![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্লগিং করা শিখছি। যে লেখাগুলো আগে লিখেছিলাম। সেগুলোই ধিরে ধিরে দেব আপাতত। :)
অফিস থেকে ফিরতে অনেক দেরি করে ফেললাম। আমার পিচকুটা নিশ্চয় আমার জন্য অপেক্ষা করে বসে আসে। আমার পিচকুটার নাম রিহান, আমার একমাত্র ছেলে। মাত্র ৪ বছর বয়স। প্রত্যেকদিন রাতের বেলা আমাকে ছাড়া সে খায় না। বাসায় ঢুকতেই দৌড়ে আমার কাছে এল। “বাবা… আমি সেই কতক্ষন ধরে তোমার জন্য ওয়েট করছি তুমি আসছই না। তুম ইতনা লেট কিউ হো??” “বাবার অফিসে অনেক কাজ ছিল যে তাই দেরি হয়ে গিয়েছে। চল আমরা খেতে বসি।” খেতে গিয়েই বেধে গেল বিপত্তি। তাকে খাওয়ার সময় ডোরেমন কার্টুন দেখতে দিতে হবে নয়ত সে খাবে না। বিপত্তিটা শুধু আজকের না বেশ কিছুদিন থেকেই। সারাদিন সে কার্টুন দেখে দেখে ইতমধ্যে চোখে সমস্যা বাধিয়ে ফেলেছে। ডাক্তার সতর্কও করে দিয়েছে। কিন্তু কি আর করা যাবে, ডোরেমন কার্টুন দেখতে না দিলে তাকে খাওয়ানো যায় না। বাধ্য হয়েই টিভির সামনে তাকে নিয়ে বসতে হয়।
সেদিন অফিসের এক কলিগের বাসায় দাওয়াত ছিল। রিহান আর তার মা কে নিয়ে গিয়েছিলাম। অফিসের অন্যান্য কলিগরাও তাদের ছেলে মেয়েদের নিয়ে এসেছিলেন। সেখানে গিয়ে রিহান কিছু খেলার সাথী পেয়ে গেল। আমরা নানা রকম গল্পের মধ্যে ছিলাম। হঠাৎ খেয়াল করলাম রিহান ও অন্যান্য বাচ্চারা খেলছে এবং নিজেদের মধ্যে হিন্দিতে কথা বলছে! আমি বেশ অবাকই হলাম। রিহান কার্টুন দেখে দেখে কিছু হিন্দি শিখেছে জানি কিন্তু সে যে এভাবে কথা বলতে পারে তা ভাবি নি। আর অন্যরাও যেভাবে কথা বলছে তাতে বোঝাই গেল অন্যদেরও একই অবস্থা। সকলেই পাকা হিন্দি বলতে পারে। ব্যাপারটি আমাকে বেশ চিন্তিত করে ফেলল।
রিহানকে একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে প্লেতে ভর্তি করিয়েছি। ইংরেজিটা ভালই শিখছে। আর বাসায় ডোরেমন কার্টুন দেখে দেখে হিন্দি শিখছে। অবস্থা এমন দাড়িছে যে ইংরেজি আর হিন্দির চাপে বাংলাটাই ঠিকমত শিখতে পারছে না সে। বাংলায় যেভাবে দক্ষ হয়ে ওঠা উচিত সেভাবে হচ্ছে না। সেদিনকার ঘটনা চিন্তা করে বুঝলাম এমনটা খালি রিহানের ক্ষেত্রেই হচ্ছে এমনটি নয় এর ব্যাপকতা আরো বেশী। বিষয়টি আমাকে বড্ড বিচলিত করে ফেলেছিল তাই এর পিছে কারন খোজা শুরু করলাম। সাধারন দৃষ্টিতে যা যা পেলাম সেগুলো এরকম: ১. আমাদের শিশুদের জন্য উন্মুক্ত খেলার মাঠ, খেলাধুলা, আনন্দ প্রকাশের পরিবেশ দিতে পারছি না, তাই শিশুরা ঘরে আটকে থাকছে। একধরনের জেলখানার পরিবেশ যেন; ঘরের ভেতরই তাদের জগৎ, তাদের বিচরণ। খেলার মাঠ, বন্ধুবান্ধবের বিকল্প টিভি গেম, কার্টুন। ২. আমরা বাংলা ভাষায় বিনোদনমুলক অনুষ্ঠান বানাতে পারছি না, আর করলেও খুব সীমিত। ৩. হিন্দি ভাষাটি বাংলার খুব কাছাকাছি হওয়ায় তারা সহজে সেটা বুঝতে পারছে এবং শুনতে শুনতে ভাষাটি রপ্ত করে ফেলছে। ৪. বাচ্চারা যে ব্যাপক আকারে হিন্দি শিখছে এব্যাপারে আমাদের বিশেষ কোন মাথা ব্যাথা নেই। ৫. ডোরেমন কার্টুনটি এমনভাবে তৈরী যা বাচ্চাদের জন্য সহজবোধ্য এবং নানা রকম কল্পকাহিনী দ্বারা তৈরী যা বাচ্চাদের জন্য আকর্ষনীয়।
