নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৌরভ দাস

সৌরভ দাস ১৯৯৫

চলুন, সবাই কথা বলি

সৌরভ দাস ১৯৯৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচারের রহস্য

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

“না রহিম মিয়া, দলিল খানায় যা দেখছি জায়গাটা আব্দুলের দিকেই যাচ্ছে।”
চেয়ারম্যানের কথায় রহিমের ভেতর দিয়ে দমকা কাল বৈশাখী বয়ে গেলো কিছুক্ষণের জন্য। চেয়ারম্যান সাহেব এক সময় গন্ড মূর্খ থাকলেও চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে এখন চেহারায় একটু আধটু শিক্ষিতের ভাব ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। অনেকটা হয়েও যায়। তবে পার্থক্যের জায়গাটা খুব বেশি কমাতে পারেন নি। সবার ভাষায়- আগে ছিলো অশিক্ষিত কুলাঙ্গার, এখন হয়েছে ছদ্মবেশী শিক্ষিত কুলাঙ্গার। এটুকুই।
আব্দুল রহিমের আপন ছোট ভাই। মাত্র দু বছরের ব্যবধান দুজনের মধ্যে। কিন্তু আব্দুলের কর্মকান্ড দেখে তা বোঝার বিন্দুমাত্র উপায় নেই। দুনিয়াচষা লোক আব্দুল। সবার সাথে তার গলায় গলায় সম্পর্ক। রহিমকে সে হিসেব করারও সময় পায় না। তবে ইদানিং আব্দুলের সর্বগ্রাসী চোখ তার স্বয়ং বড় ভাই রহিমের দিকে নিবন্ধ হলো। রহিম একেবারে গোবেচারা টাইপের মানুষ। সাতেও নাই পাঁচেও নাই।
আব্দুল আদালত পাড়ায় গিয়ে কাকে না কাকে কিছু টাকা খাইয়ে রহিমের শেষ সম্বল বাড়ির পাশের পাঁচ শতক জায়গার নামে জাল দলিল করিয়ে নেয়। সেটা নিয়ে ডানে বাঁয়ে না তাকিয়ে সোজা চলে গেলো চেয়ারম্যানের বাড়িতে। চেয়ারম্যান নিজে কী বুঝলেন কে জানে। শুধু বললেন, “পরে দেখছি বাপু। জমিজমার ব্যাপার, ঠান্ডা মাথায় দেখতে হবে দলিলটা। তুমি ওটা রেখে যাও।”
রহিম মোটেই ঠুনকো স্বভাবের মানুষ নয়। অযথা খিস্তি খেউড় তার একেবারে অপছন্দ। আব্দুলের এই অপকীর্তিও কথা শুনে রহিম ঈষৎ অবাক হলো। এতো অধঃপতন! শেষ পর্যন্ত নিজের বড় ভাইয়ের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আব্দুলের এই দুঃসাহস আর নিজের শেষ সম্বল মাত্র পাঁচ শতক জায়গা নিয়ে আব্দুল একটু টেনশনে পড়ে যায়। নিজের মেয়ের বিয়ের টাকা এই জায়গা বিক্রি করে পাওয়া যাবে বলে একটা হিসেব কষে রেখেছিলো মনে মনে। কিন্তু আব্দুল তো এবার মহা গন্ডগোল করে বসলো।
পরে অবশ্য রহিমও চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়েছিলো। চেয়ারম্যানকে সে সর্বাত্মক বুঝানোর চেষ্টা করলো দলিলটা আসল নয়, নকল। কিন্তু বিধাতা বাম। চেয়ারম্যান তখন মহাব্যস্ত। রহিমের কথাগুলো চেয়ারম্যানের কানে গেলেও মাথায় যায় নি। “পরে এসো” বলে হুট করে মোটর সাইকেলে বুমবুম ডাকিয়ে সেখান থেকে চলে গেলেন অন্যত্র।
