নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পাখির চোখে পৃথিবী দেখতে ভালোবাসি।

সাইফুল আজীম

পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।

সাইফুল আজীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার প্রাণের শহর: বরিশাল

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

আমার জন্ম বরিশাল শহরে। কিন্তু জন্মের ২ বছর পরই বিদায় জানাই বরিশালকে। বাবার কর্মস্থল খুলনায় বেড়ে উঠি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, জব সবকিছু খুলনাকে ঘিরে। বছরে দুই ঈদের ছুটি আর পারিবারিক অনুষ্ঠান ব্যতিত বরিশালে আসা হয়না আর। যতবারই আসি কেমন একটা অনুভূতি কাজ করে, আনন্দ পাই আর ফিরে যাওয়ার সময় একটা শূন্যতা অনুভব করি। তাইতো বলি বরিশাল আমার প্রাণের শহর। আজ সেই শহরকে নিয়েই আমার কিছু স্মৃতি, কিছু কথা।



যখনই বরিশালে আসি রিক্সা ভ্রমনটাকে আমি খুব উপভোগ করি। যদিও পকেট হাল্কা হয়ে যায় রিক্সা ভাড়া গুনতে গুনতে তবুও ছোট্ট এই শহরে রিক্সা ভ্রমনের মজাটা আমি কখনোই হাতছাড়া করিনা। এ যেন প্রাণের শহরে ঘুরে ঘুরে তার প্রাণের স্পন্দনকে অনুভবের চেষ্টা করা।



বরিশালের কয়েকটা খাবার দোকানের কিছু আইটেম আমি কখনোই না খেয়ে ফিরে যাইনা। এক দিনের জন্য এলেও খাবারগুল চেখে দেখা চাই ই চাই আমার। সেগুলো হল-



১.সদর রোডের মিষ্টির দোকানগুলোর লুচি-সবজী-ডাল-পায়েসের থালা ও রসমালাই

২.টাউন হলের সামনে থাকা বাদামওয়ালাদের বাদামের খাজা

৩.রয়্যাল মিনি চাইনিজের চিকেন বা মাটন কাটলেট আর পাশের দোকানের লাচ্ছি

৪.বাজার রোডের মিষ্টির দোকানগুলোর আমিত্তি



এই খাবারগুলো অন্তত একবার না খেলে বরিশালে আসা বৃথা মনে হয় আমার। যারা বরিশালে আসেন বা আসবেন, খাবারগুলো চেখে দেখতে পারেন। আশা করি ভালো লাগবে।



আসা যাক ঘোরাঘুরিরর কথায়। সদরঘাট টার্মিনাল, নদীর পাড়, ত্রিশ গোডাউন, সদর রোড, চকবাজার জায়গাগুলি আমার খুব প্রিয়। এসব জায়গায় হাটতে হাটতে শহরের মানুষগুলির কর্মকান্ড দেখতে আমার বেশ ভালো লাগে।



আমি যখন বরিশাল আসি তখন পথে মোস্তফাপুর অতিক্রম করার পর একটা অদ্ভুত মেটো-লতাগুল্মের আজব সুবাস পাই। যতই বরিশালের দিকে এগোই সুবাসটা আরো তীব্র হয়। বুঝতে পারি আমি এসে গেছে আমার প্রিয় বরিশাল। প্রতিবার বরিশাল আসার সময় এই ব্যাপারটা আমি খুব উপভোগ করি, খুব।



যেহেতু বরিশালে থাকা হয়নি কখনোই তাই কথায় বরিশালের টান বা শব্দগত ব্যাপারটা আসেনা। তাই নিজে থেকে না বললে আমার আদিবাস কোথায় বুঝা মুসকিল। আমি নিজে থেকেই বলি, আমার বাড়ি বরিশাল শহরে, আমি একজন বরিশাইল্যা। বরিশাল আমার শহর, আমার প্রাণের শহর।



সবাইকে আমন্ত্রণ বরিশালে, আমার প্রাণের শহরে।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১১

েবনিটগ বলেছেন: +

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪২

সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: বরিশাল ভ্রমণ করসিলাম একবার। নদীগুলা খুব ভরাট, স্বাস্থ্যবতী।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

সাইফুল আজীম বলেছেন: নদীর পাড়ে গেলে মন ভরে যাই। আমি যতদিন থাকি রোজ যাই

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

এম আর ইকবাল বলেছেন: আমার জন্ম চট্রগ্রামে । জীবনের প্রথম চাকরী নিয়ে জিদ করে গেলাম বরিশালে । সালটা ১৯৮১, ন্যাশনাল অয়েল মিল, হাটখোলা রোড় । বাজারের মধ্যে । প্রায় বছর খানেক ছিলাম ।নদীর গা ঘেষে একটা পার্ক ছিল । অনেক বিকাল সেখানে কাটিয়েছি । যাব যাব করে, তারপর আর যাওয়া হয় নি । তবে এখন মনে পড়ে । সেখানের কথা ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৯

সাইফুল আজীম বলেছেন: এখন নদীর পাড় ঘেষে হাটাপথ তৈরি হয়েছে। নাম মুক্তিযোদ্ধা পার্ক। নদীকে উপভোগ করার বেশ ভালো উপায়। আসুন, ঘুরে যান।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৫

