিনজন গিয়েছিলাম।”
“আমাকে ফোন দেয়ারও প্রয়োজনীয়তা বোধ করলে না?”
“না স্যার, ওভাবে নিবেন না। আমি আপনার ফোনে বেশ কয়েকবার ট্রাই করেছি। আপনার ফোনটা সম্ভবত সুইচ অফ ছিলো। তার উপর কাউন্সিলর সাহেব খুব তাগদা দিচ্ছিলেন যাওয়ার জন্য। যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায়ও ছিলো না।”
“হুমম..। এদিকে একটু নিয়ে আসতে পারবে।”
“হ্যাঁ স্যার, আমি নিয়ে আসছি।।”
মিনিট পাঁচেক পর আসামি নিয়ে হাজির হলো কনস্টেবল। পরনে বেশ পুরাতন কালো শার্ট আর সাদা রঙের প্যান্ট। মাথায় টাক পড়া শুরু করেছে। কালো চুল গুলোর ফাঁকে ফাঁকে দু একটা সাদা চুল বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। চোখ দুটি লাল টকটকে দেখাচ্ছে। হাঁটছে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে।
“বসেন।”
আসামিকে বসার ইঙ্গিত করলেন ইন্সপেক্টর আব্দুর রব।
আসামি বসলে কনস্টেবলকেও বিদায় কওে দেন।
“আপনার নামটা জানতে পারি?”
“আমার নাম হাফিজ উদ্দিন।”
“বাড়ি?”
“সাভারে।”
“কেসটা কি ছিলো আপনার?”
“ফ্যাক্টরির মালিককে খুন করেছি।”
“খুন করেছেন!”
“হ্যাঁ।”
“কেন?”
“ঠিক মতো বেতন দিতো না। সামনে ঈদ। একটা শ্রমিকও বোনাস পায়নি। বেশির ভাগের ২-৩ মাসের বেতন বকেয়া পড়ে আছে।”
“তাই বলে তাকে খুন করতে হবে?”
“এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না যে ইন্সপেক্টর। আমরা শ্রমিকরা কী করতে পারি সর্বোচ্চ? আন্দোলন? গবাই মিলে বড়জোর রাজপথে নামতে পারি। কর্ম বিরতি পালন করতে পারি। এটুকুই তো। এতে হিতে বিপরীতটাই বেশি হয়। অনেক শ্রমিকের চাকরি চলে যায়। অনেকে নিঃস্ব হয়। এবার আর তাই ভয়ে কেউ আন্দোলনেও নামছে না। তার উপর নামার আগে তো আপনাদেও অগ্রিম অর্ডার দেয়াই থাকে। আপনারা তখন সরস¦তীকে ভুলে গিয়ে অসুরের সেবায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন।”
“আমি যতটুকু শুনেছি আপনাদের মালিকের ব্যবসায় তেমন একটা লাভ হচ্ছে না ইদানিং। বিদেশী গ্রাহক কমে যাচ্ছে। সে কোত্থেকে দিবে এত টাকা?”
“আপনিও মশাই ওদের পক্ষ নিলেন? গত ছয় মাসে ঐ হারামজাদা পাঁচ কোটি টাকা কেবল লাভ করেছে। সেখান থেকে মাত্র ত্রিশ লক্ষ টাকা দিলে সকল শ্রমিকের বেতন বোনাস সব পরিশোধ হয়ে যায়। এই টাকাটা দিতেই তার বাঁধছিলো। আর মিডিয়ার সামনে গলা ফাটাচ্ছিলো তার নাকি খুব লসের সময় যাচ্ছে।”
“সবই বুঝলাম হাফিজ। তাই বলে খুন করাটা?”
“এই জন্য আমি বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নই ইন্সপেক্টর। কুলাঙ্গার একটাকে মেরে যদি হাজারটা কুলাঙ্গার সাময়িক সময়ের জন্য হলেও ঠিক হয়ে যায় তাহলে সে কুলাঙ্গারকে মারা আমার কাছে যুক্তি সংগত।”
“হাজারটা কুলাঙ্গার মানে?”
