![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বরাবরই সব ঈদ যেন অনেকের কাছেই প্রতিযোগিতা মুলক। ঈদুল ফিতরে যেমন কাপড়, চুপড় ইত্যাদি একজনের চাইতে কে কার চাইতে ভাল ও দামী জিনিস কিনতে পারে। আর ঈদ-উল-আযহার দিনে কে কার চাইতে বড় ও দামী পশু কোরবানি দিতে পারে। এই প্রতিযোগিতা অনেকটা না হলেও কিছুটা অবশ্য রয়েছে। আর কিছুটা বললেও আবার ভুল হবে, কেননা এসব প্রতিযোগিতা প্রায় অনেকের চোখে পরে। যা হয়তো ঠিক না।
.
.
আমরা সকলেই ছোট থেকে বড় হবার আগ পযর্ন্ত প্রতিটি ঈদের সুন্দর কয়েকটি প্রতিশব্দ শুনে আসছি যা- ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে বেধা বেদ ভুলে গিয়ে শত্রুকে আপন করা এবং ঈদের আনন্দ সবার মাঝে বিলিয়ে দিয়ে ভাগাভাগি করে নেওয়া ।
.
.
বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণে এই সব সুন্দর প্রতিশব্দ গুলো শুধু শব্দই আর কিছু না। এই শব্দ গুলো এখন আর প্রতিফল ঘটে না। যার অর্থ হলো আমরা ব্যর্থ।
.
.
আজ এই কোরবানি ঈদে অনেক দুর দুরান্ত থেকে অনেক দরিদ্র হত দরিদ্র ছুটে যায় যেখানে কোরবানি পশু জবাই করা হয়, শুধু মাত্র তাদের তারা ও তাদের ছেলে মেয়েদের না পাওয়ার মাঝে এই একটি দিনে কোরবানীর মাংস খাওয়াতে। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি, এক এলাকা থেকে আরেক এলাকা, এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছুটেই চলছে তারা।
.
.
সামান্য কিছু মাংসের জন্যে তাদের পরতে হচ্ছে নানা ভুগান্তি। প্রায়ই দেখা যায় কেউ বাড়ির গেইটের ভিতরে সহজে ডুকতে দেয় না, গেইটের কোন ফাক ফুকুর দিয়ে হাত বাড়িয়ে শুধু পেয়ে থাকে এক টুকরো মাংস। আবার অনেকেই অনেক্ষন লাইনে দাড় করিয়ে নানা ঝামেলা করিয়ে মাংসের বদলে পশুর তেল, চর্বি, হাড্ডি বিলি করে। ভাল মাংস গুলো হয়তো নিজেদের আত্বীয় স্বজনদের জন্য হয়ে থাকে।
.
.
কোরবানীর মাংসও ভাল করে সমান ভাগ বন্টন হয় না অনেকে জাগাতেই। যেখানে সমান ভাগ বন্টন হবার কথা সেখানেই ব্যবহার হয় আগে নিজেদের স্বার্থ। মানবজাতী বলবো না কারন অন্য দেশ গুলো আমাদের মত নয়। আসলেই আমরা বাংলাদেশের মানুষরা বড়ই আজব।
.
.
শুধু ঈদ পালনের মধ্য দিয়ে নয় আগে আমাদের প্রয়োজন ঈদের প্রতিশব্দ গুলো ভালো করে বুঝা, মানা ও সেটা কাজে লাগানো, তাহলেই সেই সব সুন্দর প্রতিশব্দ গুলো বাস্তবে রূপান্তর হবে আর তাতেই আমাদের প্রতিটি ঈদ উৎযাপিত হবে।
©somewhere in net ltd.