নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখালিখি, বই পড়া, খেলাধুলা, ঘুম এইসব কিছুই ভালোবাসি ।

সাফাত আহমদ চৌধুরী

স্বপ্নতে বেঁচে থাকার নিশ্বাস খুঁজি

সাফাত আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম নেতার আগমণের আলামত

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

আল্লাহরাব্বুল আলামিন- যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক ।তারই প্রতিনিধি হলাম আমরা মানুষ । সৃষ্টিজগতের সর্বশ্রেষ্ট জীব হিসেবেই আমাদের তৈরি করেছেন । দিয়েছেন কিছু নিয়ম-কানুন । তার আদেশ মানতে বাধ্য করেছেন, আমরা হলাম তারই দাস । পৃথিবীতে যা কিচ্ছু হচ্ছে, সেইসব বিষয়ে আল্লাহতায়ালা নিশ্চয়ই অবগত । তিনি প্রথম মানব হিসেবে আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করেছেন, তার সহধর্মীনী বিবি হাওয়াকে সৃষ্টি করেছেন। নর-নারী, আল্লাহতায়ালা দুই জাতিকে কে সৃষ্টি করেছেন । আর আজ আমরা হলাম তারই বংশধর। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-ক্রিস্টান-সেকুলার-এথিস্ট সবারই আদি পিতা আদম (আঃ) । সবারই স্রষ্টা আল্লাহ । আল্লাহতায়ালার একমাত্র মনোনীত ধর্ম হল ইসলাম । আর এই ধর্মেই রয়েছে শান্তি । মানুষ যখন যুগে যুগে ভ্রান্ত হয়ে যেত, ঠিক তখনই আল্লাহতায়ালা সেই গোত্রে নবী-রাসূল পাঠাতেন । বিভিন্ন গোত্রে বিভিন্ন নবী আল্লাহতায়ালা দিয়েছেন মানুষের হেদায়েতের জন্য । প্রত্যেক নবী-রাসুল ছিলেন, নির্দিষ্ট গোত্রের জন্য । আল্লাহতায়ালা যুগে যুগে অসংখ্য নবী রাসূল পাঠাতেন । ধারণা করা হয় আল্লাহতায়ালা ২ লক্ষ ২৪ হাজার নবী পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন । অন্য সকল নবী নির্দিষ্ট গোত্রের জন্য হলেও মহানবী (সাঃ) ছিলেন বিশ্ব জাহানের নবী । আর তিনিই সর্বশেষ নবী, তারপরে আর কোন নবী আসবেন না । নবীদের কাজ ছিলো, দাওয়াতের কাজ, আর সেই কাজ এখন মহানবী (সাঃ) এর উম্মতরা এখনো করে যাচ্ছেন । মহানবী (সাঃ) এর মৃত্যুর পর সাহাবীদের মাধ্যেমে আল্লাহতায়ালা দ্বীন পরিচালনা করেছেন । সাহাবীগণের পর তাবেঈরা, তাবেঈগণের পর তবে তাবেয়ীনরা । বর্তমানে আল্লাহতায়ালা দ্বীন পরিচালনা করতেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষার মাধ্যমে এবং তার পছন্দের বান্দাসমূহগণকে দিয়ে । রাসূলের ওফাতই হচ্ছে কিয়ামতের প্রথম আলামত । রাসূলের মৃত্যুর পর আল্লাহতায়ালা প্রতি একশ বছরে এমন একজনকে পাঠান, যিনি আবার পৃথিবীতে ইনসাফ প্রতিষ্টিত করেন, আল্লাহতায়ালার হুকুমে । এবং ওই একজনের দলে থাকে, অসংখ্য ধার্মিক মুসলমান । মুসলমানরা তাদের খেলাফত হারায়, প্রতি ১০০ বছরের ভিতর সেটা আবার ফিরে পায়, রাসূল (সাঃ) এর মৃত্যুর পর থেকে । ১৯২৪ সালে মুসলমানরা তাদের খেলাফত হারায়, তারপর ১৯৭৯ সালে কাহতানি নামক এক যুবক মুসলমানদের খেলাফত তার হাতে সেটা সে দাবী করে, এবং নিজেকে সে ইমাম মাহদি দাবী করে, তার দলে ছিলো প্রায় ২০০-৩০০ মুসলমান । কিন্তু তাকে হত্যা করা হয় । আরবি হিসেবে সে দিনটি ছিলো ১৪০০ হিজরির প্রথম দিন । ১৯২৪ সালে তুরস্কে আলেম হত্যার পর, মুসলমানরা আর তাদের খেলাফত ফিরে পায়নি । সূর্যের ৯৭ বছরে বছরে চন্দ্রের হয় ১০০ বছর । হিজরি সালগুলো চন্দ্রের উপর নির্ভর করে । ১৯২৪+৯৭=২০২১ । স্রষ্টার উপর বিশ্বাস রাখেন, খুব শীঘ্রই আল্লাহতায়ালা মুসলমানদের জন্য একজন প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন । সিরিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, মায়ানমার, ভারত সব দেশের মুসলমানরা একটু ধৈর্য্য ধরেন, আপনার স্রষ্টা আপনাদের বিষয়ে অবগত আছেন । ২০১৯-২০২১ সালের ভিতর আল্লাহতায়ালা একজন প্রতিনিধি পাঠাবেন । খুব বেশী দেরী হলে ২০২৪ সালের মধ্য ইনশাআল্লাহ একজনকে পাঠাবেন ।

