![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাড়ির পেছনের এই পুকুর পাড়টা আগে এতো টানতো না জাফর কে ।ওর মনে আছে বিয়ের পর একদিন বীণা পুকুরটা দেখে চেচিয়ে উঠেছিলো ! আরে !!! এত্ত সুন্দর একটা পুকুর ! কার পুকুর ? তোমাদের ?
জাফর বীণার ছেলেমানুষি উচ্ছ্বাস দেখে হেসেছিলো !বলেছিলো , না আমাদের না !
তাহলে কাদের ?ইশ এমন একটা পুকুর নিজেদের থাকলে কি যে ভালো হতো !
কি ভালো হতো !
সে তুমি বুঝবে না ! আমি তাহলে যখন তখন পুকুরে সাঁতার কাটতাম । পুকুর পাড়ে ইচ্ছে মতো বসে থাকতাম ! কেউ কিছু বলতো না ! জানো , আমার নানাবাড়ি এমন একটা পুকুর ছিলো ! না , না । এটা তার চেয়ে একটু বেশি সুন্দর !আমি নানা বাড়ির সেই পুকুর পাড়ে বসে গান গাইতাম!
তুমি গান গাইতে পারো ! কই বলোনি তো !
আরে ! নাহ ! তেমন না ! এই গুনগুন করি আর কি !বলেই লজ্জা পেলো বীণা ! ইশ ! সে যে কি ! কেন গানের কথা বলতে গেলো মানুষটাকে ! মানুষটা যদি এখন গান শুনতে চায় ! কি হবে !! যদি ওর গান শুনে মানুষটার ভালো না বলে ! বীণা কষ্টে মরেই যাবে ! আর যাই হোক ! বীণা কিছুতেই জাফর কে কষ্ট দিতে পারবে না ! কবে কবে যে মানুষটাকে এতো ভালোবেসেছে ! একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বীণা !কিছুতেই মানুষটাকে সে বুঝতে দেবে না এটা । তবে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে , অনেক মায়া করবে মানুষটাকে ! কোনদিন কষ্ট দেবে না ।
এই বীণা !কি হলো ? তুমি গান পারো অথচ বলো নাই যে !এক্ষুনি একটা গান শোনাও !
এই রে ! যা ভয় পেয়েছিলো তাই হলো !নিজের উপরেই বিরক্ত হয়ে গেলো সে ।সেটা এড়াবার জন্য হেসে বললো , এই পুকুরটা যদি তোমার হতো তাহলেই তোমাকে গান শোনাতাম !
কেন? অবাক হয়ে জাফর প্রশ্ন করে ! এই মেয়েটার কথা সে অধিকাংশই বোঝে না !
আরে বাবা ! কেন বোঝো না ? আমার গান শুনে তুমি খুশি হয়ে বলতে , বীণা কি চাও তুমি ?আমি তখন এই পুকুরটা চাইতাম !
হো হো করে হেসে ওঠে জাফর !বীণা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে , হাসছো যে !
এমনি ! পাগলী ! আচ্ছা যাও গান শোনাতে হবে না ! এই পুকুরটা তোমাকে এমনিতেই দিয়ে দিলাম !
মানে ? এই মানে কি !!
মানে হলো , আজ থেকে এই পুকুরটার মালিক তুমি ! এখন বলেন , সোনা বউ, কবে আমাকে গান শোনাবেন ?
জাফরের কথা শেষ হবার আগেই বীণা একরকম ঝাঁপিয়ে পড়ে ওর গায়ের উপর !জাফর জোর করে ছাড়াতে গেলে সে পাগলের মতো আরও আঁকড়ে ধরে ! জাফর কিছুতেই ভেবে পায় না , এই মেয়েটা এতো অদ্ভুত কেন ? বুকের ভিতর অজানা এক ভালোলাগা তাঁকে আচ্ছন্ন করে ফেলে ! এই অসম্ভব মায়াশীল মেয়েটা তাঁর বউ !বউ !কি সুন্দর একটা শব্দ ! খুব কাছের একটা আপন শব্দ !জাফর মনে মনে ভেবে রাখে , এই মেয়েটিকে খুব চমকে দিতে হবে ! এমন কিছু কিছু জিনিস সে মেয়েটিকে দেবে যা মেয়েটির ভাবনার বাইরে। তখন বীণা ওকে এমন পাগলের মতো জড়িয়ে ধরবে ! এই মুহূর্তটির জন্য সে অনেক কিছু করতে পারে !
তারপর থেকে রুটিন হয়ে গেলো বীণার ! সুযোগ পেলেই পুকুরে নামবে। গলা জলে ডুবে বা চিৎ সাঁতার কাটতে কাটতে গুনগুন করে গান গাইবে ! বীণার শাশুড়ি জোহরা খাতুনের এ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই !
জোয়ান বউয়ের এ কি কাণ্ড ! সেও তো এই বাড়ির বউ ছিলো ,এতো আদিখ্যেতা তো করে নাই সে। আর জাফরের বাপ তো ছিলো সাক্ষাত দারোগা ! বাড়িতে এসে হাঁক ছাড়লেই জোহরা বেগম কেমন চুপসে যেতেন! যাবেনই না কেন? স্বামী বলে কথা ! মুরুব্বী না ! কিন্তু নিজের ছেলের বউ আর ছেলের নির্লজ্জতায় তার মাথা কাটা যায় ! যখন তখন ঘরের দরজা বন্ধ ! বউকে নিয়ে পুকুর পাড়ে বসে গান বাজনা ! ছিঃ ছিঃ ! মানুষে নানা কথা বলে। সেদিন পাশের বাড়ির মনোয়ারা ভাবি এসেছিলেন ! বউকে খুঁজে না পেয়ে জোহরা বেগম রাগের মাথায় কিছু কথা বলে ফেলেছিলেন উনাকে।
উনি তো আকাশ থেকে পড়লেন ! এ কেমন বউ ! মফঃস্বলে কি এসব চলে নাকি ! এ তো দেখছি বড় শহরের মেয়েদের মতো বেলাজপনা ! তা বাপু , তোমার ছেলে তো এই ছোট শহরেই মানুষ ! সে কিছু বলতে পারে না বউকে ! না বিয়ে করে বউয়ের ভেড়া হয়েছে !
জোহরা খাতুন নিজের ভুল বুঝতে পেরে মনে মনে অস্থির হয়ে উঠলেন ! এ কি করলো সে। মনোয়ারা ভাবি তো এখন সারা পাড়া রাষ্ট্র করবে ! নাহ ! এই অলক্ষ্মী বউটার জন্য নিজের ছেলে সম্পর্কেও মানুষ বলতে ছাড়লো না ! আজ বাড়ি আসুক জাফর ! বউকে কড়া শাসন করাতে হবে ছেলেকে দিয়ে। ঘরের বউ ! ঘরকন্যা করবে , সেলাই ফোঁড়াই করবে , নামাজ রোজা করবে ,তা না । দিন রাত শুধু ধিংধিং করে বেড়ানো । ভর দুপুরে পুকুর পাড়ে বসে গান বাজনা ! আল্লাহ ! জীনের আছর নেই তো !! ভাবতেই গলা শুকিয়ে যায় তাঁর !আজ জাফরের সাথে কিছু কথা বলতেই হবে !
জাফর বাড়িতে আসতেই ইশারায় ছেলে কে ঘরে ডেকে নেন তিনি। দূর থেকে বীণা তাকিয়ে দেখে ।তারপর আনমনে হেঁটে পুকুরের দিকে হাঁটতে থাকে । মা ,ছেলে কথা বলুক ! এই সুযোগে সে কচ্ছপের বাচ্চাগুলো দেখে আসুক । কি সুন্দর তিনটা বাচ্চা ! পানিতে ভেসে থাকা পচা নারকেলের খোলে বসে ওরা রোদ পোহায় !বীণা মাঝে মাঝে ওদের গান শোনায় !
জাফর মায়ের অভিযোগ শুনে হেসে ফেলে ! মা ! কি বলো এসব ! বীণা অত্যন্ত ভদ্র মেয়ে ! একটু ছেলেমানুষ আছে এই যা !
ছেলেমানুষ ! তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন জোহরা খাতুন । আমার এই বয়সে আমি মা হয়েছিলাম । তাও প্রায় ৩ বছর বয়স তখন তোর !
মা , সেই যুগ কি আছে ?এখন এই বয়সে তো বিয়েই হয় না মেয়েদের । বীণার বাবা তো রাজিই ছিলেন না। ইয়াসিন চাচা ঘটকালী না করলে এই বয়সে কি ওর বিয়ে হতো ?
কেন? ওর বাপ কি এমন তালেবর ? শহরে থাকলেই মাথা কিনে নেয় নাকি ! সামান্য বই এর দোকানদার তাঁর আবার এতো গরম !
ছিঃ !মা , এগুলো বলে না ।
কেন ? বললে কি হবে? তোর বউ শুনে ফেলবে? শুনে কি করবে ? আমাকে মারবে ?
মা ! থামো তো ,খেতে দাও। খিদে পেয়েছে ।
আমি কেন খেতে দেবো ? তোর সাধের বউকে ডাক ! ঘরের বউ তো না , যেন সিনেমার হিরোইন ! সারদিন বনে বাদাড়ে ঘুরাঘুরি ! গান বাজনা ! আমার হয়েছে জ্বালা ! পোড়ার চোখে আল্লাহ যে কতো কিছু দেখাবেন !
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মায়ের ঘর থেকে বের হয়ে আসে জাফর ! ও কি করে বোঝাবে মাকে ! বীণা তো আর দশটা সাধারণ মেয়ে না ! রাতের বেলা গুটিসুটি হয়ে যখন ওর বুকের মধ্যে মেয়েটা ঘুমিয়ে থাকে , তখন মনে হয় ও যেন একটা ছোট্ট মেয়ে।
ঘুমের ভিতর জাফর পাশ ফিরে শুলেই ঘুম ভেঙে যায় বীণার । এই , এই এদিকে এসো না। আমাকে বুকের ভিতর রাখো ! আমার ভয় করে তো !