অনেকখানি হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হলো রহিমকে।
আজ আচমকা চেয়ারম্যান একেবারে নিজে স্বয়ং এসে উপস্থিত রহিমের ঘরে। সারামুখ ভর্তি দাঁড়ি, মাথায় কাঁচাপাকা চুল, জিন্স প্যান্টের উপর একটা স্টাইপের শার্ট পরা। রহিম প্রথমে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছিলো। তারপর স্মিত হাস্যে চেয়ারম্যানকে বসতে দিয়ে তার একমাত্র মেয়ে রোহেনাকে চা করতে বলে।
কিন্তু চেয়ারম্যানের প্রথম কথাতেই রহিমের বুকের মাঝখান চিরে যাওয়ার মতো অবস্থা। তার বাপ মারা যাওয়ার পরেই তো গ্রামের মুরুব্বিরা মিলে জায়গা জমি সব ভাগ করে দিয়েছিলেন। রহিম-আব্দুল দুজনেই সহাস্যে মেনেও নিয়েছিলো সব। তাহলে এখানে আবার নতুন দলিল কিসের? রহিম বিষয়টা চেয়ারম্যানকে মন প্রাণ সঁপে বুঝানোর চেষ্টা করলো।
গর্দভটা কী বুঝলো কে জানে। সবকিছু শুনে গমগমে গলায় বললো, “হু.. বুঝলাম।”
রহিমের মেয়ে রোহেনা চা নিয়ে এলো। রোহেনা ছিপছিপে গড়নের মেয়ে, দেখতে বেশ ফর্সা, আকর্ষণীয় ফিগার, লাল টকটকে ঠোঁট, চোখ দুটি আকাশের তারার মতো উজ্জ্বল। একটু নজরে পড়ার মতো চেহারাই বটে। চেয়ারম্যান লুব্ধের মতো তাকিয়ে রইলেন রোহেনার দিকে। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন রোহেনার শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। রোহেনার কোমল হাত, পা, সরু নিতম্ব, জামাটা কিঞ্চিত ছিঁড়ে যাওয়ায় স্তনের পাশের উত্তেজক জায়গাটা খানিকটা দেখা যাচ্ছে- সেটাও দেখছেন। রোহেনা অবশ্য ওড়না দিয়ে সেটা প্রতিনিয়ত ঘোরার চেষ্টা করছে। কিন্তু সিলিং ফ্যানের বাতাসে চায়ের কাপ রাখতে রাখতে বেশ কয়েকবার এই অন্ধ আস্তানার সন্ধান পেয়ে যান চেয়ারম্যান সাহেব।
রহিম যতোই সহজ- সরল হোক তার মেয়ের ব্যাপারে সে খুব দায়িত্বশীল। অভাবের তাড়নায় ভালো একটা জামা কিনে দিতে পারছে না সেটা অন্য বিষয়, তাই বলে যেকোনো চাঁদু এসে এখানে নজর দিবে সে সুযোগ সে কাউকে দেয় না। কিন্তু এ জায়গায় চেয়ারম্যান বলেও একটা কথা আছে। সে একটু কৌশলী হলো। চেয়ারম্যান সাহেবকে কাঁচুমাচুভাবে বললো, “আমার একমাত্র মেয়ে। এসএসসি পাশ করে আর পড়াশুনা হয়ে উঠেনি। এখন আপনাদের দোয়া দরদে একটা ভালো জায়গায় বিদায় করে দিতে পারলেই সারে।”
পরে রেহানার দিকে চেয়ে বললো, “একটু গরম পানি কর তো মা, গলাটা কেমন জানি করছে সকাল থেকে।”
রোহেনা চলে গেলো।
রহিমের গলায় কিছুই হয়নি। চেয়ারম্যানের লুব্ধ দৃষ্টি থেকে রোহেনাকে দীর্ঘক্ষণ পৃথক রাখার জন্যই এই মিথ্যের আশ্রয় রহিমের। সভ্য অসভ্য যে কারো সাথে তার মেয়ে নটঘট বাঁধুক, এটা সে কখনোই বরদাস্ত করবে না। গরিব, অসহায়ত্বের মাঝেও তার বুকের কুনোয় মাঝে মাঝে বেজে ওঠে ব্যক্তিত্বের ঝংকার। সেও সমাজের আটপৌরে নীতি নৈতিকতার জালে নিজেকে বেঁধে নেয় আষ্টেপৃষ্টে। গলা উঁচিয়ে বলতে চায়- আমিও সামাজিক।