“হারামজাদাটাকে খুন করার পরেই যে কয়টা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে বেতন বোনাস আটকে ছিলো খোঁজ নিয়ে দেখুন ওদের বেশির ভাগই তা শোধ করা শুরু করে দিয়েছে। এখন আমার মরতেও কোনো দ্বিধা নেই ইন্সপেক্টর। আপনি যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। আমি সবকিছুুর জন্য প্রস্তুত আছি।”
মার্ডার কেসের আসামির সাথে এরকম মিনিটের পর মিনিট কথা বলার অভ্যাস আব্দুর রবের কোনো কালেই ছিলো না। কিন্তু এই আসামিটি আসন্ন মৃত্যু জেনেও যে রকম উত্তাপ ছড়াচ্ছে মুখ দিয়ে সেটাই বিমোহিত করছে আব্দুর রবকে। আব্দুর রব জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কোনো পলিটিক্স করো হাফিজ? মানে কোনো দল?”
“না স্যার, আমরা গরিব মানুষ। দল বলতে আপনি যা বোঝান সেটা করার মুরোদ আমাদের নেই। আমরা শ্রমিক শ্রেণী। আমরা সবাই এক থাকতে পারলে সেটাকেই আমরা দল মনে করি।”
“তুমি যে খুনটা করলে তোমার তো নির্ঘাত ফাঁসি হবে। তোমার পক্ষে কোনো লবিং আসবে না। উল্টো তোমার ফাঁসির ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য আমার উপর একের পর এক প্রেশার আসবে।”
“ইন্সপেক্টর, আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন? ভয় দেখানোর দরকার নেই। আপনি আপনার কাজ করুন। আমাকে নিয়ে আপনার চিন্তা করতে হবে না। জীবনকে নিয়ে আমার আপনাদের মতো অতো টেনশন নেই।”
“তুমি তোমার পরিবারের জন্য একটি বারও চিন্তা করবে না হাফিজ?”
“পরিবার? আমার থেকে আপনার টেনশন বেশি মনে হচ্ছে ইন্সপেক্টর। আমার স্ত্রী ছেলে দুজনেই রানা প্লাজা ধসে ইন্নালিন্না। যে রানা এতগুলো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিলো তার কী করলেন আপনারা? যদি বুঝতাম এরপর বাকিগুলো একটু হলেও বদলেছে তাহলেও একটা বিষয় ছিলো। আমি মাত্র একটা রানাকে হত্যা করেছি। সুতরাং আপনাদের সেই পলিসি অনুযায়ী আমাকে আপনারা হাতে গুণা কিছু দিন এখানে বন্দি করে রাখতে পারেন। ফাঁসি দেন ঐ রানাকে যার কারণে খুন হয়েছে হাজারেরও বেশি মানুষ। মৃত্যকে চেহারা দেখে, ব্যক্তিত্ব দিয়ে নয়, মৃত্যুকে মৃত্যু হিসেবেই দেখতে শিখুন ইন্সপেক্টর।”
হাফিজ উদ্দিনের কথায় আব্দুর রবের রাগ, ক্ষিপ্র মুখের ভাষা সব যেনো কর্পুরের মতো উবে গেছে কোথাও। আব্দুর রবের বুকটা টল টল করে উঠলো। এত দিন ঘুষ দুর্নীতির দুনিয়ায় বিচরণ করার দরুণ মানবিক অনুভূতিগুলো কোথায় যেনো হারিয়ে গেছে ভদ্রলোকের। কিন্তু এখন আব্দুর রব অনুভব করলেন, তার হৃদপিন্ডটা দুলছে, ভেতরটা কেঁপে কেঁপে উঠছে একটু সময় পর পর। হাফিজ উদ্দিন আব্দুর রবের দিকে অগ্নি বাক্য ছুড়ে দিয়ে ঝিম ধরে সে আছে। ফ্যানের বনবন শব্দটা আব্দুর রবের বাক্যগুলো যেনো আরো মোটা দাগে দেখিয়ে দিচ্ছে আব্দুর রবের দু চোখে।
“এখন তুমি কি চাও হাফিজ?”
