নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পাখির চোখে পৃথিবী দেখতে ভালোবাসি।

সাইফুল আজীম

পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।

সাইফুল আজীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্কুলের আঙ্গিনায় হঠাৎ ফিরে যাওয়া

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭

আমার স্কুলটি বাসার পাশেই। আজ হঠাৎ মনে হল যাই স্কুল থেকে ঘুরে আসি। যেই ভাবা সেই রওয়ানা দেয়া। অনেকদিন পর স্কুলে গিয়ে যেন ছোট্ট সায়মনকে ফিরে পেলাম। ভিসা সংক্রান্ত ব্যপারে কয়েকদিন ধরে থাকা ব্যাপক টেনশন যে কোথায় হারিয়ে গেল বুঝতেই পারলামনা। ভালো লাগল নিজেকে ফিরে পেয়ে।



ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, খুলনাতেই আমি ১৯৯২ থেকে ২০০৫-স্কুল ও কলেজ জীবন পার করেছি। কত কিছুইনা মনে এল আজ স্কুলটাকে দেখে। সেই মাঠ, সেই ক্লাসরুম, সেই ল্যাব.....সব যেন আগের মত। ছোট্ট সায়মন মাঠে খেলছে, ক্লাসে বকবক করে সবার মাথার পোকা নাড়িয়ে দিচ্ছে, এক দৌড়ে ল্যাবে যাচ্ছে সামনের সিট দখলে নিতে........আরো কত সব ঘটনা দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখলাম। আহা কত মনোহরই না ছিল সেই সময়গুলো।



স্কুলে ঢুকতেই হুজুর স্যারের সাথে দেখা। স্যারকে নিয়ে ক্লাসে-ক্লাসে ঘুরলাম। স্যারের আদেশে ছাত্র-ছাত্রীদের "লেখা-পড়া কর, মানুষ হও" টাইপ বাণী শুনালাম। তবে তারই মাঝে দেখলাম ক্লাসের মাঝের সারিতে ছোট্ট সায়মনটা বসে বসে হাসছে আর স্বভাবসুলভ বকবকানি করে চলছে। ভেবেছিলাম সেই সিটে গিয়ে একবার বসি কিন্তু বসা হয়নি। হায় আমার ক্লাসরুমগুলো, বড্ড মিস করি তোমাদের।



স্কুলের রাস্তার পাশে আমরা একবার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসাবে গাছ লাগিয়েছিলাম। আমার লাগানো গাছটার জায়গায় বর্তমানে দাড়িয়ে থাকা গাছটাই সেই গাছটা কিনা বুঝতে না পারলেও দিব্বি দেখলাম পিকআপ থেকে গাছ নামিয়ে তাহমিনা ম্যাডামের তত্বাবধানে তা রোপন ও কাজ শেষে ক্যান্টিনের শিঙ্গাড়ায় কামড় বসাচ্ছে ছোট্ট সায়মন। কেন বড় হতে হয়? ছোট্টবেলার শিঙ্গাড়ার কামড়ের মজা কেন ফিরে আসেনা?



আস্তে আস্তে বের হয়ে এলাম স্কুল থেকে। গেটের কাছে দোলনা, স্লিপার আর রিং এ ছোট্ট সেই সায়মন। এগিয়ে যেতে গিয়েও থমকে গেলাম। ফিরে এলাম। কি দরকার স্মৃতিতে থাকা ছোট্ট সায়মনকে জ্বালাতনের? থাকুক সে তার মজার দুনিয়ায়।



স্কুলে পড়াকালীন নানা কারনে ভাবতাম একবার শেষ করি এই পাঠ, আর ছায়াও মাড়াবোনা। আজ সেই ছায়া মাড়িয়ে যেতে একটা কথাই মনে হল- স্কুল স্কুলই। যতই যাই হোক, স্কুল তার ছাত্রকে কাছে টানবে, তাকে স্মৃতির সাগরে ভাসাবে, চোখোর সামনে তুলে ধরবে ছোট্টবেলাকে। আর তাইতো অভিমানী ছাত্রটি বারবার ফিরে আসবে, দেখবে আর ফিরে পেতে চাইবে সেই ছোট্টবেলাকে।



ছোট্ট সায়মন, আমি আবারো আসব। একা কিংবা সায়মন জুনিয়রকে নিয়ে। কে জানে হয়তো তারও হাতেখড়ি এখানে হবে। তোমায় বলে যাচ্ছি, তার জন্য সব গুছিয়ে রেখো কিন্তু, আমি আসবই।



(স্কুলের বড়/ছোট ভাইয়া-আপুরা যারা সামুতে ব্লগার তারা আওয়াজ দিও)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫১

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :( :( :(

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

সাইফুল আজীম বলেছেন: আহারে.....

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুন অনুভূতি ।।
আমার এত স্কুল পাল্টাতে হয়েছে যে আনুভুতি ভাগাভাগি হয়ে গেছে।আমার ছেলে মেয়ে দের ও তাই হচ্ছে ।প্রতি দু- বছর অন্তর স্কুল পাল্টাতে হয় ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

সাইফুল আজীম বলেছেন: দীপু নং-২ টাইপ ব্যাপার। আমার কপাল ভালো যে বাবার বদলী একই শহরের এখান থেকে ওখানে হয়েছে। স্কুল বা বাসা কিছুই বদলাতে হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.