বাচ্চাদের ক্রিকেট, ডাকওয়ার্থ লুইস মেথড এবং ইয়ান সোনা মিয়ার নো বল (খানিক ১৮+)

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭

১৯ মার্চের সেই বিখ্যাত ম্যাচ এর কথা এখনো আমাদের মনে টাটকা। বাংলদেশ ক্রিকেটের অন্ধ ভক্ত হিসেবে এই ম্যাচ কোনদিন ভুলতে পারবনা। এই ম্যাচ নিয়ে আমরা অনেকে কষ্ট পেলেও পরবর্তীতে সারকাসটিক ওয়ে তে এটা নিয়ে অনেক ফান হয়েছে।

এই ম্যাচ নিয়ে আমার কোন ফেসবুক পেইজে প্রথম পড়া কৌতুকটি ছিল এরকম---

ইয়ান গোল্ডঃ নো বল

আলিম দারঃ নো বল

আর তাদের দেইখা আমাদের রুবেল মামা হ্যাপি হইয়া কহিলেন---

ঃইয়াহ, ওই নো ডেট ইয়ু গাইজ ডোন্ট হ্যাভ বলস।


ডাকওয়ার্থ লুইস মেথড কিভাবে নির্ধারিত হয় তা আমরা ক্রিকেট প্রেমিরা অনেকেই জানি, অনেকেই হয়তো শুধু নামটা জানি। নিয়ম টা জানিনা। আর বুঝতে পারি যে এই নিয়মটা একটু ক্যারাবেরা। দুঃখজনক হল ক্রিকেটের জন্য এই কঠিন রুলস এর প্রবক্তা মিস্টার ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ এবং টনি লুইজ কোনদিন ক্রিকেট খেলেননি। তারা দুইজনেই ইংলিশ পরিসংখ্যানবিদ। আরেকদিন তারা দুইজনরে নিয়া কথা হবে। আজ থাক।



এলাকার বাচ্চা পোলাপাইন বাসার সামনে রাস্তায় ক্রিকেট খেলছিল। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারনে রাস্তায় হাল্কা হাল্কা পানি জমে গিয়েছে। এলাকার নিয়ম অনুযায়ী খেলা হচ্ছে। আমরা জানি প্রতি এলাকায় ক্রিকেটের কিছু নিয়ম থাকে। যেমন আইসিসির টীম
ভারতের জন্য ক্রিকেটে আলাদা নিয়ম তা না হলে সুনিল নারায়ণ বিশ্বকাপে অবৈধ হয়, কিন্তু বিজনেজ কাপের (আইপিএল) জন্য বৈধ হয় কেমনে। টাটকা'টা বললাম।


যাহোক রাস্তায় পানি জমার কারনে আম্পায়ার ঘোষণা দিলঃ "ইয়ে মাঠে অনেক পানি, পিচ খারাপ। তাই ডাকওয়ার্থ লুইজ মিয়ার নিয়ম অনুযায়ী ব্যাটসম্যানদের ৩২ রান নিতে হবে। তবে তা করার জন্য তারা পাবে মাত্র ৪ বল"

বোলিং সাইড খুশি হইয়া লাফাইতে লাগল। আর ব্যাটসম্যানরা দেখলাম মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো।


ঠিক অই সময় আম্পায়ার আবার ঘোষণা দিলঃ "ইয়ে মানে সোনা মিয়ার নিয়ম অনুযায়ী (পরে বুঝলাম গোল্ড মানে ইয়ান গোল্ড ) গিরার উপ্রে বল উঠলে নো বল আর মহেন্দ্র সিং ধন-ই বরাবর বল গেলে কোন বল ছাড়াই ব্যাটিং টীম পাবে ১০ রান"


শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ব্যাটিং টীম জিতে গেসে তবে একটি বলও এখনো খরচ হয়নি।

ব্যাটিং করছিল এলাকার সিয়ানা পোলাপাইন।

৫ টি +২/-০