“আমার আর কিছু চাওয়ার নেই ইন্সপেক্টর।”
“তোমার জীবন সংগ্রামের ইতিহাস খুব মর্মান্তিক সেটা আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু মৃত্যু ছাড়া এই মুহূর্তে তোমার আর কোনো মুক্তি নেই। তোমাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে খুনির ন্যায় বিচার করার জন্য একটু পরেই আমার টেলিফোন সেটটা গরম হতে শুরু করবে।”
“এসব পুরনো কেচ্ছা আমার সামনে বলে লাভ কী”
“পুরনো কেচ্ছা নয়। আমি তোমাকে নতুন করে বাঁচার একটা চান্স দিলে চাই। অনেক খুনিকে আমি নিজ হাতে নানা কারণে জেল থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছি। আজ আমি একজন সৎ আসামিকে জেল থেকে পালাতে সাহায্য করতে চাই।”
“আমার সামনে মূলো ঝুলাচ্ছেন ইন্সপেক্টর?”
ক্রিং করে বেজে উঠলো আব্দুর রবের টেলিফোন। আব্দুর রব কানে তুলতেই ওপাশ থেকে ভেসে আসলো একটি কর্কশ গলার স¦র। কর্কশ স্বরে কুটুস কুটুস করে কী একটা বলে ফোনটা ওপাশ থেকেই কেউ একজন কেটে দিলো।
আব্দুর রব হাফিজের দিকে তাকালেন, “এই ফোন আসা শুরু হয়ে গেলো। ছাড় এসব। বলো হাফিজ কী করবে তুমি?”
“আপনি নির্দ্বিধায় আমার শাস্তির বন্দোবন্ত করতে পারেন। জীবন নিয়ে আপনাদের মতো আমার ওতো উচ্চাকাঙ্খা নেই। তাছাড়া পালিয়ে এখন আমার আর কোনো ভবিষ্যত নেই ইন্সপেক্টর। পরে দেখবেন এই টেলিফোনটা অনবরত বেজে যাবে আর হুমকি ধামকির জ্বালায় আপনার জীবনটাই বিপন্ন হবে। আমি পালাবো না।”
মানুষ মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও কতটা অবিচল থাকতে পারে ইন্সপেক্টর আব্দুর রব এবার স্বচক্ষে দেখলেন।
“তোমার কোনো শেষ ইচ্ছে আছে হাফিজ?”
“আমার শেষ ইচ্ছে আমি পূরণ করে এসেছি ইন্সপেক্টর।”
“আর কোনো ইচ্ছে? যেটা পূরণ করতে আমি তোমাকে একটু হলেও সাহায্য করতে পারি।”
“আর কোনো ইচ্ছে? পারবেন তো ইন্সপেক্টর?”
“হ্যাঁ, বলো তুমি। আমি আমার সাধ্যেও মধ্যে চেষ্টা করবো।”
“কোনো শ্রমিকের গায়ে অযথা হাত তুলবেন না। উপরের অর্ডার পেয়েই তাদের পিটানোর জন্য সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে যাবেন না, একটু হলেও নিজের বিবেক খাটিয়ে বিষয়টা দেখবেন। বলুন ইন্সপেক্টর আপনি পারবেন? এটা আপনার সাধ্যের মধ্যেই। আপনি ইচ্ছে করলেই এটা করতে পারেন।”
ইন্সপেক্টর আব্দুর রবের টেলিফোনটা আবার বেজে উঠলো। ওপাশ থেকে আরেকটি কর্কশ গলা স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে, “ ঐ হারামজাদাটাকে পেঁদিয়ে শেষ করে দাও।”
টেলিফোনটা রাখতে না রাখতে আবার বেজে উঠলো ক্রিং করে, “খুন করে ফেল ওকে। নইলে সুন্দরবনে পোস্টিং করে দেবো শালা।”
“জি স্যার” “সরি স্যার” বলে টেলিফোন রাখলেন আব্দুর রব।
আব্দুর রব জোর গলায় ডাক দিলেন কনস্টেবলকে, “রসুল মিয়া।”
“জি স্যার।”
“আসামিকে কাঠগড়ায় নিয়ে যাও।”
ইন্সপেক্টর আব্দুর রব বোধ হয় হাফিজ উদ্দিনের ইচ্ছেটা পূরণ করতে পারছেন না। আব্দুর রব তার মনের মানবিকতাগুলোকে ঝেড়ে ফেলে আবার ইন্সপেক্টর হয়ে উঠছেন ধীরে ধীরে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.