অফিসের কাজেই গিয়েছি রাজশাহীতে। উঠলাম এক আত্বীয়ের বাসায়। সে আত্বীয়ের ছেলেটি আমাকে সালাম দিয়ে ঘরে ঢুকল। যেহেতু কয়েকদিন ধরেই আমি ‘ডোরেমন’ বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত সেহেতু আমি ছেলেটিকে একটু পরীক্ষা করার সুযোগটি হারালাম না। অল্প কিছু কথা বলেই সে আমার সাথে ফ্রি হয়ে গেল। সে জানালো তার নাম সুমন, ক্লাস ফোর এ পড়ে। ডোরেমন কার্টুন তার খুবি প্রিয়। ডোরেমনের জিয়ান চরিত্রটি তার সবচেয়ে বেশী প্রিয় কারন জিয়ান অনেক শক্তিশালী, ওর উপর দিয়ে কেউ কথা বলতে পারে না। ও সবাইকে পিটাতে পারে। যেদিন চলে আসব সেদিন দেখছি সুমন আর তার বন্ধুরা বাসার সামনের ছোট মাঠটিতে খেলছে। হঠাৎ আমার কানে একটি কথা আসল। “হেই সুমন, তুম কিউ বল নেহি পাকাড়রেহে হো? ধেয়ানসে খেলো!” তারই বন্ধু তাকে উদ্দেশ্য করে বলল। তার বন্ধুটিও ফোর ফাইভে পড়ে এমন বয়সী হবে। আমি হতবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। আমি যতটুকু ভেবেছিলাম ব্যাপারটি তার থেকেও অনেক বেশী গুরুতর ও ভয়ানক। এবং আমি যে কারনগুলো ভেবেছিলাম তার প্রথমটিও এখানে ব্যার্থ। এখানে বাচ্চারা খেলাধুলার সুযোগ ও পরিবেশ পাওয়া সত্ত্বেও ডোরেমন আসক্তিতে রয়েছে।
ঢাকায় ফিরেই ইন্টারনেটে ‘ডোরেমন’ সম্পর্কে কি কি লেখা আছে খোজ করলাম। দেখলাম বিভিন্ন ব্লগ এবং সংবাদপত্রে সচেতনতা মুলক অনেক লেখাই রয়েছে। ডোরেমন কার্টুনটির ক্ষতিকারক দিক গুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু হাটে ঘাটে মাঠে বাজারে ঘরে এই লেখাগুলোর কোন প্রভাবই পড়েনি। এবং আমার এ লেখাটিরও কোন প্রভাব থাকবে বলে আশা করি না। তবে যারা লিখেছেন তাদের প্রচেষ্টা স্পষ্ট, তাদের প্রচেষ্টায় কোন কমতি নেই। তবে ডোরেমন সম্পর্কে যে ধারনা পেলাম তা মোটামুটি এরকম: কার্টুনটির মূল চরিত্র নোবিতা, যে একজন অলস ছেলে আর তার অলসতার কারণে তাকে প্রতিদিন নানা ঝামেলা পোহাতে হয়। ডোরেমন নামের এক এলিয়েন তার সাথে থাকে এবং তাকে নানা গেজেট(সুপার পাওয়ারফুল বস্তু বা ক্ষমতা) দিয়ে সাহায্য করে। এর সাথে সেমি ভিলেন সেমি বন্ধু হিসাবে থাকে জিয়ান এবং নবিতা-জিয়ানের পার্শচরিত্র হিসাবে থাকে একটি মেয়ে সিজুকা ও একটি ছেলে সোনিও-এই হলো মোটামুটি এর সেটিংস। আপাতদৃষ্টিতে এর ভেতর খারাপ কিছু নেই। তবে সূক্ষ্মভাবে দেখলে এর ভেতর এমন অনেক শিক্ষা রয়ে গেছে যা থেকে সহজেই বাচ্চারা ভুল জিনিস কিংবা ভুল বার্তা পেতে পারে। যেমন, স্কুলের পড়া বা হোমওয়ার্কের প্রতি নবিতার বিষোদগার, মায়ের আদেশ না শোনা বা না মানার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নেয়া, পরীক্ষায় খারাপ করে খাতা লুকিয়ে ফেলা, বাস্তবতাকে পাশ কাটিয়ে অবাস্তব সুপার পাওয়ারের প্রতি আসক্ত হয়ে ঘোরের ভেতর থাকা ইত্যাদি। উদ্বেগজনক শিক্ষার এই ঘটনাগুলো যদি সামান্য সময়ের জন্য এরা পেতো তাহলে তা অতটা প্রভাব ফেলতে পারতো না। কিন্তু এই কার্টুন মোটামুটি দিনব্যাপী প্রচারিত হওয়ায় শিশুরা টেলিভিশনের ‘পোকা দর্শক’-এ রূপান্তরিত হচ্ছে। যখন এগুলো প্রতিদিন তাদের মাথায় ঢুকবে তখন তা সবার অজান্তেই তাদের মন মগজে ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে। আর এরকম কার্টুনের প্রভাব যতটা সহজে একটি শিশুর উপর পড়ে, বাবা-মা, শিক্ষক ও অন্য গুরুজনদের উপদেশ ততোটা সহজে প্রভাব ফেলতে পারে