জাফর একটা অজানা মায়ায় জড়িয়ে গেছে ! ও ভেবে পায় না ,ওর মতো একটা সাধারণ ছাপোষা মানুষকে বীণার মতো একটা মেয়ে কেন এতো ভালোবাসবে ?
একজন সৎ মানুষের সাথে মেয়ে বিয়ে দিতে পেরে খুশি হয়েছিলেন ইলিয়াস আহমেদ। মা মরা মেয়ে ! জাফরের সংসারে কেবল বৃদ্ধ এক মা। মেয়েটা সচ্ছলতায় না হোক শান্তিতে থাকবে। নইলে এতো ছোট মেয়েকে তিনি বিয়ে দিতেন না। তিনি সারাদিন দোকানে থাকেন , মেয়েটা একা একা থাকে ! ইয়াসিন প্রস্তাব দিলে তিনি সব ভেবে রাজী হয়ে গেছিলেন । হোক একটু গ্রাম্য পরিবেশ , বীণা তো আর তেমন শহুরে মেয়েদের মতো না। ও নিজের মনেই থাকে । রাজ্যের বই পড়ে , মেয়েটাকে কতো শখ করে গান শেখালেন । রবীন্দ্র সংগীতের প্রতি মেয়ের ঠিক বাবার মতো টান !কতো রাত যে বাবা মেয়ে গান করে কাটিয়েছেন ! এসব ভাবলে তাঁর বুকের ভিতরটা হু হু করে ওঠে ! কালই যাবেন মেয়েকে দেখতে ! পাগলীটা দুই দিন ফোন করে না । তিনিও দোকানের কাজে ব্যস্ত থাকায় খেয়াল করেননি ! নিশ্চয়ই মেয়ে রাগ হয়েছে ! হোক , কাল তিনি নিজে গিয়েই চমকে দেবেন মেয়েকে ।
ভাবতেই হেসে ফেললেন ইলিয়াস সাহেব। তাঁর মেয়েটা বড় অদ্ভুত ! বাবাকে চমকে দেবার জন্য তাঁর কতো যে ফন্দি ! একদিন দুপুর বেলা তিনি ভাতঘুম শেষে বিছানায় উঠে বসতেই অবাক হয়ে দেখলেন, বীণার মা বারান্দায় বসে আছেন। তিনি তাজ্জব হলেন। মৃত মানুষ কি করে ফিরে আসে। সেই বিয়ের খয়েরী বেনারসি , পায়ে আলতা ! মাথায় আলতো করে ঘোমটা আর পা দোলানো ! তাঁর গলা শুকিয়ে এলো ! তিনি অস্পষ্ট শব্দে ডেকে উঠলেন , রানী !তিনি বীণার মাকে আদর করে রানী ডাকতেন। তিনি ডাকতেই বীণার মা হাসিতে ভেঙে পড়লেন ! আরে ! এ দেখি বীণা ! তিনি লজ্জা পেলেন খুব ! মেয়েটা এভাবে চমকে দেবে ভাবেনি ।
ও বাবা , তুমি মাকে এখনও এত্ত ভালোবাসো ! রানী ! কি সুন্দর করে যে তুমি ডাকলে !
ইলিয়াস সাহেব মন খারাপ করে বসে থাকেন । ৩ মাস হয়েছে মেয়েটা নাই বাড়িতে ! এখন আর কেউ লুকিয়ে থেকে তাঁকে চমকে দেয় না, ভোর বেলা গরম চায়ের বদলে গরম শরবত দেয় না।প্রতিদিন নতুন বই পড়ার বায়না করেনা ! কেমন আছে মেয়েটা? ওরা কি মেয়েটাকে আদরে রেখেছে !ইলিয়াস সাহেবের চোখটা জ্বালা করে উঠলো !
ও বউ , বউ । দেখো তোমার বাপ এ আসছে । কিছু খাইতে দিও , আমি একটু নামাজ সেরে আসি ,বলে ইলিয়াস সাহেব কে বসিয়ে জোহরা বেগম নিজের ঘরে চলে গেলেন !
বাবা'কে দেখে বীণা আর নিজেকে সামলাতে পারলো না !জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে উঠলো । বাবা , তুমি এতো শুকিয়েছো ? ইশ ! এই কদিনে আমার বাবাটা কেমন বুড়ো হয়ে গেছে। এ মা ! এতো চুল পেকেছে কিভাবে ! হাজার প্রশ্নে সে বাবাকে অস্থির করে তোলে !
ইলিয়াস সাহেব হাসতে থাকেন। যাক মেয়েটা ভালোই আছে । জামাই কই রে মা?
এই তো বাবা , একটু বাইরে গেছে । দাঁড়াও আমি ওকে ফোন দেই । বলেই মেয়েটা প্রজাপতির মতো উড়ে ভিতরে গেলো । মেয়ের যাবার পথে তাকিয়ে তাঁর খুব অচেনা একটা অনুভুতি হলো ! তাঁর অতি আদরের মেয়ে ! এমন প্রজাপতির মতো থাকবে তো সারাজীবন ! ভাবতে ভাবতে তিনি উদাস হয়ে যান !কখন যে ঘরে বেয়াইন সাহেবা আসছেন টের পান নাই !
