নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধুই আমি

সাদিকপাভেল

ব্লগ লেখার চেয়ে পড়তে ভাল লাগে।

সাদিকপাভেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্রান্সে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আর ভুল ধারণা

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:১২

ভাবছিলাম এটা নিয়ে কিছু লিখবো না। কিন্তু কিছু সাংবাদিক আর ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য লিখতে বসলাম। কারণ তারা কিছুই না জেনে একটা ওয়েবসাইট ফলো করে আর তোতা পাখির মতো সেই সংখ্যা বিভিন্ন পত্রিকা, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে ফ্রান্স প্রবাসীদের আত্মীয়রা আতঙ্কিত হচ্ছেন। তাছাড়া এর মাধ্যমে ফ্রান্সের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েও অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। যার কারণে আমার এই লেখার অবতারণা।

যা বলতে চাচ্ছিলাম তা হচ্ছে গত ২৪ ঘন্টায় ফ্রান্সে ৬০৭ জন বিভিন্ন হাসপাতালে মারা গেছে (১)। অনেকে ভাবছেন আপনারা যে সংখ্যাটি দেখেছেন তা হচ্ছে ১৪১৭, না সংখ্যাটি মিথ্যা নয় কিন্তু এটার একটা ব্যাখ্যা আছে। প্রকৃতপক্ষে গত ২৪ ঘন্টায় ফ্রান্সে ৬০৭ জন বিভিন্ন হাসপাতালে মারা গেছে। এবার ব্যাখ্যাটা হচ্ছে, গত পহেলা মার্চ থেকে মহামারী শুরু থেকে এখন পর্যন্ত EPHAD এ কম না হলেও ৩০২৭ জন মারা গেছে (১)। ঐ ৩০২৭ জন থেকেই আজকে ৮১০ জন যোগ হয়েছে গত ২৪ ঘন্টার মৃত্যু সংখ্যায়। আর এই সংখ্যাটি প্রতিদিনই হালনাগাদ হচ্ছে, আগামীকালও আপডেট হবে আর এই প্রক্রিয়া চলতে থাকবে যতদিন পর্যন্ত না প্রতিটি EPHAD এর সংখ্যাটি যোগ হবে। তার মানে এই নয় যে এই ৮১০ জন গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছে। এই ৮১০ জন গত পহেলা মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল যে কোন সময় মারা গিয়ে থাকতে পারে।

এখন আসি এই EPHAD কি? EPHAD হচ্ছে d’établissements pour personnes âgées dépendantes যার সহজ বাংলা হচ্ছে নার্সিংহোম যেখানে বিভিন্ন বৃদ্ধ বয়সের মানুষ যারা অন্যের সাহায্য ছাড়া চলতে পারে না তাদের খাদ্য, চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়। ২০১১ সালের তথ্যমতে ফ্রান্সে ৭৭৫২ টি EPHAD আছে যেখানে ৫লক্ষ ৯২ হাজার ৯শ জন বৃদ্ধ মানুষ থাকতে পারে (২)। তবে বর্তমানে EPHAD এর সংখ্যা এবং ঐখানে বসবাসকারীর সংখ্যা উভয়ই বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালের বর্তমান তথ্য না থাকায় ধরে নিলাম যে ঐখানে ৫৯২৯০০ জনই থাকে আর ঐ সংখ্যা থেকেই এখন পর্যন্ত হিসেব পাওয়া পর্যন্ত ৩০২৭ জন মারা গেছে। আমরা যারা ফ্রান্সে থাকি তারা এখানকার আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সম্পর্কিত অবহিত। তাই এই সংখ্যাটি হালনাগাদ করতে এতো সময় লাগছে আর প্রতিদিনই হালনাগাদ করা হচ্ছে।

আশার কথা হলো, ফ্রান্সে ৭ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত ১৯৩৩৭ এর বেশি করোনাক্রান্ত মানুষ সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন। এটা শুধুমাত্র হাসপাতাল এর হিসাব, এর সাথে আরো কিছু যোগ করতে হবে যারা তাদের বাসায় লক-ডাউন অবস্থায় আছে এবং যারা সুস্থ্য হওয়ার পথে।

ফ্রান্সে ৭ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত ৩০০০০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যার মধ্যে ৭১৩১ জন আশংকাজনক অবস্থায় আইসিউ তে আছেন। গত ২৪ ঘন্টায় ৫৯ জনকে ICU তে ভর্তি করা হয়েছে যা গতকাল থেকে ২৫ জন কম । রোগীর সংখ্যা বাড়লেও, বাড়ার গতি কমে আসছে।

আজকে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে থেকে ধারণা করা যাচ্ছে যে লক-ডাউন হয়তো আরো ১৫ দিন বাড়ছে।

তথ্যসূত্রঃ
(১) ল প্যারিসিয়ান

(২) উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: একটা আলাদীনের চেরাগ পেতাম যদি!
তিন ঘষার পর বলতাম ...
‘জো হুকুম মালিক’ বলেই দৈত্যটা পৃথিবী থেকে সব রোগ ব্যাধি ভাইরাস নিয়ে সাত আসমানের উপরে চলে যেতো
আর খালি চেরাগটাকে সমুদ্রে ফেলে দিতাম

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
রাজীব নুর বলেছেন: একটা আলাদীনের চেরাগ পেতাম যদি!
তিন ঘষার পর বলতাম ...
‘জো হুকুম মালিক’ বলেই দৈত্যটা পৃথিবী থেকে সব রোগ ব্যাধি ভাইরাস নিয়ে সাত আসমানের উপরে চলে যেতো
আর খালি চেরাগটাকে সমুদ্রে ফেলে দিতাম।


আর আমি চেরাগটা পেলে পৃথিবীটাকে অনেক সুন্দর করে সাজাতাম। অনেক সুন্দর যেটা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১২

সাইন বোর্ড বলেছেন: দূর্যোগের সময় সংবাদেও ডালপালা ছড়ায়...

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: গুজব সবখানে আছে

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১

সাদিকপাভেল বলেছেন: এটা গুজবের বিষয় নয়, শুধু বোঝার ভুল। যারা তথ্য গুলো শেয়ার করে বা সংবাদমাধ্যমে দেয় তারা আরেকটু দায়িত্বশীল আচরণ করলেই পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.