নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

....... আজো স্বপ্ন দেখি

হারিয়ে যাওয়া কৈশোর

....... অসমাপ্ত কবিতা

হারিয়ে যাওয়া কৈশোর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাসাদ ষড়যন্ত্র

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৫

বাংলাদেশিরা অল্পতেই স্বপ্ন দেখা শুরু করে। শাহাবাগ আন্দোলনে অনুপ্রানিত হয়ে আমি শুধু স্বপ্নই দেখি নাই, কল্পনায় একটি দূর্নীতিমুক্ত সমৃদ্বশালী বাংলাদেশের ছবিও একেঁ ফেলেছিলাম। স্বপ্নবিলাসী আমি একাত্বতা প্রকাশে একটি ব্যানার তৈরি করে ফেললাম। সেটা টাঙ্গাতে যেয়ে প্রবল বাধার সম্মুখীন হয়ে বিব্রত আমি বাসায় ফিরে এলাম। মনের মাঝে বার বার একটা প্রশ্ন উকি দিচ্ছিল ... আসলেই কি এটা গর্জে উঠা তরুনদের আন্দোলন নাকি বর্তমান সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি রাজনৈতিক খেলা। তাই স্বপ্ন ভঙ্গ হবার ভয়ে তরুন প্রজন্মের উদ্দ্যেশে লিখলাম “তোমরা হেরে যাওয়া মানে বাংলাদেশ হেরে যাওয়া ”।



মন ছটফট করছে। সারাদিন শাহাবাগ মাথার ভিতর। কিছু একটা করতে হবে এই দেশ, এই মাটি এবং এই মায়ের জন্য। ছুটে গেলাম বন্ধুর বাবার কাছে। অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ চৌধুরিকে (সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্বা সংসদ) অনুরোধ করলাম মুক্তিযোদ্বাদের নিয়ে একাত্বতা এবং রাজাকারদের ফাসি না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী ঘোষনা করতে। তারিখ নির্ধারন হল ১২ই ফেব্রুয়ারী। ১৫০০ প্রকৃত মুক্তিযোদ্বা নিয়ে শাহাবাগ চত্বরে অবস্থান কর্মসূচী ঘোষনা করবেন আহাদ চৌধুরি। বিশ্বজয়ের আনন্দে ছুটে গেলাম শাহাবাগ, হাজার মানুষের ভিড়ে অনেক কষ্টে খুজে বের করলাম ব্লগারদের, জাদুঘরের মূল ফটকের এক কোনায় বসে আছে ল্যাপটপ নিয়ে। সব কিছু খুলে বললাম। এবার প্রতিরোধ নয়, শিকার হলাম নির্লিপ্ততার। আমাকে বলা হল মুল মঞ্চের কারো সাথে কথা বলতে কিন্তু কার সাথে কথা বলতে হবে তা বার বার জানতে চাওয়া হলেও নির্দিষ্ট করে কারো নাম বলা হল না। তবু ছুটে গেলাম মূল মঞ্চে। মাথায় হলুদ ব্যান্ড পরা একজনকে আবার খুলে বললাম সব কিছু। কোন উল্লাস নেই, শুধু বলল আসেন কালকে, সব ব্যবস্থা করে রাখব। দায়িত্বপ্রাপ্ত একজনের ফোন নাম্বার বার বার চেয়েও পেলাম না। সেই একি উত্তর “আসেন কালকে, সব ব্যবস্থা করে রাখব”।



১৫০০ নয়, ১২০০ প্রকৃত মুক্তিযোদ্বা নিয়ে আহাদ চৌধুরির আগমন কেন যেন নাড়া দিল না সংগঠকদের। অনেক চেষ্টা তদবির করে মুক্তিযোদ্বাদের আগমন ঘোষনা করা হল। কিন্তু কোন বক্তব্য দিতে দেওয়া হল না তাকে। আওয়ামী লীগের ৩য় শ্রেনীর নেতারা যদি বক্তব্য দিতে পারে তবে কেন মুক্তিযোদ্বাদের পক্ষে একজন বক্তব্য দিতে পারবে না। পরে জানতে পারলাম আওয়ামী লীগের পছন্দের তালিকায় নেই আহাদ চৌধুরি।