না। ‘ডোরেমন’ কার্টুনটিতে যে শুধুমাত্র খারপই আছে আমি তা বলছি না। বিষয়টি হল আমাদের একটা স্বভাব- মানুষের খারাপটা নেয়া। আর তাই ডোরেমন দেখে বাচ্চারা ডোরেমনের উপদেশের চেয়ে নোবিতা বা অন্যদের খারাপটাই নিচ্ছে বেশি। হিন্দি ভাষার এ বিনোদন তাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিচ্ছে। মায়ের ভাষা বাংলা ভাল করে শেখার আগেই শিশুরা হিন্দিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। এ কার্টুনটির সঙ্গে আমার কোন দ্বন্দ্ব নেই। কিন্তু এ কার্টুনের ফলে বাচ্চারা মাতৃভাষা না শিখে অন্য আরেকটি ভাষায় প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। এতে আমাদের বাচ্চাদের মাতৃভাষা শেখার দিকটি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে আমি মনে করি।
শিশুরা হলো নরম কাদার মতো, তারা অনুকরনপ্রীয়। ছোটবেলাতে তাদের যেভাবে গড়ে তোলা হবে, বড় হলে তার ছাপই তাদের জীবনে পড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী। কার্টুনের বিভিন্ন চরিত্রের পোশাক-আশাক, প্রকাশভঙ্গি ইত্যাদি অনুকরণ করছে শিশুরা। অনেকে বাসায় হিন্দিতে কথা বলে, খাওয়া দাওয়া অঙ্গভঙ্গিতে বিচিত্র আচরণ করে। বলা যায়, সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছে ‘ডোরেমন ক্রেজ’। আর শিশুদের জন্য এটা এক ধরনের আসক্তি। আমাদের বাবা-মায়েরা যথেষ্ট মোরাল দিয়ে আমাদের গড়ে তুলেছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের আদর ও শাসন দুটোই ছিল যথার্থ। আমরা যারা আজ ছোট বাচ্চাদের বাবা-মা’র আসনে বসে আছি এখন এসেছে তাদের পালা। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো এই বিপর্যয়কর যুগে যেখানে আমাদের হওয়া উচিৎ ছিলো এসব ব্যাপার নিয়ে আরো অনেক বেশী সচেতন, তখন আমরা সন্তানদের টিভির সামনে নিশ্চিন্তে ছেড়ে দিয়ে বসে আছি। আমরা আমাদের বাবা-মায়েদের যতটুকু ভয় পেয়েছি বা সম্মান করেছি আজ আমাদের সন্তানদের থেকে ততটা কেন পাচ্ছি না তার হিসাব মেলানোর সময় এসে গেছে। আমরা যদি এখনো উদাসীন থাকি তাহলে নিকট ভবিষ্যতে আমাদের জন্য শুধুমাত্র বৃদ্ধাশ্রমের নিষ্ঠুর দরজাই হয়তো খোলা থাকবে।
আমাদের বাংলা ভাষার একটি রক্তাক্ত ইতিহাস রয়েছে। প্রানের বিনিময়ে এ ভাষাকে জাগ্রত ও সমুন্নত রেখেছি। আর এ নতুন প্রজন্মকে যদি আমরা আমাদের ভাষার মর্যাদা-মহত্ব-স্বকিয়তার চেতনায় গড়ে তুলতে না পারি তবে তা হবে আমাদের জন্য বিশাল এক ব্যার্থতা। এ ‘ডোরেমন প্রজন্ম’(!) হিন্দি ভাষাকে আপন করে নিয়ে অন্তরে লালন করে এক ভিন্ন সংস্কৃতির আবহে বড় হয়ে উঠবে। স্বাভাবিকভাবেই তারা বাংলা ভাষার প্রতি মমত্বহীন হবে। ইতিহাসে দেখেছি, “স্পেনের উপনিবেশের কারণে পুরো লাতিন আমেরিকায় স্থানীয় ভাষার বিলোপ ঘটেছে। লাতিন আমেরিকানরা এখন স্প্যানিশ ভাষাকেই নিজেদের ভাষা মনে করে।” এখন যারা ৫-৬ বছর বয়সী তারাই একদিন পরিনত বয়সে পৌছবে। কে জানে তখন তারা হিন্দিকেই নিজের ভাষা মনে করবে না? কে জানে তারা হিন্দি ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবী তুলবে না? কে জানে তারা আবার হিন্দি ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা মর্যাদা দেওয়ার জন্য আন্দোলনে নামবে না???
