![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাস্তার পাশে ঝালমুড়ি বিক্রি হচ্ছে। এধরণের খাবার সবসময় সুস্বাদু হয়ে থাকে। ঠিক যখন ঝাল লেগে জিভে পানি চলে আসে তখন সেটা একটা উপভোগের মতো ব্যাপার হয়। ঝালমুড়ির ছোট্ট এই ভ্রাম্যমাণ দোকানটার দিকে খানিকটা সময় তাকিয়ে কিছু একটা মনে করার চেষ্টা করছিলেন রহমত সাহেব।
তিনি সেদিন সকালবেলাতেই একদম ফিট বাবু সেজে বের হয়েছিলেন। লিজার ভাষ্য অনুযায়ী তিনি নাকি নিজের যত্ন কখনোই নেন না। প্রতিদিনকার মতোই এমনতর কোন কথা শোনার আগেই এযাত্রা পরিপাটি করে চুল আঁচড়ে, মাড় দেয়া শার্টটা ইন করে, চকচকে নতুন জুতো পায়ে দিয়ে বের হয়েছিলেন। লিজা বড্ড চমকে যাবে!
লিজা সেদিন ঝালমুড়ি খেতে চাইছিল না। সে ছিল স্থির এবং অন্যদিনের তুলনায় অনেক বেশি শান্ত। রহমত সাহেব সকালের নাস্তা না করার দরুন একাই সব মুড়ি খেয়ে যখন শেষ করে ফেললেন তক্ষুনি উলটো তাকে চমকে দিলো লিজা। ওর বিয়ে ঠিক করা হয়েছে এবং ওদের মধ্যকার এই সম্পর্কটা আর রাখতে পারবে না সে। প্রথমটায় বেদম হেসেছিলেন রহমত সাহেব। ঠাট্টা করার অভ্যাসটা লিজার বরাবরই ব্যাপক। কিন্তু সেদিন ওর বরফ শীতল কণ্ঠে কিছু একটা ছিল, খুব বেশি সময় হাসবার সুযোগ পাননি তিনি।
রাস্তার পাশে এখনো ঝালমুড়ি বিক্রি হয়। কিন্তু স্বাদটা বদলে গেছে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৭
সাইফ রাসেল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। রহমত সাহেব একজন বৃদ্ধ লোক গল্পটা ফ্ল্যাশব্যাকের।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: চমৎকার অনুগল্প|
সাহেব ডাকটা কোন বৃদ্ধ মানুষের ক্ষেত্রেই বেশি মানায়| এখানে নায়কের পিছনে সাহেব থাকায় তাকে পুরো গল্প জুড়ে বৃদ্ধ বৃদ্ধ মনে হয়েছে| অন্তত লিজা গল্পে এন্ট্রি না নেয়া পর্যন্ত| কাউকে তাই গল্প অথবা উপন্যাসে সাহেব উপাধি দেয়ার বিরোধিতা করি আমি| যদি দিতেই হয় তবে বৃদ্ধ অথবা সেই পদমর্যাদার কাউকে দিতে পারেন| যাই হোক, সব মিলিয়ে সুন্দর