নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমরা মৃত। যে মানবের মধ্যে বিবেক, বুদ্ধি, মনুষ্যত্ব, মানবতা বলে কিছু থাকে না, আমাদের মধ্যে ভাল মানুটাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখি, প্রকৃত। মানুষের যে গুন গুলো থাকার কথা সেগুলা যদি আমাদের মধ্যে বহমান না থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই জীবত থেকে মৃত। মানুষ হয়ে যেমন জন্ম নিলে

Msd Sagor

Msd Sagor › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্ধকারের কিছু শিশুর জীবন.....

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫০

গুটি কয়েক নিচু মানুষের নিচু মন মানসিকতা থাকে। আবার নিচু মানুষ ও নিচু মন মানসিকতা বললেও ভুল হবে। আসলে মানুষ তো মানুষই শুধু গরিব বলে নিচু বলা যায় না। আর তাদের চিন্তা ভাবনা গুলো নিম্নতম অদ্ভুত বলে নিচু মন মানসিকতাও বলা যায় না কেননা তাদের ভালো চিন্তা ভাবনা করার জন্যে অনেক কিছু প্রয়োজন যা আমাদের আছে তবে তাদের সেটা নেই।
.
.
বাজারে বা ভাল কোন স্থানে, শপিং প্লেইসে ছোট ছোট শিশুর কিছু আহবান শোনা যায়, কারো হাতে থাকে আবার কারো পায়ে ধরে। মাঝে মাঝে কোন ব্যক্তিকে জোর পূর্বক ভাবে এক রকম জিম্মি করে টাকা আদায়ের চেস্টা করে থাকে যা অনেকের কাছেই এটা বিরিক্তিকর। আবার তাদের কোলে মাঝে মাঝে তার থেকেও ছোট, একদম দুধের বাচ্চাও দেখা যায়। এসব দেকতে দেকতে এটা আমাদের কাছে নিত্যদিনের স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে গেছে।
.
.
এই ছোট ছোট শিশুরাও বা কিছু বুঝে তবে সেগুলা বুজিয়ে ও শিখিয়ে দেন তাদের জন্মদাত্রী মা। ওপাশ থেকে লুকিয়ে কাউকে টার্গেট করে তাদের বাচ্চাটিকে কানে কানে কিছু মন্ত্র পাঠ পড়িয়ে দেন। আর সেই শিশুগুলো সাধারন মানুষের কাছে গিয়ে তাদের অসহায়তিত্ব ফুটিয়ে তুলে ও অস্বাভাবিক কিছু আচরনও করে।
.
.
আমরা যতই সেটাকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিচ্ছি সেটা ততই দিন দিন অগ্রগতি হতে চলছে। আমাদের দেশে যখন কিছু বিদেশীরা ঘুরতে আসেন তখন তাদের নজরে পরে গেলে সেখানেই আসল সমস্যাটা উপলব্ধি করা যায়। তখন একজন বাঙালী হয়ে নিজের কাছে অনেক লজ্জা ও ছোট মনে হয়। এখানে শুধু আমাদের সম্মান নয় জড়িয়ে থাকে আমাদের দেশের সম্মানও।
.
.
যখন নিজ চোখে দেখা হয় একটি শিশু তার ছোট বোন বা ভাইকে কোলে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়ছে তখন নিজের কাছেই অনেক খারাপ লাগে তবে তাদের এই সামান্য সাহায্য দিয়ে তাদের চাহিদা পুরন ও সমস্যা সমধান করার মত নয় আর তারাও এসব থেকে সহজে সরে দাঁড়াবে না। তাদের কাছে এটা একটা পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
.
.
পেটের দায়ে হয়তো অনেক কিছুই করে তবে এধরনের কর্ম আমাদের আগামী প্রজন্মের উপর ও দেশের জন্যে অনেক প্রভাব ফেলবে যা এধরনের শিশু গুলো গুটি কয়েক থেকে শত শত হবে, তারপর হাজারো হবে তখন নিজেদের কাছেই মনে হবে আমাদের দেশটা হয়তো এভাবে ভিক্ষে করে খাওয়ার জন্যে। অন্য দেশের লোকেরা আমাদের নিয়ে অনেক বাজে মন্তব্য করবে যা আমাদের দেশের সম্মান ক্ষুন্য হবে।
.
.
এ ধরনের সমস্যার সমাধানের অবশ্যই অনেক প্রয়োজন তবে আমাদের দেশের কেউ এগিয়ে আসে না কিন্তু সবাই পারে মানবতা বলে চিৎকার করতে, যেমন আমিও করি যদি ইচ্ছে হয় কিছু করার তবে সেটা আমার দ্বারা সম্ভব না। আর এসব সমস্যা হয়তো কখনো সমাধান হবার নয়।
আমাদের সামনেই হয়তো আমাদের আগামী প্রজন্মের কিছু শিশু অন্ধকারে ডুবে যাবে হয়ে থাকবে ভবিষৎহীন। আমাদের চোখের সামনেই হবে আর আমরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেকবো। এই সূর্য হয়তো নিজ গতিতে ডুবছে না এই সূর্য হয়তো আমরাই ডুবাচ্ছি অনাকাঙ্ক্ষিত অন্ধকারের জন্যে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৩

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: দিবস গুলি আইলেই আমরা চিল্লাইয়া গলা ফাটাই।
দিবস গেলে আর খবর নাই।
"ভাইজান আইজকা কি শিশু দিবস"
আপনার লেখা পড়ে কেউ এমন প্রশ্নটা করাটা এখন আর অস্বাভাবিক কিছু নই।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

Msd Sagor বলেছেন: তারিখ মিলিয়ে দেকতে পারেন ভাইয়া আশা করি সেরকম কিছু হবে না, তবে আমি দিবস ভিত্তিক হিসেবে লিখিনা।

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

দ্যা ব্যাকডেটেড বলেছেন: বর্তমানকে বাদ দিয়ে ভবিষ্যত নিয়ে ভাবি বলেই আমরা কিছু করে উঠতে পারিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.