কি ভাই ! আপনিও দেখি আপনার মেয়ের মতো ! হুঁশ নাই একেবারে ! দুইবার ডাক দিলাম কথা বলেন না ! বাপ আর মেয়ে কি ভিন্ন জগতে থাকেন নাকি !
জাফরকে ফোন করে ফিরতেই বীণা শুনতে পেল শাশুড়ির ঠেস দেয়া কথাগুলো ! তাঁর ভালো মানুষ বাবা টা কেমন মাথা নিচু করে বসে আছেন ! মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে নানা কথা বলেই যাচ্ছেন ! খুব রাগ হয়ে গেলো বীণা ! এতদিন পর বাবা এসেছে তাঁকে দেখতে ! কি হয় একটু ভালো কথা বললে ! উনার নিজের মেয়ে হলে এমন বলতে পারতো ! বীণা শাশুড়ির এই সব ব্যবহারে অভ্যস্ত ! এক সময় ভেবেছিলো জাফর কে বলবে ! কিন্তু পরে ভেবেছে , থাক ! বেচারা কি করবে ? মা তো ! জাফর ওকে অনেক ভালোবাসে । ওর তাতেই হবে ! এইটুকু কষ্ট নাহয় সহ্য করে নেবে সে !
বিদায় নেবার সময় বাবা খুব শক্ত হয়ে ছিলেন। বীণাও । যেন ওরা প্রতিজ্ঞা করেছে , শাশুড়িকে তাদের চোখের জল দেখতে দেবে না। ইলিয়াস সাহেব শুধু বলেছিলেন , মা'রে ভালো থাকিস ! বীণা শুধু মাথা নেড়েছিল । অনেক বলেও বাবাকে আর কিছুক্ষণ রাখতে পারেনি।
জরুরী কাজে আটকা পড়ে যাওয়ায় জাফরের ফিরতে দেরি হয়ে গেলো , আবার বাজারেও গিয়েছিলো সে । ঘরে কি আছে কে জানে ভেবে সে একবারে বাজার করেই ফিরলো ! ফিরে মায়ের কাছে শুনতে পেলো, তাঁর শ্বশুর চলে গেছেন !
কেন এতো তাড়াতাড়ি গেলেন জানতে চাইলে জোহরা বেগম ঝামটা দিয়ে ওঠে , নে নে! অতো নাচানাচি করতে নেই। আসছে মেয়ে দেখতে মেয়ে দেখে চলে গেছে। কি কঠিন বাপ ! যাবার সময় একফোঁটা চোখের পানিও ফেললো না , মেয়েও তেমনি ! অমন পাষাণ কি করে হয় ! নিজের বাপের জন্যই দয়া মায়া নাই ! আমার যে শেষ বয়সে কি হবে !
মা ! তুমি সারাক্ষণ এগুলো বলে বলে , মেয়েটার মন খারাপ করে রাখো !
কি ! আমি সারাক্ষণ তোর বউ এর বিরুদ্ধে কথা বলি ! পেটের ছেলে হয়ে দুই দিনের বউ এর জন্য আমাকে এমন বলতে পারলি !
জাফর আর ঘরে ঢোকে না । বাজার নামিয়ে সে হনহন করে বের হয়ে যায় ! বীণা তাঁর ঘর থেকে সবই শোনে ! কি করবে সে?? মানুষটা কতো পরিশ্রম করে এলো ! বীণা একটা চিঠি লিখে রেখেছিলো । মানুষটাকে দেবে বলে । বালিশের নিচে এমন ভাবে রেখেছিলো চিঠিটা যাতে জাফর বিছানায় বসলেই চিঠির কোণা দেখতে পায় ! সে কতো ভালোবাসার কথা লিখেছিলো ! আর একটা খুব গোপন কথাও লিখেছিলো ! কয়েকদিন ধরেই ভাবছিলো বলতে হবে মানুষটাকে ।
কিন্তু কি করে এসব বলে ও বুঝতে পারছিলো না। তাই চিঠিতে লিখেছিলো , এই যে শুনছো ? আমার একটা আঙ্গুল ধরো তো ? ধরেছ? এই দুই আঙ্গুলের একটার নাম ছবি আর এ্কটার নাম কবি !
তখন নিশ্চয়ই জাফর অবাক হয়ে জানতে চাইতো , মানে কি?
মানে কিচ্ছু না। আচ্ছা মানুষের বাচ্চার নাম কি কবি রাখা যায়? তাহলে কি সে কবিতা লিখতে পারবে??ভাবতেই এতো কষ্টের মধ্যেও বীণার চোখমুখ জ্বলজ্বল করে ওঠে ! মানুষটা নিশ্চয়ই বুঝে ফেলবে তখন। কি যে করবে !নিশ্চয়ই ওকে কোলে তুলে ঘুরবে কিছুক্ষণ !নাহ ! কিচ্ছু হলো না । ওর শাশুড়ি যে কেন এমন ও ভেবে পায় না । সবসময় উনার নিজের সাথে তুলনা করেন। ও বুঝতে পারে, মহিলা স্বামীর কাছ থেকে ঠিক বউয়ের আদর পায়নি। তারপর বিধবা হয়েছেন অল্প বয়সে। কষ্ট করে ছেলে মানুষ করেছেন । তাই তাঁর এই হীনমন্যতা ! এসব ভেবেই সে শাশুড়িকে ক্ষমা করে !