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: মুসলিম নেতার আগমণের আবির্ভাব হলে ভালো হবে দেশের জন্য?
বাজারে জিনিস পত্রের দাম কমবে? ধর্ষণ বন্ধ হবে? দরিদ্র মানূষেরা তিনবেলা পেট ভরে খেতে পারবে?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তিনি পুরো মুসলিম বিশ্বের নেতা হবেন । নির্দিষ্ট কয়েক দেশের জন্য না ।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন যে, যুগে যুগে মানুষ ভ্রান্ত পথে গেলে, নবী/রাসুল প্রেরণ করা হয়েছে; এবং নবী(স: ) শেষ নবী।

আর নবী/রাসুল না আসা কি প্রামণ করছে যে, "মানুষ আর ভ্রান্ত পথে যাবে না"?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আধুনিক যুগে ঈমান বাঁচানোটা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে । পৃথিবীতে প্রায় ১ বিলিয়ন এথিস্ট বর্তমানে আছে । তাদের প্রচারণায় গণহারে এথিস্ট হচ্ছে । আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন সাহায্য না আসলে, আগামী ৫০ বছরে আনুমানিক ৩৫০ কোটি নাস্তিক হয়ে যাবে । সুতরাং খুব শীঘ্রই শাম-ইয়েমেন-খোরাসানের মানুষের জন্য একজন মুসলমান নেতা আসবেন ।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


"আগমণের আবির্ভাব", বাক্য সঠিক হয়নি

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বাক্যে সঠিক অথবা ভুল হোক, তবে একজন আসবেন, এটা শতভাগ নিশ্চিত ।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ১ লাইন বাংলা লিখতে পারেন না সঠিক মতো, আপনার কথা মানুষ বিশ্বাস করবে? এটাকে বলে ম্যাঁওপ্যাঁও

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বাংলা কথায় কি ভুল হয়েছে, ব্যাকরণগত ভুল নাকি, শব্দ ঠিকভাবে লিখা হয় নি ।

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপাতত: সৌদীতে প্রিন্স সালমান এসে গেছে; হজ্জ করার সময়, বিনোদনের জন্য সিনেমা ও আমেরিকার "রেসলিং" দেখতে পারবেন। ।

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


সিমানটিক ভুল হয়েছে, উহা বুঝতে পারবেন তো? আমি বলার পর, শিরোনাম ঠিক করতে হয়েছে আপনাকে! জাহাজের খবর নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেছেন?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: শিরোনামের দিকে প্রথমে খেয়াল করি নাই । ফাস্ট টাইপিং করেছি, প্রিভিউ দেখি নাই, তাই ভুল হয়েছে । পরে বুঝলাম ভুল হয়েছে । ভুল মানুষেরই হয়, সুতরাং আমার হতেই পারে । আমার কথাগুলো আপনি বিশ্বাস করুন, অথবা না করুন, তাতে আমার কিছু যায় আসে না । আপনি পড়েছেন এটাই আমার জন্য অনেক, সিনিয়ার ব্লগার হয়ে কমেন্ট করেছেন, এটাই আমার জন্য অনেক কিছু ।

৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আলোর পথে বিডি বলেছেন: একজন নেতার আবির্ভাব হবে মুসলিমদের মধ্য হতে , যা আমরা রাসুল (সাঃ) এর হাদিসের মাধ্যমেই জানি । ইমাম মেহেদি (আঃ)। কবে আসবেন দিন তারিখ দিয়ে বলার অবকাশ বা সুযোগ আছে কি ?

২ লক্ষ ২৪ হাজার নবী পৃথিবীতে এসেছেন , কথাটার কোন দলিল আছে কি ?

১৯৭৯ সালে কাহতানি নামের যুবক মুসলিমদের খেলাফতের দাবি করে ,"উনি খেলাফতের হকদার (!)" এটার কোন ভিত্তি আছে কি ?