চেয়ারম্যান বললেন, “রহিম, তুমি তোমার জায়গা থেকে হয়তো নিজেকে সঠিক মনে করছো। কিন্তু আব্দুলেরও তো কিছু যুক্তি তর্ক আছে। তুমি ওকে একটু ডেকে আনো।”
রহিম আব্দুলকে ডাকতে গেলো। বাড়ির উত্তর পাশটায় থাকে আব্দুল। আর রহিমের ঘর দক্ষিণ পাশে। বাড়ির মাঝখানে বিশাল উঠান।
রহিম নিরীহ গোবেচারা টাইপের বলে আব্দুল তার সাথে মেশারও প্রয়োজনীয়তা মনে করে না। রহিমও আব্দুলের বাঁদরামি থেকে নিজেকে দূরে রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। তাই আব্দুল রহিমের মধ্যে সম্পর্ক কেবল মুখ চাওয়া চাওয়ির। বেশ কয়েক বছর ধরে কোনো প্রকার বাক্য বিনিময় ছাড়াই চলছে এই দুই পরিবারের বাস।
আব্দুলকে ডেকে ঘরে এসে রহিমের চোখ দুটি একেবারে ছানাবড়া হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। সে এতক্ষণ যে জায়গায় বসা ছিলো রোহেনা সেখানে মাথা নিচু করে বসা। তার মুখটা পর্যন্ত ভালো ভাবে দেখা যাচ্ছে না। চেয়ারম্যান এতক্ষণ ওর সাথে কথাবার্তা বলেছেন এটা স্পষ্ট।
ঘরটা এতক্ষণ ছিলো নিরব-নির্জন। এরকম ঘরে চেয়ারম্যানকে রেখে রোহেনাকে একা রেখে যাওয়াটা এক ধরনের মূর্খামি ছিলো এটা বুঝতে পারছে রহিম। নির্জন পরিবেশে সব পুরুষই কেউটে সাপের মতো ছটফট ছটফট করতে থাকে। তাও যদি কোনো যুবতী মেয়ে থাকে তাহলে সেই ছটফটানি শুধু ছটফটানিই থাকবে না, বিষাক্ত সাপের মতো ছোবলে খাবে সবকিছু। রহিমের ভেতরটা ছ্যাঁৎ করে উঠলো।
“আব্দুল আসছে।” রহিমকে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন চেয়ারম্যান।
রোহেনা তার বাবাকে বসতে দিয়ে চলে গেলো। চেয়ারম্যানের মুখের ভাবভঙ্গি একটু অন্যরকম। রহিম এর মানে বুঝে। খুব ভালো করেই বুঝে। তার মুখখানা হঠাৎ যেনো কুঁকড়ে গেলো। শুধু বললো, “আসছে।”
কিছুক্ষণ পর আব্দুল এসে বসলো। রহিমের ঘরে সে আসে না বললেই চলে। নেহাৎ চেয়ারম্যান ডেকেছেন তাই আসলো। চেয়ারম্যান জিজ্ঞেস করলেন, “বলো আব্দুল, তোমার বক্তব্যটা কী? এতক্ষণ রহিমেরটা শুনেছি, এবার তোমারটা শুনি।”
এই দলিল এদ্দিন ঘরে ছিলো, এই দলিল আসল, এই অনুযায়ী এই, এই দলিল অনুযায়ী সেই বলে আব্দুল অনেকক্ষণ বকর বকর করলো।
চেয়ারম্যান বললেন, “তোমার দলিলখানা আমি দেখেছি আব্দুল। রহিমের কথাও শুনেছি। আগামীকাল রাতে গ্রামের মুরুব্বিদের নিয়ে আমি একটু বসতে চাই। তুমি সবাইকে বরং তোমার বাড়িতে একটু ডেকো। আমি রাত নটা নাগাদ আসবো।”
