নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এখন পর্যন্ত মানুষ ! তবে মানুষের হিংস্রতা দেখে মাঝে মাঝে মানুষ পরিচয় দিতে মন সাড়া দেয় না!

সাদিক তাজিন

নির্ভেজাল প্রকৃতি প্রেমী । সার্টিফিকেটের জোরে শিক্ষিত আসলে গবেট। মনে যা আসে লিখি। সাহিত্যের বিচারে না, মনের ইচ্ছায়, পরিবর্তনের মানসে...

সাদিক তাজিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অরুন্ধতিকে ভয় পেল বাংলাদেশ!

০৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:০০

গতকাল সন্ধ্যায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে অরুন্ধতি রায়ের কথা শোনার কথা ছিল। তাঁকে দেখতে পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইন্ড অব দ্যা ডে অরুন্ধতীর অনুষ্টান আটকে দেওয়া হলো। কেবিআই’ অনুষ্ঠানটি শেষ মুহূর্তে পুলিশের (রাষ্ট্রের) হস্তক্ষেপে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আসলে বাংলাদেশ নামক রাস্ট্রে আপনাকে প্রতিনিয়ত স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে— আপনি রাস্ট্রের একজন অতি নগন্য প্রজা মাত্র। আপনার স্বাধীনতা, মর্যাদা সবকিছু একান্তই রাজা-রানীর (সরকারের) ইচ্ছার অধীন। তার ইচ্ছাতে আপনি ডালকে ভাত বলবেন, এমনকি তার অনিচ্ছাতে আপনি সামাজিক সম্পর্ক ভেঙ্গে দেবেন আবার গড়বেন। এই গেল দেশের নাগরিক অধিকার। আর অরুন্ধতির ব্যাপারে তো কথা চলেনা। তিনি তো বিদেশিনী। অবশ্য তিনি বন্ধুরাস্ট্রের অনুগত এম্বেসেডরদের মত মোটিভেট করতে আসলে ভিন্ন কথা ছিল।

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে নিবন্ধিত ও নির্দিষ্ট শ্রোতাদের সামনে অরুন্ধতী রায় কী বলতেন জানি না। তবে তিনি কী কী বলতে পারেন তা অনুমান ও সেই ভয় থেকেই সম্ভবত সরকার তার অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ভালোই হলো, অরুন্ধতীকে নিজ থেকে কিছুই বলতে হলো না, অথচ তিনি যা যা বলতে পারতেন তা সরকার শুধু বলেই দিল না, প্রমাণও করল।
অরুন্ধতী রায় কে হজম করার পাকস্থলী কি হাসিনা সরকারের আছে? নেই। এটা শেখ হাসিনার এক জনমের অর্জনে কুলাবেনা।

তথাকথিত চেতনাবাদীরা কি এখনও অরুন্ধতী রায়ের সাথে পাকিস্তানী জেনোসাইডের কোনও ইতিহাস প্রক্রিয়াজাত করতে পারেন নাই? তবে কি এই কাজেও উনারা জাতিকে আশাহত করলেন?

অরুন্ধতীকে নিয়ে সরকার কিছু একটা করতে পারে এটা ধারনা করেছিলাম। তাঁকে নিয়ে খোদ ভারত সরকারই অস্বস্তিতে থাকে। তাছাড়া পাক-ভারত দ্বন্দ্ব নিয়েও বিস্ফোরক কিছু বলতে পারেন তাঁর পাবলিক স্পিচে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিখ্যাত এই লেখিকাকে জনপরিসরে বক্তব্য দিতে দেয়া হয়নি দেখে মনে হলো সরকার তার পথেই আছে। নাবালক গণতন্ত্রের দেশে সাবালক কর্মকাণ্ড আশা করে নতুন করে মনোকষ্ট নেওয়ার মানে হয়না।

ফেসবুকে কেউ একজন অরুন্ধতি রায়কে কথা বলতে না দেওয়ার ভাল দিকগুলো তুলে ধরেছিলেন। কার টাইমলাইনে পড়েছি মনে নাই। কিন্তু তিনি বুঝাতে চেয়েছেন, এইসব মুক্ত মেধার মানুষেরা বাংলাদেশে এলে অনেকরকম ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে। উনার ধারনাগুলো অনেকটা এরকম-

• বাংলাদেশের মানুষ সভ্যতার অধিকার, মুক্তচিন্তা, ও লিঙ্গ ইকুয়ালিটির ব্যাপারে আলোকিত হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

