নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যদি পর জনমেও আসিতে হয় তাহলে আমি বার বার আসিবো তোমারই কোলে হে বাংলা মা!!!

এস কাজী

আমি তেমন কেউ নই। শুধু বুকের মাঝে আমার বাংলাদেশকে ধারন করি।

এস কাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিল্লীর ডায়েরিঃ বিন বুলায়ে বরাত ও একটি কট খাওয়ার গল্প!!!B-)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৩

অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই তিন মাস দিল্লীর প্রকৃতিতে যেই কাল ই হোক না কেন চারিদিকে রঙবেরঙের সাজবাতি দেখে স্পষ্ট বুঝা যাবে যে এইটা বিয়ের কাল। কিছুটা ঠাণ্ডা আর লগ্ন সম্পর্কীয় বিষয়াবলির সুযোগে দিল্লীর বেশির ভাগ বিয়ে এই সময়টাতে হয়ে থাকে। আর এই বিয়েগুলোর মধ্যে স্পষ্টতই ঝাকজমক এর দিক দিয়ে এগিয়ে থাকে পাঞ্জাবের লোকেরা। কারন তাদের বিয়েতে সবসময় শো'অফ এর একটা ব্যাপার থাকে। তাই তারা নিজেদের বলে থাকে "পাঞ্জাব দি শান"। আর দিল্লীতে পাঞ্জাবিদের পরেই কলকাতার দাদাবাবুদের অবস্তান। যেখানেই যান না কেন একখানা বাঙালি আপনি পাবেনই পাবনে। তাই ছিপায় একটা সাজেশন হল দিল্লীতে ভারতীয় দের গালাগাল দেয়ার সময় বুঝেশুনে দিবেন। নাহয় পাশ থেকে ঠিকই শুনবেন কেউ বলে উঠেছে "বোকাছেলে কি বলে!!"। যাহোক বলছিলাম বিয়ের গল্প।



দিল্লী এয়ারপোর্ট এর পাশে সেন্তর নামক হোস্টেলে (এটি ইনফ্যাক্ত হোটেল) ছাত্র হিসেবে থাকার সুবাধে প্রতিদিন নিজের রুম থেকে পাশের সুইমং পুলে অনুষ্ঠিত পাঞ্জাবীদের বিয়ে গুলো দেখতাম আর তাদের সেই বাফেট বিয়ের খাবারের গন্ধ শুকতাম। মনে মনে ভাবতাম শালার হোস্টেলের এর ছাইপাঁশ ফেলে কবে ওই বাফেট খামুB-)। একদিন প্ল্যান মোতাবেক কাজ ও করে ফেললাম। আগেই বলেছিলাম যে পাঞ্জাবীদের বিয়ে মানেই শো'অফ একটা ব্যাপার থাকে। তাই টার্গেট করলাম এক পাঞ্জাবীর বিয়ে। হোস্টেল থেকে আমার আরেক বান্ধবীকে কল দিলাম এবং প্ল্যান এর কথা জানাতেই সে এক পায়ে রেডি হয়ে গেল। কারন দুজনেই বুকেমারে এবং ননভেজ খাওয়ার নেশায় বুদ ছিলাম।





প্ল্যান মোতাবেক দুজনে বিয়ে প্রাঙ্গনে প্রবেশ করলাম। এখানে আরেকটা কথা বলে রাখি যে এদের বিয়ে গুলোতে ঢোকার মুখে চেক লিস্ট দেয়া থাকে। যেখানে ১,২,৩ এভাবে সিরিয়াল দিয়ে বলা থাকে যে কোন জায়গায় মাটন কোন জায়গায় চিকেন, কোন জায়গায় সফট ড্রিঙ্ক কোন জায়গায় হার্ড ড্রিঙ্ক ব্লাহ ব্লাহ পাওয়া যাবে। আমাদের যেহেতু চিকেন খাওয়াটাই টার্গেট ছিল তাই চেক লিস্ট থেকে চিকেন প্লেইস বের করলাম এবং পৌঁছে গেলাম। এখন বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?X(( মানে যিনি সারভ করছেন তাকে কে বলবে চিকেন দেয়ার জন্য। যথারীতি আমাদের ঝগড়া। আমার বান্ধবী বলে আমাকে বলতে আমি বলি তাকে বলতে। আমার বান্ধবীর যুক্তি যে সে সবসময় আমাকে হেল্প করে বিভিন্ন ব্যাপারে তাই এই কাজটা আমারই করা উচিত। যাহোক এদিকে লক্ষ্য করলাম সার্ভার আমাদের ঝগড়া মনোযোগ দিয়ে উপভোগ করছে। কিন্তু আমরা বাংলায় ঝগড়া চালিয়ে যেতে লাগলাম। কিছুক্ষন পর এক ভদ্রলোক হাতে এক গ্লাস রেড টাইপের হার্ড দ্রিঙ্কস নিয়ে সার্ভার কে বলল--