শুঁটকি মাছ বলেছেন: আমার জন্ম বরিশাল শহরে।শৈশবের পুরোটাই ওখানে কেটেছে।বাবা এক কালে বিএম কলেজে অধ্যাপনা করতেন বলে ঐ কোয়ার্টারেই থাকতাম।বরিশাল যে আমার কাছে কি তা বলে বোঝাতে পারব না।ছোট্ট কথায় বলতে,আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়।
বরিশালের নতুন বাজারে নিতাইয়ের মিষ্টি পাওয়া যায়।নেক্সট টাইম ওটা চেখে আসতে ভুলবেন না।আর পারলে গৌড়নদী মিষ্টান্নভান্ডারের দইটাও খাবেন। :D :D :D

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

সাইফুল আজীম বলেছেন: আগে বরিশাল আসার সময় গৌরনদীতে বাস থামলে কাপ দই খেতাম। এখন আর পাওয়া যায়না। আর নিতাইয়ের মিষ্টি বাসায় আনা হয় পারিবারিক অনুষ্ঠানে। এইমাত্র জানলাম আমার বাবার বিয়েতে ওখান থেকে ৩০ কেজি মিষ্টি আনা হয়েছিল।

কালীবাড়ি রোডে একটা ছোট দোকান আছে যেখানে বরিশালের সবচাইতে সাদা স্পন্জ রসগোল্লা পাওয়া যায়া। খুলনা যাওয়ার সময় আমার মা সাথে করে নিবেনই।

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২১

দি সুফি বলেছেন: পোষ্টের খাবারের ৪ নম্বর আইটেমটায় +++।
শুটকি মাছের সাজেশন করা মিষ্টি আর দইও কিন্তু সেইরকম B-))
রয়েলের খাবার এখন আর ভালো লাগে না /:)

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

সাইফুল আজীম বলেছেন: মিনি চাইনিজের কাটলেটটা মন্দ নয় এক্কেবারে যদি সাথে পাশের দোকানের লাচ্ছি থাকে।

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪২

শুঁটকি মাছ বলেছেন: সুফি ভাই ঠিক বলেছেন বয়্যালের খাবারের মান এখন নিচে নেমে গেছে।আগে ভাইয়ার বন্ধুদের দেখতাম টাকা জমায়ে ঈদের পর রয়্যালে খেতে যেত।সে কি জৌলুস!!!!! B-) B-) B-)
কিন্তু এখন আর তা নাই!!!!!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১০

সাইফুল আজীম বলেছেন: ঠিক। তবে আমি রয়্যাল লাগোয়া মিনি চাইনিজের মানটা খুব একটা কমেনি ভাই। আমি এক বসায় ২টা কাটলেট খেয়ে নেই।

৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

দারাশিকো বলেছেন: এই মুহুর্তে আছি বরিশাল। যে জায়গাগুলো বললেন ঘুরেছি, কিন্তু খাওয়ার একটাও হয় নি।
দেখি আগামিকাল টেস করা যায় কিনা :)

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

সাইফুল আজীম বলেছেন: কোথায় আছেন? আওয়াজ দেন ভাই। আমি থাকি কাউনিয়াতে। ৭ নং ওয়ার্ডে।

৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

তিক্তভাষী বলেছেন: আমার শৈশবের একটা বিরাট অংশ কেটেছে বরিশালে। সাগরদী, ভাটারখাল, কাউনিয়া এলাকায় থেকেছি আমি।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৫

সাইফুল আজীম বলেছেন: জর্ডন রোড আর কাউনিয়া, এই দুই এলাকায় আমার রাজত্ব। তবে কাউনিয়া ও আশেপাশের এলাকাজুড়ে যাতায়াত বেশী দাদাবাড়ি হবার সুবাদে।

৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: আমারও বেড়ে ওঠার সময়টা কেটেছে খুলনা , কিন্তু বরিশাল দাদু বাড়ী তাই যাওয়া হলেও কম থাকা হয়েছে , স্মৃতিচারণ খুব ভাল লাগলো ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১১

সাইফুল আজীম বলেছেন: একদমই আমার মত।

১০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

একজন আরমান বলেছেন:
আমি যখন বরিশাল আসি তখন পথে মোস্তফাপুর অতিক্রম করার পর একটা অদ্ভুত মেটো-লতাগুল্মের আজব সুবাস পাই। যতই বরিশালের দিকে এগোই সুবাসটা আরো তীব্র হয়। বুঝতে পারি আমি এসে গেছে আমার প্রিয় বরিশাল। প্রতিবার বরিশাল আসার সময় এই ব্যাপারটা আমি খুব উপভোগ করি, খুব।

আমারও একই অনুভূতি হয়।

আর নিজেকে বরিশাইল্লা পরিচয় দিতে সেইরকম ভালো লাগে। :)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

সাইফুল আজীম বলেছেন: অবশ্যই

১১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

েবনিটগ বলেছেন: :)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

সাইফুল আজীম বলেছেন: হাসির উত্তরে হাসি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.