অনেকগুলি ভুল ও ভ্রান্ত ধারনার উপর ভিত্তি করে এ লেখা । আরও পড়াশোনার প্রয়োজন । জাজাক আল্লাহ খাইরান ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১৪

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: নবীগণের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল । আলিমগণ বলেন, ১ লক্ষ ২৪ হাজার মতান্তরে ২ লক্ষ ২৪ হাজার । আর আল্লাহতায়ালা বলেছেন, তিনি প্রতিটি জনপদে নবী প্রেরণ করেছেন । ১৯৭৯ সালে কাহতানি নামে এক যুবক বায়তুল্লায় আশ্রয় নিয়েছিল , সে নিজেকে ইমাম মাহদি দাবি করেছিল, সুতরাং এটা দ্বারা তো বুঝাই যায়, সে খেলাফত দাবি করেছে । বায়তুল্লার বাইরে পাকিস্তানি সেনা দ্বারা হত্যা করা হইছে । গুগোল করলেই পেয়ে যাবেন । খেলাফতের হকদার কিনা, সেটা তো আলিমগণ ও নির্দিষ্ট করে বলতে পারবে না , হয়ছো হকদ্বার ছিলো অথবা না । আর এই তথ্যগুলা আমার না, আলেমদের ওয়াজ থেকে শুনা ।

৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১১

নতুন বলেছেন: ১৯৭৯ সালে উনি নিজেকে মাহাদী দাবি করেছিলেন..... তাকে হত্যা করা হয়েছে!!!

তাহলে তিনি মাহাদী ছিলেন না এটা তো বিশ্বাস করেন???

এই জামানায় আকাশ থেকে এসে বিশ্ব দখল করবে এমন ভাবনা করার মানে হলো দুনিয় সম্পকে আপনার কোন ধারনা নাই ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১৯

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আসল ইমাম মাহদির আগমণের ১ বুরহা অর্থ্যা ৪০ বছর আগে একজন বায়তুল্লায় আশ্রয় চাইবে, কিন্তু তাকে হত্যা করা হবে ,এরকমটা হাদিসে আছে । ইবেন শিয়ারা ও তা বিশ্বাস করে । ইরানি ব্লগ বাঁ ওয়েবসাইট দেখলেই বুঝে যাবেন । তার নাম কাহতানি , সে ইমাম মাহদি হবে কিভাবে, তবে সে দাবি করেছিলো । ইমাম মাহদির নাম থাকবে, মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ । আমি এই আশায় আছি, দেখি ২০২০৪ সালের ভিতর আসেন কিনা ।

৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

নতুন বলেছেন: ভাই কোরানে কোথাও ইমাম মাহাদী জিনিসটা নাই।

এটা ওয়েটিং ফর গডো মতন একটা জিনিস মানুষ বানাইছে....

মানুষ আশা রাখে যে ভালো কিছু হবে.... সেই আসার থেকেই এই সব কাহিনি বিশ্বাসের জন্ম...

মানুষ এখন মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর জন্য চেস্টা করছে..... আপনি বসে আছেন কবে ইমাম মাহাদী আসবে সেটা দেখার জন্য!!!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১০

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কুরানে বলা নেই, তবে হাদিসে বলা আছে । কিয়ামতের আগে আল্লাহতায়ালা একজন মুসলমান নেতা পাঠাবেন, এটা শতভাগ নিশ্চিত । মঙ্গলে মানুষ পাঠানো আপনার কাছে সত্যি মনে হচ্ছে, কিন্তু আমার কাছে এটি নিছক কল্পনা মনে হচ্ছে । আর আপনি ভাবতেছেন, ইমাম মাহদি বলে কেউ আসবে না, কিন্তু আমি শতভাগ নিশ্চিত একজন আসবেন । সময়ের পরিসীমা বেশি দেই নাই, ২০২১-২০২৪ । নিশ্চিত করে বলছি না, কারণ ইলমে গায়েব শুধুমাত্র আল্লাহতায়ালার আছে ।

১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৫৪

হারানোপ্রেম বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:


সিমানটিক ভুল হয়েছে, উহা বুঝতে পারবেন তো? আমি বলার পর, শিরোনাম ঠিক করতে হয়েছে আপনাকে! জাহাজের খবর নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেছেন?