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
১। এ লেখাটির প্রধান উদ্দেশ্য সচেতনতা বৃদ্ধি। নিজ নিজ জায়গা থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টাই কাম্য। চাইলে লেখাটি শেয়ার করতে পারেন।
২। লেখাটিতে প্রথমে যে ঘটনার বর্ননা করা হয়েছে তা কাল্পনিক। তবে খোজ নিলে দেখবেন বাস্তবতা এর থেকে কিছুমাত্র কম নয়।
৩। লেখাটি তৈরীতে বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং ব্লগের সাহায্য নেয়া হয়েছে। কিছু কিছু কথা হুবহু কপি-পেস্ট করেছি। ‘ডোরেমন’ সম্পর্কে আরো জানতে নিচের লিংকগুলো দেখুন।
এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করুন
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৭
সাদিক জাফরুল্লাহ বলেছেন: ভারতীয়দের চেয়ে আমাদের দোষটাই কি বেশী নয়? আমরাই তো বাচ্চাগুলোকে এসব দেখার ব্যাবস্থা করে দিচ্ছি।
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৮
সারাবেলা। বলেছেন: উপযুক্ত সময়ের লিখা
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১১
সাদিক জাফরুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ। সুযোগ পেলেই আপনার আশে পাশের মানুষগুলোকে সচেতন করার চেষ্টা করুন।
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৮
মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: ব্যর্থ মানুষ বলেছেন: জিন্নাহ উর্দূ চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলো মানি নাই।
কিন্তু ভারতীয় চ্যানেলগুলো কৌশলে হিন্দি চাপিয়ে দিচ্ছে কিছুই করতে পারছি না। বড়ই পরিতাপের বিষয়। সবার সচেতন হওয়া উচিত
শতভাগ সহমত।
ভারতের মিডিয়ার আগ্রাসন থেকে আমাদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করবে কে??
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৩
সাদিক জাফরুল্লাহ বলেছেন: এক্ষেত্রে আমাদের দোষটাই কি বেশী নয়? আমরাই তো বাচ্চাগুলোকে এসব দেখার ব্যাবস্থা করে দিচ্ছি। আমাদের নিজেদের সচেতনতাই আগে দরকার।
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১০
বিডি আইডল বলেছেন: আমার দেশে গিয়ে এবার যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হলো, সেটা নিয়ে একটা লেখা লিখবো...এইভাবে চললে সামনে ভবিৎষত ভয়বহ
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৫
সাদিক জাফরুল্লাহ বলেছেন: আমি প্রায়ই আমার সামনের বাসার দুটো বাচ্চাকে পরস্পরের সাথে হিন্দিতে কথা বলতে দেখি। ওখান থেকেই মুলত লেখার প্রেরনা পেলাম।
ব্লগটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার লেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১০
মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: প্লাস দিতে ভুলে গিয়েছিলাম।
আমাদের পরবর্তি প্রজন্মকে এসব আগ্রাসন থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব আমাদেরই।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৭
সাদিক জাফরুল্লাহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: “আমাদের পরবর্তি প্রজন্মকে এসব আগ্রাসন থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব আমাদেরই।” ব্লগটি লেখার উদ্দেশ্যও ঠিক তাই।
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৯
poops বলেছেন: গুরুত্ত পূর্ন একটা পোস্ট
ভারতীয়দের চেয়ে আমাদের দোষটাই কি বেশী নয়?