রহিমকে তাহলে এবার জায়গাটার আশা ছাড়তেই হবে। গ্রামের সবকয়টা মুরুব্বির সাথে তার বদের হাড্ডি ভাইটার দহরম মহরম সম্পর্ক। সব সময় ওদের সাথে ভদ্রলোকের ঠাঁট বজায় রেখে চলে। ওই মহলে আব্দুলের কদর আছে বেশ।
বাড়ির পূর্ব পাশে একটা ছোট আম গাছ। সেখানে রাতে সকল নিস্তব্ধতাকে ছিন্ন করে গলা ফাটিয়ে বেশ কতক কাক অবিরাম চিৎকারে রহিমের কান ঝালাপালা করে দিয়েছিলো। রহিম ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কাকের ওই বুক ফাটানো আর্তনাদ কেবল মাত্র তার জন্য। রহিম হঠাৎ চমকিত হয়। তার মুখসুদ্ধ বুকের অনেকখানি কেঁপে ওঠে সামান্য। তার চোখে মুখে আসন্ন বিপদের কালো ছায়া।
তার মেয়েটা কত নিশ্চিন্ত, উদাসীন! গোসল সেরে প্রতিদিনের মতো আজো চুলে এক গাধা তেল মেখে আরামসে ঘুমুতে লাগলো। তার বাপের এই কালো মুখকানি মেয়েটা দেখেও এড়িয়ে গেলো। রহিমের মোটেই রাগ হচ্ছে না। অভিমান হচ্ছে স্ত্রীর উপরে। এ কোন বদ্ধ পাগল রেখে গেলো তার জন্য!
চেয়ারম্যান ঠিক টাইমেই আসলেন। এসেই আচমকা আব্দুলের কলার ধরে হ্যাঁচকা টান দিলেন। আব্দুল প্রায় ঢলে পড়ে যাচ্ছিলো। তার চোখ মুখে পড়ন্ত বিকেলের বিষন্নতার ছাপ। নিরাসক্তের মতো তাকিয়ে আছে চেয়ারম্যানের দিকে। চেয়ারম্যান পরনের বেল্ট খুলে শপাং শপাং করে ঝাড়তে লাগলেন শরীরের প্রতিটি জায়গায়।
“জায়গা ভাগ করেছে মুরুব্বিরা; আর উনি কোন নবাব সলিমুল্লাহ এসেছেন আদালত পাড়ায় গিয়ে জাল দলিল করিয়ে জমি দখল নিবেন। প্যাংচামির আর জায়গা পাস নি? আমার সাথে প্যাংচামি! আর যদি এরকম শুনেছি তো তোর পাছার চামড়া ছিলে কুত্তাকে খাওয়াবো এই বলে রাখলাম।”
আরো দুটি লাথি কষিয়ে চেয়ারম্যান হনহনিয়ে চলে গেলেন।
বিচারে উপস্থিত প্রতিটি লোকের মাথায় টনটনে ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে। সবার দম আটকে গেছে। আব্দুলের উচ্ছল ভঙ্গিমার মুখখানা হঠাৎ করেই আমসির মতো কটকটে শুকনো হযে গেলো। তার চোখে মুখে একরাশ রাগের বদলে অসহায় নিঃস্ব ভাব। বিহ্বল ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাঁপাচ্ছে। আব্দুলের বউসুদ্ধ তার বছর পাঁচেকের ছেলে অভুক্ত ভিখেরির মতো কাঁদছে। সে কান্না বড়োই হৃদয়স্পর্শী। দুনিয়ার সকল নিষ্ঠুরতাকে হার মানায়।
মাথা নিচু করে প্রতিটি মানুষ যার যার বাড়ি চলে যাচ্ছে। এতদিন গোয়ার্তুমির বিচার দেখতে দেখতে আজকের এই ন্যায্য বিচার তাদের কাছে বেঢপ ঠেকছে। এ যেনো হওয়ার নয়। কঠিন বর্মের মতো অভেদ্য।
হারতে হারতে জেতার আনন্দ রহিম ভুলে গিয়েছিলো অনেক আগেই। অপ্রত্যাশিত এই জেতার খবরে সেও খানিকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ়। মুখে হাসি কান্না কিছুই নেই। বুড়ো হাবড়ার মতো নিশ্চুপ ভঙ্গিতে হাঁটছে ঘরের দিকে।