:) :)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:১৬

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি এই কথাটির কিছুই বুঝিনি । এই যুগের ছেলে হয়েও আমি অজ্ঞ ।

১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১০

আলোর পথে বিডি বলেছেন: " আলিমদের কাছ থেকে শুনা " ইসলামের কোন দলিল নয়। কুরআন ও সহি হাদিসের দলিল দিবেন । জাজাক আল্লাহ খাইরান ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আলেমগণ রাসূলের উত্তরসূরি, তাই তাদের কথা শুনি । তাছাড়া আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আমার উম্মতগণ কখনো ভ্রান্ত বিষয়ে একমত হবে না । তাই খুব বেশি বিশ্বাস করি । আমি মুজতাহিদ না, ওরা মুজতাহিদ , তারা কোন ভুল খবর দলবেধে প্রচার করবে না । যাই হোক, আমি এই ব্যাপারে নিশ্চিত না, তবে আশা রাখি । মুসলমানদের খারাপ সময়ে আমার আল্লাহ একজন মুসলমান নেতা পাঠাবেন । আর যদি না পাঠান, তাহলে এইভাবে মুসলমান যুগের পর যুগ মার খেয়ে গেলে, মানুষের ঈমানের দৃঢ়তা কমে যাবে । পাঁচ ছয় বছর সিরিয়ায় এই ভাবে হত্যা চললে, সিরিয়া মুসলিম শুন্য হয়ে যাবে । অন্তরের অন্তস্থল থেকে আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তুমি একজন মুসলিম নেতা পাঠাও, আবার পৃথিবীতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্টিত করো ।

১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: প্রতিশ্রুত মসীহ্ ও ইমাম মাহ্দী (আ.) আবির্ভূত হয়েছেন!




هُوَ الَّذِىْ بَعَثَ فِىْ الْاُمِّيّٖنَ رَسُوْلاً مِّنْهُمْ يَتْلُوْا عَلَيْهِمْ اٰيٰتِهٖ وَيُزَكِّيْهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتٰبَ وَالْحِكْمَةَ وَاِنْ كَانُوْا مِنْ قَبْلُ لَفِىْ ضَلٰلٍ مُّبِيْنٍۙ‏
وَّاٰخَرِيْنَ مِنْهُمْ لَمَّا يَلْحَقُوْا بِهِمْ‌ؕ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ‏
৩। তিনিই উম্মীদের মধ্যে তাহাদেরই মধ্য হইতে এক রসূল আবির্ভূত করিয়াছেন, যে তাহাদের নিকট তাঁহার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করে, এবং তাহাদিগকে পরিশুদ্ধ করে, এবং তাহাদিগকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়, যদিও পূর্বে তাহারা প্রকাশ্য ভ্রান্তির মধ্যে ছিল।
৪। এবং (তিনি তাহাকে আবির্ভূত করিবেন) তাহাদের মধ্য হইতে অন্য লোকের মধ্যেও যাহারা এখন পর্যন্ত তাহাদের সঙ্গে মিলিত হয় নাই। এবং তিনি মহাপ্ররাক্রমশালী, পরম প্রজ্ঞাময়।
(আল্ জুমু’আঃ ৩-৪)




হাদীস
“আমাদের মাহ্দীর জন্য দুইটি নিদর্শন নির্দিষ্ট আছে। আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির পর এই নিদর্শন অন্য কোনো মা’মুর, কোনো প্রত্যাদিষ্ট ধর্ম-সংস্কারকের সময়ে প্রকাশ পায় নাই। তারমধ্যে একটি হলো প্রতিশ্রুত মাহ্দীর সময়ে রমযান মাসের মধ্যেকার প্রথম তারিখে চন্দ্রগ্রহণ হবে এবং সূর্যগ্রহণ হইবে মধ্য তারিখে।” [দারকুতনি, ১ম জেলদ, পৃষ্ঠা. ১৮৮]

অমৃতবাণী
আমার কাছে হাজার হাজার প্রমাণ আছে, কিন্তু এতে যদি তোমরা সন্তুষ্ট হতে না পার, তবে আমার কথা গ্রহণ করো না, আমার বিরোধীদের কথাও গ্রহণ করো না; খোদা তা’আলার কাছে যাও এবং জিজ্ঞাসা কর যে, আমি সত্যবাদী কিনা। যদি খোদা তা’আলা বলে দেন যে, আমি মিথ্যাবাদী, তবে নিশ্চয় আমি মিথ্যাবাদী। কিন্তু যদি খোদা তা’আলা বলে দেন যে, আমি সত্যবাদী তবে আমার সত্যতা গ্রহণ করতে তোমার আপত্তি কেন?





আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের পক্ষ থেকে সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও সালাম। একটি ঐশী নেয়ামতের সংবাদ সবার কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কয়েকটি কথা বিনীতভাবে উপস্থাপন করছি।
অন্যান্য সব মুসলমানের মত আমরাও হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম-এর উম্মত হিসাবে ইমাম মাহ্দী ও প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আঃ)-এর আগমনের প্রতীক্ষায় ছিলাম। আজ থেকে শতাধিক বছর আগে ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দে তথা ১৩০৬ হিজরী সনে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের এক নিভৃত গ্রামে হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আঃ) সেই প্রতিশ্রুত মহাপুরুষ হবার দাবী করেন। আমরা পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে তাঁকে যাঁচাই করে সত্য মাহ্দী ও প্রতিশ্রুত মসীহ্ হিসাবে গ্রহণের তৌফিক লাভ করেছি। কুরআনের ভবিষ্যদ্বাণী ও সহীহ্ হাদীসের আলোকে একথা সুস্পষ্ট, খাতামান্নাবীঈন (সাঃ)-এর আধ্যাত্মিক কল্যাণে ও তাঁর আনুগত্যে তাঁরই উম্মত হতে ইমাম মাহ্দী ও প্রতিশ্রুত মসীহ্’র চতুর্দশ শতাব্দীর শিরোভাগে আগমনের কথা। হযরত মির্যা সাহেব তদনুযায়ী সঠিক সময়ে আগমন করেছেন।
মহানবী (সাঃ) বলেছেন.
“ইমাম মাহ্দী আবির্ভূত হবার সংবাদ পাওয়া মাত্রই তাঁর হাতে বয়’আত করিও, যদি বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়েও যেতে হয়; কেননা নিশ্চয় তিনি আল্লাহ্র খলীফা আল-মাহ্দী”। (সুনানে ইবনে মাজা-বাবু খুরূজুল মাহ্দী)

যাঁরা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপরোক্ত আদেশানুযায়ী তাঁকে মান্য করে তাঁর বয়’আত গ্রহণ করেছেন তারাই আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের সদস্য।
আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আঃ) {জন্ম ১৮৩৫, মৃত্যু ১৯০৮ খৃঃ}। তিনি আল্লাহ্ তা’আলার নিকট থেকে ইলহাম প্রাপ্ত হয়ে জগতের সংশোধনকল্পে মহান আল্লাহ্র পক্ষ থেকে প্রত্যাদিষ্ট হবার দাবী করেন আর বলেন, তিনি সেই ‘প্রতিশ্রুত মসীহ্’ ও মাহ্দী যাঁর আগমনের সুসংবাদ স্বয়ং মহানবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) করেছিলেন, যাঁর আবির্ভাবের মাধ্যমে সব ধর্মমতের ওপর ইসলাম ধর্মের বিজয় নির্ধারিত।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে: Click This Link

১৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

আলোর পথে বিডি বলেছেন: ইমাম মেহেদি (আঃ) আসবেন ।সহি হাদিস দ্বারা আমরা জানি ।
"আলেমগণ রাসূলের উত্তরসূরি, তাই তাদের কথা শুনি । তাছাড়া আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আমার উম্মতগণ কখনো ভ্রান্ত বিষয়ে একমত হবে না । তাই খুব বেশি বিশ্বাস করি।" কথা গুলির সাথে সম্পূর্ণ একমত নই । আলেমগণ রাসূলের উত্তরসূরি , কিন্তু আলেমগনের সব কথাই সঠিক এতা থিক নয়।
আলেমগনের ভুলের কারণে মুসলিম সমাজ বহু দলে আজ বিভক্ত ।বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কুরআন ও সহি হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা এবং জাল ,জইফ হাদিস মুসলিম উম্মার ভিবক্তির কারন ।
জাজাক আল্লাহ খাইরান ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমার উম্মতগণ ভ্রান্ত বিষয়ে একমত হবে না, এইটা একদম সহীহ হাদিস । আর ইমাম মাহদি যে খুব শীঘ্রই আসবেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুসলিম স্কলাররা ও একমত । আমি প্রায় ২৩-২৪ টি দেশের মিডিয়া ফলো করি । আর সবগুলা আলামত পর্যন্ত মিলিয়ে নেই । তুরস্ক, ইসরায়েল, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, আমেরিকা, এদের নিউজ আমার বাদ পড়ে না । যদি আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘ হায়াত দেয়, তাহলে নিশ্চয়ই ইমাম মাহদিকে দেখে যেতে পারেন । সিরিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, লেবানন, ফিলিস্তিন এইসব দেশগুলার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য না আসলে, ওদের অবস্থা একদম খারাপ হয়ে যাবে ।

১৪| ১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:০৩

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: লেখক আপনার এলেখাটি পড়ে মনে হচ্ছে আপনার মাথার প্রবলেম আছে। আপনি বলছেন আল্লাহর একমাত্র মনোনিত ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। আবার এক জায়গায় বলেছেন অন্য সব নবী নির্দিষ্ট গোত্রের জন্য হলেও মহানবী (সাঃ) ছিলেন বিশ্ব জাহানের নবী। আপনার মাথা ঠিক করে পুরো কোরআন ভালো করে পড়েন। ঠিক কোথায় আপনি ভুল করছেন বুঝতে পারবেন। প্রত্যেক নবীই ছিলো নির্দিষ্ট একটি গোত্রের জন্য। আর একমাত্র মনোনিত ধর্ম হচ্ছে ইসলাম এটা ঠিক নয়। এর তরজমাটি ভালো করে করুন। না জানলে আরবী ব্যাকারন ভালো করেন পড়ুন। আলেমদের শোনা কথা বলতে নেই।

