![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে খানা কনের পক্ষ হতে জোর করে চেয়ে খাওয়া হয় তার কথাই লিখছি, যেখানে দশজন মেহমান কে আপ্যায়ন করার মতো কনে পক্ষের সামর্থ্য নেই সেখানে তিনশো পাঁচশো বা এক হাজার বর যাত্রীর খানা শর্ত দেয়া, এবং কনে পক্ষ দূর্নাম ও মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে বাধ্য হয়ে পুরা গ্রাম হতে চাঁদা তুলে অথবা ভিক্ষা করে বা সুদের উপর টাকা নিয়ে হলেও বরযাত্রীদের খানার ব্যবস্হা করেন।
আমরা এসব খানা খাওয়ার পুর্বে কখনো ভেবে দেখেছি কি এই কুর্মা পুলাও জর্দ্দা, খাসী মুরগীর দূরূস, চাগলের দূরূস ও চিংড়ি কোথা হতে এলো?
এসব খানা তৈরী করতে কনের হত দারিদ্র মাতা পিতার কত কষ্ট হয়েছে!
কত লোকের দারে দারে যেতে হয়েছে!
আপনার বর যাত্রীদের খানার ব্যবস্হার কথা ভেবে ওরা রাতকে রাত জাগ্রত ছিল, দূঃশ্চিন্তায় ওদের কত রাতের আরামের ঘুম হারাম হয়েছিল আমরা কখনো ভেবেছি?
এসব ভাবলে কোন বিবেকবান মানুষের মুখে এই "জুলুমী খানা" প্রবেশ করবেনা।
কি নির্লজ্জ খানা!
বিয়ের কার্ড ছাপিয়ে মেহমানদের দাওয়াত করে বর পক্ষ অথচ নিজের ঘরে খানার ব্যবস্হা না করে গাড়ী ভাড়া করে সকল কে পাঠিয়ে দেয় কনের বাড়ীতে!
সেচ্চায় কনের বাপের দাওয়াত ছাড়া চলন বা বর যাত্রী নিয়ে কনের পিতৃালয়ে এসব খানা খাওয়া এবং ফেরার সময় সমাজ বা বাড়ীর মেহমানদের জন্য হান্ডি পাতিল ভরে আরো কয়েকশো লোকের খানা নিয়ে আসা একটি নির্লজ্জ কাজ যা ইসলাম ধর্মে একটি জঘন্যতম অপরাধ ও হারাম!
হাদীস শরীফে বিয়েতে "অলিমা" খাওয়ানোর কথা বলা হয়েছে, আক্বদ পড়ে বৌ ঘরে এনে রাতে বাঁসর হওয়ার পর আল্লাহর শোকরিয়া হিসেবে তার পর দিন আত্মিয় স্বজনদের সাধ্য অনুযায়ী বরের পক্ষ হতে খানার ব্যবস্হা করতে বলা হয়েছে যা সুন্নাত।
আজ আমরা তা না করে শরীয়তের বিপরিত করে আল্লাহ ও তার রাসুল (সঃ) এর নাফরমানি করছি।
আমাদের সমাজে আরেকটি কূসংস্কার দেরীতে "বাঁসর" -
নব বধু" এতো সেজে গুজে বিয়ের দিন শ্বশুড় বাড়ীতে যায় কাকে দেখানোর জন্য?
এত সাজ্ব কার জন্য?
নব বধু আলতা গয়না সহ টুকটুকে বেনারশী শাড়ী পরে জীবনের শ্রেষ্ট সাজ্বটি জীবন সঙ্গীর জন্যেই সাজে ওকে খুশী করার জন্য কিন্তু ঐ সাজ আমাদের সমাজ বরকে কখনো উপভোগ করতে দিয়েছে ? না দেয়নি বলা হয় বিয়ের দিন বাসঁর দেয়া ভাল নয় তিন দিন পর বাঁসর হবে!
এগুলো সব শরীয়ত বিরোধী কথা ও বর কনের উপর জুলুম!
স্বামী স্ত্রীর মিলন প্রথম রাতেই সুন্নাত।
এসব বিষয়ে আলেম ওলামারা যদি ওয়াজে বা মসজিদে বলতো তাহলে আমাদের সমাজ আরো সুন্দর হতো, মানুষ কূসংস্কার ও বিজাতীয় কালচার বাদ দিয়ে সুন্নাতের উপর আমল করতো।
পরিশেষে বলবো যদি আমরা প্রকৃত মুসলিম হই তাহলে আমাদের কে এসব জুলুম ও বিজাতীয় কূসংস্কার ছেড়ে রাসুল (সঃ) ও তার সাহাবায়ে কেরামের প্রদর্শিত পথ অনুযায়ি চলতে হবে এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে হবে যেন আমাদের সমাজ কে আমরা নবীর সুন্নাত দিয়ে সাজাতে পারি।
আমার এ লেখা সার্থক হবে তখনি যখন কোন মুসলিম ভাই সুন্নাহ মতো বিয়ে করতে অনুপ্রানিত হবে।
হে আল্লাহ, আমাদের কে তোমার প্রিয় হাবীব (সঃ) এর প্রদর্শিত ত্বরীকা মতো চলার তাওফীক দান করো- আমিন।
দ্বীনী লেখা শেয়ার করাটাও দাওয়াতি কাজ।
©somewhere in net ltd.