অনেক রাত করে সেদিন জাফর বাড়ি ফেরে । এদিকে বীণা বারবার ফোন দিয়ে লাইন পাচ্ছিলো না। চিন্তায় ওর বুকের ভিতরটা কাঠ হয়ে গেছিলো। জাফর ঘরে ঢুকতেই ও তাড়াতাড়ি বিছানায় উঠে বসে । এলে?
হুম । খেতে দাও তো। খিদে পেয়েছে ! তুমি খেয়েছো !
না , একসাথে খাবো তো !তিনজন একসাথে না খেলে হয়?
মা এতো রাতেও খায়নি !তুমি একটু দেখবে না? বিরক্ত হলো জাফর !
মা তো কখন খেয়েছেন !বলে মুখ অন্য দিকে ফিরিয়ে হাসলো বীণা ।
জাফর বললো , তাহলে তিনজনের কথা বলছিলে যে !
বীণা লজ্জায় মাথা নিচু করে চিঠিটা হাতে দেয় জাফরের । তারপর ছুটে পালায় ।
জাফর বোকার মতো চিঠি পড়তে শুরু করলো ! মুহূর্তে ওর মুখ আলোয় ভরে যায় ! এই পাগলী টা এতক্ষণ বলেনি নেই তাহলে তিনজন ! এই ছিলো কথার মানে ? গেলো কই এই রাতে পাগলীটা ?
বীণা ,এই বীণা ।নিশ্চয়ই পুকুর পাড়ে গেছে ! উফ ! মা কি সাধে রাগ হয় !রাত বিরেতে এখন তো একটু হুঁশ করে চলতে হবে !
জাফর এসে পুকুর পাড়ে বসা বীণাকে জড়িয়ে ধরলো ! বীণা আর লজ্জায় নেই ! ইশ ! মানুষটা সব জেনে গেছে !জাফরের বুকের মধ্যে বীণা মুখ রেখে অনেকক্ষণ চুপ করে থাকল !। একসময় জাফর বললো , এতো বড় খুশির খবর কি কেউ এভাবে দেয় !
তাহলে কিভাবে দেয়?
সাথে কিছু দিতে হয় না ?
যাহ্ ! তুমি একটা যা তা !
আরে ! আরে ! আমি কি অন্য কিছু চেয়েছি নাকি !আমি তো একটা গান শুনতে চেয়েছি ! তোমায় আমি এতো বড় একটা পুকুর দিলাম ! একটা রাজকন্যা দিলাম ! আমাকে একটা গান শোনাবে না ?
রাজকন্যা !
হুম !রাজকন্যাই চাই আমার । রাজকন্যার নাম রাখবো ছবি !
ছেলে ঘরে এসেছে বুঝতে পেরে জোহরা বেগম ছেলেকে খুঁজতে খুঁজতে পুকুর পাড়ে এলেন। যা ভেবেছেন ! ছেলের মাথাও গেছে !রাত দুপুরে এরা কি শুরু করছে ! তিনি কড়া গলায় ডাকতে যাবেন , ঠিক তখনি একটা গান ভেসে এলো ...ফুলে ফুলে ঢলে দলে বহে কিবা মৃদু বায় !
তিনি অবাক হয়ে গেলেন ! কে গাইছে এমন সুন্দর ! বউ ? বাহ ! ভারী মিষ্টি তো ! তাঁর চোখে হঠাৎ পানি চলে এলো ! মা মরা মেয়েটার জন্য তাঁর বুকের ভিতর এই প্রথম মুচড়ে উঠলো ! আহারে! মেয়েটা ! ওই তো তাঁর ছেলে মুগ্ধ হয়ে গান শুনছে। তাঁর মনে পড়লো , ছোটবেলায় জাফর ঠিক এমন করেই তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে ঘুম পাড়ানি গান শুনতো !তিনি কেমন সম্মোহিত হয়ে গেলেন। আস্তে আস্তে নিজের ঘরের দিকে হাঁটতে শুরু করলেন । থাক, ওরা ওদের মতো ! তিনি আর কোনদিন কিছু বলবেন না । তাঁর ছেলে তো খুশি !আর কিছু চাইবার নেই মেয়েটির কাছে ! তাঁর কানে তখনো বাজছে - কি জানি কিসের ও লাগি প্রাণ করে হায় হায় !
আহা ! কি সুন্দর করেই না গাইছে মেয়েটা !
২৪০৭১২
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩৯
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: সময় দেয়া হলো । ২৪ ঘণ্টা । এখন কি বড় লাগছে ? :!>
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫২
আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: সুন্দর গল্প আপু........অনেক অনেক সুন্দর......।
অট: আজকালকার মেয়েরা কি হিন্দী মুভির গান ছাড়া আর কোনো গান গায়?.... (সেক্ষেত্রে কি এমন সুখী সমাপনী আশা করতে পারি....)