ধর্মানুভূতিতে বিশদ আঘাত লাগতে পারে তার কথায় বা আচরণে।

জানে জিগার বন্ধু হেফাজত "ইসলাম বিপন্ন" বলে চিৎকার শুরু করতে পারে ।
যদিও তাতে ওঁর মত নামী লেখকের কিছুই আসে যায়না।

ভারত বাংলাদেশের গোপন প্রেমের অগ্রগতি-অবনতির ভুলবাল(!) দিক নিয়ে কথা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হতে পারে।

একটা দেশ যখন একজন লেখককে ভয় পায়, তখন সেই দেশের শাসককুলের সার্বিক মানসিক দারিদ্র, চিন্তার অবনমন ও নৈতিক অধঃপতন সহজেই অনুমান করা যায়।
এই সিদ্ধান্তে সরকার বস্তুতপক্ষে বাংলাদেশের সাধারণ দেশবাসীকেই অপমানিত করল।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: অরুন্ধতী রায় বলেন, ‘আমার দুটো সত্তা। একটি লেখক সত্তা ও অন্যটি কর্মী সত্তা। লেখক হিসেবে আমি বাংলাদেশের পাঠকের কাছে এসেছি’।

কথোপকথনে অরুন্ধতী বাক্‌স্বাধীনতা, জাতীয়তাবাদ, উন্নয়ন, গণতন্ত্র, বড় বড় প্রকল্প এ সব কিছু নিয়ে কথা বলেন।

অরুন্ধতী বলছিলেন, ‘আমি নদীকে কেন্দ্র করে বাঁধ কিংবা কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে বিশ্বাসী নই। নদীকে ভাগ করা যায় না। বড় বড় বাঁধ নির্মাণের পেছনে ফ‍্যসিবাদ আর জাতীয়তাবাদী চেতনা লুকানো থাকে।’

ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট, রামপালসহ নানা বিষয়ে জটিলতা প্রসঙ্গে ভারতের প্রগতিশীল গোষ্ঠী উচ্চকণ্ঠ নয় কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে অরুন্ধতী রায় বলেন, তিনি এ মন্তব্যর সঙ্গে পুরোপুরি একমত। তিনি জেনে–বুঝে এ বিষয়গুলো নিয়ে লিখছেন। প্রয়োজনে এই ইস্যুতে তিনি বাংলাদেশে আসবেন। উন্নয়নের প্রথাগত ধারণার বাইরে ভাবেন অরুন্ধতী। তিনি বলেছেন, অক্সফামের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারতে ৫০ কোটি লোকের সম্পদ পুঞ্জীভূত ৯ জন লোকের কাছে। তাই উন্নয়নের কথা এলে লোকজন জানতে চায়, কার জন‍্য উন্নয়ন।( প্রথম আলো)

ভয় পাবার আসল কারনতো এইখানে।

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:২১

কামরুননাহার কলি বলেছেন: অরুন্ধতির মতো ২০০ লোক বাংলাদেশে থাকলে আজকের বাংলাদেশ এমন অবস্থায় আসতো না।

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৩২

বাকপ্রবাস বলেছেন: ভাল লিখেছেন। আমাদের চেতনার ফিল্টারে অরুদ্ধতি আটকে গেল, সরকারের যেসব বুদ্ধিজীবি, সাহিত্যিক আছেন তারা কিভাবে সাফাই গায় সরকারের পক্ষে সেটাই দেখার বিষয়

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: এটা দুঃখজনক।

৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আল্লাহর রহমত দিন দিন উঠে যাচ্ছে তাই মানুষ মন্দ কাজ করতে একটুও দ্বিধাবোধ করে না।
আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুন।

৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:০০

কনফুসিয়াস বলেছেন: :||

৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:২৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ব্লগ ও ব্লগে লেখা বন্ধ করার জন্য সরকারের মরিয়া হয়ে উঠা, অরুন্ধতীর মতো লেখিকাকে জনপরিসরে বক্তৃতা দিতে না দেয়া, এসব দেশকে মধ্যযুগে নিয়ে যাওয়ার লক্ষণ বলেই মনে হচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের কিছু সংখ্যক সবজান্তা নেতারা মনে করছেন এসব করে ক্ষমতার কমফোর্ট লেভেলে যতদিন থাকা যায় ততই তাদের আখের গোছানোর জন্য মঙ্গল হবে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.