![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাকিবকে খেলার বাইরে রেখে দেওয়া বিসিবির কেমন অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত সেটা টের পেতে খুব বেশি একটা সময় লাগার কথা নয়। কিন্তু সমস্যাটা অন্য জায়গায়, গণ্ডারকে খোঁচা মারলেও টের পায় দুই তিন দিন পরে। বিসিবির অবস্থা তার চেয়ে তো আর ভালো নয়। যেহেতু সাকিব আত্মপক্ষ সমর্থন করেছিলো, যা নিয়ে এত কিছু সেই সিপিএল না খেলেও ফিরে এসেছিলো সেহেতু শাস্তিটা অন্যভাবেও দেয়া যেত। আরেকটু কৌশলী হয়ে। এক থেকে দেড় বছর বাইরে খেলার উপর নিষেধাক্কা আরোপ করাই যথেষ্ট ছিল। যেখানে সব অভিযোগগুলো আবার পরিষ্কারভাবে খণ্ডাতে বিসিবি। যার দায় কিনা ক্রিকেট অপারেসন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানও এড়াতে পারেন না। মিডিয়ার সৌজন্যে আমরা সবাইতো জানি তার মৌখিক অনুমতি ছিলো। খুব বেশি ভুল কিন্তু সাকিবের এই ক্ষেত্রে ছিলোও না যে তাকে ছয় মাস নিসিদ্ধ করতে হবে। তবে হ্যাঁ কোচের সাথে বাদানুবাদে জড়িয়ে দেশের পক্ষে না খেলার হুমকি দিয়ে যে অমার্জনীয় ভুল করেছিলো এটাও ঠিক। কিন্তু অন্যায়ের চেয়ে শাস্তিটা খুব কি বেশি হয়ে বেশি হয়ে গেলো না? যে দোষে সাকিবের শাস্তি সে দোষতো ক্রিকেট অপারেসন্সেরও ছিল তো ক্রিকেট অপারেসন্স শাস্তি পেলনা কেন?
আবার বিসিবির একটা ডিসিপ্লিনারি কমিটি আছে। শাস্তি দিতে হলেতো সেখান থেকে হেয়ারিং হয়ে আসতে হয়। সাকিবের ক্ষেত্রে সেটা হলো না কেন? সাকিবের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ সব এক করেইযে এই শাস্তি সেটা আমরাও বুঝছি। কিন্তু শাস্তিটা সাকিবকে খেলার বাইরে ঠেলে যতটা না সাকিবের হলো, তার চেয়ে ঢের বেশিতো টিম বাংলাদেশের। হাতুরিসিংহে কোচ হয়ে এসেই বারবার বললেন বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে নিয়ে যেতে চান বাংলাদেশকে। সাকিবকে ছাড়া সেটা কতটা সম্ভব সেটা কি ভাবলো না বিসিবি? অস্ট্রলিয়াতে খেলা শেষ তিনটি ওয়ানডের দুইটিতেই যেখানে শতরানের গণ্ডি পেরুতে পারেনি বাংলাদেশ সেখানে ২০১৫ এর জন্য কি প্রস্তুতু নিচ্ছে বাংলাদেশ? সে জায়গাটার বেশিরভাগ জুড়েই যদি আবার নিউক্লিয়াস খেলোয়ারটি না থাকে। অবস্থানটা বিসিবিকেই পরিষ্কার করতে হবে। ষোল কোটি মানুষের আবেগ নিয়ে কোন গেম খেলার অধিকার বিসিবির নেই। এক শচিন টেন্ডুলকার না থাকলে ভারতের কি হ-য-ব-র-ল অবস্থা হত সেখানে বাংলাদেশের জন্য সাকিবতো ভারতের শচিনের চেয়েও বড় প্রভাবক।
প্রস্তুতি ছাড়াই যদি সাকিবকে বিশ্বকাপে খেলতে নামতে হয় আর সেখানে যদি সে পারফর্ম না করতে পারে সে দায় তখন কি নেবে বিসিবি বা নাজমুল হাসান পাপন? এখন নাকি বিসিবি নিজেও নাকি চাচ্ছে সাকিব আবেদন করুক নিষেধাক্কার মেয়াদ কমানোর জন্য। তাহলে এভাবে তাড়াহুড়ো করে শাস্তি দেওয়াটার দরকার ছিল কি? একটা কাজ নাজমুল হাসান পাপন আর আহম মোস্তফা কামাল দুজনেই খুব ভালো করতে পারেন, খেলোয়াড় তৈরির পাইপলাইনটা শক্তিশালী না করতে পারলেও কারণে অকারণে ছেঁটে দিতে পারেন। আশরাফুলকে হারিয়েছি, সাকিবের ক্ষেত্রে ছন্দপতন ঘটুক তা চাইনা। বাতাসে যেসব গুঞ্জন ছড়াচ্ছে সেসব অক্রিকেটীয় কারণে যদি সাকিবর এই বাদ দেয়াটা সেটা বোধহয় খুব বেশিদিন মানবে না ক্রিকেটপ্রেমী এই জাতি। সেক্ষেত্রে নাজমুল হাসান পাপনের চেয়ারও হয়তোবা টলে যেতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২০
নিকষ বলেছেন: পাপনের চেয়ারে একটা ফু দেওয়ারও ক্ষমতা নাই, কারোর।