"দু চিকেন দে দু ইয়ার" (দু পিস চিকেন দেন )



"চিকেন খাতাম হু গায়া" (চিকেন শেষ)



সার্ভার বলে দিল।



ব্যাপারটা খেয়াল করলাম। এর পরে দুইজনে মিলে শুরু করে দিলাম ইন্ডিয়ান দের গালি। শালা টুট টুটের জাত সব চিকেন খাইয়া ফালাইসে এত তাড়াতাড়ি???? ঘরে তো রান্নাবান্না করেনা এইসব বিয়ে শাদীতে আইসা "আতকা গরু ঘাসে পরসে" মত খাইসে। আরও লিখনঅযোগ্য এরকম অনেক গালি দুজনে দিতে লাগলাম। গালি দিয়ে ফিরে আসব ঠিক সেই সময় স্পষ্ট বাংলায় শুনতে পেলাম কেউ আমাদের ডাকছে "ওহ দাদা দিদি এদিকে এস"



ফিরে দেখি সেই সার্ভার। মনে মনে দুজনে ভাবতে লাগলাম ইয়াহ আল্লাহ দড়ি ফালাও উইঠা যায়:(( কিন্তু ধরা যেহেতু খেয়েই গেলাম কি আর করা। লজ্জা শরম নিয়ে দুজনে তার পাশে গেলাম এবং স্পষ্ট বুঝতে পারলাম যে এতক্ষন আমাদের ঝগড়া থেকে শুরু করে গালি দেয়া সব সে শুধু শুনেছে তা নয় খুব ভাল বুঝতেও পেরেছে। আমতা আমতা শুরু করলাম দুইজনেইা যাহোক গেলাম তার কাছে এবং সে খুব গম্ভীর ভাব নিয়ে বলল "দাদা খেয়াল রাখবে দিল্লীতে দিল্লী আর পাঞ্জাবীদের পর কিন্তু কল্কাতানদের আধিক্য বেশি। তাই কথাবার্তা সাবধানে বলবেন কথা শুনে বুঝতে পারলাম তোমরা ওপার বাংলার। তাই দুটো দুটো চারটে চিকেন আমি রেখে দিয়েছি তোমাদের জন্য"। একি শুনলাম দাদার মুখে? যেন মেঘ না চাইতেই বজ্রপাত।



সেদিন তারই বদান্যতায় এক নয় দুই নয় পুরা পঁয়ত্রিশ পদের খাবার খেয়ে রুম এ ফিরে গিয়েছিলাম। পরে ওই জায়গায় না হলেই ১৫ টা মত ফাও বিয়ে খেয়েছি। :P:P



অটঃ রিডার আপনারাও এরকম ফাও বিয়ে ট্রাই করতে পারেন।:P:P তবে উপদেশ থাকবে খাওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আয়োজনকারী ধনী নাকি গরিব। গরিব হলে অবশ্যই এড়িয়ে যাবেন। ;) আর যা করবেন স্মার্ট তরিকায় করবেন। ধরা খেলে লেখক কোনভাবেই দায়ী থাকিবেনা। :P

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪

জনাব মাহাবুব বলেছেন: আপনার কইলজায় তো মিয়া ব্যাপুক সাহস আছে

ফ্রি দাওয়াত খাইবার মঞ্চায় মাগার কইলজায় সাহস হয় না। :(( :(( :(( :((


আপনার খাওন দাওন পোষ্টে খাওন দাওন মার্কা ++++++++++ :P :P :P

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

লিখেছেন বলেছেন: এ সব কাজ বাংলাদেশে করাটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ , তাই না করাই ভাল।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: বেশ সাহসের কাজ, ধরা খেয়েও বেচেঁ ফিরে আসলেন কিভাবে? ভাগ্য সবসময় একরকম হবে তার নিশ্চয়তা কি?

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

সুমন কর বলেছেন: লেখা পড়ে মজা পেলাম। !:#P

তবে এ ধরনের কাজকে সমর্থন করতে পারলাম না। মজা করে একবার করলে কথা ছিল !!! প্রায় ১৫টি !!

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪০

এস কাজী বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে কমেন্টের জন্য। পোস্ট এ একটি বিষয় ক্লিয়ার করেছি যে যা করতে হবে স্মার্ট ওয়েতে। অইদিন ভাগ্যগুণে বেছে গিয়েছিলাম। তবে পরে আর অরকম করিনি। জাস্ট গিয়েছি আর বলেছি দাও। B:-/ B:-/ B:-/ B:-/ B:-/

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৯

বোকামানুষ বলেছেন: B:-) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.