![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এলাকায় এক বিয়ে বাড়িতে মহান! বরযাত্রীগণদের খাওয়ানোর দায়িত্ব পালন করলাম ।
বিয়ের বাড়িতে খাওয়াতে গিয়ে কিছু চিরচেনা চিরন্তর বাণী! শুনতে হয় । যেমন :
"ভাত নিয়ে বসে আছি সেই কতক্ষন থেকে ডাল দিবেন না নাকি ?!"
"এই যে ভাই তরকারি দিতে গিয়ে কারো পাতে (প্লেটে) চামচ ঠেকাবেন না খবরদার !"
"সালাদ তো দিলেন না !"
"ধুর...এতবার মানা করলাম তারপরেও ঝোল দিলেন, খাওয়াটাই নষ্ট !"
"দিলেন তো ঝোল ভরিয়ে একটু দেখেশুনে কাজ করবেন না !"
"এতবার মাংস চাওয়া লাগে, এভাবে খাওয়া যায় নাকি ?!"
"খাওয়াই শেষ হলো না আর এর মধ্যে দই-মিষ্টি দেয়া শুরু করলেন !"
এরকম আরও অনেক রকম কথাই শুনতে হয় । দাওয়াতির সবাই কিন্তু এসব বলে তা কিন্তু নয় । কয়েকজন "মিচকা শয়তান" থাকে যাদেরকে কোলে বসিয়ে মুখে তুলে খাওয়ায়ে দিলেও তাদের মন ভরবে না ।
সেসময় হাসিমুখে তাদের কটাক্ষগুলো মাথা পেতে নিতে হয়, হাজার হোক মেহমান মানুষ । কিন্তু মনে মনে ইচ্ছা করে ঐগুলারে তরকারীর ডেকচির মধ্যে ভরে চুলায় চড়াতে ।
(কমিউনিটি সেন্টার বা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ছাড়া) যারা খাওয়াচ্ছে তাদের কেউই একাজের পেশাদর নন । তাই ভুল ত্রুটি হতেই পারে । এসব একটু এড়িয়ে যাওয়াটাই ভাল । এতে করে নিজের এবং অপরের সম্মান বজায় থাকে ।
সামান্য একটু ধৈর্য্য ধরলেই হয় । খাবার পালিয়ে যাচ্ছে না । আমার নিজেরও এমন ভুল হয়ে যায় তবে খুব সাবধান থাকার চেষ্টা করি ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
সদয় খান বলেছেন: গ্রামাঞ্চলে বেশি হলেও শহরের অবস্থা আরও খারাপ । চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বিয়ের দাওয়াতে খুব ভদ্র! ভাবে খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি করতে দেখা যাই । ধন্যবাদ আপনাকে ।
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৭
খেয়া ঘাট বলেছেন: কিন্তু মনে মনে ইচ্ছা করে ঐগুলারে তরকারীর ডেকচির মধ্যে ভরে চুলায় চড়াতে ।
হাহহাহাহাহাহহাাহা
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
সদয় খান বলেছেন: খালি হাইসেন না ভাই । মেজাজ তুঙ্গে উঠে আছে । ধন্যবাদ ভাইয়া ।
৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৩
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
এগুলা সাধারনত গ্রামাঞ্চলে বেশি হয় । কি কন মিয়া বাই পেটুক কি শহর ত নাই ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২১
সদয় খান বলেছেন: হাহাহাহাহাহা
ভাল বলেছেন ভাই । ধন্যবাদ ।
৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৪
এম আর ইকবাল বলেছেন:
শহরে থাকি কমিউনিটি সেন্টার নির্ভর,
রেডিমেট সব টেবিলে থাকে,
বেশীর ভাগ সময়ে একবারে সব দেওয়া থাকে ।
চাওয়া চাওয়ির সুযোগ নেই ।
খুব পরিচিত হলে,
অল্প একটু খাতিরদারী করবে ।
যেহেতু আপনার টেবিলে অন্যলোক ও থাকবে
তাই অতিরিক্ত খাতিরদারী আপনাকে লজ্জায় ফেলবে ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৬
সদয় খান বলেছেন: ওয়েটাররা খাবার দেওয়ার সময়ই কড়া করে বলে যায় "আর দেয়া হবে না" । নিজেরে তখন এত নির্লজ্জ মনে হয়, :#> :#> ইচ্ছা করে খাওন থুই পোলায়ে যাই । ধন্যবাদ ।
৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩০
সরকার আলী বলেছেন: আমারমতে এগুলো "মিচকা শয়তান" নয় বরং চরম অভদ্র, অসভ্য; নিন্দার্হ, নীচ, ইতর (extremely sorry to say) যাদেরকে সহ্য করা কঠিন। আদব হলো মেজবান তার সাধ্যমত অতিথিকে আপ্যায়ন করবেন এবং মেহমান তাতেই রাজি-খুশি হবেন। কোনপক্ষই একে অপরের দোষ-ত্রুটি, খুঁত ধরবেন না। কিন্তু বাস্তবে উভয়পক্ষই ছিদ্রান্বেষীতায় মেতে ওঠে। বরযাত্রীদের বিশজনের আসার কথা থাকলেও আসে ৩০-৪০-৫০জন। কন্যাপক্ষ এটা চিন্তা করে খাবারে দেয় অতিরিক্ত সয়াবিন (ডালডা), লবণ বা ঝাল। শরীয়তমোতাবেক এর কোনটিই বৈধ নয়। চালাকি, চতুরতা, দুষ্টামি বা হাস্যোচ্ছলেও আদবের খেলাপ কাজ করা জায়েজ নাই।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে দ্বীনের সহীহ বুঝ দানকরত আমল করার তৌফিক দিন (আমিন)।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৮
সদয় খান বলেছেন: বাস্তবে উভয়পক্ষই ছিদ্রান্বেষীতায় মেতে ওঠে চরম সত্য কথা । আল্লাহ আমাদের সবাইকে দ্বীনের সহীহ বুঝ দানকরত আমল করার তৌফিক দিন (আমিন) । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৫
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি কখনই দেখিনি ছেলে পক্ষ বা মেয়ে পক্ষ এই ন্যাক্কার জনিত কর্মে জড়িত থাকে । গোলমালটা করে দূর আত্মীয় স্বজন এবং তাদের বন্ধু পরিচয়ের লোকেরা। পরবর্তী জীবনে আমি কখনই ওই গোলমেলে মুখ আর দেখিনি ।
কিছু লোক এমনভাবে খেতে থাকে ,দেখে মনে হয় এরা সারা জীবনে কিছু খায়নি ।
এই গোলমেলে অসভ্যতা বন্ধ হবেনা ।
এরাই সেনাকুঞ্জে টাইট থাকে ।
পরিবেশই মানুষকে তৈরি করে ।
ঝামেলা এড়াতে চাইনিজ অথবা কমুনিটি সেন্টার এর উপর দায়িত্ব ছেড়ে দিন ।
ঢাকাতেই এক বিয়ের অনুষ্ঠানে ৮০ জন বর যাত্রির জায়গায় ১২০ জন এসেছে । কন্যাপক্ষ বাকী ৪০ জনকে বসিয়ে রাখল এই বলে যে ওদের খাবার বাইরে থেকে প্যাকেটে আসছে । বরপক্ষ বিশেষ আপত্তি করতে পারলনা যে এটা কমুনিটি সেন্টার এর ফিক্স আয়োজন । শেষমেশ ওই ৪০ জন প্যাকেট হাতে বিদায় নিয়েছিল ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪
সদয় খান বলেছেন: গোলমালটা করে দূর আত্মীয় স্বজন এবং তাদের বন্ধু পরিচয়ের লোকের, এরাই সেনাকুঞ্জে টাইট থাকে
ইদানিং আমার এসব দাওয়াত খেতে যেতেই ইচ্ছা করে না ।
আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক গুলো ধন্যবাদ ।
৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭
প্যাপিলন বলেছেন: বাঙালী বিয়েতে দুই পক্ষের মধ্যে খুত বের করে হাল্কা (মাঝে মাঝে কঠিন হয়ে পড়ে) ধরনের ঝামেলা বিয়ের সংস্কৃতিরই অংশ, ঐতিহ্যও বলা যেতে পারে। টাঙ্গাইলের নাগরপুরে এক হিন্দু বিয়েতে বরপক্ষ হিসেবে গেছি। বরপক্ষ গ্রাম থেকে ৮/১০ জন বাছাই করা পেটুক নিয়ে গেছে যাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল খাবারে শর্টেজ সৃষ্টি করতে হবে। কনে পক্ষও সেরকম প্রস্তুত নিয়েছিল। তারা একদিকে খাচ্ছে আরেকদিকে রান্না অব্যাহত হচ্ছে। ঘন্টা দুয়েক পরে আবার তারা খেতে চাইছে, তাদের খাবার দেয়া হচ্ছে.....ক্রমশ....... বিয়ের আনন্দের চেয়ে এই পেটুকের খাদ্যগ্রহণই তখন প্রধান বিনোদনে পরিণত হয়ে গেল। বিয়েতে খাবার নিয়ে বচসার এই আনন্দটা ভালই লাগে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭
সদয় খান বলেছেন: গতকাল এমন দুই পেটুকের দেখা পেয়েছিলাম । টাইট মত খাওয়ালাম ।
ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।
৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩
সবুজ ভীমরুল বলেছেন: শাহ আজিজের সাথে পুরোপুরি সহমত। মেয়ে বা ছেলের নিকট আত্মীয়ের কেউ সাধারানত এইরকম নোংরা ফাইজলামী করে না। বিশেষ করে দুরসম্পর্কের মামা, তালই, বন্ধু ইত্যাদি টাইপ লোকজন এইসব ফাইজলামী করে। হয়ত দেখা যাবে ছেলে ও মেয়ের বাবা দেনমোহর ও অন্যান্য বিষয়ে একমত হয়েছে। এমন সময় হঠাৎ করে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত "ভায়রা ভায়ের তালই" টাইপ আত্মীয় মাঝখান দিয়ে একটা কটু কথা বেহুদাই ঝামেলা পাকায়!!!!
আর ঐসব খানে ওয়ালারা তো ইতরের চেয়েও নিম্ন শ্রেণীর!!!
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
সদয় খান বলেছেন: ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত "ভায়রা ভায়ের তালই" টাইপ আত্মীয় জটিল কইছেন
।
গতকাল এইরকম একজন খাওয়ার মাঝ থেকে হঠাৎ রাগ করে উঠে ছলে যাই । কারণ কি বুঝতে পারি নাই । সে বরের চাচাতো ভাই ।
৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
শাহ আজিজ বলেছেন: "ভায়রা ভায়ের তালই"
আমরা এরপর এটা ব্যাবহার করব ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৬
সদয় খান বলেছেন:
১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
জনাব মাহাবুব বলেছেন: ভাই মাঝে মাঝে কিছু অনুষ্ঠানে যাওয়ার পর দেখা যায় খাওয়া শেষ হওয়ার আগ্ই মিষ্টি, জর্দা, ফিন্নি নিয়ে হাজির হয়।
খাবার এখনও ঠিকমত খেতেই পারলাম না এর মধ্যে যদি এগুলো নিয়ে হাজির হয় তখন কেমন লাগে বলুন তো?
মিষ্টি, জর্দা, ফিন্নি হাজির করা মানে আর খাবার দেওয়া হবে না, এবার মিষ্টি মুখ করে আসন খালি করুন।
ভাইবেন না আবার আমি পেটুক মানুষ, এই রকম ঘটনাও ঘটে, সেটা শুধু তুলে ধরলাম।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৬
সদয় খান বলেছেন: আপনি ভাই চোখ-কান বন্ধ করে খেয়ে যাবেন । আমি দেখবো কি হয় !!! অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।
১১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: যারা মিসকা শয়তান,তাগোরে ডেকছির ভিতরে হান্দাইয়া দিলেও ওগোর মন ভরে না।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৩
সদয় খান বলেছেন: কথা সত্য বলছেন বস । অনেক ধন্যবাদ ।
১২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০০
মদন বলেছেন: ++++++++++++
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২২
সদয় খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । পারলে একটা কলা দিয়ে যান,বইইয়া বইয়া খাই । মনডা বেসম্ভব খারাপ
১৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । পারলে একটা কলা দিয়ে যান,বইইয়া বইয়া খাই । মনডা বেসম্ভব খারাপ
২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭
সদয় খান বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৭
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
এগুলা সাধারনত গ্রামাঞ্চলে বেশি হয় ।