সহমত
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৭
সাদিক জাফরুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ। সুযোগ পেলেই আপনার আশে পাশের মানুষগুলোকে সচেতন করার চেষ্টা করুন।
৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৩
চ।ন্দু বলেছেন: হিন্দী ভাষাটা খারাপ না, বেশ মিষ্টি। মিষ্টি হিন্দী গানগুলোও। তবে আর্টিকেলের লেখক কখনও এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে হিন্দীকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দিতে পারবেন না এটা জানি। তাই এ নিয়ে ভাবনার কিছু দেখছিনে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
সাদিক জাফরুল্লাহ বলেছেন:
৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪২
সুখোই-৩৫ বলেছেন: বেশী কিছু না, শুধু হেডমওয়ালা বা বিচিওয়ালা একজন সংস্কৃতি মন্ত্রী থাকলেই চলে। এককথায়, একদিনে, গায়ের জোরে সব হিন্দি চ্যানেল বাংলাদেশে বন্ধ করে দিতে হবে। একেবারে সামরিক শাসক বা একনায়কের মত চাপিয়ে দিতে হবে হিন্দি চ্যানেলের উপর নিষেধাজ্ঞা। জাতি প্রথমে একটু মোড়ামুড়ি করলেও পরে ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের পূর্বের মত আর সেই অবস্থা নাই, আমাদের এখন অনেকগুলি টিভি চ্যানেল। জনগণের জন্য অনেক অপশন আছে। ঐসব অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন দেখানোর অভিযোগ করে লাভ নাই। আমাদের দরকার একজন বিচিওয়ালা মন্ত্রী যিনি একহাতে সব নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। কোন কথা নাই, ঐ অতিরিক্ত বিজ্ঞাপনওয়ালা বাংলা নাটক খাইলে খা নয়তো দূরে গিয়া মর।
এদেশের গ্রামে গঞ্জে এখনো বিদ্যুতও পৌছয় নাই। অনেক জায়গায় বিটিভি ছাড়া আর কিছুই নাই দেখার।
এইসব ডোরেমন প্রজন্ম কিছুই করতে পারবে না। এরা মাজা ভাঙ্গা প্রজন্ম। এদের আন্দোলন করার মত সামর্থ্য বা সাহস কিছুই নাই। এদের মধ্যে থেকেই কিছু মাজার জোর ওয়ালা ছেলেপেলে বের হয়ে আসবে যারা বাংলাকে টিকিয়ে রাখবে। আপনার এই ডোরেমন দেখা শ্রেণিটা হচ্ছে, স্বার্থপর মধ্যবিত্ত বা উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণী। এরা ডরেমন দেখলেই কী আর না দেখলেই কী? এরা কোনকালেই দেশের কোন কাজে লাগে নাই, আর লাগবেও না। যে রুচিশীল মধ্যবিত্ত শ্রেণী দেশের পাশে এসে দাড়িয়েছে সবসময় এরা টিভির থেকে লাইব্রেরীতে বেশী সময় কাটায়, এরা বাসায় টিভি দেখার থেকে বই পড়ে বেশী। যে সকল নিম্নমানের পরিবার ডোরেমন দেখে, তাদের আসলে বস্তা ভরে বই এনে দিলেও কোন লাভ হবে না, কারন তারা চরতিত্রগতভাবেই নিম্নরুচির। এরে টাকা ইনকাম করে, খায় দায়, ফূর্তি করে। এরা স্বার্থপর আত্মকামী সমাজ, এরা কখনও দেশের জন্য কিছু করবে না। যারা করার তারা আছে, আলাদা আছে। নিম্নশ্রেণীর কিছু পরিবার দেখে শঙ্কিত হবার কিছু নাই। এইসকল পরিবার হিন্দি বন্ধ হয়ে গেলে অন্য কোন আকাজের জিনিসে সময় নষ্ট করবে। এরা প্রোডাক্টিভ কোন কাজে সময় দেয় না।
দেশ বাচিয়ে রাখে বই পড়া পরিবারগুলি, টেলিভীশন দেখা পরিবারগুলি নয়। তাই টেলিভীশন দেখা পরিবারগুলি বাংলা জানলো না হিন্দি জানলো, বাংলা মিডিয়ামে পড়লো নাকি হিন্দি মিডিয়ামে পড়লো তাতে কিছু যায় আসে না। এরা সমাজের একটা ক্ষুদ্র অংশ। এরা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে না। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ঐ বই পড়া পরিবারগুলি আর গ্রামের কৃষকেরা। এরা কখনও নষ্ট হয় নাই, কখনও নষ্ট হবে না। এদের হাজার ডোরেমন দেখালেও একসময় এরা হিন্দির প্রভাব থেকে বের হয়ে এসে গর্জে উঠবে জয় বাংলা বলে। আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন। ৪০০০ বছরে বহু আরবি ফার্সি সংস্কৃত ইংরেজী চলেছে বাঙালী জাতির উপর দিয়ে। ব্রিটিশরা তো পুরাই ইংরেজীর ষ্টীম রোলার চালিয়ে দিয়ে গেছেন বাংলার উপর দিয়ে। কিছু হয়েছে বাংলা ভাষার? কেউ কিছু করতে পেরেছে? আজ আমি এখানে ঠিকই বাংলাতে ব্লগ লিখছি। এইসব সামান্য হিন্দিকে দুই পয়সা পাত্তা দেবার কিছু নাই। হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৬
সাদিক জাফরুল্লাহ বলেছেন: গায়ের জোরে সব হিন্দি চ্যানেল বাংলাদেশে বন্ধ করে দেয়ার পক্ষে আমি নই। তবে কিছু চ্যানেল আছে যেসব থেকে খারাপ ছাড়া ভাল কিছু শেখার নেই সেগুলো বন্ধ করে দেয়াই উচিত।
"এইসব ডোরেমন প্রজন্ম কিছুই করতে পারবে না। এরা মাজা ভাঙ্গা প্রজন্ম।"- আমরা কি এদের মাজা ভাঙা থেকে রক্ষা করতে পারি না?