১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পাগলের প্রলাপ শুনে লাভ নেই ।

১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: একই সময়ে অনেক নবী এসেছেন, কিন্তু আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর সময় আর কোন নবী আসেন নি । সুতরাং আল্লাহর রাসূল ছিলেন বিশ্বজাহানের নবী । যার জন্ম মরুভূমির দেশে, কিন্তু তার ইসলাম সারা পৃথিবী জুড়ে । প্রশ্ন করার আগে ভেবেচিন্তে করিয়েন, এই প্রশ্ন দিয়ে ওকে আটকানো যাবে কিনা ।

১৫| ১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: লেখক মহাদয় আপনার উত্তরের অপেক্ষায়।

১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মনোনীত ধর্ম একমাত্র ইসলামই । অন্য সব ধর্ম মানুষের সৃষ্টি ।

১৬| ১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

নতুন বলেছেন: আমি প্রায় ২৩-২৪ টি দেশের মিডিয়া ফলো করি । আর সবগুলা আলামত পর্যন্ত মিলিয়ে নেই । তুরস্ক, ইসরায়েল, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, আমেরিকা, এদের নিউজ আমার বাদ পড়ে না । যদি আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘ হায়াত দেয়, তাহলে নিশ্চয়ই ইমাম মাহদিকে দেখে যেতে পারেন ।


ভাই আপনি নিজেকে over stressed করছেন। ইমাম মাহাদী নামে কেউই আসবেনা।

আর আসলেও বত`মানের বিশ্বে তাকে নেতা হিসেবে নিয়ে বিশ্বযুদ্ধে যাবে এবং ইত্যাতি... ইত্যাতি হবে এই রকমের ভাবনায় যদি আপনি সত্যি মশগুল থাকেন তবে আপনার জন্য আমার চিন্তা হচ্ছে :(

১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দেখে নিয়েন । শুধু আমি না, লক্ষ লক্ষ মুসলিম উনার অপেক্ষায় আছে ।

১৭| ১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: লেখক মহাদয়ঃ কোরআন কি পড়া-টড়া হয়? মনে হয় না। পড়লে এভাবে বলেন কি করে। আল্লাহ্ নবী-রাসুলদের বিভাজন করতে মানা করেছে। আর আপনি বিভাজন করছেন আবার রাসুলকে শ্রেষ্ঠ বানাচ্ছেন। হ্যাঁ হাদীস মতে মুহাম্মাদ (সাঃ) সকল নবীর নবী কিন্তু কোরআন মতে নয়। ছাগলামী ছেড়ে ভালো করে কোরআন পড়ুন।

১। সূরা বাক্বারাহ ২:১৩৬ আয়াতঃ
قُولُواْ آمَنَّا بِاللّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَالأسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
অর্থঃ তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল,
ইসহাক, ইয়াকুব এবং তদীয় বংশধরের প্রতি এবং মূসা, ঈসা, অন্যান্য নবীকে পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা দান করা হয়েছে, তৎসমুদয়ের উপর। আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না। আমরা তাঁরই আনুগত্যকারী।

এই আয়াতে দেখুন

২। সূরা বাক্বারাহ ২:১৩৬ আয়াতঃ
قُولُواْ آمَنَّا بِاللّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ وَيَعْقُوبَ وَالأسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لاَ نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ
অর্থঃ তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর উপর এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে আমাদের প্রতি এবং যা অবতীর্ণ হয়েছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল,
ইসহাক, ইয়াকুব এবং তদীয় বংশধরের প্রতি এবং মূসা, ঈসা, অন্যান্য নবীকে পালনকর্তার পক্ষ থেকে যা দান করা হয়েছে, তৎসমুদয়ের উপর। আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করি না। আমরা তাঁরই আনুগত্যকারী।

একোরআন আরবীতে দেওয়ার মূল কারন আরবের লোকেরা আরবী ভাষাভাসি মানুষ ছিলো তায়। রাসুল (সা) এর এরিয়া বলে দেওয়া আছে, তার এরিয়া মক্কা মদিনা।

সূরা ইউসুফ ১২:২ আয়াতঃ
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لَّعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
আমি একে আরবী ভাষায় কোরআন রূপে অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার।

আরবী ভাষার এরিয়া নিশ্চয় জানেন

৩।সূরা ইয়াসিন ৩৬:৫-৬ আয়াতঃ
تَنزِيلَ الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ
কোরআন পরাক্রমশালী পরম দয়ালু আল্লাহর তরফ থেকে অবতীর্ণ,

لِتُنذِرَ قَوْمًا مَّا أُنذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ
যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা গাফেল।