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৮
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: আমি নিজে কিন্তু এখন বাংলাই শুনছি । হিন্দিও শুনি । সুর আর কথা ভালো হলে সব গান শোনা যায় !
ভাইজানের তাইলে গল্প ভালো লাগছে ! গুড ! ভালো ভাইয়া । বুদ্ধি আছে দেখি !
কেমন আছো রে ভাইয়া? ভালো থেকো ।
৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৩
আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: মনে হয় ভালই আছি.......
যদিও কি জানি কিসেরও লাগি প্রাণও করে হায় হায়......
এই কি জানি টা এখনও খুঁজে বের করতে পারি নাই.....একটা আফসুস...
তুমি কেমন আছো আপু?
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫২
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: আফসুস ! খুঁজে বের করতে পারলে জানিও কিন্তু।
ভালো আছি রে ভাইয়া । অনেক ভালো থেকো ।
৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৯
মুনসী১৬১২ বলেছেন: মায়া মায়া গল্প
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৩
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: থ্যাঙ্কু ভাইয়া ।
৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৪
জয় রাজ খান বলেছেন: অনেক বড় হলেও গল্পটা এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম।।
অনেক ভাল লাগলো
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৪
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন খুব ।
৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৮
মঈনউদ্দিন বলেছেন: চমৎকার গল্প অনকে অনকে ভাললাগলো
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৬
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন খুব ।
৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৯
সান্তনু অাহেমদ বলেছেন: সুন্দর গল্প।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৯
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪০
সরলতা বলেছেন: কি চমৎকার একটা গল্প! মুগ্ধ হয়ে পড়ছিলাম।
আমার মায়ের ও খুব শখ একটা পুকুরের। গল্প পড়তে পড়তে একটা মজার জিনিস উপলব্ধি করলাম। তবে সেটা কি, তা বলা যাবেনা!
একটু ছোট বয়সে মেয়েদের বিয়ে হলে কত সমস্যাই না হয় মানিয়ে চলতে। বীণার মত খেয়ালি মেয়ে হলে তো কথাই নেই। তবে মেয়েদেরও উচিত মাকে শাশুড়ি না ভেবে মা ভাবার চেষ্টা করা। তবু ভাল জোহরা বেগম বীনাকে বুঝতে পেরেছেন।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০১
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: আমরা মেয়েরা নিজেদের একটু বুঝে নিয়ে সহনশীল হলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয় । কিন্তু আমরাই পারি না। ইগো প্রব ধ্বংস করে দেয় সব !
অনেক ভালো থেকো আপুনি । ভালোবাসা নিও।
৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪৫
বিদ্রোহী ভাস্কর বলেছেন: Oshadharon golpo. plus dilam
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০৫
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন খুব ।
১০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪৬
নীলঞ্জন বলেছেন: ভালো লাগলো গল্প।+++++++
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০৬
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন।
১১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৯
শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: খুব সুন্দর...
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০৭
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ । শুভ দুপুর ।
১২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০৭
শাহজাহান মুনির বলেছেন: সুপার লাইক...। অনেক ভাল লাগল। প্রিয়তে নিলাম।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১০
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম । অনেক কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন খুব ।
১৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০৮
সরলতা বলেছেন: তবে মেয়েদেরও উচিত মাকে শাশুড়ি না ভেবে মা ভাবার চেষ্টা করা--আমার করা কমেন্টের এই লাইনটা খুব-ই অদ্ভুত হইসে আপু। নিজেই কিছুক্ষণ হিহি করে হাসলাম।
আসলে লাইনটা লিখতে চেয়েছিলাম মেয়েদের ও উচিত শাশুড়িকে শাশুড়ি না ভেবে মা ভাবা।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৩
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: তবে মেয়েদেরও উচিত মাকে শাশুড়ি না ভেবে মা ভাবার চেষ্টা করা--
আমি নাই রে । হাহাহাহাহা ! ব্যাপক বিনুদন কিন্তু।
১৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৪
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: খুবই সুন্দর গল্প আপু, জাফর নামে আমারও একটি বন্ধু আছে কিন্তু ওর ভালোবাসা পরিপূর্ণ রূপ পায়নি
৮নং প্লাস
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২১
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: জাফরের জন্য অনেক শুভকামনা !
ভালো থেকো ভাইয়া ।
১৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২৩
মোঃ মাহ্ফুজুর রহমান বলেছেন: কি চমৎকার একটা গল্প!
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৭
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন খুব ।
১৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২৭
নিষ্কর্মা বলেছেন:
osadharon golpo apu ... khub valo laglo
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৮
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন খুব ।
১৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪০
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগলো আপুনি!
শ্বাশুড়িটার জন্য কষ্ট হচ্ছে!
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৬
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: ভালোবাসা নিও সিস। আমরা কেউ কারো ভিতরের কষ্ট দেখতে চাই না। তাই এমন জটিলতা বাড়ে !
১৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৬
অবাক-পৃথিবী বলেছেন: আপনি কবিতার সাথে সাথে গল্পেও ভালো দেখি +++
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৯
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: :#> অনেক ধন্যবাদ । কেমন জানি লজ্জা লজ্জা লাগে !