"দেশ বাচিয়ে রাখে বই পড়া পরিবারগুলি, টেলিভীশন দেখা পরিবারগুলি নয়। তাই টেলিভীশন দেখা পরিবারগুলি বাংলা জানলো না হিন্দি জানলো, বাংলা মিডিয়ামে পড়লো নাকি হিন্দি মিডিয়ামে পড়লো তাতে কিছু যায় আসে না। এরা সমাজের একটা ক্ষুদ্র অংশ।"- টেলিভীশন দেখা পরিবারগুলিকে কিভাবে ক্ষুদ্র অংশ বলছেন বুঝতে পারি নাই। এখন কার বাসায় টিভি নাই? কেই বা টিভি দেখে না?
" ৪০০০ বছরে বহু আরবি ফার্সি সংস্কৃত ইংরেজী চলেছে বাঙালী জাতির উপর দিয়ে। ব্রিটিশরা তো পুরাই ইংরেজীর ষ্টীম রোলার চালিয়ে দিয়ে গেছেন বাংলার উপর দিয়ে। কিছু হয়েছে বাংলা ভাষার? কেউ কিছু করতে পেরেছে? আজ আমি এখানে ঠিকই বাংলাতে ব্লগ লিখছি।" - কথাটি আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।
আসলে আমি বাংলাদেশে কিছু চ্যানেল বা শিক্ষনীয় ও আকর্ষনীয় অনুষ্ঠান তৈরীর পক্ষে যা শিশুদের আনন্দ দেবে।
অনেক কষ্ট করে বিশ্লেষন ধর্মী একটা মন্তব্য করেছেন এ জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৪
তারেক হক ১৯৮৬ বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত আমারা যদি এটা প্রতিরোধ করতে না পারি তাহলে সামনে আমাদের বিপদ আছে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৭
সাদিক জাফরুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ। সুযোগ পেলেই আপনার আশে পাশের মানুষগুলোকে সচেতন করার চেষ্টা করুন।
১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০২
মানস সেন বলেছেন: ভাই রে আমরা আমাদের শিশুদের জন্য কি করছি? বাংলাদেশে কি শিশুদের উপযোগী কোনো টিভি চ্যানেল আছে না টিভি প্রোগ্রাম আছে? সব চ্যানেল তো ট্যালেন্ট খউ
১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০২
মানস সেন বলেছেন: ভাই রে আমরা আমাদের শিশুদের জন্য কি করছি? বাংলাদেশে কি শিশুদের উপযোগী কোনো টিভি চ্যানেল আছে না টিভি প্রোগ্রাম আছে? সব চ্যানেল তো ট্যালেন্ট খুঁজতে ব্যস্ত। শিশুদের কথা ভাবার সময় কার আছে?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৯
সাদিক জাফরুল্লাহ বলেছেন: শিশুদের কথা ভাবার লোক অনেকেই আছে। কিন্তু তাদের জন্য কাজ করার লোক কমই আছে।
১২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭
রইসউদ্দিন গায়েন বলেছেন: বাংলাভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন,তাঁদের প্রতি সামান্যতম শ্রদ্ধাবোধ থাকলে বাংলাদেশে হিন্দিভাষার অনুপ্রবেশ ঘটবে না।হিন্দি ভারতের সর্বত্র প্রযোজ্য নয়।ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরগুলিতেও হিন্দির ব্যবহার উল্লেখযোগ্য নয়,ইংরেজি সেখানে সদর্থক ভুমিকা পালন করে।হিন্দির উপদ্রবধমী আচরণের অনেক কারণ আছে।সবচেয়ে বড় কারণ হিন্দির প্রচার এবং প্রসারের জন্য পর্যাপ্ত/অপরিমেয় অর্থকোষ আছে।'যেন-তেন-প্রকারেণ হিন্দি-প্রচার,প্রসার,প্রতিষ্ঠা চাই।'এই উপদ্রবধর্মী কর্মনেশায় রবীন্দ্রনাথ-রচিত বাংলাভাষার 'জনগণমন অধিনায়ক...' গানটিও (ভারতের জাতীয়সঙ্গীত) হিন্দি ব'লে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে,গাইছেও হিন্দি উচ্চারণে।আর এই অপকৌশলী জালে জড়িয়ে পড়ছেন পশ্চিমবঙ্গসহ সারা ভারতের বাংলাভাষীরাও।অথচ আশ্চর্য ভারতীয় বাঙালিদের এ বিষয়ে কোনো প্রতিবাদী কন্ঠ নেই!.লেখককে ধন্যবাদ ভাষাসম্পর্কিত এই সংবেদনশীল বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য!!