এই আয়াতে বলছে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি। মানে যাদের উপর এর আগে কোন কিতাব নাজিল হয়নি, আর সেটা ছিলো মক্কা মদিনার লোক। কারন ইহুদি ও খ্রীষ্টি্য়ানদের উপর কিতাব এসেছে, তার পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়েছে। এতো স্পষ্ট আয়াতগুলো কি চোখে পড়েনা লেখক মহাদয়ের।

৪। সূরা বাবারা ২:৭৯ আয়াতে বলেছেঃ

فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَـذَا مِنْ عِندِ اللّهِ لِيَشْتَرُواْ بِهِ ثَمَناً قَلِيلاً فَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُمْ مِّمَّا يَكْسِبُونَ
অর্থঃ অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে।

কোরআনের পাশে মানুষের নিজ হাতে লেখা কিতাব কি আপনার চোখে পড়েনা?


৫। সূরা মায়েদাহ ৫:৪৭ আয়াতঃ
وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ
অর্থঃ যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।

আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন আপনিকি তদনুযায়ী ফয়সালা করেন নাকি বোখারীগংদের কিতাব দেখা লাগে?

৬। সূরা কাহফ ১৮:৫৪ আয়াতঃ
وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا
অর্থঃ নিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়

তৃতীয় শ্রেণীণ ছেলের মত কমেন্ট করেছি, আমি একটা পাগোল এগুলো তর্কের মধ্যে পড়ে।

৭। সূরা ইউনুস ১০:৩৬ আয়াতে বলেছেনঃ
وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ
অর্থঃ বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।

মানুষের লেখা কিবাতগুলো আন্দাজ-অনুমানের উপর নয়?
(ক) আমরা আজ যে হাদীস পড়ছি তা কি আন্দাজের উপর নয়?
(খ) হাদীস কি কখনো পৃথিবীতে লিখিত আকারে ছিলো? যে ভাবে
কোরআন ছিলো?

আসুন বোখারী সাহেবদের উম্মত না হয়ে প্রকৃত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উম্মতে পরিনত হই। কোরআন খুব বেশী বেশী বুঝে পড়ি

১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:২৫

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনাদের কাজই হলো, কোরানের অপব্যাখ্যা দেওয়া । আর আপনি বলেছেন আল্লাহ নবি-রাসূল গণের মতো বিভাজন করতে মানা করছে, তাহলে আপনি কি সত্যিই আল্লাহ ও তার দ্বীন ইসলামকে বিশ্বাস করেন । হিপোক্রেটদের দল, আল্লাহকে অবিশ্বাস করে, আবার উত্তর দিতে আল্লাহকে টেনে আনে । আমরা ছাগলদের সাথে তর্ক করি না । প্রথম লাইনেই গলদ, বাকি অংশটুকু আর না পড়ি ।

১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আর যদি তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, তবে বল, আমার জন্য
আমার
কর্ম, আর তোমাদের জন্য তোমাদের কর্ম। তোমাদের দায়-দায়িত্ব
নেই আমার কর্মের উপর এবং আমারও দায়-দায়িত্ব নেই তোমরা যা
কর সেজন্য।
তাদের কেউ কেউ কান রাখে তোমাদের প্রতি; তুমি বধিরদেরকে
কি
শোনাবে যদি তাদের বিবেক-বুদ্ধি না থাকে!

আবার তাদের মধ্যে কেউ কেউ তোমাদের প্রতি দৃষ্টিনিবদ্ধ রাখে;
তুমি অন্ধদেরকে কি পথ দেখাবে যদি তারা মোটেও দেখতে না পারে

আল্লাহ জুলুম করেন না মানুষের উপর, বরং মানুষ নিজেই নিজের
উপর জুলুম করে।

এই আয়াতগুলি মূলত আপনাদের জন্য । সুতরাং আপনার সাথে অহেতুক তর্ক বাদ দিলাম ।

১৮| ১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:২৯

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আসুন বোখারী সাহেবদের উম্মত না হয়ে প্রকৃত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উম্মতে পরিনত হই। কোরআন খুব বেশী বেশী বুঝে পড়ি । তো আপনি কি মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মত ? এত হাস্যকর ব্যাখ্যা আমি জীবনে দেখি নি, আপনি সত্যিই তৃতীয় শ্রেণীর মানুষ । একটা বাচ্ছা আপনার চাইতে ভালো বুঝে ।

১৯| ১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কোরানের আয়াত বুঝতে জ্ঞানের প্রয়োজন হয়, সেই জ্ঞান আপনার নেই । তাই আপনি আরবি হরফ না চিনেই, মুক্তমনা ব্লগ থেকে কপি করে পেস্ট করতেছেন এখানে । আগে ২৯ টা হরফ পড়েন, তারপর ভাষা শিখে কোরানের ব্যাখ্যা দেন ।