ব্লগে স্বাগতম । ভালো থাকবেন খুব ।
১৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৯
বিকেল বলেছেন: খবর দেবার STYLE টা বেশি ভালো লাগলো ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪০
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: হুম । অনেক ধন্যবাদ । ব্লগে পেয়ে ভালো লাগলো ! খুব ভালো থাকুন ।
২০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫০
মুর্তজা হাসান খালিদ বলেছেন:
একটা সবুজ জলের দিঘী বানাবো, পাড়গুলোতে থাকবে সারি সারি নাকিকেল গাছ (স্বপ্ন দেখতাছি )
ভাল্লাগছে গল্পডা, ধইন্যা
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪১
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: আমিও স্বপ্ন দেখি !! কি হয় আমার এমন একটা পুকুর হলে !
অনেক ধন্যবাদ !
২১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৬
মুর্তজা হাসান খালিদ বলেছেন: গল্পের মাঝে রবি ঠাকুরের হৈমন্তির ছায়া
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৩
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: হতেই পারে । উহা ধারণ করেই তো আমরা বাঙালি মেয়েরা ! আমি কিন্তু বীণা কে আমার ছায়ায় সাজিয়েছি !
২২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৯
মুর্তজা হাসান খালিদ বলেছেন: হ্যাপ্পী এ্যান্ডিং
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৪
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: ইয়েস। আগের সব লেখা কান্না কাটি ছিল। এবার বিদ্রোহ। শুধু হাসি খুশি !
২৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৪
মানস চক্রবর্তী বলেছেন: আপুরে কি যে অসাধারণ লাগল! কেমন জানি স্বপ্ন স্বপ্ন লাগলো। আমার পুকুর পাড়টা মনে হয় এবার কমপ্লিট করতেই হবে। কিন্তু গুরুদেব এর গান গাওয়া মানুষ কয় পাবো?
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৬
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই । পুকুর আগে কমপ্লিট করেন । রবি বাবু রে দরকার হয় ধরে নিয়ে আসবো । উনি এলে কত গায়িকা জুটে যাবে !
মজা করলাম ভাই। ভালো থাকবেন খুব , অনেক ভালো থাকুন !
২৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৭
আমিভূত বলেছেন: কিছুক্ষনের জন্য আমি সম্মোহিত হয়ে ছিলাম ।
+++++++++
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৮
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: কৃতজ্ঞতা অনেক অনেক অনেক ।
২৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৭
হ্যাজাক বলেছেন: তিতির আপু একটা গান শুনাবা.????/
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৮
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: ইয়েস । অবশ্যই প্লিজ ।
২৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩০
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: নামটা পড়ে যেমন মায়াময় একটা গল্প ভাবছিলাম তেমনটাই পেয়েছি।
অনেক ভাল লাগা রইলো আপু।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৯
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: ভালোবাসা এক সমুদ্দুর ! ভালো থেকো খুব ভালো !
২৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:০৬
বাঘ মামা বলেছেন: যত সমস্যাই থাকুক যত সাময়িক ভুল বুঝা বুঝি আর যত অজ্ঞতা কিংবা সাদামাটা জীবন এটাই আমাদের বাংগালীয়ানা এতেই সুখ এটাই স্বর্গ।কোন আধুনিকতাই এই মন মানুষ গুলোকে হারাতে পারবেনা কিংবা পিছনে ফেলতে।
অবিশ্বাস্য সুন্দর করে একটা পরিবারের সব কিছু উঠে এসেছে যাহাতে ইশ্বরের ছোঁয়া আছে,আছে নিখাদ ভালোবাসা টুকু।
শুভ কামান কবি
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৬
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: মামা ! অনেক ধন্যবাদ । ভালো আছেন তো ?
২৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:১৪
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
গল্প পড়ি নাই ! কাল পড়বো । পর্যবেক্ষনে রাখার জন্য কমেন্ট করা
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৯
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: কাল আসিবার কত দেরি !!!
২৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:২০
রাতুল_শাহ বলেছেন: আবৃত্তির ভয়ে গল্প...............
এই গল্প ধীরে সুস্থ পড়তে হবে............
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১২
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: আর কতক্ষণ ? এবার কিন্তু রাগ হয়ে আবৃত্তি করে ফেলবো ।
৩০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৭
কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: এত্তো বড় লেখা!!!
আইজ পড়ব না :!> :#>
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২০
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: সব ফাঁকিবাজ !
৩১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:১২
ইসরা০০৭ বলেছেন: চমৎকার একটা গল্প পড়লাম আপু! মুগ্ধ !!!
কেমন আছো আপু?
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২১
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: ভালো আছিরে সোনা । অনেক ভালোবাসা নিও। তুমি কেমন আছো ?
