![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য যত নির্মমই হোক না কেন, সত্য তো সত্যই।
‘ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ বিল-২০১৫ ’ আজ বুধবার সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।
একজন ডাক্তার হিসেবে এই আইনের আরও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। কিন্তু জানি কর্তা ব্যক্তিদের কানে তা পৌঁছাবে না। আর বেশির ভাগ মানুষ বিপদে না পড়া পর্যন্ত আমার এই লেখার প্রয়োজনীয়তা বুঝবেন না। আর সাংবাদিকরা তো আলোকপাত করবেনই না।
ফরমালিন সহজলভ্য হওয়ায় খাদ্যে ভেজাল জনিত ভয়াবহতা সম্পর্কে জ্ঞাত হয়েই সবার জ্ঞাতার্থে আরও জানাচ্ছি, এই ফরমালিন শল্য চিকিৎসার (সার্জারি) ক্ষেত্রে এক অপরিহার্য উপাদান। শরীরের বিভিন্ন অংশের সার্জারি করার পর সেখান থেকে কিছু "টিস্যু" কেটে নিয়ে বায়োপসি করতে পাঠান হয় উন্নতমানের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ক্যান্সারের জীবাণু আছে কিনা পরীক্ষা করার জন্য। প্রতিদিন দেশব্যাপী বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিক থেকে শত শত "টিস্যু স্যাম্পেল" ঢাকায় বায়োপসি করানোর জন্য পাঠানো হয়। এই ক্ষেত্রে ওই "টিস্যু স্যাম্পেল" এর একমাত্র সংরক্ষণকারী উপাদান এই ফরমালিন। ফরমালিন ছাড়া ওই "টিস্যু স্যাম্পেল" কিছুক্ষণের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। তাই বর্তমানেই ফরমালিন পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহারের উপর কড়াকড়ির কারনে এই ফরমালিন ওষুধের মার্কেটে পাওয়াই যাচ্ছে না। লাইসেন্সধারীদের অত্যন্ত সল্পতা এবং নতুন লাইসেন্স ইস্যু না করার কারনে বিক্রেতারাও এগুলো রাখছেন না। চোরাই মার্কেটে কিছু বিক্রি হয় বটে, কিন্তু তা অত্যন্ত উচ্চমূল্যে, সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার অনেক বাইরে এবং তাও চাহিদার তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। কিন্তু কোন হাসপাতালে এর সাপ্লাই নাই। এমতাবস্থায় শল্য চিকিৎসা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সারাদেশে অনেক ক্যান্সার রোগী "আনডায়াগনোসড" থেকে যাচ্ছে।
তাই এই আইন যেভাবেই করা হোক না কেন, সারাদেশে সকল হাসপাতাল ও ক্লিনিকে শল্য চিকিৎসার কাজে "একান্ত প্রয়োজনীয় ফরমালিন" যেন সহজে রোগীর কাছে বা তার অ্যাটেনডেন্টের কাছে পৌঁছাতে সে ব্যবস্থা রাখাও জরুরি।
©somewhere in net ltd.