২০| ১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমার প্রত্যেকটি উত্তর, আপনার মগজে তীরের মত আঘাত করতেছে, সেটা আমি ভালোভাবেই অনুধাবণ করতেছি । কারণ অবিশ্বাসীরা প্রায়ই হতাশায় ভুগে, আর মুসলমানদের শান্তি দেখে তারা ঈর্ষায় মরে, তাই কোন উপায় না পেয়ে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে । আর যারা ভুল ব্যাখ্যা বিশ্বাস করে, তারা আসলে আপনাদের দলেরই । আচ্ছা, আমি আপনাদের বিবর্তনবাদ সম্পর্কে জানতে চাই? জানাবেন প্লিজ ।

২১| ১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৬

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: ছাগুদের মত কথা বলেন কেনো? মুক্তমনা ব্লগ থেকে কপি করে পেস্ট করা? কেনো অদের কোরআন আর আপনার কোরআন আলাদা নাকি? আপনি আপনার কোরআন মিলিয়ে দেখুন আয়াত তরজমা ঠিক আছে কি না। আপনার সঙ্গে আর আলোচনা হতে পারে না। কারণ আপনার দৌড় শেষ। আপনি চাননা আমি আপনার সঙ্গে আলোচানায় থাকি। আপনারা হচ্ছেন সেই মানুষ তালগাছ আমার!

১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৫০

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: তর্জমা কোন রেফারেন্স হতে পারে না, কারণ এটা আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরই করা। তর্জমার কয়টা বই পড়ছেন, আপনাকে অনুরোধ করবো, আপনি আশরাফ আলী থানবির উর্দু তর্জমার বইটা পড়বেন দয়া করে । দাহাহা শব্দের অর্থ বাংলা তর্জমাকারিরা লিখছে উট পাখির ডিম, অন্য বাসায় সেটা সমতল । দয়া করে আরবি শিখে ভুল ধরবেন, বাংলা জেনে না । আপনার দৌড় শেষ, আমি এখনো রেসে আছি । মনে রাখবেন, মুসলিমরা তর্কে কখনো হারে না, কারণ তাদের সাথে আল্লাহ আছে । কোন বুদ্ধিমান যদি কমেন্ট ফলো করে, তাহলে বুঝতে পারবে, আপনার ভেতরটা ফাকা । ধরলাম তর্জমা কিছুটা ঠিক, কিন্তু ব্যাখ্যাগুলো বাচ্ছাদের কথার মতো । হাদিসের রেফারেন্স খুঁজছি, মিল পাই নাই । বাংলা ভাষায় অনুবাদ কে করেছে প্রথম, আপনি জানেন ? তাহলে শুনে রাখেন এক সনাতন ধর্মালম্বীে। তার নাম শুনতে চাচ্ছেন? তাই না । উনার নাম গিরিশ চন্দ্র সেন ।

২২| ১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:০৯

নতুন বলেছেন: হাদিসে ইমাম মাহাদীর কথা আছে..... ভালো কথা...

ইমাম বুখারী রাসুল সা: এর ইন্তেকালের কত বছর পরে জন্ম গ্রহন করেছেন? এটা কি জানেন?

প্রায় ২০০ বছর পরে এসে রাসুল সা: এর সব কথা ১০০% সত্য ভাবে তিনি রেকড করলেন?

যেখানে রাসুল সা: মারা যাবার পরে তার নাতিদের হত্যা করা হলো.... ওমর রা: , আলী রা: কে হত্যা করা হলো...

সেই সমাজের মানুষ রাসুল সা: এর হাদিস এতো সহী ভাবে ২০০ বছর পরে ইমাম বোখারীকে বললো?

এটা বিশ্বাস করা কতটুকু যৌক্তিক?

১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৫২

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বাক্যগুলো আসত্তি বিহীন। উত্তর দেয়ার প্রয়োজনবোধ করছি না ।

২৩| ১৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

নতুন বলেছেন: বুখারী হাদিসকে এতো সহী হিসেবে মেনে নিচ্ছেন....

এটা যে রাসুল সা: এর মৃত্যুর প্রায় ২০০ বছর পরের সংকলিত সেটা বুঝতে পারছেন?

২০০ বছর কয়েকটা জেনারেসন চলে যায়.....

২০০ বছর আগের রাসুল সা: এর বলা কথা ১০০% সহী ভাবে পাচ্ছেন এটা ভাবাও বোকামি।

২৪| ১৯ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: ১। আল্লাহ্ কোরআনের সূরা কাহফ ১৮:২৭ আয়াতে বলেনঃ

وَاتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِن كِتَابِ رَبِّكَ لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَلَن تَجِدَ مِن دُونِهِ مُلْتَحَدًا

অর্থঃ আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.