৩২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৬
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আপু আজও পড়লাম না পরীক্ষার যন্ত্রণায় কিচ্ছুতে মনোযোগ দিতে পারছিনা ।
যেহেতু গল্প পড়ি নাই তাই ঘুষ হিসেবে নিচের কয়েক লাইন আপনার জন্য----
পাশ দিয়ে হেটে যায় বিষন্ন সুন্দর ! বুকে চিরে বেরিয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস--
মখমল দিনের আশায় প্রাঙ্গন ছেড়ছে দূর্বা আর অই দিকে শিশিরে
সংগম লাভের মোহে আত্নাভিমানী শিউলির মূলের সাথে কথোপকথন
তথাপি ভিন্ন ভিন্ন নামে, নির্ভুল ব্যাকরণিক নিয়মে ফুল ও মালার পসরা
আর তোরণের পাশে গ্রামীণ আভিজাত্যের সাথে সংগতি রেখে দূর্বার গালিছা
এই এভাবেই রকমারি কারবারে কারারুদ্ধ অমীমাংসিত ভালোবাসা ।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩৯
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: ঘুষ ভালো হইছে ! তবে আরও দুই একটা দিলে ভালো হইত ! :!>
৩৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪১
একজন আরমান বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো। পুরো গল্পটাই। তবে শেষটা খুব বেশী ভালো লেগেছে।
আচ্ছা আপু আমার কিছু কনফিউসন আছে। একটু ক্লিয়ার করবে?
আমাদের দেশে বউ-শাশুড়ির সম্পর্কের তিক্ততাই বেশী চোখে পড়ে। এর কারণ কি? শাশুড়িও তো এক সময় বউ ছিল। সে কি তার শাশুড়ির কাছ থেকে পাওয়া যন্ত্রণাগুলো তার ছেলের বউয়ের উপর উঠিয়ে সেই যন্ত্রণা লাঘব করার চেষ্টা করে নাকি অন্য কিছু?
আর বউরা কেন তাদের শাশুড়িদের নিজের মায়ের মত ভালবাসতে পারে না?
[আমি জানি সবাই এক না, তবে আমাদের দেশে বউ-শাশুড়ি, ননদ-ভাবি, সাপে-নেউলে একই অর্থ বহন করে আসছে আবহমান কাল থেকে।]
এই জিনিসগুলো দায়িত্ববান পুরুষদের ভোগান্তির একটি বড় কারণ বলে আমি মনে করি। কারণ যে দায়িত্ববান সে মা এবং স্ত্রী দুজনকে ই ভালবাসে, কোন এক পক্ষ নিতে পারে না।
আমার তো এই জিনিসগুলো মাথায় এলে বিয়ে করার চিন্তাই মাথা থেকে সরে যায়। কারণ আমি কোন এক পক্ষকে ভালবাসতে পারবো না।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৩
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: এই জিনিসগুলো দায়িত্ববান পুরুষদের ভোগান্তির একটি বড় কারণ বলে আমি মনে করি। কারণ যে দায়িত্ববান সে মা এবং স্ত্রী দুজনকে ই ভালবাসে, কোন এক পক্ষ নিতে পারে না। ............একমত !
আসলে আমরা মানুষেরা খুব সংকীর্ণ ! ফালতু ইগো নিয়ে চলি সবাই । একটু মেনে চলা, মানিয়ে চলা পারে সব সমস্যার সমাধান করতে । পারি কই ? এই গল্পের শেষ টা অন্য রকম দিতে যেয়েও দেই নি। চেয়েছি বলতে , একটু মেনে নিও সবাই । শাশুড়ি বা বউ । একটু বুঝে নিলেই হয়।
ভালো লাগলো লেখায় পেয়ে ভাইয়া । ভয় পেলে চলবে কেন ? চেষ্টা করতে হবে একসাথে মিলে মিশে চলার। অনন্যায়ের সাথে আপোষ নেই। হোক সে মা । হোক সে সঙ্গী ।
শুভ কামনা ।
৩৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৫
একজন আরমান বলেছেন: চেষ্টা করতে হবে একসাথে মিলে মিশে চলার। অনন্যায়ের সাথে আপোষ নেই। সহমত।
ধন্যবাদ আপু।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৫
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: ভালো থাকবেন ভাইয়া । লেখার সাথে পেলে ভালো লাগবে ।
৩৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭
একজন আরমান বলেছেন: অবশ্যই। সময় পেলেই সবার লেখা পড়ি।
আর আপনি আমার থেকে বড়। তাই আমাকে তুমি বললেই বেশী খুশী হব। আর তুমি বললে অনেক আপন মনে হয়।
ধন্যবাদ।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৫
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: আচ্ছা ভাইয়া । ভালো থেকো ।
৩৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৪
নক্ষত্রচারী বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:২০
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।
৩৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২৩
এস এম আর পি জুয়েল বলেছেন: ভালই
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৪
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া । ইয়ে ই' কার না থাকলে ভালোই হতো ! :!>
অনেক ভালো থাকুন !
৩৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৩
দুঃখিত বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার লেখাটা পড়ে।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৯
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । ভালো থাকুন । শুভদুপুর !
৩৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১০
খেয়া ঘাট বলেছেন: মাঝখানে এক দুখ জাগানিয়া বেদনা জাগিয়ে অবশেষে অপার নীলিমার মতো এক বিশুদ্ধ প্রশান্তির আবহ দিয়ে গল্পটা শেষ করলাম।
পরিতৃপ্ত হলাম।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৪
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা !
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৩৭
লেখোয়াড় বলেছেন:
অনেক বড় গল্প!!