পরদিন দুপুরে হঠাৎ রহিমের মেয়ে দুঘন্টার জন্য লাপাত্তা। রহিম বিষয়টা বেশি ছড়ালো না। আর ছড়ানোর মতো বিষয়ও সে মনে করেনি। কোথায় আর যাবে সে। দক্ষিণ পাড়ার এক বুড়ি আর মোশতাকের মেয়েটা মাঝে মধ্যে রহিমের ঘরে বেড়াতে আসে। রোহেনাও যায় সেখানে। হয়তো সেখানেই গেছে।
দুঘন্টা পর রোহেনা ফিরে আসলে রহিম আর তাকে ঘাটালো না। রহিমের মনটা আজ ঝুমকো ফুলের মতো স্বচ্ছ মনে হচ্ছে। কেমন যেনো উঁড়ু– উঁড়ু– ভাব। গতকালের বিচারের পর রহিম বেশ স্বস্তি বোধ করছে। যাক, এবার তাহলে নিশ্চিন্তে মেয়েটার বিয়ে দেয়া যাবে।
রহিম হঠাৎ আড়চোখে খেয়াল করলো, রোহেনা অঝোরে কান্না করছে। একান্ত গোপনে, নিরালারয়। তার এ কান্নার মধ্যে বিসর্জনের ছাপ সুস্পষ্ট। রহিম বুঝতে পারলো এ কান্নার মানে। এ কান্না নিভৃতে উন্মাদ কুকুরের কাছে নিজের সতিত্ব বিসর্জনের।
এখন সে পরিষ্কার বুঝতে পারছে গতকালের বিচারের রহস্য কী। কেন সবকিছু হঠাৎ করে এমন এলেবেলে হয়ে গেলো। আসলে এলেবেলে হয়নি কিছুই। সবকিছুই ঠিক আছে। চেয়ারম্যানের বিচারের রায়টাও ঠিক আছে, ওরকম আচরণও ঠিক আছে।
রহিম তার মেয়েকে কিছু বললো না। একটু পরে সেও হেলে পড়া একটা আম গাছের তলায় বসে কাঁদলে লাগলো। অঝোরে। ঠিক তার মেয়ের মতো।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৯

এহসান সাবির বলেছেন: টেয়ারম্যানকে বসতে দিয়ে তার একমাত্র মেয়ে রোহেনাকে চা কতে বলে.....

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

সৌরভ দাস ১৯৯৫ বলেছেন: আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। দাঁড়ান, আমি লেখাটা আবার ইডিট করছি।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: কিছু কিছু বানানে ও লাইনে এখনো সমস্যা আছে।
তবে কাহিনীটা ভালই। তবে বেশি ছোট হয়ে গেল মনে হচ্ছে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩

সৌরভ দাস ১৯৯৫ বলেছেন: বিজয় থেকে ইউনিকোডে কনভার্ট করার সময় এ সমস্যাগুলো হয়েছে। ....... এর চেয়ে আর বড় করার কোনো উপাদান আমার মাথায় আসেনি। তবে ছোট হলেও বেমানান হয়নি নিশ্চয়ই??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.