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৩
সাদিক জাফরুল্লাহ বলেছেন: যে সকল শিশুরা বাচ্চাকাল থেকেই সারাদিন হিন্দি কার্টুন দেখে দেখে বড় হচ্ছে তাদের মধ্যে বাংলার প্রতি কতটুকু শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হবে এ ব্যাপারে আমার বড় সন্দেহ রয়েছে।
ব্লগটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
নিশাচর নাইম বলেছেন: সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাসায় এইজন্য টেলিভিশন কিনবো না এবং শহরে পরিবার না রেখে গ্রামে রাখবো।আমার বাসায় কাজিন এর ডোরেমন এর প্রভাবে ভাষায় ব্যাপক হিন্দি শব্দের অনুপ্রবেশ ঘটেছে যেগুলো আজ কয়েকদিন আমি শুধরানোর চেষ্টা করছি। তবে যতদিন ডোরেমন এর হিন্দি ভার্সন চলবে ততদিন সেই চেষ্টা কতটুকু সফল হবে তা জানি না। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে ডিজনী এর হিন্দি ভার্সন সহজেই বন্ধ করে ইংরেজী টার প্রচলন করতে পারে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৬
সাদিক জাফরুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি তাহলে ভয়াবহতাটা দেখেছেন। এভাবে আসলে শুধরানো যাবে কিনা কে যানে। তবে শিশুদের জন্য বাংলায় আকর্ষনীয় অনুষ্ঠান তৈরী সময়ের দাবী।
১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৮
আবু শরীফ মাহমুদ খান বলেছেন: আমার বাসায় ডিজনী, নিক, পোগো মুছে দিয়েছি। প্রথম কয়দিন চিল্লা চিল্লি এরপর সব ঠান্ডা।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সাদিক জাফরুল্লাহ বলেছেন: বাংলা বেচে থাক!
১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৬
রামিজের ডিপফ্রিজ বলেছেন: আমার পছন্দ নয় বলেই মুছে দেব এটা কোন সুস্থ মানসিকতা হতে পারে না। আপনারা এমন সুন্দর অনুষ্ঠান করুন যাতে লোকে হিন্দি সিরিয়াল না দেখে।
আর ছোট ভীমের কার্টুন তো আমার বেশ ভালই লাগে।
আসলে ব্যাপারটা কি জানেন, অন্য কালচার না শেখাটা কোন বাহাদুরি নয়। যারা হিন্দি বিরোধী বিপ্লবী তারাই অনেকে ইংরেজি শিখতে খুব আগ্রহী।কেন ভাই?
সৈয়দ মুজতবা আলির চেয়ে মেধাবী বাংলাদেশী খুব কমই জন্মেছেন, তিনি ১৪ টি ভাষা জানতেন; তাই বলে কি তিনি আমাদের "দেশে বিদেশে" উপহার দেননি?
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬
সাদিক জাফরুল্লাহ বলেছেন: ঠিক বলেছেন, বাংলা ভাষায় সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠান তৈরী সময়ের দাবী।
১৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৩
রামিজের ডিপফ্রিজ বলেছেন: আমি ভারতীয় বাংলাভাষী এবং সীমানার দুই পারেই দেখি বাংলা চ্যানেল বলতে বোঝায় হয় রিয়ালিটি টিভি ও নাটক সিরিয়াল মুভি নির্ভর চ্যানেল নয়তো নি্উজ চ্যানেল। কেবল চ্যানেলের বয়স প্রায় ১৫-২০ বছর হতে চলল, এখনও কোন ডকুমেন্টারী টা্ইপের ( যেমন ন্যাট জিও) চ্যানেল হল না।
আপনি বলবেন বাজেটের কমতির কথা, কিন্তু যে টাকায় একটা "সিটিজ অফ দ্য আন্ডারওয়ার্ল্ড" সিরিজ বানানো যায় তার থেকে কি সাস বহু টাইপের সিরিয়াল করটে খুব কম খরচা হয়?
