নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পাখির চোখে পৃথিবী দেখতে ভালোবাসি।

সাইফুল আজীম

পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।

সাইফুল আজীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

৪৪ ঘন্টা: খুলনা থেকে দেরাদুন (পর্ব ২)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

রাজধানী এক্সপ্রেসের ভ্রমনকথা বলব আজ। আমি এই ট্রেনের অনেক সুনাম শুনেছি তাই অর্গানাইজেশনকে বলেছিলাম যেন এই ট্রেনের টিকিট দেয়া হয়। তবে এও বলেছিলাম যেটা হাওড়া থেকে ছাড়ে তার টিকিট দিতে কারন হাওড়া থেকে ছাড়া ট্রেনটিতে সার্ভিস, খাবারের মান ভালো এটা আমি জানতাম। টিকিট পাওয়ার পর ট্রেনের নানা তথ্য আমি আগেই জেনে নিয়েছিলাম। খাবার মেনু, সার্ভিস, এইসব আর কি। তাই ট্রেনে উঠেই মিলিয়ে নিতে থাকলাম সেইসব।



আমি পেয়েছিলাম আপার বার্থ। ট্রেন ছাড়ার কিছু পরেই সবকিছু গুছিয়ে নিলাম।





সিট খালি তাই নিচে বসে জানালা দিয়ে ছুটে চলা দেখতে লাগলাম। সহযাত্রী বক্সারটির সাথে আলাপ হল। খেলোয়াড় কোথায় সে রেলওয়েতে ক্লার্ক পোষ্টে জব পেয়েছে সম্প্রতি। টুকটাক আলাপের মাঝেই স্ন্যাক্স এল। বেশ কয়েকটা আইটেম আর খাবারের মান ভালো। খুব দ্রুতই আমি ট্রে খালি করে দিলাম :D





হঠাৎ ক্লান্ত লাগায় একটু জিরিয়ে নিতে শুয়ে পড়লাম। ঘুম থেকে উঠলাম ডিনারের অর্ডার দিতে। নন-ভেজ বলে আবার ঘুম। উঠলাম রাত ৯ টায়। ডিনার এসে গেল কিছুক্ষণ পরই। ভাত, সবজী, ফিস কাটলেট, চিকেন কারি, রুটি, দই, আইসক্রিম, সালাদ, ইত্যাদি দিয়ে জমপেশ ডিনার শেষে বক্সারের সাথে একটু গল্প করে আবারো ঘুম দিলাম।



ঘুম থেকে উঠলাম সকাল ৬টায়।চা এল কিছুক্ষণ বাদেই।





জানালা দিয়ে বাইরে দেখতে লাগলাম। তবে ভারতীয়দের রেললাইনে গন-টয়লেট দেখে বারকয়েক হেসে নিলাম :D। কেউ ছাতা মাথায়, কেউ কানে হেডফোন দিয়ে, ইত্যাদি নানা ঢংয়ে টয়লেট ক্রিয়ায় ব্যাস্ত।



সকাল ৮ টায় নাস্তা এল। কিছুটা হতাশ হলাম পরিমান দেখে তবে মান ভালো ছিল। নাস্তার পরে আবার চা এল। এদিকে আমি দেশে খবর জানাতে পারছিনা। ট্রেনে ওয়াই-ফাই অকেজো আর ট্যাবে সিম রোমিংয়ে......তাই আমি কোন খবর দিতে পারছিনা তবে সহযাত্রীরর মডেমের সহায়তায় ফেসবুকে মেসেজ দিলাম। বেশ স্বস্তি পেলাম অবশেষে আর তাই কিছু ক্লিক চলল।





ট্রেন একঘন্টা লেটে ১১টায় দিল্লী পৌছাবে জেনে খুশী হলাম। কারন আমার পরবর্তী ট্রেন বিকাল ৩.২৫ মিনিটে তাই লেট হলেই ভালো। একটু টেনশন লাগছিল দিল্লী গিয়ে ৪ ঘন্টার অপেক্ষা নিয়ে। তবে তক্ষুনি পরবর্তী ট্রেনের টিকিটে একটি সার্ভিসেের এ্যাড দেখলাম যার কারনে অপেক্ষার ৪ ঘন্টা আমার অসাধারন কেটেছিল।



ট্রেন ১১টায় পৌছে গেল দিল্লী। নেমে আসলাম ট্রেন থেকে। বিদায় নিলাম সহযাত্রীর কাছ থেকে। তারপর ছুটলাম সার্ভিসটির দিকে, আমার পরবর্তী গন্তব্যের দিকে.......(চলবে)



*শেষ পর্বে থাকবে দিল্লী রেল স্টেশনে ৪ ঘন্টা আর দেরাদুনে যাওয়া।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৬

েবনিটগ বলেছেন: =+++

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৮

সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০১

েবনিটগ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.