বাজিতপুর গণহত্যা দিবস আজ

০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ১:০১

পাকিস্তানীদের প্রতি আমার আজন্ম ঘৃনা থাকবে , পাকিস্তানীদের ঘৃনা করাই আমার দেশ প্রেম ।

৩ মে ১৯৭১ ,
কোন একটা বাচ্চা হঠাত্‍ কান্না করে উঠল আর দিনকার মতো । মায়ের বুকটা ধক্ করে উঠল । কি হলো কি হলো বলে মা কান্না থামাতে ব্যস্ত ,

পুরুষ মানুষের কাজ নাকি ঘরে না, বাহিরে । জমিতে অনেক কাজ পরে আছে , ঘুম ঘুম চোখে পানি ভাত খেয়ে মাটির দিকে চেয়ে ছুটতে হবে এখনি । এভাবেই ধীরে ধীরে জেগে উঠতে থাকে বাজিতপুরের মরাখলা ও দিঘীরপাড় ইউনিয়নের নোয়াগাও ।

সারা বাংলাদেশেই তখন হায়েনার আনাগোনা । হিংস্র হায়েনার ধারালো দাঁত থেকে রেহাই পায়নি ঘোড়াউত্রার পাড়ে অবস্থিত বাজিতপুরও ।

শান্ত স্নিগ্ধ বাজিতপুরে এদেশীয় দূষরদের সহায়তায় সকাল বেলা আক্রমন শুরু করে পাকিস্তানী হায়েনারা । রক্তে লাল করে দেয় বাজিতপুরের মাটি । ঐ দিন হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যার শিকার হয় প্রায় তিন শতাধিক সাধারন মানুষ । অগনিত মা-বোনকে নির্লজ্জের মতো ধর্ষণ করে । সাজানো গোছানো বাজিতপুর ছারখার হয়ে যায় ।

পাকিস্তানী হানাদারদের নৃশংসতার কথা শুনে এখনও মানুষ শিওরে উঠে ।

শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে বাজিতপুরের মরাখলা ও দিঘীরপাড় ইউনিয়নের নোয়াগাও লঞ্চ ঘাটের বদ্ধভূমিতে দুইটি স্মৃতিসৌধ নির্মান করার দাবী দীর্ঘদিনের । কিন্তু সরকার যায় সরকার আসে এসবের দিকে কেউ দৃষ্টি দেয় না । ।

ব্রিটিশ আমলে বাজিতপুরে ফকির ও সন্যাসী বিদ্রোহ ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছিল । অত্যাচারিদের বিরুদ্ধে বাজিতপুরবাসী কখনই মূখ বুঝে থাকেনি । - পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধেও বাজিতপুরবাসী লড়ে গেছে বীরের মতো । ২৬ অক্টোবর বাজিতপুর শত্রুমুক্ত হয় ।।

৬ টি +১/-০