আমি আমার শহরের ইতিহাস নিয়ে একটা ডকু বানাবার কথা ভেবেছিলাম কিন্তু কোথাও কোন সাপোর্ট পেলাম না। ভাবলাম পৌরসভা আমাকে উৎসাহিত করবে, কিন্তু কোথায় কি, শুধু কিছু মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে ছেড়ে দিল।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
সাদিক জাফরুল্লাহ বলেছেন: হুম ঠিক বলেছেন। আমিও বুঝি না কেন ডকুমেন্টারী টাইপ বা বাংলা কার্টুন চ্যানেল বানায় না। :/
১৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১২
জহিরুল লাইভ বলেছেন: আরে ভাই, আমার তো মনে হচ্ছে অঘোষিত ভাবে আমরা ভারতের একটি প্রদেশ হয়েছি।
১৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৪
কলাবাগান১ বলেছেন: জহিরুল ভাই
আপনারাই বলেছিলেন যে মসজিদে উলুধ্বনি শুনব.... এখনও কি তা শুনছেন...... ফেনী ভারতের হয়ে যাবে??? হয়েছে...... তিল কে তাল করছে জামাতি রা উস্তাদ.....। ওদের থেকে বরন্চ ৭৫ একর জমি আমরা দখল করেছি..... সমুদ্র সীমায় তাদের আধিপত্যকে বাংলাদেশ খর্ব করেছে
১৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশের নারী মহলের ভাষা হিন্দি হতে পারে।
২০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩২
ফারুক৭ বলেছেন: GUv AvgviI mgm¨v| wKQz wnw›` P¨v‡bj wb‡q †h wK iKg hš¿bvq AvwQ Zv e‡j †evSv‡Z cvie bv| ev”Qv Avi ev”Qvi gv‡K wb‡q wec‡` AvwQ| ÷vi Rjmv, wR-evsjv... G¸‡jvK wKfv‡e eÜ Kiv hvq, †KD wK e‡j w`‡eb? wcøR!
২১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: হিন্দী হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা একথাটা বেশী ছাগলামী হয়ে গেসে।
বাস্তবে বাংলাদেশে হিন্দী তো দূরের কথা বাংলাদেশের মত নাকুচো আবালদের দেশে খুব গুরুত্বপূর্ণ ইংলিশকে সরকারী ভাষা হিসেবেও প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব।তাই নাইনটেনে উঠেও এদেশে স্টুডেন্টরা যে ইংরেজীসমস্যায় ভোগে তার টান পরে গ্র্যাজুয়েট লাইফে গিয়ে।বাংলাদেশে থাকলে কিছুটা বেচে যাওয়া যায় কিন্তু বিদেশে পড়াশুনা করতে গিয়ে যারা এসমস্যায় ভোগে তারা ঠিকমত প্যারাটা খায়।
অথচ পাশ্ব্রবর্তী ভারতে ইংরেজী একটি সরকারী ভাষা।শুধু হিন্দীই নয় উর্দুও ভারতের অন্যতম একটি সরকারী ভাষা।দিল্লী স্টেশনসহ বড় বড় সব স্টেশনে গেলেই দেখা যাবে বড় করে উর্দূতে লেখা আছে স্টেশনগুলোর নাম।ব্যক্তিগতভাবেই মনে করি ভাষার কোন ধর্ম কিংবা হারাম হালাল নেই,ভাষা পুরোপুরিভাবেই আঞ্চলিক।
ভারত পাকিস্তানের চরম বৈরিতার পরও রাজস্হানের ছেলেমেয়েরা উর্দূ লিখতে পারে শুধুমাত্র পাকিস্তান সীমান্তবর্তী হওয়ার ফলে।এমনই একজনকে জিগাইলাম উর্দূ কই শিখসশ?সে বলল স্কুলে।
কিন্তু বাংলাদেশে এসব সম্ভব না।বাংলাদেশ সামাজিকভাবে মূলত এখনও গ্রাম্যচেতনায় পরে আছে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি হিন্দী বলতে পারাকে কোন অপরাধ হিসেবে দেখিনা।হিন্দী বলতে পারলেই তো আমাদের গোয়েন্দারা ওদের মধ্যে মিশে গিয়ে ইন্ডিয়াতে গিয়ে গোয়েন্দাগিরি করে আসতে পারবে।
২২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬
ফারুক৭ বলেছেন: বর্তমানে এটা একটা কমন সমস্যা- ঘরে ঘরে। স্টার জলসা, জি-বাংলা থেকে সমাজকে বাচাঁতে হবে
২৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩
রাখালছেলে বলেছেন: কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা টা কে পড়াবে । সবই তো নাকের উপর দিয়েই হচ্ছে । কিছু কিছু প্রতিবাদ করছি কিন্তু.....
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৪
ব্যর্থ মানুষ বলেছেন: জিন্নাহ উর্দূ চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলো মানি নাই।
কিন্তু ভারতীয় চ্যানেলগুলো কৌশলে হিন্দি চাপিয়ে দিচ্ছে কিছুই করতে পারছি না। বড়ই পরিতাপের বিষয়। সবার সচেতন হওয়া উচিত