আমাদের দরকার নেই উপরের নির্দেশে কোমলমতি স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদের বাস ভর্তি করে প্রজন্ম চত্বরে নিয়ে আসা; আমাদের দরকার বাবা মার হাত ধরে প্রজন্ম চত্বরে আসা শিক্ষার্থী। আমাদের দরকার নেই এমপি সাহেবের নির্দেশে মিরপুরের সমস্থ গার্মেন্টস বন্ধ করে দুপুর ৩টায় সমাবেশে যোগদান; আমাদের দরকার অফিস ছুটির পর শাহাবাগ চত্বরে সবার স্বতস্ফুর্ত অবস্থান। আমাদের দরকার নেই কোন বিশেষ দলের গোপন পৃষ্ঠপোষকতা; আমাদের দরকার স্বতস্ফুর্ত গনজাগরন।







আমার মত ক্ষুদ্র মানুষ ঠিকই বুঝতে পারছি শাহাবাগ এখন আর নেই ব্লগারদের নিয়ন্ত্রনে, শাহাবাগ এখন পুরোপুরি আওয়ামী পন্থীদের নিয়ন্ত্রনে। চেষ্টা চলছে শাহাবাগ নিয়ে মানুষদের ব্যস্ত রাখার, ভুলিয়ে দিতে শেয়ার বাজার, পদ্মা সেতু সহ সকল দুর্নীতি।







ব্লগারদের আন্দোলন পক্ষপাতদুষ্ট এবং কলংকিত না হয় সে জন্য আমাদের এখনই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। খুব প্রয়োজন ১৬ কোটি বাংলাদেশির সমর্থন। তা না হলে রাজাকারদের কাছে আমরা হেরে যাব, হেরে যাবে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।

- ডঃ ইমরান স্বাচিপের নেতা এবং পক্ষপাতদুষ্ট। গুলশান ফেরদৌস আরা (জানা) আপা প্রধান সমন্বয়ক এবং মুখপাত্রর দায়িত্ব পালন করলে ভালো হয়।

- নিরপেক্ষতার স্বার্থে জামায়াত ইসলামী বাদে অন্য কোন দলকে ইঙ্গিত করে বাজে মন্তব্য বন্ধ করা উচিত।

- খালেদা জিয়ার নিকট আমন্ত্রন পত্র নিয়ে যেয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে একাত্বতা ঘোষনা করার অনুরোধ করা উচিত। বিএনপির পূর্ন সমর্থন পেলে জামায়াত আরো দুর্বল হয়ে পড়বে।

- মাহামুদুর রহমানকে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম না দিয়ে রাজাকার সাঈদীর রায় ঘোষনার তারিখ জানাতে আল্টিমেটাম দেওয়া উচিত।

- ব্লগে কারো বক্তব্য স্থগিত অথবা গালাগালি না করে গ্রহনযোগ্য উত্তর দেওয়া উচিত।

- যে কোন মৃত্যু অনাকাঙ্খিত কিন্তু আমাদের প্রিয় নবীজী নিয়ে আশালীন মন্তব্যকারীকে কোন ভাবেই সমর্থন করা উচিত না।

- “সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে যদি তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা যায়, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কেন যারা জাতীয় পতাকা পুড়ায় এবং শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা যাবে না” এই প্রশ্ন বর্তমান সরকার কে করা উচিত।



স্বপ্ন দেখি একদিন আমরা বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ভুলে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সবাই শুধু মাত্র বাংলাদেশি হয়ে যাব। ইনশাল্লাহ এখান থেকেই বের হয়ে আসবে একজন মাহাতির মোহাম্মদ, আমরা উপহার পাব নতুন এক বাংলাদেশ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.